
বিএনপি এখন দেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল। অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে আগামীতে তারাই ক্ষমতায় আসবে বলেই বিএনপির নেতাকর্মীদের দৃঢ় বিশ্বাস। এই বিশ্বাস ও আস্থার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে দলটির কিছুসংখ্যক নেতাকর্মীর আচার-আচরণেও, যা বিএনপির পরীক্ষিত নেতাকর্মী, সমর্থক ও সাধারণ মানুষের হতাশা ও অসন্তুষ্টিও ঘটাচ্ছে। আগামী নির্বাচনে বিএনপি, এনসিপি, জামায়াতসহ ইসলামি দলগুলো ঐক্যবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করলে সম্ভাব্য ফলাফল কী হতে পারে, কারা সরকার গঠন করতে পারে প্রভৃতি বিষয়ে গোপনে এক জরিপ চালানো হয়। জরিপে বামপন্থী দলগুলোর জোট এবং ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের জনমতও যাচাই করা হয়। গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সারা দেশে চার লাখ ভোটারের মধ্যে এই জরিপ চালানো হয়। ঢাকা ও অন্যান্য মহানগর, জেলা, উপজেলা, ওয়ার্ড পর্যায়ে জরিপ চালায় তিনটি এনজিও। অভিন্ন প্রশ্ন নিয়ে সমন্বিতভাবে তারা নির্বাচনী এলাকাভিত্তিক কাজ করে। এতে কিন্তু বিস্ময়কর ফল বেরিয়ে আসে। বিএনপির ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠনের সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছে এই জরিপ।
বিএনপির অনেকে দুই-তৃতীয়াংশ আসনে জয়ী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। অপরদিকে জামায়াতের অনুসারীদের মতে, বিএনপি-আওয়ামী লীগ উভয় দলই দেশবাসীর কাছে পরীক্ষিত। দেশের মানুষ নীতি, আদর্শবাদী, সৎ মানুষের সংগঠন হিসেবে জামায়াতের প্রার্থীদের নির্বাচিত করে দেশ পরিচালনার সুযোগ দেবে বলে তাদের বিশ্বাস। পাশাপাশি বৈষম্যবিরোধীরা দেশের মানুষের মধ্যে নতুন আশার সঞ্চার ঘটিয়েছেন। আগামী নির্বাচনে তাদের যোগ্য, সৎ, শিক্ষিত নেতারা নির্বাচিত হবেন বলে তাদের ধারণা।
তবে ওই জরিপের ফলাফল নাটকীয় কিছুরই আভাস দিচ্ছে। বিএনপি ৩০০ আসনে অর্থাৎ সারা দেশে মোট প্রায় ৪০ শতাংশ ভোট পেয়েছে। জামায়াতে ইসলামী ১৭ শতাংশ এবং বৈষম্যবিরোধীদের পক্ষে ১৮ শতাংশ জনমত প্রতিফলিত হয়েছে। বামপন্থী দলগুলোর পক্ষে পড়ে সম্মিলিতভাবে ৮ শতাংশ এবং বাদবাকি ১৪ শতাংশ ভোট আওয়ামী লীগ পেয়েছে। স্বতন্ত্রদের পক্ষে ৩ শতাংশ জনমত প্রতিফলিত হয়েছে। উল্লিখিত ফলাফল খণ্ডিত। এতে অবশ্যই ৩০০ নির্বাচনী এলাকার পূর্ণ চিত্র প্রতিফলিত হয় না। তবে সম্ভাব্য নির্বাচনী ফলাফলের পূর্বাভাস পাওয়া যায়। এতে দেখা যায়, ছোট দল, গ্রুপ, স্বতন্ত্রদের সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করতে হবে। বিএনপি আগামীতে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়ে সরকার গঠনের ব্যাপারে দৃঢ়প্রত্যয়ী হলেও আংশিক জরিপ সে আলামত দিচ্ছে না। বিএনপি অবশ্য দলীয়ভাবে নির্বাচন করলেও নির্বাচন-পরবর্তী সময়ে সব দলকে নিয়ে সরকার গঠন ও দেশ পরিচালনার কথা বলে আসছে। দেশের বৃহত্তর স্বার্থে এ রকম চিন্তা করলেও বাস্তবতা তাদেরকে সে পথে যেতে বাধ্য করতেও পারে। এমনও হতে পারে, সরকার গঠনে পতিত স্বৈরাচারের সমর্থন নিয়ামক হয়ে উঠতে পারে।
বিএনপির অনেকে দুই-তৃতীয়াংশ আসনে জয়ী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। অপরদিকে জামায়াতের অনুসারীদের মতে, বিএনপি-আওয়ামী লীগ উভয় দলই দেশবাসীর কাছে পরীক্ষিত। দেশের মানুষ নীতি, আদর্শবাদী, সৎ মানুষের সংগঠন হিসেবে জামায়াতের প্রার্থীদের নির্বাচিত করে দেশ পরিচালনার সুযোগ দেবে বলে তাদের বিশ্বাস। পাশাপাশি বৈষম্যবিরোধীরা দেশের মানুষের মধ্যে নতুন আশার সঞ্চার ঘটিয়েছেন। আগামী নির্বাচনে তাদের যোগ্য, সৎ, শিক্ষিত নেতারা নির্বাচিত হবেন বলে তাদের ধারণা।
তবে ওই জরিপের ফলাফল নাটকীয় কিছুরই আভাস দিচ্ছে। বিএনপি ৩০০ আসনে অর্থাৎ সারা দেশে মোট প্রায় ৪০ শতাংশ ভোট পেয়েছে। জামায়াতে ইসলামী ১৭ শতাংশ এবং বৈষম্যবিরোধীদের পক্ষে ১৮ শতাংশ জনমত প্রতিফলিত হয়েছে। বামপন্থী দলগুলোর পক্ষে পড়ে সম্মিলিতভাবে ৮ শতাংশ এবং বাদবাকি ১৪ শতাংশ ভোট আওয়ামী লীগ পেয়েছে। স্বতন্ত্রদের পক্ষে ৩ শতাংশ জনমত প্রতিফলিত হয়েছে। উল্লিখিত ফলাফল খণ্ডিত। এতে অবশ্যই ৩০০ নির্বাচনী এলাকার পূর্ণ চিত্র প্রতিফলিত হয় না। তবে সম্ভাব্য নির্বাচনী ফলাফলের পূর্বাভাস পাওয়া যায়। এতে দেখা যায়, ছোট দল, গ্রুপ, স্বতন্ত্রদের সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করতে হবে। বিএনপি আগামীতে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়ে সরকার গঠনের ব্যাপারে দৃঢ়প্রত্যয়ী হলেও আংশিক জরিপ সে আলামত দিচ্ছে না। বিএনপি অবশ্য দলীয়ভাবে নির্বাচন করলেও নির্বাচন-পরবর্তী সময়ে সব দলকে নিয়ে সরকার গঠন ও দেশ পরিচালনার কথা বলে আসছে। দেশের বৃহত্তর স্বার্থে এ রকম চিন্তা করলেও বাস্তবতা তাদেরকে সে পথে যেতে বাধ্য করতেও পারে। এমনও হতে পারে, সরকার গঠনে পতিত স্বৈরাচারের সমর্থন নিয়ামক হয়ে উঠতে পারে।