
‘গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন, সংবিধান, বিচার বিভাগ, পুলিশ, জনপ্রশাসনসহ বিভিন্ন খাতে সংস্কার জরুরি। তাই সংস্কারের ওপর সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে’
-শফিকুল আলম, সিনিয়র প্রেস সচিব, প্রধান উপদেষ্টা
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর ৮ আগস্ট দায়িত্ব নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই নানা চড়াই-উতরাইয়ের মধ্য দিয়েই যেতে হচ্ছে ড. মুহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন সরকারকে। এর মধ্যে বিভিন্ন ইস্যুতে নানা চ্যালেঞ্জও মোকাবিলা করতে হয়েছে সরকারকে। দায়িত্ব নেওয়ার সাড়ে ছয় মাস পেরিয়ে গেলেও নানা ইস্যুতেই অস্বস্তিতে রয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে অনেকটা বেকায়দায় রয়েছে সরকার, এজন্য খুঁজছে সমাধানের পথ। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে হিমশিম অবস্থায় পড়ায় তা নিয়েও রয়েছে নানা চাপ। বর্তমানে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে অনেকটা চিন্তাতেও পড়েছে সরকার। এজন্য বড় সাতটি ইস্যুতে মনোযোগ বাড়িয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে সংস্কার, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, বাস্তবমুখী বাজেট প্রণয়ন, গুম-খুনে জড়িত ও লুটপাট করে অর্থ পাচারকারীদের বিচার করা, প্রতিবেশী ভারতসহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে সম্পর্কোন্নয়ন করা এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্পন্ন করাসহ বিভিন্ন বিষয়েই গভীর মনোযোগ দিতে চায় সরকার। এজন্য নেওয়া হচ্ছে নানা কর্মপরিকল্পনাও।
জানা গেছে, দায়িত্ব নেওয়ার পরই অন্তর্বর্তী সরকার ছয়টি কমিশন গঠন করে। নির্বাচন কমিশন, সংবিধান, বিচার বিভাগ, পুলিশ, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এবং জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন। এসব কমিশন সংস্কারের বিস্তারিত সুপারিশ জানিয়ে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে । রাজস্ব, গণমাধ্যমসহ অন্যান্য খাতের সংস্কারেও মতামত নেওয়া হয়েছে। এসব নিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদনও তৈরি করা হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ২৪টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন থেকে কবে কোন সংস্কার করা হবে তা নিয়ে কথা বলে। এসব নিয়ে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে আরও বৈঠক করা হবে।
এদিকে নিত্যপণ্যের বাজার স্বাভাবিক রাখতে ডিসেম্বরের শুরুতে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা দিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়ে তা বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়েছে সরকার। এরই জবাবে চলতি মাসের শুরুতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে পাঠানো প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিগত সরকারের সুবিধাভোগী চার থেকে পাঁচ বড় মাপের ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণে ছিল নিত্যপণ্যের বাজার। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোজায় চাহিদা বাড়ে এমন সব পণ্য আমদানিতে শুল্ক ছাড়, এলসি বা ঋণপত্র খোলায় অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। নতুন আমদানিকারকরাও যোগ হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানি করা পণ্যের ৮০ শতাংশ আসে। গত বছর জানুয়ারিতে ২১৪টি প্রতিষ্ঠান রোজার পণ্য আমদানি করেছিল। এবার আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩৬৫। আমদানি করা পণ্যের পরিমাণও বেড়েছে।
এছাড়াও, এদিকে অন্তর্বর্তী সরকার প্রথম বাজেট প্রণয়নের কাজ শুরু করেছে। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে এবার বাজেট ইস্যুতে তৃণমূলের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছ থেকে মতামত সংগ্রহে গুরুত্ব দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর আগে প্রতিবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) প্রাক-বাজেট আলোচনা রাজধানীতে শুরু হলেও এবারে অতীতের রেকর্ড ভেঙে গত বৃহস্পতিবার প্রথম খুলনায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। এদিকে বিগত সরকারের আমলে যেসব গুম-খুন হয়েছে তার বিচার করতে চলতি মাসে সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। দ্রুত সময়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে বিচারিক প্রক্রিয়া তরান্বিত করার কাজও শুরু করেছে সরকার। এ বিষয়ে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, বিগত সরকারের আমলে সংঘটিত ঘুম-খুনের বিচারে বর্তমান সরকার মনোযোগী। শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের বিচার সরকারের এই মেয়াদেই হবে। এর জন্য যা যা আইনি পদক্ষেপ নেওয়া দরকার তা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে বর্তমান সরকার আন্তর্জাতিক সম্পর্কোন্নয়নে আরও গতি বাড়িয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন দেশে বিগত সরকারের দোসররা আত্মগোপনে আছে। এসব ব্যক্তি দেশ থেকে অর্থ পাচার করে ওই সব দেশে সম্পদ করেছে। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক উন্নয়নের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট দেশ থেকে আত্মগোপনে থাকা ব্যক্তিদের দেশে ফিরিয়ে আনতে ও পাচার করা অর্থ-সম্পদ উদ্ধারের লক্ষ্যে সরকার তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।
জানতে চাইলে উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেন, দেশের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উত্তপ্ত করতে বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালানো হয়েছিল বিভিন্ন মাজার, ধর্মীয় আস্তানা ভেঙে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল। সরকার কঠোরভাবে তা নিয়ন্ত্রণ করেছে। দেশের মধ্যে কোনো ধরনের সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে দেওয়া হবে না।
প্রধান উপদেষ্টার সিনিয়র প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনায় বসে সংস্কার নিয়ে কাজ শুরু করেছে। গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন, সংবিধান, বিচার বিভাগ, পুলিশ, জনপ্রশাসনসহ বিভিন্ন খাতে সংস্কার জরুরি। তাই সংস্কারের ওপর সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। বিগত সরকারের দোসরদের লুটের অর্থ ও লুটের অর্থে কেনা সম্পদ বিক্রি করে উদ্ধার করতেও জোরেশোরে কাজ চলছে।
-শফিকুল আলম, সিনিয়র প্রেস সচিব, প্রধান উপদেষ্টা
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর ৮ আগস্ট দায়িত্ব নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই নানা চড়াই-উতরাইয়ের মধ্য দিয়েই যেতে হচ্ছে ড. মুহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন সরকারকে। এর মধ্যে বিভিন্ন ইস্যুতে নানা চ্যালেঞ্জও মোকাবিলা করতে হয়েছে সরকারকে। দায়িত্ব নেওয়ার সাড়ে ছয় মাস পেরিয়ে গেলেও নানা ইস্যুতেই অস্বস্তিতে রয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে অনেকটা বেকায়দায় রয়েছে সরকার, এজন্য খুঁজছে সমাধানের পথ। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে হিমশিম অবস্থায় পড়ায় তা নিয়েও রয়েছে নানা চাপ। বর্তমানে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে অনেকটা চিন্তাতেও পড়েছে সরকার। এজন্য বড় সাতটি ইস্যুতে মনোযোগ বাড়িয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে সংস্কার, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, বাস্তবমুখী বাজেট প্রণয়ন, গুম-খুনে জড়িত ও লুটপাট করে অর্থ পাচারকারীদের বিচার করা, প্রতিবেশী ভারতসহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে সম্পর্কোন্নয়ন করা এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্পন্ন করাসহ বিভিন্ন বিষয়েই গভীর মনোযোগ দিতে চায় সরকার। এজন্য নেওয়া হচ্ছে নানা কর্মপরিকল্পনাও।
জানা গেছে, দায়িত্ব নেওয়ার পরই অন্তর্বর্তী সরকার ছয়টি কমিশন গঠন করে। নির্বাচন কমিশন, সংবিধান, বিচার বিভাগ, পুলিশ, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এবং জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন। এসব কমিশন সংস্কারের বিস্তারিত সুপারিশ জানিয়ে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে । রাজস্ব, গণমাধ্যমসহ অন্যান্য খাতের সংস্কারেও মতামত নেওয়া হয়েছে। এসব নিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদনও তৈরি করা হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ২৪টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন থেকে কবে কোন সংস্কার করা হবে তা নিয়ে কথা বলে। এসব নিয়ে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে আরও বৈঠক করা হবে।
এদিকে নিত্যপণ্যের বাজার স্বাভাবিক রাখতে ডিসেম্বরের শুরুতে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা দিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়ে তা বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়েছে সরকার। এরই জবাবে চলতি মাসের শুরুতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে পাঠানো প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিগত সরকারের সুবিধাভোগী চার থেকে পাঁচ বড় মাপের ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণে ছিল নিত্যপণ্যের বাজার। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোজায় চাহিদা বাড়ে এমন সব পণ্য আমদানিতে শুল্ক ছাড়, এলসি বা ঋণপত্র খোলায় অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। নতুন আমদানিকারকরাও যোগ হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানি করা পণ্যের ৮০ শতাংশ আসে। গত বছর জানুয়ারিতে ২১৪টি প্রতিষ্ঠান রোজার পণ্য আমদানি করেছিল। এবার আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩৬৫। আমদানি করা পণ্যের পরিমাণও বেড়েছে।
এছাড়াও, এদিকে অন্তর্বর্তী সরকার প্রথম বাজেট প্রণয়নের কাজ শুরু করেছে। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে এবার বাজেট ইস্যুতে তৃণমূলের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছ থেকে মতামত সংগ্রহে গুরুত্ব দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর আগে প্রতিবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) প্রাক-বাজেট আলোচনা রাজধানীতে শুরু হলেও এবারে অতীতের রেকর্ড ভেঙে গত বৃহস্পতিবার প্রথম খুলনায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। এদিকে বিগত সরকারের আমলে যেসব গুম-খুন হয়েছে তার বিচার করতে চলতি মাসে সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। দ্রুত সময়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে বিচারিক প্রক্রিয়া তরান্বিত করার কাজও শুরু করেছে সরকার। এ বিষয়ে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, বিগত সরকারের আমলে সংঘটিত ঘুম-খুনের বিচারে বর্তমান সরকার মনোযোগী। শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের বিচার সরকারের এই মেয়াদেই হবে। এর জন্য যা যা আইনি পদক্ষেপ নেওয়া দরকার তা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে বর্তমান সরকার আন্তর্জাতিক সম্পর্কোন্নয়নে আরও গতি বাড়িয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন দেশে বিগত সরকারের দোসররা আত্মগোপনে আছে। এসব ব্যক্তি দেশ থেকে অর্থ পাচার করে ওই সব দেশে সম্পদ করেছে। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক উন্নয়নের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট দেশ থেকে আত্মগোপনে থাকা ব্যক্তিদের দেশে ফিরিয়ে আনতে ও পাচার করা অর্থ-সম্পদ উদ্ধারের লক্ষ্যে সরকার তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।
জানতে চাইলে উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেন, দেশের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উত্তপ্ত করতে বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালানো হয়েছিল বিভিন্ন মাজার, ধর্মীয় আস্তানা ভেঙে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল। সরকার কঠোরভাবে তা নিয়ন্ত্রণ করেছে। দেশের মধ্যে কোনো ধরনের সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে দেওয়া হবে না।
প্রধান উপদেষ্টার সিনিয়র প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনায় বসে সংস্কার নিয়ে কাজ শুরু করেছে। গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন, সংবিধান, বিচার বিভাগ, পুলিশ, জনপ্রশাসনসহ বিভিন্ন খাতে সংস্কার জরুরি। তাই সংস্কারের ওপর সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। বিগত সরকারের দোসরদের লুটের অর্থ ও লুটের অর্থে কেনা সম্পদ বিক্রি করে উদ্ধার করতেও জোরেশোরে কাজ চলছে।