
হজরত ওমর (রা.) রমজান মাসের ফজিলত সম্পর্কে হজরত রাসুলের (সা.) নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, রমজান মোবারককে তওরাতে ‘হাত্বা’, ইঞ্জিলে ‘ত্বাব’, যবুরে ‘কেরাবত’ এবং কোরআনে ‘রমজান মোবারক’ নামে অভিহিত করা হয়েছে। ‘হাত্বা’ অর্থ নৈকট্য লাভ। ‘কেরাবত’ এ জন্য বলা হয়, রমজান মাসে আল্লাহর সঙ্গে বান্দার একান্ত নৈকট্য লাভ হয়।
হজরত আবু বকর (রা.) বলেন, ‘রজব’ ফসল রোপণের মাস, ‘শাবান’ ফসলে পানি সেচ দেওয়ার মাস, ‘রমজান’ হলো ফসল তোলার মাস। তিনি আরও বলেন, রজব মাস ঠান্ডা বাতাসের মতো, শাবান মাস মেঘমালার মতো, রমজান মাস হলো বৃষ্টির মতো।
অন্যদিকে জলিলুল কদর সাহাবি হজরত আনাস ইবনে মালেক (রা.) হতে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন, রজব মাস শুরু হলে রাসুল (সা.) এই দোয়া পড়তেন, ‘আল্লাহুম্মা বারিকলানা ফি রাজাবা ওয়া শা’বান ওয়াবাল্লিগনা ইলা শাহরি রমাদান।’ অর্থ : ‘হে আল্লাহ, আমাদের জন্য রজব ও শাবান মাসকে বরকতময় করে দিন আর আমাদের রমজান মাস পর্যন্ত পৌঁছে দিন।’ এ থেকেই অনুধাবন করা যায়, মুমিনের জীবনে মাহে রমজানের গুরুত্ব কত অপরিসীম।
রমজান মাসের রোজা ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে চতুর্থ এবং এটা ফরজ ইবাদত। রোজার গুরুত্ব ও ফজিলত সম্পর্কে কোরআনে আল্লাহ পাক এরশাদ করেন, হে মুমিনগণ! তোমাদের জন্য সিয়ামের বিধান দেওয়া হলো, যেমন বিধান তোমাদের পূর্ববর্তীগণকে দেওয়া হয়েছিল, যাতে তোমরা মুত্তাকি হতে পারো আর সিয়াম পালন করাই তোমাদের জন্য অধিকতর কল্যাণকর।
আল্লাহর কাছে রোজা এতটাই গুরুত্ব বহন করে, হাদিসে কুদসিতে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘রোজা আমার জন্য এবং আমি স্বয়ং এর প্রতিদান দেব।’ আর হাদিসে রাসুল (সা.) এরশাদ করেন, যখন রমজান মাস আসে আসমানের দরজাগুলো খুলে দেওয়া হয় এবং দোজখের দরজাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং শয়তানকে শিকলে আবদ্ধ করা হয়।’
রোজা পালন করতে গিয়ে একজন মুসলিম রমজান মাসের প্রতিদিন সুবেহ সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সকল প্রকার পানাহার ও শারীরিক সম্পর্ক থেকে বিরত থাকতে হয়। এ ছাড়া মুসলিমরা এ সময় সব ধরনের ঝগড়া-বিবাদ, মিথ্যা কথা, অশ্লীল যৌন প্রবৃত্তির মতো কর্ম করা থেকে বিরত থেকে নিজেদের শরীর ও মনকে নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করে। এ কারণে রোজা যে শুধু আধ্যাত্মিক উন্নতি সাধন করে তা নয়, বরং শারীরিক ও মানসিক উন্নতিও ঘটায়।
রোজা শুধু ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে নয়, বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিতেও রোজার উপকারিতা অপরিসীম। জীববিজ্ঞানের গবেষণার ফলে জানা যায়, প্রতিটি প্রাণীর শরীর একটি উচ্চতর এবং সূক্ষ্ম জৈব রাসায়নিক কারখানা এবং এটিকে সচল রাখতে প্রয়োজন হয় শক্তি। ওই শক্তির জোগান দিতে স্রষ্টা জীবজগতের জন্য নানা প্রকারের খাদ্যদ্রব্যের ব্যবস্থা করে যাচ্ছেন। সাধারণত একজন মানুষের এই শক্তি সরবরাহ অব্যাহত রাখতে কমপক্ষে দৈনিক তিনবার খাদ্যদ্রব্য গ্রহণ করতে হয়। তবে মানুষ উন্নত আত্মসম্পন্ন জীব হওয়ায় মানুষের সঙ্গে অন্যান্য পশুর পার্থক্য হলো মানুষ তার ক্ষুধা, পিপাসা এবং যৌন প্রবৃত্তি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। রমজান মাস প্রকৃতপক্ষে মানুষকে নিজের প্রবৃত্তি নিয়ন্ত্রণ করার শিক্ষা দেয়। কাজেই রমজান মাসের শিক্ষার অনুশীলন যদি সারা বছর আমরা করি, তাহলে দেশে, সমাজে বা ব্যক্তিগত জীবনে কোনো অন্যায়, পাপাচার, অসদাচার, দুর্নীতি প্রশ্রয় পেতে পারে না। কিন্তু প্রতিফলন কি আমরা বাস্তবে দেখতে পাই? আমাদের দেশের সংস্কৃতি অনুযায়ী মানুষজন ইফতার খাওয়া নিয়ে এতটা ব্যস্ত হয়ে পড়ে, যেন অনেকটা অতিরঞ্জিত হয়ে যায়। এতে করে সময় যেমন অপচয় হয়, তেমনি ক্লান্তিও বেড়ে যায়। ফলে ইবাদত বন্দেগির সময়টা সংক্ষিপ্ত হয়ে যায় অনেকের। অন্যদিকে সমাজের পাশাপাশি আমাদের দৈনন্দিন জীবনে যদি আমরা রমজান মাসের শিক্ষণীয় বিষয়গুলোর অনুশীলন করি, নীতিবোধ, বিবেকবোধ দিয়ে কাজ করি, তাহলে সমাজের ভালো সংস্কারের প্রবর্তন নিজেই হয়ে যাবে। ইসলাম-পরিপন্থী সংস্কৃতি থেকে মানুষ বেরিয়ে আসার সুযোগ পাবে, যেমন সত্যকথনের চর্চা করলে সমাজে মিথ্যাচার বন্ধ হবে। সততার চর্চা করলে অসৎ কাজ, ঘুষ, দুর্নীতি, অবৈধ সম্পদ অর্জন, কালো টাকার পাহাড় গড়া, নিয়োগ ও ভর্তি বাণিজ্যসহ যত রকম বাণিজ্য তা বন্ধ হবে।
তা ছাড়া বিবেক বিবেচনা করে কাজ করলে অন্যায় থেকে নিজেকে রক্ষা করা সম্ভব হবে। আল্লাহকে ভয় করে কোনো কাজের সিদ্ধান্ত নিতে চাইলে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হবে। নিজের স্বার্থের কথা চিন্তা না করে নিজের মধ্যে উদারতা, সহায়তা কাজ করলে মানুষ অন্যায়ভাবে কাউকে ঠকাবে না, প্রতারণা করবে না। ফলে সমাজ ও দেশের অরাজক পরিস্থিতি বিচ্ছুরিত হবে। তাই রমজান মাসের রোজা আমাদের শিক্ষা দেয় প্রতিবছর আমাদের চরিত্রকে সংশোধনের জন্য। সর্বদা উপরে উল্লেখিত বিষয়ের চর্চা করলে সমাজে অন্যায়-অনাচার থাকবে না।
রমজান মাস সুন্দরভাবে কাটানোর জন্য যেসব প্রস্তুতি গ্রহণ করা জরুরি, সেসবের অন্যতম একটি তওবা করা। তওবা মানে অতীত জীবনে কৃত সব গোনাহ থেকে খাঁটি দিলে আল্লাহ তায়ালার কাছে ফিরে আসা। আর তওবা আল্লাহ তায়ালার কাছে অত্যন্ত পছন্দনীয় একটি আমল। যার দ্বারা আল্লাহ তায়ালা বান্দার সব গোনাহ মাফ করে থাকেন। তওবা আল্লাহ তায়ালার কাছে কতটা প্রিয়, আমরা তা চিন্তাও করতে পারব না। হজরত রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ তায়ালা বান্দার তওবার কারণে সেই লোকটির চেয়েও বেশি খুশি হন, যে লোকটি মরুভূমিতে তার একমাত্র বাহন উট হারিয়ে পুনরায় ফিরে পেলে যে পরিমাণ খুশি হয়, তার চেয়েও বেশি খুশি হন আল্লাহ তায়ালা।’
হজরত রাসুল (সা.) বলেন, এই মোবারক মাসে প্রতিদিন একজন ঘোষক ঘোষণা করেন, হে পুণ্যকামী! তুমি এগিয়ে চলো। হে পাপকারী! তুমি বিরত থাকো। তাই রমজান মাস শুধু আধ্যাত্মিক পরিশুদ্ধতা অর্জনের জন্য উপকারিতা নয়, বরং বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে ও শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য তাৎপর্র্যপূর্ণ।
লেখক : প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ, নুরজাহান মেমোরিয়াল মহিলা ডিগ্রি কলেজ, সিলেট। লোকসংস্কৃতি গবেষক, রাষ্ট্রচিন্তক, সমাজবিজ্ঞানী ও প্রাবন্ধিক। পিএইচডি ফেলো, নিউইয়র্ক।
হজরত আবু বকর (রা.) বলেন, ‘রজব’ ফসল রোপণের মাস, ‘শাবান’ ফসলে পানি সেচ দেওয়ার মাস, ‘রমজান’ হলো ফসল তোলার মাস। তিনি আরও বলেন, রজব মাস ঠান্ডা বাতাসের মতো, শাবান মাস মেঘমালার মতো, রমজান মাস হলো বৃষ্টির মতো।
অন্যদিকে জলিলুল কদর সাহাবি হজরত আনাস ইবনে মালেক (রা.) হতে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন, রজব মাস শুরু হলে রাসুল (সা.) এই দোয়া পড়তেন, ‘আল্লাহুম্মা বারিকলানা ফি রাজাবা ওয়া শা’বান ওয়াবাল্লিগনা ইলা শাহরি রমাদান।’ অর্থ : ‘হে আল্লাহ, আমাদের জন্য রজব ও শাবান মাসকে বরকতময় করে দিন আর আমাদের রমজান মাস পর্যন্ত পৌঁছে দিন।’ এ থেকেই অনুধাবন করা যায়, মুমিনের জীবনে মাহে রমজানের গুরুত্ব কত অপরিসীম।
রমজান মাসের রোজা ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে চতুর্থ এবং এটা ফরজ ইবাদত। রোজার গুরুত্ব ও ফজিলত সম্পর্কে কোরআনে আল্লাহ পাক এরশাদ করেন, হে মুমিনগণ! তোমাদের জন্য সিয়ামের বিধান দেওয়া হলো, যেমন বিধান তোমাদের পূর্ববর্তীগণকে দেওয়া হয়েছিল, যাতে তোমরা মুত্তাকি হতে পারো আর সিয়াম পালন করাই তোমাদের জন্য অধিকতর কল্যাণকর।
আল্লাহর কাছে রোজা এতটাই গুরুত্ব বহন করে, হাদিসে কুদসিতে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘রোজা আমার জন্য এবং আমি স্বয়ং এর প্রতিদান দেব।’ আর হাদিসে রাসুল (সা.) এরশাদ করেন, যখন রমজান মাস আসে আসমানের দরজাগুলো খুলে দেওয়া হয় এবং দোজখের দরজাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং শয়তানকে শিকলে আবদ্ধ করা হয়।’
রোজা পালন করতে গিয়ে একজন মুসলিম রমজান মাসের প্রতিদিন সুবেহ সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সকল প্রকার পানাহার ও শারীরিক সম্পর্ক থেকে বিরত থাকতে হয়। এ ছাড়া মুসলিমরা এ সময় সব ধরনের ঝগড়া-বিবাদ, মিথ্যা কথা, অশ্লীল যৌন প্রবৃত্তির মতো কর্ম করা থেকে বিরত থেকে নিজেদের শরীর ও মনকে নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করে। এ কারণে রোজা যে শুধু আধ্যাত্মিক উন্নতি সাধন করে তা নয়, বরং শারীরিক ও মানসিক উন্নতিও ঘটায়।
রোজা শুধু ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে নয়, বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিতেও রোজার উপকারিতা অপরিসীম। জীববিজ্ঞানের গবেষণার ফলে জানা যায়, প্রতিটি প্রাণীর শরীর একটি উচ্চতর এবং সূক্ষ্ম জৈব রাসায়নিক কারখানা এবং এটিকে সচল রাখতে প্রয়োজন হয় শক্তি। ওই শক্তির জোগান দিতে স্রষ্টা জীবজগতের জন্য নানা প্রকারের খাদ্যদ্রব্যের ব্যবস্থা করে যাচ্ছেন। সাধারণত একজন মানুষের এই শক্তি সরবরাহ অব্যাহত রাখতে কমপক্ষে দৈনিক তিনবার খাদ্যদ্রব্য গ্রহণ করতে হয়। তবে মানুষ উন্নত আত্মসম্পন্ন জীব হওয়ায় মানুষের সঙ্গে অন্যান্য পশুর পার্থক্য হলো মানুষ তার ক্ষুধা, পিপাসা এবং যৌন প্রবৃত্তি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। রমজান মাস প্রকৃতপক্ষে মানুষকে নিজের প্রবৃত্তি নিয়ন্ত্রণ করার শিক্ষা দেয়। কাজেই রমজান মাসের শিক্ষার অনুশীলন যদি সারা বছর আমরা করি, তাহলে দেশে, সমাজে বা ব্যক্তিগত জীবনে কোনো অন্যায়, পাপাচার, অসদাচার, দুর্নীতি প্রশ্রয় পেতে পারে না। কিন্তু প্রতিফলন কি আমরা বাস্তবে দেখতে পাই? আমাদের দেশের সংস্কৃতি অনুযায়ী মানুষজন ইফতার খাওয়া নিয়ে এতটা ব্যস্ত হয়ে পড়ে, যেন অনেকটা অতিরঞ্জিত হয়ে যায়। এতে করে সময় যেমন অপচয় হয়, তেমনি ক্লান্তিও বেড়ে যায়। ফলে ইবাদত বন্দেগির সময়টা সংক্ষিপ্ত হয়ে যায় অনেকের। অন্যদিকে সমাজের পাশাপাশি আমাদের দৈনন্দিন জীবনে যদি আমরা রমজান মাসের শিক্ষণীয় বিষয়গুলোর অনুশীলন করি, নীতিবোধ, বিবেকবোধ দিয়ে কাজ করি, তাহলে সমাজের ভালো সংস্কারের প্রবর্তন নিজেই হয়ে যাবে। ইসলাম-পরিপন্থী সংস্কৃতি থেকে মানুষ বেরিয়ে আসার সুযোগ পাবে, যেমন সত্যকথনের চর্চা করলে সমাজে মিথ্যাচার বন্ধ হবে। সততার চর্চা করলে অসৎ কাজ, ঘুষ, দুর্নীতি, অবৈধ সম্পদ অর্জন, কালো টাকার পাহাড় গড়া, নিয়োগ ও ভর্তি বাণিজ্যসহ যত রকম বাণিজ্য তা বন্ধ হবে।
তা ছাড়া বিবেক বিবেচনা করে কাজ করলে অন্যায় থেকে নিজেকে রক্ষা করা সম্ভব হবে। আল্লাহকে ভয় করে কোনো কাজের সিদ্ধান্ত নিতে চাইলে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হবে। নিজের স্বার্থের কথা চিন্তা না করে নিজের মধ্যে উদারতা, সহায়তা কাজ করলে মানুষ অন্যায়ভাবে কাউকে ঠকাবে না, প্রতারণা করবে না। ফলে সমাজ ও দেশের অরাজক পরিস্থিতি বিচ্ছুরিত হবে। তাই রমজান মাসের রোজা আমাদের শিক্ষা দেয় প্রতিবছর আমাদের চরিত্রকে সংশোধনের জন্য। সর্বদা উপরে উল্লেখিত বিষয়ের চর্চা করলে সমাজে অন্যায়-অনাচার থাকবে না।
রমজান মাস সুন্দরভাবে কাটানোর জন্য যেসব প্রস্তুতি গ্রহণ করা জরুরি, সেসবের অন্যতম একটি তওবা করা। তওবা মানে অতীত জীবনে কৃত সব গোনাহ থেকে খাঁটি দিলে আল্লাহ তায়ালার কাছে ফিরে আসা। আর তওবা আল্লাহ তায়ালার কাছে অত্যন্ত পছন্দনীয় একটি আমল। যার দ্বারা আল্লাহ তায়ালা বান্দার সব গোনাহ মাফ করে থাকেন। তওবা আল্লাহ তায়ালার কাছে কতটা প্রিয়, আমরা তা চিন্তাও করতে পারব না। হজরত রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ তায়ালা বান্দার তওবার কারণে সেই লোকটির চেয়েও বেশি খুশি হন, যে লোকটি মরুভূমিতে তার একমাত্র বাহন উট হারিয়ে পুনরায় ফিরে পেলে যে পরিমাণ খুশি হয়, তার চেয়েও বেশি খুশি হন আল্লাহ তায়ালা।’
হজরত রাসুল (সা.) বলেন, এই মোবারক মাসে প্রতিদিন একজন ঘোষক ঘোষণা করেন, হে পুণ্যকামী! তুমি এগিয়ে চলো। হে পাপকারী! তুমি বিরত থাকো। তাই রমজান মাস শুধু আধ্যাত্মিক পরিশুদ্ধতা অর্জনের জন্য উপকারিতা নয়, বরং বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে ও শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য তাৎপর্র্যপূর্ণ।
লেখক : প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ, নুরজাহান মেমোরিয়াল মহিলা ডিগ্রি কলেজ, সিলেট। লোকসংস্কৃতি গবেষক, রাষ্ট্রচিন্তক, সমাজবিজ্ঞানী ও প্রাবন্ধিক। পিএইচডি ফেলো, নিউইয়র্ক।