ট্রাম্পের শুল্কারোপকে ‘ভুল’ ও ‘অযৌক্তিক’ বললেন বিশ্ব নেতারা

প্রকাশ : ০৩ এপ্রিল ২০২৫, ১১:০৮ , অনলাইন ভার্সন
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পণ্যের ওপর উচ্চ আমদানি কর ঘোষণা করায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমালোচনা করেছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি ও অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজসহ বিশ্বনেতারা। 

মেলোনি ইউরোপীয় ইউনিয়নের ওপর আরোপিত ২০ শতাংশ শুল্কহারকে ‘ভুল’ বলে অভিহিত করেছেন। অন্যদিকে, আলবানিজ বলেছেন, অস্ট্রেলিয়ার পণ্যের ওপর ১০ শতাংশ আমদানি কর ‘অযৌক্তিক’। 

মার্কিন প্রেসিডেন্টের ঘোষণা অনুযায়ী, ৫ এপ্রিল থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আমদানিকৃত সব পণ্যে সর্বজনীন ১০ শতাংশ বেসলাইন শুল্ক দিতে হবে। ৯ এপ্রিল থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও চীনসহ প্রায় ৬০টি দেশকে নতুন করে উচ্চ শুল্কের মুখোমুখি হতে হবে।

ট্রাম্প বলেন, এই পদক্ষেপগুলো ‘আমেরিকাকে আবার ধনী করে তুলবে’। ট্রাম্প আরও বলেন, তিনি তার সিদ্ধান্তগুলো নেওয়ার ক্ষেত্রে ‘খুব সদয়’ ছিলেন।

ট্রাম্পের মিত্র মেলোনি বলেছেন, ইইউর পণ্যে আরোপিত শুল্ক ‘কোনো পক্ষের জন্যই যথাযথ হবে না’। তবে তিনি ‘বাণিজ্য যুদ্ধ রোধে’ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি চুক্তির বিষয়ে কাজ করবেন বলে জানান। তার স্প্যানিশ প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ বলেছেন, স্পেন তার কোম্পানি ও কর্মীদের সুরক্ষা দেবে এবং একটি উন্মুক্ত বিশ্বের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবে।

আইরিশ বাণিজ্যমন্ত্রী সাইমন হ্যারিস বলেছেন, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার জন্য প্রস্তুত। এটিকে ‘এগিয়ে যাওয়ার সর্বোত্তম উপায়’ বলে অভিহিত করেন তিনি। আয়ারল্যান্ডের সরকারপ্রধান মাইকেল মার্টিন বলেছেন, ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত ‘গভীর দুঃখজনক’ এবং এতে ‘কারও উপকার হয়নি’।

ইইউর বাইরে, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী আলবানিজ বলেছেন, আমেরিকানদের ‘অযৌক্তিক শুল্কের’ জন্য সবচেয়ে বড় মূল্য দিতে হবে। তবে অস্ট্রেলিয়া সরকার পাল্টা পদক্ষেপ নেবে না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা এমন কোনো প্রতিযোগিতায় অংশ নেব না, যা নিচের দিকে নিয়ে যায়, যার ফলে দাম বৃদ্ধি এবং প্রবৃদ্ধি মন্থর হয়ে যায়।’ 

ট্রাম্প যেসব দেশকে ‘সবচেয়ে ভয়াবহ দুষ্কৃতকারী’ হিসেবে বিবেচনা করেন, চীন তাদের মধ্যে একটি। দেশটির পণ্যের ওপর ৫৪ শতাংশ কর হার যুক্ত করা হয়েছে।

লাতিন আমেরিকার বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ ব্রাজিল গতকাল ২ এপ্রিল (বুধবার) কংগ্রেসে ট্রাম্প আরোপিত ১০ শতাংশ শুল্কের বিরুদ্ধে একটি আইন অনুমোদন করেছে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই আইনের মাধ্যমে ‘বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার শরণাপন্ন হওয়ার পাশাপাশি দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা নিশ্চিত করতে সম্ভাব্য সব পদক্ষেপ’ মূল্যায়ন করা হবে।

অন্যদিকে, দক্ষিণ কোরিয়ার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হান ডাক-সু বলেছেন, বিশ্বব্যাপী বাণিজ্য যুদ্ধ ‘বাস্তবতায় পরিণত হয়েছে’। তিনি আরও বলেন, তার সরকার ‘বাণিজ্য সংকট কাটিয়ে ওঠার’ উপায় খুঁজবে।

ট্রাম্পের ঘোষণার কিছুক্ষণ পরেই মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট অন্যান্য দেশগুলোকে ‘প্রতিশোধমূলক’ পদক্ষেপ না নেওয়ার জন্য সতর্ক করে দেন। তিনি বলেন, ‘কারণ যদি প্রতিশোধ নেওয়া হয়, তাহলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।’

তবে গতকাল বুধবার ট্রাম্প তাঁর ঘোষণায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দুই বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার কানাডা ও মেক্সিকোর নাম উল্লেখ করেননি। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে পূর্ববর্তী নির্বাহী আদেশ বজায় থাকবে, যাতে ফেন্টানাইল এবং সীমান্ত সংকট সমাধানের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে দুটি দেশের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছিল।

এরপরও কানাডা এই শুল্ক হারে প্রভাবিত হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে শুরু হওয়া অটোমোবাইলের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের মতো পদক্ষেপ লাখ লাখ কানাডিয়ানকে সরাসরি প্রভাবিত করবে।

মার্ক কার্নি ‘প্রতিক্রিয়ামূলক ব্যবস্থার মাধ্যমে এই শুল্কের বিরুদ্ধে লড়াই করার’ অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন। তিনি আরও বলেছেন, এই মার্কিন শুল্কারোপ বিশ্ব বাণিজ্য ব্যবস্থাকে মৌলিকভাবে পরিবর্তন করবে।

ঠিকানা/এএস 
M M Shahin, Chairman Board of Editors, Thikana

Corporate Headquarter :

THIKANA : 7409 37th Ave suite 403

Jackson Heights, NY 11372

Phone : 718-472-0700/2428, 718-729-6000
Fax: + 1(866) 805-8806



Bangladesh Bureau : THIKANA : 70/B, Green Road, (Panthapath),
5th Floor, Dhaka- 1205, Bangladesh.
Mobile: 01711238078