
অস্ট্রেলিয়ার নতুন টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক মিচেল মার্শ আগামী মাসে কামিন্সের জায়গায় নেতৃত্ব দিতে পারেন ওয়ানডেতেও।
অস্ট্রেলিয়ার টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক হিসেবে পথচলা শুরুর অপেক্ষায় তো আছেনই মিচল মার্শ। আগামী মাসে এমনকি ওয়ানডের নেতৃত্বেও অভিষেক হয়ে যেতে পারে তার! স্বয়ং ওয়ানডে অধিনায়ক প্যাট কামিন্সই জানিয়ে দিলেন সেই সম্ভাবনার কথা। শুধু তা-ই নয়, অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের সামনের পথচলায় মার্শকেই উপযুক্ত নেতা বলে মনে করেন কামিন্স।
ওয়ানডেতেও মার্শের অধিনায়কত্বের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে আসলে কামিন্সের চোটের কারণেই। আপাতত কবজির চোট কাটিয়ে ওঠার লড়াইয়ে আছেন এই ফাস্ট বোলার। আগামী মাসে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে ওয়ানডে সিরিজের জন্য যে দল ঘোষণা করা হয়েছে, সেখানে অধিনায়ক তিনিই। ৩০ বছর বয়সী এই ফাস্ট বোলার দলের সঙ্গে সফরে যাবেন বলেও নিশ্চিত করেছেন। তবে খেলতে পারবেন কি না, নিশ্চিত নন তিনি নিজেই।
গত বছর ওয়ানডে অধিনায়কত্ব পাওয়ার পর থেকে চোট-বিশ্রাম-বিরতি মিলিয়ে স্রেফ দুটি ম্যাচে দলকে নেতৃত্ব দিতে পেরেছেন কামিন্স। তার অনুপস্থিতিতে কাজ চালিয়ে গেছেন জশ হেইজেলউড, স্টিভেন স্মিথরা। সেই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে আবার। কদিন আগে অ্যাশেজের শেষ টেস্টের প্রথম দিনে ফিল্ডিংয়ের সময় চোট পান কামিন্স। এখন তিনি সেই চোট থেকে ফিট হয়ে ওঠার লড়াইয়ে আছেন।
আগামী ৭ থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকায় ৫ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলবে অস্ট্রেলিয়া। এরপর ২২ সেপ্টেম্বর থেকে ভারতে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। কামিন্স জানালেন, আপাতত ভারতের বিপক্ষে সিরিজ দিয়েই তার মাঠে ফেরার লক্ষ্য।
“খুব খারাপ নয় (চোটের অবস্থা)… দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে আমি হয়তো শেষ দিকে যাব, তবে সম্ভবত বিশ্বকাপের ঠিক আগে ওই ওয়ানডেগুলোতেই (ভারতে) সম্ভাবনা বেশি (খেলার)। আর কয়েক সপ্তাহ সময়েই আশা করি ঠিক হয়ে যাব।”
“(ওভাল টেস্টের) প্রথম দিনে যখন চোট পেলাম, তখন খুব ব্যাথা লেগেছে। পরে ব্যাটিংয়ের সময়ও লেগেছে বেশ। তবে তখনও মনে হয়নি যে বাজে কিছু এটা। পরে প্রতিদিনই একটু একটু করে ফুলে যেতে থাকল। তখন বুঝতে পারলাম, এই চোট পেশির নয়, বরং হাড়ের।”
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের অধিনায়ক হিসেবে কামিন্স তার সম্ভাব্য বিকল্প হিসেবে বললেন মার্শের কথাই।
“ওয়ানডের অধিনায়কত্ব তো এমনিতেই আমরা কিছুটা ভাগাভাগি করেই করছিলাম। এবারও দক্ষিণ আফ্রিকায় যাওয়ার পর আমরা ধেবে দেখব। তবে ভালো ব্যাপার হলো, আমাদের বেশ কিছু বিকল্প আছে। মিচ (মার্শ) সম্ভবত সবচেয়ে অবধারিত বিকল্প, যেহেতু যে টি-টোয়েন্টির নেতৃত্বও দিচ্ছে।”
“সত্যি বলতে, বিশ্বকাপের আগে এত বেশি ওয়ানডে আছে যে, আরও কেউ দু-একটি ম্যাচ খেলতে না পারলেও অবাক হব না। এমনও হতে পারে যে মিচ কোনো ম্যাচ খেলতে পারল না, তখন অন্য কেউ নেতৃত্ব দেবে।”
দক্ষিণ আফ্রিকায় ওয়ানডে সিরিজের আগে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে অস্ট্রেলিয়াকে নেতৃত্ব দেবেন মার্শ। ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর সাদা বলের দুই সংস্করণেই এই অলরাউন্ডারকে অধিনায়কের দায়িত্ব দেওয়া হবে বলে জোর আলোচনা চলছে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটে। কামিন্সও বললেন, আদর্শ নেতা হওয়ার সব উপকরণ আছে মার্শের মধ্যে।
“সে এমনিতেও দলের গুরুত্বপূর্ণ অংশ, সত্যিকারের এক নেতা। গত কয়েক বছরে তার শরীরটা কেবল বারবার বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। (অ্যাশেজের) হেডিংলি টেস্টে তার সেঞ্চুরিটি শুধু তাকে দলে ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ ছিল না… তার অস্ত্রোপচার হয়েছিল, বলা হয়েছিল যে সে আর বোলিং করতে নাও পারে… কিন্তু সে গত ১২ মাসে কঠোর পরিশ্রম করে লাল বলের ক্রিকেটে আবার নিজেকে মেলে ধরেছে। আমরা সবাই তার জন্য দারুণ খুশি।”
“মাঠের বাইরেও সে অসাধারণ এক ছেলে। তার প্রাণশক্তি অন্যদের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়ে। তার সঙ্গ সবসময়ই দারুণ, খুবই প্রাণবন্ত ও মজার। আবহ ঠিক রাখার কাজটি অন্য যে কারও চেয়ে ভালো পারে সে। টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডের জন্য সে দারুণ হবে।”
ঠিকানা/এসআর
অস্ট্রেলিয়ার টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক হিসেবে পথচলা শুরুর অপেক্ষায় তো আছেনই মিচল মার্শ। আগামী মাসে এমনকি ওয়ানডের নেতৃত্বেও অভিষেক হয়ে যেতে পারে তার! স্বয়ং ওয়ানডে অধিনায়ক প্যাট কামিন্সই জানিয়ে দিলেন সেই সম্ভাবনার কথা। শুধু তা-ই নয়, অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের সামনের পথচলায় মার্শকেই উপযুক্ত নেতা বলে মনে করেন কামিন্স।
ওয়ানডেতেও মার্শের অধিনায়কত্বের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে আসলে কামিন্সের চোটের কারণেই। আপাতত কবজির চোট কাটিয়ে ওঠার লড়াইয়ে আছেন এই ফাস্ট বোলার। আগামী মাসে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে ওয়ানডে সিরিজের জন্য যে দল ঘোষণা করা হয়েছে, সেখানে অধিনায়ক তিনিই। ৩০ বছর বয়সী এই ফাস্ট বোলার দলের সঙ্গে সফরে যাবেন বলেও নিশ্চিত করেছেন। তবে খেলতে পারবেন কি না, নিশ্চিত নন তিনি নিজেই।
গত বছর ওয়ানডে অধিনায়কত্ব পাওয়ার পর থেকে চোট-বিশ্রাম-বিরতি মিলিয়ে স্রেফ দুটি ম্যাচে দলকে নেতৃত্ব দিতে পেরেছেন কামিন্স। তার অনুপস্থিতিতে কাজ চালিয়ে গেছেন জশ হেইজেলউড, স্টিভেন স্মিথরা। সেই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে আবার। কদিন আগে অ্যাশেজের শেষ টেস্টের প্রথম দিনে ফিল্ডিংয়ের সময় চোট পান কামিন্স। এখন তিনি সেই চোট থেকে ফিট হয়ে ওঠার লড়াইয়ে আছেন।
আগামী ৭ থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকায় ৫ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলবে অস্ট্রেলিয়া। এরপর ২২ সেপ্টেম্বর থেকে ভারতে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। কামিন্স জানালেন, আপাতত ভারতের বিপক্ষে সিরিজ দিয়েই তার মাঠে ফেরার লক্ষ্য।
“খুব খারাপ নয় (চোটের অবস্থা)… দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে আমি হয়তো শেষ দিকে যাব, তবে সম্ভবত বিশ্বকাপের ঠিক আগে ওই ওয়ানডেগুলোতেই (ভারতে) সম্ভাবনা বেশি (খেলার)। আর কয়েক সপ্তাহ সময়েই আশা করি ঠিক হয়ে যাব।”
“(ওভাল টেস্টের) প্রথম দিনে যখন চোট পেলাম, তখন খুব ব্যাথা লেগেছে। পরে ব্যাটিংয়ের সময়ও লেগেছে বেশ। তবে তখনও মনে হয়নি যে বাজে কিছু এটা। পরে প্রতিদিনই একটু একটু করে ফুলে যেতে থাকল। তখন বুঝতে পারলাম, এই চোট পেশির নয়, বরং হাড়ের।”
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের অধিনায়ক হিসেবে কামিন্স তার সম্ভাব্য বিকল্প হিসেবে বললেন মার্শের কথাই।
“ওয়ানডের অধিনায়কত্ব তো এমনিতেই আমরা কিছুটা ভাগাভাগি করেই করছিলাম। এবারও দক্ষিণ আফ্রিকায় যাওয়ার পর আমরা ধেবে দেখব। তবে ভালো ব্যাপার হলো, আমাদের বেশ কিছু বিকল্প আছে। মিচ (মার্শ) সম্ভবত সবচেয়ে অবধারিত বিকল্প, যেহেতু যে টি-টোয়েন্টির নেতৃত্বও দিচ্ছে।”
“সত্যি বলতে, বিশ্বকাপের আগে এত বেশি ওয়ানডে আছে যে, আরও কেউ দু-একটি ম্যাচ খেলতে না পারলেও অবাক হব না। এমনও হতে পারে যে মিচ কোনো ম্যাচ খেলতে পারল না, তখন অন্য কেউ নেতৃত্ব দেবে।”
দক্ষিণ আফ্রিকায় ওয়ানডে সিরিজের আগে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে অস্ট্রেলিয়াকে নেতৃত্ব দেবেন মার্শ। ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর সাদা বলের দুই সংস্করণেই এই অলরাউন্ডারকে অধিনায়কের দায়িত্ব দেওয়া হবে বলে জোর আলোচনা চলছে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটে। কামিন্সও বললেন, আদর্শ নেতা হওয়ার সব উপকরণ আছে মার্শের মধ্যে।
“সে এমনিতেও দলের গুরুত্বপূর্ণ অংশ, সত্যিকারের এক নেতা। গত কয়েক বছরে তার শরীরটা কেবল বারবার বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। (অ্যাশেজের) হেডিংলি টেস্টে তার সেঞ্চুরিটি শুধু তাকে দলে ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ ছিল না… তার অস্ত্রোপচার হয়েছিল, বলা হয়েছিল যে সে আর বোলিং করতে নাও পারে… কিন্তু সে গত ১২ মাসে কঠোর পরিশ্রম করে লাল বলের ক্রিকেটে আবার নিজেকে মেলে ধরেছে। আমরা সবাই তার জন্য দারুণ খুশি।”
“মাঠের বাইরেও সে অসাধারণ এক ছেলে। তার প্রাণশক্তি অন্যদের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়ে। তার সঙ্গ সবসময়ই দারুণ, খুবই প্রাণবন্ত ও মজার। আবহ ঠিক রাখার কাজটি অন্য যে কারও চেয়ে ভালো পারে সে। টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডের জন্য সে দারুণ হবে।”
ঠিকানা/এসআর