
বাংলাদেশে জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় সহিংসতা রোধে সেনাবাহিনীকে সক্রিয় না হওয়ার আহ্বানের জন্যে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্কের অপসারণ এবং অবিলম্বে তার বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি জানিয়ে গত ১০ মার্চ সোমবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দফতরের সামনে সচেতন প্রবাসীদের এক বিক্ষোভ-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ, নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগ এবং স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা-কর্মীরা এতে অংশ নেন।
‘কংগ্রেস অব বাংলাদেশি আমেরিকান ইনক’ নামক একটি সংগঠনের পক্ষ থেকে জাতিসংঘ মহাসচিব বরাবরে একটি স্মারকলিপি হস্তান্তর করা হয়। স্মারকলিপিতে অভিযোগ করা হয়েছে যে, কোটা আন্দোলনের আড়ালে জঙ্গি ও জামাত-শিবিরের ক্যাডারদের তান্ডবে গোটা বাংলাদেশ যখোন তছনছ হচ্ছিল, পুলিশ স্টেশনে হামলা ও পুলিশ অফিসারদের হত্যার হোলিখেলা চলছিল মধ্য জুলাই থেকে আগস্টের শুরু পর্যন্ত, সেসময় ভলকার তুর্ক বাংলাদেশের সেনাবাহিনীকে ভয় দেখান যে, তারা যদি সহিংসতা দমাতে মাঠে নামেন তাহলে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে তাদেরকে নিষিদ্ধ করা হবে। এ তথ্য ভলকার তুর্ক নিজেই প্রকাশ করেছেন বিবিসি’র একটি অনুষ্ঠানে। স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, জাতিসংঘের মত একটি বিশ্বসংস্থার মানিবাধিকার সুরক্ষার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ভলকার তুর্ক এমন আহবান জানিয়ে প্রকারান্তরে কথিত কোটা বিরোধী আন্দোলনকারিদের হত্যাযজ্ঞে উস্কে দিয়েছেন, যার পরিণতি হিসেবে নির্বাচিত একটি সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত হতে হয়েছে। অর্থাৎ ভলকার তুর্ক তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনের পরিবর্তে ইসলামিক জঙ্গি ও জামাত-শিবিরকে ক্ষমতায়িত করার পথ সুগম করে দিয়েছেন। যার ফলশ্রুতিতে ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশত্যাগ করলেও ঐ জঙ্গিরা এখনো বেছে বেছে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী-সমর্থকদের হত্যা করছে, বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে লুটতরাজ শেষে অগ্নিসংযোগ করছে। এহেন অবস্থায় নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে সেনাবাহিনী। যদিও শেখ হাসিনা দেশত্যাগের পর সেনাপ্রধান ওয়াকারউজ্জামান জাতির উদ্দেশ্যে গণমাধ্যমে প্রদত্ত বক্তব্যে অঙ্গিকার করেছেন যে, তিনি জনগণের জানমালের সুরক্ষার দায়িত্ব নিলেন। জাতিসংঘ সদর দফতরের সামনে অনুষ্ঠিত এই বিক্ষোভ-সমাবেশে ‘জেনোসাইড একাত্তর ফাউন্ডেশন’র প্রতিষ্ঠাতা-প্রেসিডেন্ট ড. প্রদীপ কর আরো বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তী বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার অভিপ্রায়ে ১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় জাতিসংঘ। আমরা এই জাতিসংঘে বারবার এসেছি একাত্তরে বাংলাদেশে পাক হায়েনা ও তার দোসরদের মানবাধিকার লঙ্ঘন তথা গণহত্যার বিচার দাবিতে। কিন্তু এই জাতিসংঘ এখন পর্যন্ত ঐ গণহত্যার স্বীকৃতি প্রদান ও দায়ীদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে ন্যুনতম পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।
ড. প্রদীপ কর বলেন, ‘গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশের আওয়ামী লীগ সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রে কিছু চরমপন্থি ছাত্র বিশেষ করে ছাত্রশিবির ও হিযবুল তাহেরিসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী সংগঠন যে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করেছে, সেই কর্মকান্ডের সাথে এই ভলকার তুর্ক জড়িত বলেই আমাদের ধারণা। কারণ, তিনি বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর প্রধানকে ভয় দেখিয়েছেন এই বলে যে, তোমরা যদি ছাত্রদের চলমান কোটাবিরোধী আন্দোলনে হস্তক্ষেপ করো তাহলে তোমাদেরকে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে রাখা যাবে না। এ ধরনের ভয় প্রদর্শনের ফলে তারা সেনাবাহিনী নিউট্রাল হয়ে গেছে। ফলে শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়েছে।’ ড. প্রদীপ করে বলেন, জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার যে রিপোর্ট দিয়েছেন সেটিও পক্ষপাতদুষ্ট। কারণ, সেখানে ভিকটিম কারোরই বক্তব্য নেয়া হয়নি। এমনকি, ৫ আগস্টের পর পুলিশ অফিসারদের হত্যা, ৪৬০টির বেশী থানায় হামলা, অগ্নিসংযোগ, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের হত্যা, বাড়িঘরে আগুন দেয়া, লুটতরাজে কারা জড়িত-সে সব উদঘাটনেও ন্যুনতম মনোযোগ দেয়নি ঐ তদন্ত কমিশন।
এ প্রসঙ্গে কংগ্রেস অব বাংলাদেশি আমেরিকানের অন্যতম সংগঠক একুশে পদকপ্রাপ্ত সাহিত্যিক ড. নুরুন নবী বলেন, ভলকার তুর্কের আচরণকে মুখ বুজে সহ্য করার সময় শেষ। জাতিসংঘ একটি নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠান, তার সেই ইমেজ অটুট রাখার স্বার্থেই ভলকার তুর্ক-কে অপসারণের বিকল্প নেই।
‘রুখে দাঁড়াও বাংলাদেশ’ শীর্ষক এ সমাবেশে নেতৃবৃন্দের মধ্যে আরো কথা বলেছেন মহিউদ্দিন দেওয়ান, আব্দুল হাছিব মামুন, মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী, এম এ করিম জাহাঙ্গীর, অ্যাডভোকেট শাহ বখতিয়ার, আকতার হোসেন, সাখাওয়াত আলী, শেখ আতিক, ফারুক হোসাইন, ইমদাদ চৌধুরী, নূরল ইসলাম নজরুল, শেখ জামাল, জালালউদ্দিন, ড. জিনাত নবী প্রমুখ।
‘কংগ্রেস অব বাংলাদেশি আমেরিকান ইনক’ নামক একটি সংগঠনের পক্ষ থেকে জাতিসংঘ মহাসচিব বরাবরে একটি স্মারকলিপি হস্তান্তর করা হয়। স্মারকলিপিতে অভিযোগ করা হয়েছে যে, কোটা আন্দোলনের আড়ালে জঙ্গি ও জামাত-শিবিরের ক্যাডারদের তান্ডবে গোটা বাংলাদেশ যখোন তছনছ হচ্ছিল, পুলিশ স্টেশনে হামলা ও পুলিশ অফিসারদের হত্যার হোলিখেলা চলছিল মধ্য জুলাই থেকে আগস্টের শুরু পর্যন্ত, সেসময় ভলকার তুর্ক বাংলাদেশের সেনাবাহিনীকে ভয় দেখান যে, তারা যদি সহিংসতা দমাতে মাঠে নামেন তাহলে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে তাদেরকে নিষিদ্ধ করা হবে। এ তথ্য ভলকার তুর্ক নিজেই প্রকাশ করেছেন বিবিসি’র একটি অনুষ্ঠানে। স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, জাতিসংঘের মত একটি বিশ্বসংস্থার মানিবাধিকার সুরক্ষার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ভলকার তুর্ক এমন আহবান জানিয়ে প্রকারান্তরে কথিত কোটা বিরোধী আন্দোলনকারিদের হত্যাযজ্ঞে উস্কে দিয়েছেন, যার পরিণতি হিসেবে নির্বাচিত একটি সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত হতে হয়েছে। অর্থাৎ ভলকার তুর্ক তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনের পরিবর্তে ইসলামিক জঙ্গি ও জামাত-শিবিরকে ক্ষমতায়িত করার পথ সুগম করে দিয়েছেন। যার ফলশ্রুতিতে ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশত্যাগ করলেও ঐ জঙ্গিরা এখনো বেছে বেছে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী-সমর্থকদের হত্যা করছে, বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে লুটতরাজ শেষে অগ্নিসংযোগ করছে। এহেন অবস্থায় নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে সেনাবাহিনী। যদিও শেখ হাসিনা দেশত্যাগের পর সেনাপ্রধান ওয়াকারউজ্জামান জাতির উদ্দেশ্যে গণমাধ্যমে প্রদত্ত বক্তব্যে অঙ্গিকার করেছেন যে, তিনি জনগণের জানমালের সুরক্ষার দায়িত্ব নিলেন। জাতিসংঘ সদর দফতরের সামনে অনুষ্ঠিত এই বিক্ষোভ-সমাবেশে ‘জেনোসাইড একাত্তর ফাউন্ডেশন’র প্রতিষ্ঠাতা-প্রেসিডেন্ট ড. প্রদীপ কর আরো বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তী বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার অভিপ্রায়ে ১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় জাতিসংঘ। আমরা এই জাতিসংঘে বারবার এসেছি একাত্তরে বাংলাদেশে পাক হায়েনা ও তার দোসরদের মানবাধিকার লঙ্ঘন তথা গণহত্যার বিচার দাবিতে। কিন্তু এই জাতিসংঘ এখন পর্যন্ত ঐ গণহত্যার স্বীকৃতি প্রদান ও দায়ীদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে ন্যুনতম পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।
ড. প্রদীপ কর বলেন, ‘গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশের আওয়ামী লীগ সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রে কিছু চরমপন্থি ছাত্র বিশেষ করে ছাত্রশিবির ও হিযবুল তাহেরিসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী সংগঠন যে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করেছে, সেই কর্মকান্ডের সাথে এই ভলকার তুর্ক জড়িত বলেই আমাদের ধারণা। কারণ, তিনি বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর প্রধানকে ভয় দেখিয়েছেন এই বলে যে, তোমরা যদি ছাত্রদের চলমান কোটাবিরোধী আন্দোলনে হস্তক্ষেপ করো তাহলে তোমাদেরকে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে রাখা যাবে না। এ ধরনের ভয় প্রদর্শনের ফলে তারা সেনাবাহিনী নিউট্রাল হয়ে গেছে। ফলে শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়েছে।’ ড. প্রদীপ করে বলেন, জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার যে রিপোর্ট দিয়েছেন সেটিও পক্ষপাতদুষ্ট। কারণ, সেখানে ভিকটিম কারোরই বক্তব্য নেয়া হয়নি। এমনকি, ৫ আগস্টের পর পুলিশ অফিসারদের হত্যা, ৪৬০টির বেশী থানায় হামলা, অগ্নিসংযোগ, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের হত্যা, বাড়িঘরে আগুন দেয়া, লুটতরাজে কারা জড়িত-সে সব উদঘাটনেও ন্যুনতম মনোযোগ দেয়নি ঐ তদন্ত কমিশন।
এ প্রসঙ্গে কংগ্রেস অব বাংলাদেশি আমেরিকানের অন্যতম সংগঠক একুশে পদকপ্রাপ্ত সাহিত্যিক ড. নুরুন নবী বলেন, ভলকার তুর্কের আচরণকে মুখ বুজে সহ্য করার সময় শেষ। জাতিসংঘ একটি নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠান, তার সেই ইমেজ অটুট রাখার স্বার্থেই ভলকার তুর্ক-কে অপসারণের বিকল্প নেই।
‘রুখে দাঁড়াও বাংলাদেশ’ শীর্ষক এ সমাবেশে নেতৃবৃন্দের মধ্যে আরো কথা বলেছেন মহিউদ্দিন দেওয়ান, আব্দুল হাছিব মামুন, মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী, এম এ করিম জাহাঙ্গীর, অ্যাডভোকেট শাহ বখতিয়ার, আকতার হোসেন, সাখাওয়াত আলী, শেখ আতিক, ফারুক হোসাইন, ইমদাদ চৌধুরী, নূরল ইসলাম নজরুল, শেখ জামাল, জালালউদ্দিন, ড. জিনাত নবী প্রমুখ।