ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোর রাজধানী কিনশাসায় টানা ভারী বৃষ্টিপাতে প্রায় ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং মধ্য আফ্রিকার এই মহানগরজুড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। একজন সরকারি কর্মকর্তা রোববার (৬ এপ্রিল) এএফপিকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
শুক্রবার রাত থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত প্রবল বৃষ্টিপাতের পর পানি বাড়তে থাকে। এতে প্রায় ১ কোটি ৭০ লাখ জনসংখ্যার বিশাল শহরটির দরিদ্র ও প্রান্তিক উপশহরগুলোতে ধ্বংসযজ্ঞ হয়। অনেক বাসিন্দা বাধ্য হয়ে নৌকা দিয়ে রাস্তায় চলাচল করে।
কিনশাসার প্রাদেশিক জনস্বাস্থ্যমন্ত্রী প্যাট্রিসিয়েন গঙ্গো আবাকাজি বলেন, ‘আহত অনেককে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৩০-এর কাছাকাছি।’
তিনি আরও জানান, কেউ কেউ ডুবে মারা গেছে, কেউ আবার বাড়ির দেয়াল ধসে পড়ে প্রাণ হারিয়েছে।
এদিকে বন্যার পানিতে রাজধানীর বড় একটি অংশ অচল হয়ে গেছে, বন্ধ হয়ে গেছে কিনশাসার প্রধান সড়ক ‘ন্যাশনাল রোড ১’, যা শহরের কেন্দ্র থেকে বিমানবন্দরের দিকে গেছে।
পূর্বাঞ্চলের মাসিনা এলাকার এক বাসিন্দা অরলিন বলেন, ‘দুপুর ২টার দিকে হঠাৎ দেখি বাড়ির উঠানে পানি উঠছে এবং সেটা বাড়তেই থাকে। সাবধানতার জন্য আমরা বাচ্চাদের নিয়ে পালিয়ে যাই। কারণ তখন হাঁটা খুব কঠিন হয়ে পড়েছিল।’
আফ্রিকার দ্বিতীয় বৃহত্তম নদী কঙ্গোর তীরে অবস্থিত কিনশাসায় বন্যা প্রায়ই প্রাণঘাতী হয়ে ওঠে। অপর্যাপ্ত ড্রেনেজ-ব্যবস্থা ও দুর্বল ব্যবস্থাপনার কারণে অনেক দরিদ্র এলাকায় নর্দমা আবর্জনায় বন্ধ হয়ে থাকে। কাঁচা রাস্তা ও অস্থায়ী ঘরে বসবাসকারীরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকে। ২০২২ সালে এক ভয়াবহ বৃষ্টিপাতে ভূমিধস ও বন্যার কারণে রাজধানীতে অন্তত ১২০ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার থেকে মধ্য আফ্রিকাজুড়ে, বিশেষ করে ইকুয়েটোরিয়াল গিনি ও গ্যাবনে প্রচণ্ড বজ্রঝড় ও বৃষ্টিপাত হচ্ছে। জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে পশ্চিম ও মধ্য আফ্রিকায় প্রায় ৬৯ লাখ মানুষ তীব্র বৃষ্টিপাত ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ঠিকানা/এনআই
শুক্রবার রাত থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত প্রবল বৃষ্টিপাতের পর পানি বাড়তে থাকে। এতে প্রায় ১ কোটি ৭০ লাখ জনসংখ্যার বিশাল শহরটির দরিদ্র ও প্রান্তিক উপশহরগুলোতে ধ্বংসযজ্ঞ হয়। অনেক বাসিন্দা বাধ্য হয়ে নৌকা দিয়ে রাস্তায় চলাচল করে।
কিনশাসার প্রাদেশিক জনস্বাস্থ্যমন্ত্রী প্যাট্রিসিয়েন গঙ্গো আবাকাজি বলেন, ‘আহত অনেককে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৩০-এর কাছাকাছি।’
তিনি আরও জানান, কেউ কেউ ডুবে মারা গেছে, কেউ আবার বাড়ির দেয়াল ধসে পড়ে প্রাণ হারিয়েছে।
এদিকে বন্যার পানিতে রাজধানীর বড় একটি অংশ অচল হয়ে গেছে, বন্ধ হয়ে গেছে কিনশাসার প্রধান সড়ক ‘ন্যাশনাল রোড ১’, যা শহরের কেন্দ্র থেকে বিমানবন্দরের দিকে গেছে।
পূর্বাঞ্চলের মাসিনা এলাকার এক বাসিন্দা অরলিন বলেন, ‘দুপুর ২টার দিকে হঠাৎ দেখি বাড়ির উঠানে পানি উঠছে এবং সেটা বাড়তেই থাকে। সাবধানতার জন্য আমরা বাচ্চাদের নিয়ে পালিয়ে যাই। কারণ তখন হাঁটা খুব কঠিন হয়ে পড়েছিল।’
আফ্রিকার দ্বিতীয় বৃহত্তম নদী কঙ্গোর তীরে অবস্থিত কিনশাসায় বন্যা প্রায়ই প্রাণঘাতী হয়ে ওঠে। অপর্যাপ্ত ড্রেনেজ-ব্যবস্থা ও দুর্বল ব্যবস্থাপনার কারণে অনেক দরিদ্র এলাকায় নর্দমা আবর্জনায় বন্ধ হয়ে থাকে। কাঁচা রাস্তা ও অস্থায়ী ঘরে বসবাসকারীরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকে। ২০২২ সালে এক ভয়াবহ বৃষ্টিপাতে ভূমিধস ও বন্যার কারণে রাজধানীতে অন্তত ১২০ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার থেকে মধ্য আফ্রিকাজুড়ে, বিশেষ করে ইকুয়েটোরিয়াল গিনি ও গ্যাবনে প্রচণ্ড বজ্রঝড় ও বৃষ্টিপাত হচ্ছে। জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে পশ্চিম ও মধ্য আফ্রিকায় প্রায় ৬৯ লাখ মানুষ তীব্র বৃষ্টিপাত ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ঠিকানা/এনআই