গভীর শ্রদ্ধায় ভাষা শহীদদের স্মরণ

প্রকাশ : ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২২:৪৫ , অনলাইন ভার্সন
 
যথাযোগ্য মর্যাদায় নিউইয়র্কসহ যুক্তরাষ্ট্রে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে। ২১ ফেব্রুয়ারি দিবসটি উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন স্থানে সমি¥লিতভাবে বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে নির্মিত অস্থায়ী শহীদ মিনারে একুশের প্রথম প্রহরে প্রবাসীরা শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন। এছাড়া ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাস, নিউইয়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন  এবং নিউইয়র্ক কনস্যুলেটসহ বিভিন্ন রাজ্যে দিবসটি পালিত হয়েছে।  
জাতিসংঘ শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা (ইউনেস্কো) ১৯৯৯ সালে মহান ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিবাহী ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসাবে স্বীকৃতি দেয়। 
একুশের অনুষ্ঠানে নানা আয়োজেনে প্রবাসে ৫২’র ভাষা আন্দোলন, মহান মুক্তিযুদ্ধ আর প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ ফুটে উঠে। অনুষ্ঠানগুলোতে সবার মুখে মুখে উঠে আসে ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’ অমর গানটি।
জাতিসংঘ বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন : নিউইয়র্কে জাতিসংঘ বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের রজতজয়ন্তী পালিত হয়েছে। গত ২১ ফেব্রুয়ারি আয়োজিত উক্ত অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, কূটনীতিক এবং জাতিসংঘ সচিবালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। জাতিসংঘের গ্লোবাল কমিউনিকেশনসের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল মেলিসা ফ্লেমিং অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত সালাহউদ্দিন নোমান চৌধুরী তার স্বাগত বক্তব্যে ১৯৫২ সালে বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠার জন্য জীবন উৎসর্গ করা ভাষা শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি বহুভাষিকতাকে টেকসই সামাজিক উন্নয়নের সঙ্গে সংযুক্ত করার জন্য ইউনেস্কোর উদ্যোগের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
জাতিসংঘের গ্লোবাল কমিউনিকেশনসের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল মেলিসা ফ্লেমিং এবং অন্যান্য বক্তারা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ঘোষণায় বাংলাদেশের নেতৃত্বের ভূমিকাকে আন্তরিকভাবে প্রশংসা করেন। 
তাঁরা মাতৃভাষাভিত্তিক বহুভাষিক শিক্ষার গুরুত্বকে স্বীকৃতি দেন, যা ক্রমাগত শিক্ষার ভিত্তি এবং উন্নয়নের জন্য অপরিহার্য।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন- এনজিও কমিটি অন ল্যাঙ্গুয়েজ অ্যান্ড ল্যাঙ্গুয়েজেসের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফ্রান্সিস এম হাল্ট, ইউনেস্কোর প্রতিনিধি লিলি গ্রে এবং জাতিসংঘের বহুভাষিকতা সমন্বয়কারীর প্রতিনিধি অ্যান লাফেবার।
এর আগে সকালে, বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে মিশন প্রাঙ্গণে ভাষা শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করে। এ সময় প্রধান উপদেষ্টা এবং পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টার বাণী মিশনের কর্মকর্তারা পাঠ করেন।
নিউইয়র্ক বাংলাদেশ কনস্যুলেট : নিউইয়র্কের বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল যথাযথ মর্যাদায় ২১ ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন করেছে।  এদিন বাংলাদেশ কনস্যুলেটে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়। 
বীর মুক্তিযোদ্ধা, স্টেট ডিপার্টমেন্ট, বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধি ও বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।  
দিবসটি উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টা ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টার বাণী পাঠ করা হয়। অনুষ্ঠানে ৫২’র ভাষা শহিদ, ৭১ ও ২০২৪ এর জুলাই-আগস্টের সকল শহীদের স্মরণে ও সম্মানে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এবং দেশের অব্যাহত শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।  
এ সময় কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ নাজমুল হুদা মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২৫ এর ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট ও তাৎপর্য তুলে ধরে বলেন, মূলত ৫২’র ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়েই স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের ভিত্তি প্রোথিত হয় যা পূর্ণতা পায় মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে। তিনি ৫২’র মহান ভাষা শহীদ সালাম, রফিক, জব্বার, বরকত, শফিউরসহ সকল ভাষা শহীদ, ৭১-এর স্বাধীনতা যুদ্ধে সব শহীদ, শহীদ বুদ্ধিজীবী এবং শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ২০২৪ এর জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে সব শহীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
তিনি বলেন, ভাষা একটি একান্ত মানবিক বিষয়, যা মানুষের অস্তিত্বের প্রায় সমার্থক। এটি সর্বজনীনভাবে স্বীকৃত যে, একজন ব্যক্তির বোধগত, বুদ্ধিবৃত্তিক, মানসিক, সাংস্কৃতিক এবং সামাজিক দক্ষতার সঠিক পুষ্টি তার মাতৃভাষার মাধ্যমে বিকশিত হয়। তাই নিজের মাতৃভাষা লেখা ও ব্যবহার করার অধিকার প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য অপরিহার্য। ২১ ফেব্রুয়ারি এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের মূল চেতনা হলো- পৃথিবীর সব ভাষা ও সংস্কৃতির নিজস্বতা রক্ষার অধিকার প্রতিষ্ঠা করা বলে তিনি মন্তব্য করেন।
কনসাল জেনারেল আরো বলেন, ২০২৪ সাল বাংলাদেশের ইতিহাসে এক গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায় সংযোজন করেছে। ২০২৪ সালের ফ্যসিবাদ বিরোধী ও বৈষম্য বিরোধী গণ-অভ্যুথান বাংলাদেশের রাষ্ট্রব্যবস্থা মেরামত তথা সংস্কারের এক অনন্য সুযোগ সৃষ্টি করেছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যে সংস্কার কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন, তা বাস্তবায়নের জন্য তিনি সবার ঐকান্তিক সহযোগিতা কামনা করেন। বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত প্রবাসী ভাই-বোনদের অধিকতর অবদান রাখার জন্য তিনি আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রবাসী বাঙালি কমিউনিটির পরিচিত মুখ ও অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ। তাদের মধ্যে অন্যতম আমেরিকা বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের চেয়ারম্যান ও মূলধারার রাজনীতিক গিয়াস আহমেদ, মূলধারার রাজনীতিক ও যুক্তরাষ্ট্রে ইন্টারন্যাশনাল বার অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরী, ডা. খন্দকার মাসুদুর রহমান, জ্যাকব মিল্টন প্রমুখ। 
গিয়াস আহমেদ বলেন, ১৯৫২’র ভাষা আন্দোলনে শহীদদের আত্মত্যাগ আমাদের মনে রাখতে হবে। দেশের সংস্কৃতি ও ভাষা বিদেশের মাটিতে পরিচয় করিয়ে দিতে প্রবাসী হিসেবে আমাদেরও করণীয় রয়েছে। এছাড়া নতুন বাংলাদেশ গঠনে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে দ্রুত সংস্কারে শেষে অন্তর্বর্তী সরকারকে নির্বাচনের তাগিদ দেন তিনি।
অনুষ্ঠানে ইকোনোমিস্টস কান্ট্রি অব দ্য ইয়ার ২০২৪ ও জুলাই অনির্বাণ নামে দুটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এছাড়া সাংস্কৃতিক পর্বে নৃত্য পরিবেশন, কবিতা আবৃত্তি ও সঙ্গীত পরিবেশনের আয়োজন করা হয়। দেশাত্মবোধক গানে নৃত্য পরিবেশন করেন শিশু শিল্পী লিয়ানা। 
সবশেষে সংগীত পরিবেশন করেন জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত সংগীতশিল্পী লিনি সাবরিন এবং তার সঙ্গে বাজিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বাংলাদেশী জনপ্রিয় মিউজিয়ান রিদ, আকাশ ও সৌরভ। তাদের সুরের মূর্ছনায় এবং অসাধারণ সংগীত পরিবেশনায় পুরো আয়োজনটিকে পরিপূর্ণতা দেয়! 
এর আগে কনসাল জেনারেল মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে সম্মিলিত বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন কর্তৃক আয়োজিত অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন করেন এবং বাংলাদেশ সোসাইটি কর্তৃক আয়োজিত অনুষ্ঠানে একুশের প্রথম প্রহরে অস্থায়ী শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। 

মুক্তধারা ফাউন্ডেশন ও বাঙালীর চেতনা মঞ্চ : প্রতিবছরের মতো এবারও মহান একুশে ফেব্রুয়ারি যথাযোগ্য মর্যাদায় ‘শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ পালনের লক্ষ্যে মুক্তধারা ফাউন্ডেশন ও বাঙালীর চেতনা মঞ্চ আয়োজিত জাতিসংঘের সদর দফতরের সামনে অস্থায়ী শহীদ মিনার স্থাপন করে ২১ উদযাপনের ৩৪ বছর পূর্তি করে। একুশের প্রথম প্রহর রাত ১২:০১ মিনিট
বাংলাদেশের সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে ২০ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার নিউইয়র্ক সময় দুপুর ১টা ১ মিনিটে শহীদ বেদীতে সর্বকনিষ্ঠ শিশু ভাষা সাহা প্রথম ৫২’র ভাষা শহীদদের প্রতি পুষ্পার্ঘ ও শ্রদ্ধা নিবেদন করে। এরপর একে একে উপস্থিত প্রবাসী বাংলাদেশিরা শহীদ বেদীতে ফুল অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান। এখানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের সিইও বিশ্বজিত সাহা। এছাড়াও বিশিষ্ট অর্থনীতিবীদ ড. নজরুল ইসলাম, বাঙালীর চেতনা মঞ্চ’র সভাপতি আব্দুর রহিম বাদশা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারী, আমি কি ভুলিতে পারি’ গানটি সমবেত কন্ঠে পরিবেশন করা হয়। জাতিসংঘের অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, এবারই প্রথম জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও নিউইয়র্কের কন্সাল জেনারেল এই অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত ছিলেন।
নিউইয়র্কে ‘মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ’র  অনুষ্ঠানে বক্তারা, চলন্ত বাসে এবং লোকালয়ে নারী ধর্ষন, ডাকাতি, খুনসহ দেশব্যাপী আইনশৃংখলা ও মানবাধিকার পরিস্থিতির চরম অবনতি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ : মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় জ্যাকসন হাইটসের জুইস সেন্টারে ‘একুশের চেতনা ও আজকের বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা, শ্রদ্ধাঞ্জলি, কবিতা আবৃত্তি ও গণসঙ্গীতের আয়োজন করা হয়। এ ছাড়াও ‘একুশের চেতনা পরিষদ’ থেকে বাংলাভাষা  সংগ্রামের ইতিহাস-ঐতিহ্যকে ধারণ করা তথ্যচিত্র প্রদর্শনের আয়োজন করা হয়।
বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে গঠিত ‘মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ’-এর ব্যানারে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন একুশে পদকপ্রাপ্ত স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কন্ঠযোদ্ধা রথীন্দ্রনাথ রায়। প্রধান আলোচক ছিলেন প্রবীণ সাংবাদিক সৈয়দ মোহাম্মদ উল্লাহ।
আলোচনা অংশ নেন প্রাবন্ধিক ও মুক্তিযোদ্ধা সুব্রত বিশ্বাস, ঠিকানার প্রধান সম্পাদক মুহম্মদ ফজলুর রহমান, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের উত্তর আমেরিকা প্রতিনিধি মিথুন আহম্মদ, উদীচী যুক্তরাষ্ট্র শাখার সাধারণ সম্পাদক কল্লোল দাশ, সংস্কৃতিকর্মী মিনহাজ আহম্মেদ শাম্মু প্রমুখ।
আয়োজক সংগঠনের পক্ষে বক্তব্য দেন সনজীবন কুমার,জাকির হোসেন বাচ্চু ও আলীম উদ্দিন। আয়োজক সংগঠনের অন্যতম সদস্য মুজাহিদ আনসারী সূচনা বক্তব্য রাখেন এবং অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ড.ওবায়দুল্লাহ মামুন।
আবৃত্তি করেন বাচিকশিল্পী গোপন সাহা ও ক্লারা রোজারিও। উদীচী যুক্তরাষ্ট্র শাখা ও রেজা রহমান, মিলন কুমার রায় ও মুক্তি সরকার গণসঙ্গীত পরিবেশন করেন। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন হিরো চৌধুরী।

উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী জ্যামাইকা শাখা : গত ২২ ফেব্রুয়ারি শনিবার নিউইয়র্কের জ্যামাইকায় একটি রেস্টুরেন্টে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী জ্যামাইকা শাখার আয়োজনে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করা হয়। এর আগে উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী জ্যামাইকা‘র নতুন কমিটির প্রথম কার্যকরী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে কিছু গুরত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী জ্যামাইকা শাখার সভাপতি আশীষ রায়ের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক হীরো চৌধুরী স্বাগত বক্তব্য রাখেন।
সহ-সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার মোদকের সঞ্চালনায় একুশে ফেব্রুয়ারি, মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, লেখক ও একুশে চেতনা পরিষদের আহ্বায়ক ওবায়েদুল্লাহ মামুন, উদীচী যুক্তরাষ্ট্র সংসদের সভাপতি ক্লারা রোজারিও, সাধারণ সম্পাদক কল্লোল দাশ।
অল কাউন্টি হেলথকেয়ার : জ্যামাইকার অল কাউন্টি অডিটোরিয়ামে অল কাউন্টি হেলথকেয়ার গ্রুপের উদ্যোগে আয়োজিত একুশের অনুষ্ঠানে প্রবাসী বাংলাদেশিরা অংশ নেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। এরপর আয়োজিত আলোচনা সভায় ভাষা আন্দোলনের গুরুত্ব ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বাংলা ভাষার সঙ্গে সম্পৃক্ত রাখার উপায় নিয়ে আলোচনা করেন বাংলাদেশি কমিউনিটির বিশিষ্টজনেরা।
অল কাউন্টি হেলথকেয়ার গ্রুপের সিইও আব্দুল কাদের শিশির বলেন, বাংলাদেশি কমিউনিটির ঐতিহ্য ও সুনাম ধরে রাখতে এ ধরনের আয়োজন আরো বাড়ানো হবে।
আয়োজনে দুই শতাধিক বাংলাদেশি প্রবাসী উপস্থিত ছিলেন, যার মধ্যে অর্ধশত শিশু-কিশোরও ছিলো। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আমেরিকান-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট গিয়াস আহমেদ, ওয়ার্ল্ড হিউম্যান রাইটস ডেভেলপমেন্ট ইউএসএ ইনকের সভাপতি শাহ শহীদুল হক, জ্যামাইকা বাংলাদেশ ফ্রেন্ডস সোসাইটির চিফ অ্যাডভাইজার ওসমান গণি, রিলায়েবল হোম কেয়ারের পরিচালক জে. মোল্লা সানী, রিলায়েবল হোম কেয়ারের সিইও এনায়েত মুন্সী, বিয়ন্ড হোম কেয়ারের সিইও আলিম হোসেন, টাইম টিভির সিইও আবু তাহের প্রমুখ। 
আলোচনা সভা শেষে শিশু-কিশোরদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কৃত করা হয়। প্রথম পুরস্কার বিজয়ীকে এক হাজার ডলারের গিফট ভাউচার, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কার বিজয়ীদের যথাক্রমে ৫০০ ও ৩০০ ডলার প্রদান করা হয়। এছাড়া আরো সাতজনকে সৌজন্য পুরস্কার দেয়া হয়।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে দেশাত্মবোধক সংগীত পরিবেশন করেন সিটিসেল-চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ড বিজয়ী নাজু আখন্দ।
বাংলাদেশি প্রবাসীরা এ ধরনের আরো আয়োজনের আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘এটি নতুন প্রজন্মকে মাতৃভাষার প্রতি আগ্রহী করতে সহায়তা করবে।’
অনুষ্ঠানের আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার ও সদস্যসচিব জাহাঙ্গীর আলম জয় সবাইকে ধন্যবাদ জানান। 

যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি  : আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বিএনপি যুক্তরাষ্ট্র শাখা এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ মহান ভাষা আন্দোলনের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। নিউইয়র্কের কুইন্স প্যালেসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন ইউএসএ ইনকের উদ্যোগে সম্মিলিত মহান একুশে উদযাপন অনুষ্ঠানে এ শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মুজিবুর রহমান মজুমদারের নেতৃত্বে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। এ সময় যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। 
যুক্তরাষ্ট্র জাপা : ৫২’র ভাষা আন্দোলনের শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাতে বাংলাদেশ সোসাইটি কর্তৃক অস্থায়ী শহীদ মিনারে এবং জ‍্যাকসন হাইটসে ডাইভারসিটি প্লাজায় জাতীয় পার্টি যুক্তরাষ্ট্র শাখার সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সদস্য মোহাম্মদ এ বার ভূঁইয়া এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় সদস্য আলতাফ হোসেনসহ বিপুলসংখ্যক নেতা ও কর্মীদের নিয়ে ২১ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার প্রথম প্রহরে শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। 
জাতীয় পার্টি যুক্তরাষ্ট শাখার সভাপতি ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা তোফায়েল চৌধুরী, উপদেষ্টা ওসমান গণি, সহ-সভাপতি সাব্বির লষ্কর, কৃষিবিষয়ক সম্পাদক এ এন এস রুবেল, দপ্তর সম্পাদক শক্তি দাসগুপ্তা, কোষাধ্যক্ষ আবুল কাশেম চৌধুরীসহ বিপুলসংখ্যক কর্মী ও সমর্থকবৃন্দ। 

জ্যাকসন হাইটসে সম্মিলিত একুশ উদযাপন : ঢাকা জেলা অ্যাসোসিয়েশন ইউএসএ ইন্ক-এর সভাপতি দুলাল বেহেদু ও কার্যকরি পরিষদের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এবং জেবিবিএ এবং জ্যাকসন হাইটস সম্মিলিত একুশ উদ্যাপন পরিষদের উদ্যোগে মহান একুশে উদযাপন করা হয়েছে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে। জ্যাকসন হাইটসের ডাইভারসিটি প্লাজায় ভাষা শহীদের স্মরণে অস্থায়ী শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছেন বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও আঞ্চলিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। প্রচন্ড শীত ও তুষারপাতের মধ্যেই ভাষা শহীদদের আত্মার প্রতি সম্মান জানাতে উপস্থিত হয়েছিলেন প্রবাসীরা।
এ আয়োজনে সহায়তাকারী ঢাকা জেলা এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট দুলাল বেহেদু ও জ্যাকসন হাইটস বাংলাদেশ ক্লাব’র রোমিও রহমান আগত সকলকে এ আয়োজনে উপস্থিত থাকার জন্য ধন্যবাদ জানান।
এ আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন বিশিষ্ট রাজনিতিবিদ ও জেবিবিএ’র প্রেসিডেন্ট গিয়াস আহমেদ। অন্যান্যদের মধ্যে বিভিন্ন সংগঠনের মাঝে অন্যতম ছিল ঢাকা জেলা এসোসিয়েশন ইউএসএ ও দোহার উপজেলা সমিতি। রাত ১২:০১ মিটিটে শহীদ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের সময় সকলের কণ্ঠে ছিল ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’।
জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন অব আমেরিকা : নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন করেছে জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন অব আমেরিকা ইন্ক। গত ২০ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার ‘জালালাবাদ ভবন’ অনুষ্ঠিত একুশের অুনষ্ঠানে ভাষা শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এছাড়াও ছিল চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। 
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি মইনুল ইসলাম। কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন সাধারণ সম্পাদক আতাউল গণি আসাদ।
ালোচনা সভায় বক্তারা মায়ের ভাষা বাংলার জন্য আত্মদানকারী শহীদদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ ও আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন। সেই সাথে প্রবাসে বাংলাদেশি নতুন প্রজন্মের কাছে সঠিকভাবে বাংলা ভাষা চর্চার ওপর গুরুত্বারোপ এবং জালালাবাদ ভবনে সাপ্তাহিক বাংলা স্কুল/ইনস্টিটিউট করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। 
অনুষ্ঠানে সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সিলেট অঞ্চলের বিভিন্ন থানা ও উপজেলা সংগঠনের নেতাকর্মীরা। সম্মিলিত একুশ উদযাপন কমিটি ২০২৫’র আহ্বায়কের দায়িত্বে ছিলেন শাহীন কামালী, সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করেছেন কামরুল হোসেন এবং প্রধান সমন্নয়কারী ছিলেন মোহাম্মেদ খলিলুর রহমান। 
অনুষ্ঠান সহযোগিতায় ছিলেন- মোহাম্মদ মনির উদ্দিন, মিজানুর রহমান চৌধুরী, মোহাম্মদ এ খায়ের, হেলিম উদ্দিন, ময়নু জ্জামান চৌধুরী, আব্দুল চৌধুরী, মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম, মোহাম্মদ খলিলুর রহমান, লায়েছ আহমেদ, কামরুল হোসেন, আব্দুর রহিম কাদের, অধ্যক্ষ সিহাব উদ্দিন আহমেদ, তাসমিয়া চৌধুরী, জয়নাল উদ্দিন রায়েক, মোহাম্মদ বেলাল চৌধুরী, বদরুল উদ্দিন, মোহাম্মদ শাহীন কামালী, সৈয়দ এল মিয়া, জালাল হোসেন, দেওয়ান মোতাচ্ছির, মোহাম্মদ মাসুক উদ্দিন, সৈয়দ এল মিয়া, জামাল হোসিন, দেওয়ান মোতাচ্ছির, মোহাম্মদ মাসুক মিয়া ও মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন প্রমুখ। 
চট্টগ্রাম সমিতি : যথাযোগ্য মর্যাদায় চট্টগ্রাম অ্যাসোসিয়েশন অব নর্থ আমেরিকা ইনকের উদ্যোগে পালিত হয়েছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও মহান শহীদ দিবস। রাত ১২টা এক মিনিটে বাংলাদেশ সোসাইটির আয়োজনে বিপুলসংখ্যক চট্টগ্রামবাসী অস্থায়ী শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। উডসাইডের একটি কনভেনশন সেন্টারে অস্থায়ীভাবে নির্মিত শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন চট্টগ্রাম সমিতির নেতৃবৃন্দসহ প্রবাসে অবস্থানরত চট্টগ্রামের সর্বস্তরের মানুষ ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’- এই কালজয়ী গানের সুরে সুরে গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করা হয় ৫২ ভাষা আন্দোলনের শহীদদের। তাদের গভীর আত্মত্যাগকে স্মরণ করা হয় এবং বাংলা ভাষাকে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। বিশেষ করে প্রবাসে গড়ে উঠা নুতন প্রজন্ম যাতে কোনভাবেই তাঁদের মাতৃভাষার চর্চা থেকে দূরে সরে না যায় সেই বিষয়ে সচেতনতা গড়ে তুলতে সকলকে ব্রতী হওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আবু তাহের, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম, অফিস সম্পাদক অজয় বড়ুয়া, সাংস্কৃতিক সম্পাদক এনাম চৌধুরী, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফ চৌধুরী, বিশিষ্ট ব‍্যাংকার ফজলুল কাদের, বিশিষ্ট ব‍্যাংকার ওসমান গণি চৌধুরী, সংগঠক কামাল হোসেন মিঠু, সাবেক সহ-সভাপতি শাহাবুদ্দিন চৌধুরী লিটন, সাবেক কোষাধক্ষ মতিউর চৌধুরী, মাস্টার মোহাম্মদ কলিমুল্লাহ, তানিম মহসীন, ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট আবদুল হামিদ, ফরিদ আহমেদ, পল্লব রায়, মো. তারেকসহ আরো অনেকে।
নরসিংদী জেলা সমিতি : নিউইয়র্কের কুইন্স প‍্যালেসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসেসিয়েশনের সম্মিলিত একুশ উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রভাতফেরিতে অংশ নেন এবং অস্থায়ী শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন নরসিংদী জেলা সমিতির নেতৃবৃন্দ। 
নরসিংদী জেলা সমিতির সভাপতি শামীম গফুর ও সাধারণ সম্পাদক আহসানুল হক বাবুলের নেতৃত্বে বিপুলসংখ্যক প্রবাসী নরসিংদীবাসী ৫২’র ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন। একুশের প্রথম প্রহরে ১২টা ০১ মিনিটে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
এসময় আরো উপস্থিত ছিল নরসিংদী জেলা সমিতির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন, নরসিংদী সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান কবীর আহমেদ, সহ-সভাপতি ফিরোজ আহমেদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জে মোল্লা সানী, জিয়াউর রহমান, সুমন খন্দকার, কাইউম, মতিউর রহমান, সাইফুর রহমান সাইফুল, মোরাদ, সজল, ইয়াসীন, জেসমিন আনোয়ার, রিমিসহ অর্ধশতাধিক নরসিংদীবাসী। 
প্রচণ্ড শৈত‍্যপ্রবাহ উপেক্ষা করে শহীদ মিনারে উপস্থিত হওয়ায় নরসিংদী জেলা সমিতির সভাপতি শামীম গফুর উপস্থিত সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
জাতীয় সম্মিলিত ফোরাম : বাংলাদেশে একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে জাতিসংঘের সামনে এবং বাংলাদেশ সোসাইটির সাথে এই দিবস পালন করে জাতীয় সম্মিলিত ফোরাম। সংগঠনের পক্ষ থেকে হাজী আনোয়ার হোসেন লিটনের নেতৃত্বে অন্যান্য নেতাকর্মীরা  শ্রদ্ধা জানান।
ব্রঙ্কসে গোল্ডেন প্যালেসে বাংলাদেশি কমিউনিটির উদ্যোগে গত ২০ ও ২১ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের মহান একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন করা হয়। 
আটলান্টিক সিটি সার্বজনীন একুশ উদযাপন পরিষদ : অমর একুশে ফেব্রুয়ারি ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে একুশের প্রথম প্রহরে এবসিকন শহরের ৫৩০ পূর্ব এবসিকন বুলেভার্ডে অবস্থিত ট্রাভেল লজ এ অস্থায়ী শহীদ মিনারের বেদিতে বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। একুশের অনুষ্ঠানমালার বিভিন্ন আয়োজনের মধ্যে ছিল মহান একুশের তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা, একুশের কবিতা পাঠ, দেশের ও একুশের গান পরিবেশন ও শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা।
একুশের প্রথম প্রহরে সার্বজনীন একুশ উদযাপন পরিষদসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে অস্থায়ী শহীদ মিনারের বেদিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়। সাবেক কাউন্সিলম‍্যান মোমিনুল হক মামুনও পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথ জার্সি, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব আটলান্টিক কাউন্টি ও বেঙ্গল ক্লাব আটলান্টিক সিটি যৌথভাবে ‘সার্বজনীন অমর একুশে উদযাপন’ উপলক্ষে বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করে। এ উপলক্ষে মিরাজ খানকে আহ্বায়ক, মো. মনিরুজামান ও ফরহাদ সিদ্দিককে সদস‍্য সচিব করে ‘অমর একুশে ফেব্রুয়ারি উদযাপন’ কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কাজী আরিফ লিখন ও কাজল বাড়ৈ সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।
অনুষ্ঠানে কবিতা আবৃত্তি করেন সুব্রত চৌধুরী, সংগীত পরিবেশন করেন জয়ন্ত সিনহা, আসিফ আনোয়ার, রুকু জামান প্রমুখ।
একুশের অনুষ্ঠানে প্রবাসে বেড়ে ওঠা প্রজন্মের অংশগ্রহণ ছিল লক্ষ‍্যণীয়। তীব্র শীত উপেক্ষা করে বিপুল সংখ্যক প্রবাসী একুশের অনুষ্ঠানমালায় অংশগ্রহণ করেন।
M M Shahin, Chairman Board of Editors, Thikana

Corporate Headquarter :

THIKANA : 7409 37th Ave suite 403

Jackson Heights, NY 11372

Phone : 718-472-0700/2428, 718-729-6000
Fax: + 1(866) 805-8806



Bangladesh Bureau : THIKANA : 70/B, Green Road, (Panthapath),
5th Floor, Dhaka- 1205, Bangladesh.
Mobile: 01711238078