নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে পেল ভারত

প্রকাশ : ০৩ মার্চ ২০২৫, ০১:৫০ , অনলাইন ভার্সন
ভারতের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির প্রাথমিক দলেই ছিলেন না বরুণ চক্রবর্তী। উদ্বোধনী ব্যাটার যশস্বী জয়সয়ালকে বাদ দিয়ে নাটকীয়ভাবেই মূল দলে জায়গা হয়েছিল এ লেগ স্পিনারের। এর আগে মাত্র একটি ওয়ানডে খেলা বরুণকে হঠাৎ বড় টুর্নামেন্টের দলে রাখায় সমালোচনাও হয়েছিল ব্যাপক। কিন্তু সুযোগসন্ধানী বরুণ অপেক্ষায় ছিলেন বড় মঞ্চে বলটা একবার হাতে নেওয়ার। প্রথম দুই ম্যাচে একাদশে সুযোগ না মিললেও গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এল সেই সুযোগ। ‘এক চান্সেই’ যেন হিরো—বুঝিয়ে দিলেন কেন তাকে প্রয়োজন ছিল দলে।

চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে সবার আগে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছিল ‘এ’ গ্রুপের ভারত ও নিউজিল্যান্ড। দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে দল দুটি মুখোমুখি হয়েছিল গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লড়াইয়ে। এটি ছিল বিরাট কোহলির ৩০০তম ওয়ানডের মাইলফলকের ম্যাচও। ভারতীয় গ্রেট ব্যর্থ হলেন ব্যাট হাতে, আর সে ম্যাচে কিউইদের ঘূর্ণি জাদুতে নাচিয়ে ভারতকে ৪৪ রানের দারুণ এক জয় এনে দিলেন বরুণ।

ম্যাট হেনরির অগ্নিঝরা বোলিংয়ে আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পেয়ে ৯ উইকেটে ২৪৯ রানে আটকে যায় ভারত। দলের বিপর্যয়ে শ্রেয়াস আইয়ার ফিফটি, অক্ষর প্যাটেল (৪২) ও হার্দিক পান্ডিয়া (৪৫) খেলেছেন কার্যকর ইনিংস। ভারতের দেওয়া ২৫০ রানের লক্ষ্যে তাড়ায় নেমে ৪৫.৩ ওভারে ২০৫ রানে গুঁড়িয়ে যায় নিউজিল্যান্ড। ৪২ রান দিয়ে ৫ উইকেট নিয়েছেন বরুণ। দুর্দান্ত জয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়নও ভারত। সেমিফাইনালে তারা পেল অস্ট্রেলিয়াকে, নিউজিল্যান্ড পেল দক্ষিণ আফ্রিকাকে।

দুবাইয়ের মাঠে টুর্নামেন্টের সব ম্যাচ খেলে সমালোচনাও শুনতে হচ্ছে ভারতকে। নিজেদের ডেরাই যেন বানিয়ে ফেলেছে তারা। এ মাঠে সব মিলিয়ে ৩০০ রানের স্কোর আছে ৪টি। সর্বশেষ ৩০০ হয়েছিল ২০১৯ সালে। ২৫০-২৭৫ রান সেখানে লড়াইয়ের পুঁজি। উইকেটে স্পিনের সহায়তা পেয়ে এ ম্যাচে ভারত একাদশে খেলায় চার স্পিনার। যে সিদ্ধান্ত সে কাজ। কেন উইলিয়ামসনের ১২০ বলে ৮১ রানের লড়াকু ইনিংস ছাড়া কিউই ব্যাটাররা সেভাবে নিজেদের মেলে ধরতে পারেননি।

দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ভারতীয় দর্শকদের ঢেউয়ে কিং কোহলিরই স্লোগান। ৩০০তম ওয়ানডে খেলতে নেমে চোখটা তার দিকেই ছিল। কিন্তু হেনরি-কাইল জেমিসনের তোপে ভারতের টপ অর্ডার গুঁড়িয়ে গেছে ৬.৪ ওভারে। ২০১৯ বিশ্বকাপের পর ভারতের প্রথম তিন ব্যাটারকে এর চেয়ে কম ওভারে ফেরাতে পারেনি আর কোনো দল। শুবমান গিল ২ ও রোহিত শর্মা ফেরেন ১৫ রানে।

কোহলি আত্মবিশ্বাসী ব্যাটিংই শুরু করেছিলেন। কিন্তু নিজের পুরোনো দুর্বলতায় ১৪ বলে ১১ রানে থেমে যায় তার ইনিংস। হেনরির করা গুড লেংথের অফ স্টাম্পের বাইরের বল। পয়েন্টে বাজপাখি গ্লেন ফিলিপসকে দাঁড় করায় কিউইরা। নিজের দায়িত্ব কোহলির চোখ-ধাঁধানো ক্যাচ ধরেই পালন করলেন ফিলিপস। এ আর নতুন কি, শুধু চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে কয়েকটি এমন ক্যাচ এরই মধ্যে ধরেছেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনেও তাই ফিলিপসকে শুনতে হয়েছিল, ফিল্ডিংয়ের সময় কোনো নির্দিষ্ট ধরনের আঠা কি আপনি ব্যবহার করেন? মজার প্রশ্নে বলেছিলেন, ‘ভাগ্যের এখানে বড় ধরনের সম্পৃক্ততা রয়েছে। ভালো লাগত, যদি বলতে পারতাম যে বিশেষ কোনো আঠা ব্যবহার করি। দুর্ভাগ্যজনকভাবে ব্যাপারটি তা নয়। বরং অন্য যেকোনো কিছুর চেয়ে আমার হাতের তালু ঘামে বেশি।’

চতুর্থ উইকেটে প্যাটেল ও আইয়ারের ৯৮ রানের জুটিতে শুরুর বিপর্যয় সামলে ওঠে ভারত। ৪ নম্বরে নেমে ৯৮ বলে ৭৯ রানের কার্যকর এক ইনিংস খেলেন শ্রেয়াস আইয়ার। নিজের ২২ ওয়ানডে ফিফটির মধ্যে সবচেয়ে ধীরগতির ছিল এটি। ৭৫ বলে করেন ফিফটি। হেনরি নিয়েছেন তৃতীয়বারের মতো ৫ উইকেট।

‘কিং কোহলি’র মাইলফলকের ম্যাচে বরুণের মতো বল হাতে রঙিন হেনরিও। ৪২ রানে তিনিও নিয়েছেন ৫ উইকেট। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ভারতের বিপক্ষে কোনো ম্যাচে এমন সাফল্য আগে কোনো বোলার পাননি। এ টুর্নামেন্টে নিউজিল্যান্ডের কোনো বোলারের দ্বিতীয় সেরা বোলিং ফিগারও এটি। ২০০৪ সালে ওভালে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ৩৬ রানে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন অলরাউন্ডার জ্যাকব ওরাম।

ঠিকানা/এনআই
M M Shahin, Chairman Board of Editors, Thikana

Corporate Headquarter :

THIKANA : 7409 37th Ave suite 403

Jackson Heights, NY 11372

Phone : 718-472-0700/2428, 718-729-6000
Fax: + 1(866) 805-8806



Bangladesh Bureau : THIKANA : 70/B, Green Road, (Panthapath),
5th Floor, Dhaka- 1205, Bangladesh.
Mobile: 01711238078