
মালয়েশিয়া যাওয়ার পথে অন্তত আরও ১৭ রোহিঙ্গা নৌকাডুবে প্রাণ হারিয়েছেন। ১০ আগস্ট বৃহস্পতিবার উদ্ধারকারী সংস্থা শ্বে ইয়াং মেটা ফাউন্ডেশন এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
রাখাইন রাজ্যের রাজধানী সিত্তওয়েভিত্তিক শ্বে ইয়াং মেটা ফাউন্ডেশনের উদ্ধারকর্মী বায়ার ল্যা এএফপিকে জানান, ৫০ জনের বেশি যাত্রী নিয়ে নৌকাটি মালয়েশিয়ার উদ্দেশে যাত্রা করে। ৬ আগস্ট রোববার রাতে উত্তাল সাগরে নৌকাটি ডুবে যায়। বুধবার পর্যন্ত তারা ১৭ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে। জীবিত উদ্ধার করেছে আটজন। বাকিরা এখনো নিখোঁজ। তাদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনী ও স্থানীয় বিভিন্ন গোষ্ঠীর জ্বালাও-পোড়াওয়ের মুখে ২০১৭ সালে প্রায় সাড়ে ৭ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। তাদের প্রায় সবাইকে উখিয়া-টেকনাফের শীর্ণ কুটিরে রাখা হয়েছে। হাতিয়ার ভাসানচরে পাঠানো হয়েছে অল্পসংখ্যক।
অন্যদিকে রাখাইনে এখনো কয়েক লাখ রোহিঙ্গা রয়েছেন। তাদের কঠোর নজরদারিতে থাকতে হয়। তাদের চলাফেরা অত্যন্ত সীমিত।
এ অবস্থায় কয়েক বছর ধরে আন্দামান সাগর ও বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়ে মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া যাওয়ার প্রবণতা রোহিঙ্গাদের মধ্যে বেড়েছে। ঠুনকো নৌকাতে করে বিপৎসংকুল সাগর পাড়ি দিয়ে এসব দেশে যাওয়ার পথে প্রায়ই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
গত জানুয়ারিতে প্রকাশিত জাতিসংঘের তথ্যমতে, ২০২২ সালে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার থেকে সাড়ে ৩ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা ৩৯টি নৌকায় করে মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া গেছেন, যা আগের বছরের তুলনায় ৭০০ জন বেশি। আন্দামান ও বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিতে গিয়ে গত বছর অন্তত ৩৪৮ জন রোহিঙ্গা প্রাণ হারিয়েছেন।
ঠিকানা/এনআই
রাখাইন রাজ্যের রাজধানী সিত্তওয়েভিত্তিক শ্বে ইয়াং মেটা ফাউন্ডেশনের উদ্ধারকর্মী বায়ার ল্যা এএফপিকে জানান, ৫০ জনের বেশি যাত্রী নিয়ে নৌকাটি মালয়েশিয়ার উদ্দেশে যাত্রা করে। ৬ আগস্ট রোববার রাতে উত্তাল সাগরে নৌকাটি ডুবে যায়। বুধবার পর্যন্ত তারা ১৭ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে। জীবিত উদ্ধার করেছে আটজন। বাকিরা এখনো নিখোঁজ। তাদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনী ও স্থানীয় বিভিন্ন গোষ্ঠীর জ্বালাও-পোড়াওয়ের মুখে ২০১৭ সালে প্রায় সাড়ে ৭ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। তাদের প্রায় সবাইকে উখিয়া-টেকনাফের শীর্ণ কুটিরে রাখা হয়েছে। হাতিয়ার ভাসানচরে পাঠানো হয়েছে অল্পসংখ্যক।
অন্যদিকে রাখাইনে এখনো কয়েক লাখ রোহিঙ্গা রয়েছেন। তাদের কঠোর নজরদারিতে থাকতে হয়। তাদের চলাফেরা অত্যন্ত সীমিত।
এ অবস্থায় কয়েক বছর ধরে আন্দামান সাগর ও বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়ে মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া যাওয়ার প্রবণতা রোহিঙ্গাদের মধ্যে বেড়েছে। ঠুনকো নৌকাতে করে বিপৎসংকুল সাগর পাড়ি দিয়ে এসব দেশে যাওয়ার পথে প্রায়ই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
গত জানুয়ারিতে প্রকাশিত জাতিসংঘের তথ্যমতে, ২০২২ সালে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার থেকে সাড়ে ৩ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা ৩৯টি নৌকায় করে মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া গেছেন, যা আগের বছরের তুলনায় ৭০০ জন বেশি। আন্দামান ও বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিতে গিয়ে গত বছর অন্তত ৩৪৮ জন রোহিঙ্গা প্রাণ হারিয়েছেন।
ঠিকানা/এনআই