পুড়ছে সুন্দরবন

প্রকাশ : ২২ মার্চ ২০২৫, ২৩:৩৬ , অনলাইন ভার্সন
সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের ধানসাগর স্টেশনের কলমতেজী টহল ফাঁড়িসংলগ্ন বনে লাগা আগুন শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নেভানো যায়নি। ফায়ার সার্ভিস, বন বিভাগ ও স্থানীয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এর আগে সকাল নয়টার দিকে বনে টেপারবিল এলাকায় ধোঁয়া দেখতে পান পাশের এলাকার বাসিন্দারা। দুপুরে বন বিভাগ বিষয়টি নিশ্চিত করে। পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে নিয়ে বন বিভাগ আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। বিকেলে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট।

ফায়ার সার্ভিস, বন বিভাগ ও স্থানীয়রা সুন্দরবনে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে বনের মধ্যে প্রায় দেড় কিলোমিটার এলাকা ধরে ফায়ার লাইন (শুকনো পাতা, মাটি সরিয়ে নালা) তৈরি করেছে। তবে কাছাকাছি পানির উৎস না থাকায় সন্ধ্যা পর্যন্ত ওই এলাকায় পানি দেওয়া যায়নি।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের শরণখোলা স্টেশনের কর্মকর্তা আফতাদ-ই-আলম বলেন, ‘দেড় কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ফায়ার লাইন কাটা হয়েছে। আগুন আশা করা যায় আর ছড়াবে না। কোথাও ধোঁয়া আছে, কোথাও এখনো একটু একটু করে জ্বলছে। আলো না থাকায় রাতে কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। অর্ধেকটা পথ পর্যন্ত পাইপ টেনে নেওয়া গেছে। তবে পানি দেওয়া যায়নি। পাইপ টেনে সকাল (কাল) থেকে পানি দেওয়া যাবে।’

প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বনাঞ্চলে ধোঁয়ার কুণ্ডলী দেখার পর বন বিভাগ ও স্থানীয় বাসিন্দারা মিলে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করেন। বন বিভাগের সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবকসহ শত শত স্থানীয় বাসিন্দা আগুন নিয়ন্ত্রণে বনের মাঝে ফায়ার লাইন কাটার কাজ করেছেন। তবে কাছাকাছি কোনো নদী-খাল না থাকায় সেখানে সন্ধ্যা পর্যন্ত পানি দেওয়ার কাজ শুরু করা যায়নি। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে বনের মধ্যে বেশ কয়েকটি স্থানে বিক্ষিপ্তভাবে আগুন ও ধোঁয়ার কুণ্ডলী দেখা গেছে।

রাজাপুর এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য পান্না মিয়া বলেন, ‘শত শত মানুষ আগুন নিয়ন্ত্রণে বন বিভাগের সঙ্গে কাজ শুরু করে। আমিও সেখানে গেছি। বেশ দুর্গম পথ। আশপাশে কোনো নদী-খাল নেই। তাই পানি নিতে দেরি হচ্ছে। আগুন যেন না ছড়ায়, সে জন্য সরু পথ (ফায়ার লাইন) কাটা হয়েছে এক থেকে দেড় কিলোমিটার এলাকা ধরে। সেখানে প্রচুর শুকনো পাতা, এটাই ভয়। তবে দাউ দাউ করে কোথাও জ্বলছে না, আগুন আর ছড়ানোর কথা নয়। কিন্তু পানির পাইপ নিতে খুব কষ্ট হচ্ছে।’

স্থানীয়রা বলছেন, আগুন লাগা ওই এলাকাটিতে তেমন বড় গাছ নেই। গাছের শুকনো পাতার পুরো আস্তরণ রয়েছে মাটির ওপর। ওই শুকনো পাতার কারণে আগুন ছড়াচ্ছে। আগুন যাতে ছড়িয়ে পড়তে না পারে, এ জন্য স্থানীয় লোকজন নিয়ে বন বিভাগ কিছুটা পাতার স্তূপ সরালেও গভীর ফায়ার লাইন কাটতে পারেনি। তাই রাতে বাতাস হলে দীর্ঘ বছর ধরে জমা পাতার স্তূপের নিচ দিয়েও আগুন ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে।

সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মুহাম্মদ নুরুল করিম বলেন, ‘আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। আগুন ততটা বেশি নয়, বেশি হলো ধোঁয়া। আগুন যেন আর না ছড়ায়, সে জন্য চারপাশ থেকে পাতা সরিয়ে সরু নালা করা হয়েছে। পাইপ এখনো ওই এলাকা পর্যন্ত পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। আশা করি, সকালে আরও গতি নিয়ে কাজ করা যাবে।’

ঠিকানা/এনআই
M M Shahin, Chairman Board of Editors, Thikana

Corporate Headquarter :

THIKANA : 7409 37th Ave suite 403

Jackson Heights, NY 11372

Phone : 718-472-0700/2428, 718-729-6000
Fax: + 1(866) 805-8806



Bangladesh Bureau : THIKANA : 70/B, Green Road, (Panthapath),
5th Floor, Dhaka- 1205, Bangladesh.
Mobile: +880  1338-950041