লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদের তিন বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত উল্লেখ করে এলডিপির প্রেসিডেন্ট ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ (বীর বিক্রম) বলেছেন, এই রায় নির্বাচনে বিরোধী দলের প্রার্থী শূন্যতা সৃষ্টির অপচেষ্টা।
সোমবার সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী রেদোয়ান আহমেদের তিন বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৫০ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন। এই রায়ের প্রতিবাদে এক সংবাদ বিবৃিত অলি আহমদ বলেন, এই রায়ের ফলে বিচার বিভাগ প্রমাণ করেছে তারা স্বাধীন না। বর্তমান সরকার আদালতকে তার কাজ সঠিকভাবে করতে দিচ্ছে না। তাদের প্রভাবিত করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত সরকারের কোন প্রতিষ্ঠানের নামে নিবন্ধিতও ছিল না। সুতরাং এডভোকেট রেদোয়ান আহমেদ একটি সম্পূর্ণ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান হিসাবে তার কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল কর্তৃক নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করেছেন। এক্ষেত্রে দন্ডবিধির ৪০৯ ধারা বা দুদক আইনের ৫(২) ধারা অভিযোগ আনা প্রযোজ্য নয়। সরকারিভাবে নিয়োজিত কোন ব্যক্তি। সরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠী ছাড়া কারো বিরুদ্ধে দন্ডবিধির ৪০৯ ধারা ও দুর্নীতিদমন প্রতিরোধ আইনের ৫(২) কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা আইন সম্মত নয়।
তিনি আরো বলেন, অভিযোগকারীর অভিযোগ অনুযায়ীও রেদোয়ান আহমেদ সম্পূর্ণ নির্দোষ। তাছাড়া অভিযোগকারী নুরুল ইসলাম তার সাক্ষ্য প্রদানকালে রেদোয়ান আহমেদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোন অভিযোগ আনায়ন করেননি।
১/১১' র সময় তাকে তৎকালীন ক্ষমতাসীনরা বন্দুকের নলের মাথায় সাদা কাগজে সই নিয়ে এ সমস্ত অভিযোগ তৈরি করেছেন মর্মে তিনি সাক্ষ্য দেন।
কর্নেল অলি বলেন, প্রসিকিউশন সাক্ষীরা কেউ রেদোয়ান আহমেদ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কোন অর্থ আত্মসাৎ করেছেন মর্মে সাক্ষ্য প্রদান করেন নাই। তাছাড়া ড. রেদোয়ান আহমেদের সহ-অভিযুক্ত কর্তৃক প্রদত্ত স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির সাক্ষ্যগত কোন মূল্য নাই। অপরদিকে ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৪ ধারা অধীনে কোন সাক্ষীর বিবৃতি তিনি নিজে আদালতে উপস্থিত হয়ে সাক্ষ্য প্রদান না করার উহাও গ্রহণযোগ্যতা হারায় এবং অনুরূপ সাক্ষী মৃত্যুবরণ করলেও উহার সাক্ষ্য মূল্য থাকে না।
তিনি বলেন, আই.ও. তার মনগড়া চার্জশিট দাখিল করেছেন। আই.ও. ডঃ রেদোয়ান আহমেদের পক্ষে আদালতের সম্মুখে জেরায় কোন সঠিক উত্তর দিতে পারেনি। এমনকি অভিযোগের সময়কালের অর্থাৎ ২০০১-২০০২ অর্থ বছরের মুক্তিযোদ্ধা সংসদের অডিট রিপোর্ট পর্যালোচনা করেন নাই। ২০০১-২০০২ অর্থ বছরের হিসাবের খাতও তিনি পর্যালোচনা না করে অনুমান ভিত্তিক চার্জশিট দাখিল করেছেন। রেদোয়ান আহমেদ তার ডিফেন্স উইটনেসের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল ২০০১-২০০২ অর্থ বছরে ঋণ হিসাবে মোট তেপ্পান্ন লক্ষ সত্তুর হাজার টাকা গ্রহণ করেছেন তার দালিলিক প্রমাণ তিনি মাননীয় আদালতে সামনে দাখিল করেন। তার সকল দলিলাদি তৎকালীন সংসদের ভাইস চেয়ারম্যান কাজী জাহাঙ্গীর আমীর সাক্ষ্য প্রমাণের মাধ্যমে শনাক্ত করেন।
কর্নেল অলি আরো বলেন, ড. রেদোয়ান আহমেদের নিকট হতে গৃহিত ঋণের আংশিক চল্লিশ লক্ষ টাকা তাকে পে-অর্ডারের মাধ্যমে তার একাউন্টে ফেরৎ দেয়ার বিষয়টি আদালতের সামনে প্রমাণিত। ২০০১-২০০২ অর্থ বৎসরের সমুদয় আয় ব্যয়ের হিসাব অডিট রিপোর্ট দাখিলের মাধ্যমে মাননীয় আদালতের সামনে দাখিল করা হয়।
তিনি বলেন, রেদোয়ান আহমেদ ২০০৩ সালের মে মাসের শেষের দিকে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের চেয়ারম্যানের পদ হতে পদত্যাগ করেন। ঐ সময়ের পর হতে দীর্ঘ ২৩টি অর্থ বছরে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের পক্ষ হতে রেদোয়ান আহমেদের নিকট কোন টাকা পাওনা আছে মর্মে কোন দাবি করা হয় নাই। এতেই প্রমাণিত হয় যে, তিনি উক্ত প্রতিষ্ঠানের কোন অর্থ আত্মসাৎ করেন নাই। আর ওয়ান-ইলাভেন সময়ের সেনা সমর্থিত সরকারের আমলে প্রায় সকল দলের প্রথম সারির নেতারাসহ দলীয় প্রধানের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা সমূহের অন্দরে আওয়ামী লীগ দলীয় নেতা-নেত্রীর বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা সমূহ প্রত্যাহার হইলেও বিরোধীমত প্রকাশকারীদের কন্ঠরোধ করার অসৎ মানসে সেনা সমর্থিত সরকারের আমলে দায়েরকৃত মামলা সমূহ প্রত্যাহার করা হয়নি। বরং আগামী নির্বাচনে বিরোধী দলের প্রার্থী শূন্যতা সৃষ্টির অপচেষ্টায় মিথ্যা মামলা সমূহে ফরমায়েশি রায় প্রদান করিয়ে গণতন্ত্র নস্যাৎ ও পরমত স্বাধীনতা হরণ করা হচ্ছে, যা কোনক্রমেই গ্রহণযোগ্য নয়।
ঠিকানা/এসআর
সোমবার সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী রেদোয়ান আহমেদের তিন বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৫০ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন। এই রায়ের প্রতিবাদে এক সংবাদ বিবৃিত অলি আহমদ বলেন, এই রায়ের ফলে বিচার বিভাগ প্রমাণ করেছে তারা স্বাধীন না। বর্তমান সরকার আদালতকে তার কাজ সঠিকভাবে করতে দিচ্ছে না। তাদের প্রভাবিত করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত সরকারের কোন প্রতিষ্ঠানের নামে নিবন্ধিতও ছিল না। সুতরাং এডভোকেট রেদোয়ান আহমেদ একটি সম্পূর্ণ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান হিসাবে তার কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল কর্তৃক নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করেছেন। এক্ষেত্রে দন্ডবিধির ৪০৯ ধারা বা দুদক আইনের ৫(২) ধারা অভিযোগ আনা প্রযোজ্য নয়। সরকারিভাবে নিয়োজিত কোন ব্যক্তি। সরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠী ছাড়া কারো বিরুদ্ধে দন্ডবিধির ৪০৯ ধারা ও দুর্নীতিদমন প্রতিরোধ আইনের ৫(২) কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা আইন সম্মত নয়।
তিনি আরো বলেন, অভিযোগকারীর অভিযোগ অনুযায়ীও রেদোয়ান আহমেদ সম্পূর্ণ নির্দোষ। তাছাড়া অভিযোগকারী নুরুল ইসলাম তার সাক্ষ্য প্রদানকালে রেদোয়ান আহমেদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোন অভিযোগ আনায়ন করেননি।
১/১১' র সময় তাকে তৎকালীন ক্ষমতাসীনরা বন্দুকের নলের মাথায় সাদা কাগজে সই নিয়ে এ সমস্ত অভিযোগ তৈরি করেছেন মর্মে তিনি সাক্ষ্য দেন।
কর্নেল অলি বলেন, প্রসিকিউশন সাক্ষীরা কেউ রেদোয়ান আহমেদ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কোন অর্থ আত্মসাৎ করেছেন মর্মে সাক্ষ্য প্রদান করেন নাই। তাছাড়া ড. রেদোয়ান আহমেদের সহ-অভিযুক্ত কর্তৃক প্রদত্ত স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির সাক্ষ্যগত কোন মূল্য নাই। অপরদিকে ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৪ ধারা অধীনে কোন সাক্ষীর বিবৃতি তিনি নিজে আদালতে উপস্থিত হয়ে সাক্ষ্য প্রদান না করার উহাও গ্রহণযোগ্যতা হারায় এবং অনুরূপ সাক্ষী মৃত্যুবরণ করলেও উহার সাক্ষ্য মূল্য থাকে না।
তিনি বলেন, আই.ও. তার মনগড়া চার্জশিট দাখিল করেছেন। আই.ও. ডঃ রেদোয়ান আহমেদের পক্ষে আদালতের সম্মুখে জেরায় কোন সঠিক উত্তর দিতে পারেনি। এমনকি অভিযোগের সময়কালের অর্থাৎ ২০০১-২০০২ অর্থ বছরের মুক্তিযোদ্ধা সংসদের অডিট রিপোর্ট পর্যালোচনা করেন নাই। ২০০১-২০০২ অর্থ বছরের হিসাবের খাতও তিনি পর্যালোচনা না করে অনুমান ভিত্তিক চার্জশিট দাখিল করেছেন। রেদোয়ান আহমেদ তার ডিফেন্স উইটনেসের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল ২০০১-২০০২ অর্থ বছরে ঋণ হিসাবে মোট তেপ্পান্ন লক্ষ সত্তুর হাজার টাকা গ্রহণ করেছেন তার দালিলিক প্রমাণ তিনি মাননীয় আদালতে সামনে দাখিল করেন। তার সকল দলিলাদি তৎকালীন সংসদের ভাইস চেয়ারম্যান কাজী জাহাঙ্গীর আমীর সাক্ষ্য প্রমাণের মাধ্যমে শনাক্ত করেন।
কর্নেল অলি আরো বলেন, ড. রেদোয়ান আহমেদের নিকট হতে গৃহিত ঋণের আংশিক চল্লিশ লক্ষ টাকা তাকে পে-অর্ডারের মাধ্যমে তার একাউন্টে ফেরৎ দেয়ার বিষয়টি আদালতের সামনে প্রমাণিত। ২০০১-২০০২ অর্থ বৎসরের সমুদয় আয় ব্যয়ের হিসাব অডিট রিপোর্ট দাখিলের মাধ্যমে মাননীয় আদালতের সামনে দাখিল করা হয়।
তিনি বলেন, রেদোয়ান আহমেদ ২০০৩ সালের মে মাসের শেষের দিকে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের চেয়ারম্যানের পদ হতে পদত্যাগ করেন। ঐ সময়ের পর হতে দীর্ঘ ২৩টি অর্থ বছরে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের পক্ষ হতে রেদোয়ান আহমেদের নিকট কোন টাকা পাওনা আছে মর্মে কোন দাবি করা হয় নাই। এতেই প্রমাণিত হয় যে, তিনি উক্ত প্রতিষ্ঠানের কোন অর্থ আত্মসাৎ করেন নাই। আর ওয়ান-ইলাভেন সময়ের সেনা সমর্থিত সরকারের আমলে প্রায় সকল দলের প্রথম সারির নেতারাসহ দলীয় প্রধানের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা সমূহের অন্দরে আওয়ামী লীগ দলীয় নেতা-নেত্রীর বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা সমূহ প্রত্যাহার হইলেও বিরোধীমত প্রকাশকারীদের কন্ঠরোধ করার অসৎ মানসে সেনা সমর্থিত সরকারের আমলে দায়েরকৃত মামলা সমূহ প্রত্যাহার করা হয়নি। বরং আগামী নির্বাচনে বিরোধী দলের প্রার্থী শূন্যতা সৃষ্টির অপচেষ্টায় মিথ্যা মামলা সমূহে ফরমায়েশি রায় প্রদান করিয়ে গণতন্ত্র নস্যাৎ ও পরমত স্বাধীনতা হরণ করা হচ্ছে, যা কোনক্রমেই গ্রহণযোগ্য নয়।
ঠিকানা/এসআর