গভর্নর জোশ গ্রিন দাবানলকে হাওয়াই রাজ্যের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগ বলে অভিহিত করেছেন। পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে ওঠায় ইতোমধ্যে ১৪ হাজার পর্যটকসহ অনেক মানুষ এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। এর মধ্যে কিছু মানুষ আগুনের শিখা ও শ্বাসরুদ্ধকর ধোঁয়ার কবল থেকে বাঁচতে সাগরেও ঝাঁপ দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
ভয়াবহ দাবানলে পুড়ছে ছাই হাওয়াইয়ে। ছবি: বিবিসি থেকে নেওয়া
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দাবানলে লাহাইনা, এর সমুদ্রবন্দর এবং আশপাশের এলাকাগুলোর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। দ্বীপটির পশ্চিমাংশ অন্য অংশ থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে; মাত্র একটি মহাসড়ক এখনও খোলা আছে। লাহাইনার বহু এলাকা পুড়ে মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। অ্যালান ব্যারিওস নামের এক ব্যক্তি বলেন, শহরটি যেন যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। ডানে-বাঁয়ে শুধু বিস্ফোরণের শব্দ।
ভয়াবহ দাবানলে পুড়ছে ছাই হাওয়াইয়ে
দ্বীপটির অধিকাংশ হোটেল-মোটেল-রিসোর্ট এই শহরটিতে অবস্থিত। হাওয়াইয়ের দুর্যোগ মোকাবিলা দপ্তর ও স্থানীয় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, দাবানলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে লাহাইনা।
ভয়াবহ দাবানলে পুড়ছে ছাই হাওয়াইয়ে। ছবি: বিবিসি থেকে নেওয়া
প্রশান্ত মহাসাগরে সৃষ্ট হারিকেনের (ঘূর্ণিঝড়) বাতাসের কারণে ইতিহাসে সবচেয়ে বড় দাবানলের কবলে পড়েছে রাজ্যটির মাউইয়ের লাহাইনা শহর। হারিকেনের বাতাসে অল্প সময়ের মধ্যে অনেক এলাকায় ছড়িয়ে পড়ছে আগুন। যা এখন চলে গেছে নিয়ন্ত্রণের বাইরে। সেখানকার হাসপাতালগুলো আগুনে পোড়া দগ্ধ রোগীতে পূর্ণ হয়ে গেছে। এ ছাড়া নিঃশ্বাসের মাধ্যমে শরীরে ধোঁয়া প্রবেশ করায় অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। সিনেটর ব্রায়ান স্ক্যাজ বলেন, দমকলকর্মীরা এখনও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছেন।
ভয়াবহ দাবানলে পুড়ছে ছাই হাওয়াইয়ে। ছবি: বিবিসি থেকে নেওয়া
এদিকে দাবানলের কারণে সেখানকার প্রায় সব বাসিন্দা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন। এ ছাড়া সেখানকার মোবাইল নেটওয়ার্ক ব্যবস্থাও ভেঙে পড়েছে। তাই কেউ কারও খোঁজ নিতে পারছেন না।
ঠিকানা/এসআর