
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইমিগ্রেশন ক্র্যাকডাউনে অবৈধ অভিবাসীদের চোখে ঘুম নেই। প্রতিদিন ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইস) এজেন্টদের হাতে গ্রেপ্তার এড়াতে অনেকে আত্মগোপনে রয়েছেন। কিন্তু অবৈধ অভিবাসীদের পাশাপাশি আইসের দৃষ্টি এখন গ্রিনকার্ডধারীদের দিকে। বিশেষ করে যারা দীর্ঘ সময় যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে অবস্থান করছেন তাদের ইমিগ্রেশন চেকপয়েন্টগুলোতে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
অতিসম্প্রতি বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ফেরা বেশ কয়েকজন গ্রিনকার্ডধারী বাংলাদেশিকে নিউইয়র্কের জেএফকে এয়ারপোর্টে ইমিগ্রেশন কাউন্টারে ইমিগ্রেশন অফিসারের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এসব বাংলাদেশি জানান, কেন দীর্ঘদিন সময় তারা যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে ছিল, যুক্তরাষ্ট্রে তারা কি কাজ করেন বা আয়ের উৎস কি এবং গ্রিনকার্ড অর্জনের কারণসহ ব্যক্তিগত বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
আরেকজন বাংলাদেশি জানান, তাকেও এসব প্রশ্ন করা হয়েছে। তিনি সবকিছুর সঠিক জবাব দিয়েছেন। তবে পরবর্তীতে লম্বা সময় যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে না থাকার জন্য সতর্ক করেছেন ইমিগ্রেশন অফিসার।
৯ মাস দেশে থাকার পর আরেক বাংলাদেশি জানান, তাকে দীর্ঘসময় একটি ঘরে বসিয়ে রেখে তারপর জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। কেন ৯ মাস যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে ছিলেন, এই ব্যাখ্যা চাইলে তিনি জানিয়েছেন, তার স্ত্রী সন্তান-সম্ভবা ছিলেন। সন্তানের জন্মের সময় স্ত্রী অসুস্থ ছিলেন। এ কারণে তার ফিরতে দেরী হয়েছে। এর স্বপক্ষে তিনি মেডিকেলের কাগজপত্র দেখিয়েছেন। ইমিগ্রেশন অফিসার তার জবাবে সন্তুষ্ট হয়েছেন এরপর তাকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অনুমতি দিয়েছেন।
সদ্য ইমিগ্র্যান্ট ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে আসার এক মাস পর বাংলাদেশে চলে যান একজন প্রবাসী বাংলাদেশি। সাড়ে ৫ মাস পর তিনি যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের সময় আটলান্টা এয়ারপোর্টে ইমিগ্রেশন অফিসারের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের মুথোমুখি হন তিনি। ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা এর কারণ জানতে চাইলে ওই প্রবাসী জানান, তিনি সম্পত্তি বিক্রি করতে বাংলাদেশে গিয়েছিলেন। এমনটি পুনরায় ঘটলে তার গ্রিনকার্ড বাজেয়াপ্ত করা হবে বলে সতর্ক করা হয় ওই বাংলাদেশিকে।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে ইমিগ্রেশন ও অ্যাক্সিডেন্ট কেস বিশেষজ্ঞ এবং যুক্তরাষ্ট্রে ইন্টারন্যাশনাল বার অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরী ঠিকানাকে জানান, গ্রিনকার্ড হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ী বসবাসের অনুমতিপত্র। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের সময় রি-এন্ট্রি ডকুমেন্টস এটি। ইমিগ্রেশন চেকপয়েন্টে একজন অফিসারের সন্তুষ্টি সাপেক্ষে একজন গ্রিনকার্ডধারী যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অনুমতি পান। কিন্তু অনেকেই আছেন যাদের যুক্তরাষ্ট্রে বাসা-বাড়ি কিছু নেই। চাকরি নেই। কিন্তু তারা গ্রিনকার্ডধারী। বেশিরভাগ সময় যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে থাকেন। এ ধরনের লোকেরা ইমিগ্রেশনে জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হচ্ছেন বেশী।
তিনি জানান, ইমিগ্রেশন আইন একই থাকলেও বাইডেন প্রশাসনের আমলে তা অনেকটা শিথিল ছিল। কিন্তু ট্রাম্প প্রশাসন পুক্সক্ষানুপুক্সক্ষভাবে তা কার্যকর করছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিমানবন্দরে অনেকের গ্রিনকার্ড বাতিল হচ্ছে। এমনকী তাদের স্ব স্ব দেশে ফেরত পাঠানো হচ্ছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। এ ব্যাপারে সবার সতর্ক থাকা উচিত বলে মন্তব্য করেন অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরী।
উল্লেখ্য, ইমিগ্রেশন আইন অনুযায়ী একজন গ্রিনকার্ডকারী আগাম অনুমতি নিয়ে সর্বোচ্চ দুই বছর যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে অবস্থান করতে পারেন। অনুমতি ছাড়া পারেন সর্বোচ্চ এক বছর। এক বছরের বেশী অবস্থান করলে গ্রিনকার্ড বাজেয়াপ্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
অতিসম্প্রতি বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ফেরা বেশ কয়েকজন গ্রিনকার্ডধারী বাংলাদেশিকে নিউইয়র্কের জেএফকে এয়ারপোর্টে ইমিগ্রেশন কাউন্টারে ইমিগ্রেশন অফিসারের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এসব বাংলাদেশি জানান, কেন দীর্ঘদিন সময় তারা যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে ছিল, যুক্তরাষ্ট্রে তারা কি কাজ করেন বা আয়ের উৎস কি এবং গ্রিনকার্ড অর্জনের কারণসহ ব্যক্তিগত বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
আরেকজন বাংলাদেশি জানান, তাকেও এসব প্রশ্ন করা হয়েছে। তিনি সবকিছুর সঠিক জবাব দিয়েছেন। তবে পরবর্তীতে লম্বা সময় যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে না থাকার জন্য সতর্ক করেছেন ইমিগ্রেশন অফিসার।
৯ মাস দেশে থাকার পর আরেক বাংলাদেশি জানান, তাকে দীর্ঘসময় একটি ঘরে বসিয়ে রেখে তারপর জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। কেন ৯ মাস যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে ছিলেন, এই ব্যাখ্যা চাইলে তিনি জানিয়েছেন, তার স্ত্রী সন্তান-সম্ভবা ছিলেন। সন্তানের জন্মের সময় স্ত্রী অসুস্থ ছিলেন। এ কারণে তার ফিরতে দেরী হয়েছে। এর স্বপক্ষে তিনি মেডিকেলের কাগজপত্র দেখিয়েছেন। ইমিগ্রেশন অফিসার তার জবাবে সন্তুষ্ট হয়েছেন এরপর তাকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অনুমতি দিয়েছেন।
সদ্য ইমিগ্র্যান্ট ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে আসার এক মাস পর বাংলাদেশে চলে যান একজন প্রবাসী বাংলাদেশি। সাড়ে ৫ মাস পর তিনি যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের সময় আটলান্টা এয়ারপোর্টে ইমিগ্রেশন অফিসারের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের মুথোমুখি হন তিনি। ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা এর কারণ জানতে চাইলে ওই প্রবাসী জানান, তিনি সম্পত্তি বিক্রি করতে বাংলাদেশে গিয়েছিলেন। এমনটি পুনরায় ঘটলে তার গ্রিনকার্ড বাজেয়াপ্ত করা হবে বলে সতর্ক করা হয় ওই বাংলাদেশিকে।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে ইমিগ্রেশন ও অ্যাক্সিডেন্ট কেস বিশেষজ্ঞ এবং যুক্তরাষ্ট্রে ইন্টারন্যাশনাল বার অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরী ঠিকানাকে জানান, গ্রিনকার্ড হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ী বসবাসের অনুমতিপত্র। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের সময় রি-এন্ট্রি ডকুমেন্টস এটি। ইমিগ্রেশন চেকপয়েন্টে একজন অফিসারের সন্তুষ্টি সাপেক্ষে একজন গ্রিনকার্ডধারী যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অনুমতি পান। কিন্তু অনেকেই আছেন যাদের যুক্তরাষ্ট্রে বাসা-বাড়ি কিছু নেই। চাকরি নেই। কিন্তু তারা গ্রিনকার্ডধারী। বেশিরভাগ সময় যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে থাকেন। এ ধরনের লোকেরা ইমিগ্রেশনে জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হচ্ছেন বেশী।
তিনি জানান, ইমিগ্রেশন আইন একই থাকলেও বাইডেন প্রশাসনের আমলে তা অনেকটা শিথিল ছিল। কিন্তু ট্রাম্প প্রশাসন পুক্সক্ষানুপুক্সক্ষভাবে তা কার্যকর করছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিমানবন্দরে অনেকের গ্রিনকার্ড বাতিল হচ্ছে। এমনকী তাদের স্ব স্ব দেশে ফেরত পাঠানো হচ্ছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। এ ব্যাপারে সবার সতর্ক থাকা উচিত বলে মন্তব্য করেন অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরী।
উল্লেখ্য, ইমিগ্রেশন আইন অনুযায়ী একজন গ্রিনকার্ডকারী আগাম অনুমতি নিয়ে সর্বোচ্চ দুই বছর যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে অবস্থান করতে পারেন। অনুমতি ছাড়া পারেন সর্বোচ্চ এক বছর। এক বছরের বেশী অবস্থান করলে গ্রিনকার্ড বাজেয়াপ্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।