বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন দলের আবির্ভাব

প্রকাশ : ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১:৫৫ , অনলাইন ভার্সন
বাংলাদেশের রাজনীতিতে রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ ঘটছে। ২৮ ফেব্রুয়ারি ‘সুতীব্র চিৎকারে’ তার আগমন ঘোষণা করা হবে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের উত্তাপ কমতে না কমতেই গত বছরের ২১ আগস্ট ঠিকানার একটি বিশেষ প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়েছিল এমন সম্ভাবনার কথা। শিরোনাম ছিল ‘কিংস পার্টির গোপন প্রস্তুতি’। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের সব বিশ্লেষণই যে অসত্য প্রমাণিত হবেÑবিষয়টি এমন নয়। কিছু কিছু বিশ্লেষণ বা ‘হাইপথেসিস’ ঠিকই লেগে যায় বা সত্য বলে প্রমাণিত হয়।
প্রকাশিত সেই প্রতিবেদনে যা বলা হয়েছিল, তার দু-চার চরণ তুলে ধরা অপ্রাসঙ্গিক হবে না, এই নতুন শিশু ভূমিষ্ঠ হওয়ার প্রাক্কালে। প্রাক্কালে বলাটা ঠিক হবে কি না সঠিক জানা যাচ্ছে না। হয়তো এ সম্পাদকীয় প্রকাশিত হওয়ার আগেই দেশের মানুষ নতুন রাজনৈতিক দলের নামধাম পরিচয়, আদর্শ উদ্দেশ্য, নেতা-নেত্রীর পরিচয় জেনে যাবে। ‘কিংস পার্টি’ হবে, বাংলাদেশে এ নতুন কিছু নয়। কিন্তু ছাত্র-নেতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পেট চিড়ে যে নতুন নিচ্ছে শিশু জন্ম নিচ্ছে তার বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্য আছে। গণ-আন্দোলনে প্রত্যক্ষ নেতৃত্বদানকারীরাই এই ‘কিংস পার্টির’ হাল ধরবেন। ধরে নেওয়া যায় সদ্য ছাত্রত্ব সম্পন্ন করেছেন এমন যারা এ আন্দোলনে সামনের সারিতে নেতৃত্ব দিয়েছেন তারা ‘কিংস পার্টিরও নেতৃত্ব দেবেন।
গত ২১ আগস্ট প্রকাশিত প্রতিবেদনটি সারা বিশ্বেই বিস্ময় জাগিয়েছিল। কারও কল্পনাতেই ছিল না নতুন সরকার দল গড়বে। মাত্র ছয় মাসের মাথাতেই থলের বিড়াল বেরিয়ে এল। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারিতে আত্মপ্রকাশ করছে নতুন দল। ঠিকানার ‘কিংস পার্টির গোপন প্রস্তুতি’ শিরোনামের শীর্ষ প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, ‘ঘোষণাটি এসেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির পক্ষ থেকে। আর তাতে সমর্থন দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা শান্তিতে নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আসলে যে দল গঠনের পেছনে সরকারের অনুকম্পা বা আনুকূল্য থাকে, সব রকম ছায়া দিয়ে প্রাথমিক ঝড়ঝাপ্টা সামলায়, সে জন্যই সে দলকে কিংস পার্টি বলা হয়। বাংলাদেশে এর আগেও কিংস পার্টির জন্ম দেখেছে বাংলাদেশের মানুষ। জেনারেল জিয়ার ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল’, জেনারেল এরশাদের ‘জনতা পার্টি’কেও কিংস বলা হয় এখনো। যদিও জনগণের মধ্যে তাদের মূল প্রথিত হয়েছে এরই মধ্যে। নতুন যে দলটি আত্মপ্রকাশ করছে, তাদের অভিভাবক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে, মনে করা হচ্ছে, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার। এরই মধ্যে নতুন দল নিয়ে বাইরে অন্যান্য দলের মধ্যে আলোচনা সমালোচনা চলছে। দলটির অভ্যন্তরেও আত্মকলহ মাঝেমধ্যেই দৃশ্যমান হচ্ছে। বাইরে তা প্রকাশও পাচ্ছে। যার কারণ দলের নেতৃত্বের ভাগ নিয়ে মনে করা হচ্ছে। প্রথম সারির সমন্বয়ক যারা দলটির অগ্রভাগে থাকবেন, তাদের নৈতিকতা, সততা নিয়েও কথা বলাবলি চলছে। সাধারণ মানুষ চিরদিন রাজনৈতিক দল দ্বারা বঞ্চিত হয়েছে। ক্ষমতায় গেছেন যারা, তাদের ওপর বিশ্বাস রেখে ঠকেছেন। পাকিস্তান জন্মের পর থেকে যারা ক্ষমতায় গেছে, তারা মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। সাধারণ মানুষ যাদের উপর সরল মনে বিশ্বাস রেখেছে, তারা মানুষের বিশ্বাসকে কোনো মর্যাদা দেয়নি। সবাই নিজের স্বার্থ নিয়ে পকেট ভরেছে, আঙুল ফুলে কলাগাছ নয়, বটগাছ হয়েছে। অনেকে ব্যক্তিগত সততা নিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করতে চাইলেও দলের স্বার্থান্বেষী নেতাকর্মীরা নিজেদের কলঙ্ক দিয়ে নেতা-নেত্রীদের গায়ে কালিমা লেপন করেছে। সবচেয়ে জনপ্রিয় দুই নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, যিনি বাংলাদেশের মুক্তি ও স্বাধীনতাযুদ্ধে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছেন এবং ব্যক্তিগত সততা নিয়েও ঘাতকের হাতে মৃত্যুবরণ করতে হয়েছে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে।
আমরা কামনা করব, নতুন রাজনৈতিক দলের নেতারা অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে নৈতিকতা বিসর্জন দিয়ে কোনো কাজ করবেন না। তারা প্রকৃত অর্থেই সাধারণ মানুষের স্বার্থ নিয়ে কাজ করবেন। সাধারণ মানুষের এত দিনের বঞ্চনা, নিপীড়ন, নির্যাতন ও দুর্ভোগ লাঘবে তারা আত্মনিয়োগ করবেন। রাজনৈতিক দল ও নেতাদের প্রতি মানুষ যেন বিশ্বাস ফিরে পায়। তারা যেন প্রমাণ দিতে পারেন কারও ‘এ’ টিম, ‘বি’ টিম নয়, তারা নিজেরাই ‘একশ’।
M M Shahin, Chairman Board of Editors, Thikana

Corporate Headquarter :

THIKANA : 7409 37th Ave suite 403

Jackson Heights, NY 11372

Phone : 718-472-0700/2428, 718-729-6000
Fax: + 1(866) 805-8806



Bangladesh Bureau : THIKANA : 70/B, Green Road, (Panthapath),
5th Floor, Dhaka- 1205, Bangladesh.
Mobile: +880  1338-950041