সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। স্টর্মি ড্যানিয়েলস নামে এক পর্ন তারকাকে মুখ বন্ধ রাখতে অর্থ দেওয়ার অভিযোগে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) ম্যানহ্যাটানের গ্র্যান্ড জুরি আদালতে তাকে অভিযুক্ত করা হয়।
ডোনাল্ড ট্রাম্পই প্রথম সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট, যিনি ফৌজদারি অভিযোগের সম্মুখীন হলেন। আজ ৩১ মার্চ (শুক্রবার) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ম্যানহাটন ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি অ্যালভিন ব্র্যাগের নেতৃত্বে সম্পন্ন হওয়া তদন্তের পর ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ গঠন হলো; আর সেটিও এমন এক সময় যখন ২০২৪ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে মনোনয়ন চাচ্ছেন এই রিপাবলিকান নেতা।
রয়টার্স বলছে, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ এখনও জানা যায়নি, কারণ অভিযোগটি এখনও গোপন রাখা হয়েছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, ট্রাম্প ব্যবসায়িক জালিয়াতি সম্পর্কিত ৩০ টিরও বেশি গণনার মুখোমুখি হয়েছেন।
ট্রাম্প অবশ্য বলছেন, তিনি ‘সম্পূর্ণ নির্দোষ’। একইসঙ্গে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রতিযোগিতা থেকে সরে না যাওয়ারও ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। এছাড়া তার পুনরায় নির্বাচনে জেতার সম্ভাবনাকে নষ্টের চেষ্টা করার জন্য ট্রাম্প ডেমোক্র্যাট ব্র্যাগকে অভিযুক্ত করেছেন।
সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘এটি ইতিহাসের সর্বোচ্চ পর্যায়ে রাজনৈতিক নিপীড়ন এবং নির্বাচনী হস্তক্ষেপ’। তার দাবি, এর আগে কখনও এই পর্যায়ে রাজনৈতিক নিপীড়ন হয়নি এবং নির্বাচনী কাজে হস্তক্ষেপ ঘটানো হয়নি। যদিও ট্রাম্প তার সপক্ষে কোনও প্রমাণ বা যুক্তি কখনোই দেননি।
এর কিছুক্ষণ পরই, ট্রাম্প তার সমর্থকদের কাছে আইনি প্রতিরক্ষার জন্য অর্থ প্রদানের আবেদন করেন। নিজের প্রচারণা অনুসারে ট্রাম্প ইতোমধ্যেই ২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি সংগ্রহ করেছেন। এর আগে অবশ্য গত ১৮ মার্চ ভুল ভবিষ্যদ্বাণী করে ট্রাম্প বলেছিলেন, তাকে চার দিন পরে গ্রেপ্তার করা হবে।
সংবাদমাধ্যম বলছে, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ঠিক কী কী অভিযোগ আনা হয়েছে, সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য এখনও পাওয়া যায়নি। তবে জানা গেছে, খুব তাড়াতাড়িই এক মার্কিন বিচারপতির আওতায় এই মামলা যাবে এবং এরপরই বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হবে।
মাঝের এই সময়ে অবশ্য নানা দাপ্তরিক কাজে এবং তথ্যপ্রমাণ দাখিল করতে ট্রাম্পকে ম্যানহাটানের আদালতে যেতে হবে একাধিক বার। মূলত সেই সময়ে আঙুলের ছাপ ও অন্যান্য প্রক্রিয়ার জন্য ট্রাম্পকে ম্যানহাটনে যেতে হবে।
ম্যানহাটন ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি অ্যালভিন ব্র্যাগের কার্যালয় বলেছে, প্রসিকিউটররা আত্মসমর্পণের ব্যবস্থা করার জন্য ট্রাম্পের আইনি দলের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। আগামী মঙ্গলবার ট্রাম্প আত্মসমর্পণ করবেন বলে আদালতের একজন কর্মকর্তা বলেছেন।
ট্রাম্পের আইনজীবী সুসান নেচেলেস এবং জোসেফ টাকোপিনা বলেছেন, তারা এই অভিযোগের বিরুদ্ধে ‘জোরালোভাবে লড়াই’ করবেন। তবে ট্রাম্প এই বিষয়ে কী ভাবছেন, অপরাধ আদৌ স্বীকার করবেন কিনা, তা এখনও জানা যায়নি।
রয়টার্স বলছে, ট্রাম্প তার মূল সমর্থকদের মধ্যে ক্ষোভ জাগিয়ে তুলতে এই মামলাটি ব্যবহার করতে পারেন। যদিও অন্যান্য রিপাবলিকান ভোটাররা ট্রাম্পের নাটক দেখে দেখে ক্লান্ত হয়ে যেতে পারেন।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনী প্রচারণার সময় ডোনাল্ড ট্রাম্প মুখ বন্ধ রাখতে পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে এক লাখ ৩০ হাজার ডলার দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এই পর্ন তারকার সাথে সম্পর্ক নিয়ে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ার পর তাকে অনৈতিকভাবে ওই অর্থ দেওয়া হয়।
ম্যানহাটনের জেলা অ্যাটর্নি অ্যালভিন ব্র্যাগের অফিস চলতি বছরের শুরুর দিকে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এই মামলার কার্যক্রম শুরু করে। ড্যানিয়েলসের প্রকৃত নাম স্টেফানি ক্লিফোর্ড। তিনি বলেছেন, এক দশক আগে ট্রাম্পের সাথে তার সম্পর্ক ছিল। তবে ট্রাম্প এই সম্পর্কের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
২০১৭ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান দলীয় প্রেসিডেন্ট ছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি হোয়াইট হাউসে ফেরার জন্য আগামী ২০২৪ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে ইতোমধ্যে ঘোষণা দিয়েছেন।
ঠিকানা/এসআর
ডোনাল্ড ট্রাম্পই প্রথম সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট, যিনি ফৌজদারি অভিযোগের সম্মুখীন হলেন। আজ ৩১ মার্চ (শুক্রবার) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ম্যানহাটন ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি অ্যালভিন ব্র্যাগের নেতৃত্বে সম্পন্ন হওয়া তদন্তের পর ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ গঠন হলো; আর সেটিও এমন এক সময় যখন ২০২৪ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে মনোনয়ন চাচ্ছেন এই রিপাবলিকান নেতা।
রয়টার্স বলছে, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ এখনও জানা যায়নি, কারণ অভিযোগটি এখনও গোপন রাখা হয়েছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, ট্রাম্প ব্যবসায়িক জালিয়াতি সম্পর্কিত ৩০ টিরও বেশি গণনার মুখোমুখি হয়েছেন।
ট্রাম্প অবশ্য বলছেন, তিনি ‘সম্পূর্ণ নির্দোষ’। একইসঙ্গে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রতিযোগিতা থেকে সরে না যাওয়ারও ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। এছাড়া তার পুনরায় নির্বাচনে জেতার সম্ভাবনাকে নষ্টের চেষ্টা করার জন্য ট্রাম্প ডেমোক্র্যাট ব্র্যাগকে অভিযুক্ত করেছেন।
সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘এটি ইতিহাসের সর্বোচ্চ পর্যায়ে রাজনৈতিক নিপীড়ন এবং নির্বাচনী হস্তক্ষেপ’। তার দাবি, এর আগে কখনও এই পর্যায়ে রাজনৈতিক নিপীড়ন হয়নি এবং নির্বাচনী কাজে হস্তক্ষেপ ঘটানো হয়নি। যদিও ট্রাম্প তার সপক্ষে কোনও প্রমাণ বা যুক্তি কখনোই দেননি।
এর কিছুক্ষণ পরই, ট্রাম্প তার সমর্থকদের কাছে আইনি প্রতিরক্ষার জন্য অর্থ প্রদানের আবেদন করেন। নিজের প্রচারণা অনুসারে ট্রাম্প ইতোমধ্যেই ২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি সংগ্রহ করেছেন। এর আগে অবশ্য গত ১৮ মার্চ ভুল ভবিষ্যদ্বাণী করে ট্রাম্প বলেছিলেন, তাকে চার দিন পরে গ্রেপ্তার করা হবে।
সংবাদমাধ্যম বলছে, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ঠিক কী কী অভিযোগ আনা হয়েছে, সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য এখনও পাওয়া যায়নি। তবে জানা গেছে, খুব তাড়াতাড়িই এক মার্কিন বিচারপতির আওতায় এই মামলা যাবে এবং এরপরই বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হবে।
মাঝের এই সময়ে অবশ্য নানা দাপ্তরিক কাজে এবং তথ্যপ্রমাণ দাখিল করতে ট্রাম্পকে ম্যানহাটানের আদালতে যেতে হবে একাধিক বার। মূলত সেই সময়ে আঙুলের ছাপ ও অন্যান্য প্রক্রিয়ার জন্য ট্রাম্পকে ম্যানহাটনে যেতে হবে।
ম্যানহাটন ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি অ্যালভিন ব্র্যাগের কার্যালয় বলেছে, প্রসিকিউটররা আত্মসমর্পণের ব্যবস্থা করার জন্য ট্রাম্পের আইনি দলের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। আগামী মঙ্গলবার ট্রাম্প আত্মসমর্পণ করবেন বলে আদালতের একজন কর্মকর্তা বলেছেন।
ট্রাম্পের আইনজীবী সুসান নেচেলেস এবং জোসেফ টাকোপিনা বলেছেন, তারা এই অভিযোগের বিরুদ্ধে ‘জোরালোভাবে লড়াই’ করবেন। তবে ট্রাম্প এই বিষয়ে কী ভাবছেন, অপরাধ আদৌ স্বীকার করবেন কিনা, তা এখনও জানা যায়নি।
রয়টার্স বলছে, ট্রাম্প তার মূল সমর্থকদের মধ্যে ক্ষোভ জাগিয়ে তুলতে এই মামলাটি ব্যবহার করতে পারেন। যদিও অন্যান্য রিপাবলিকান ভোটাররা ট্রাম্পের নাটক দেখে দেখে ক্লান্ত হয়ে যেতে পারেন।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনী প্রচারণার সময় ডোনাল্ড ট্রাম্প মুখ বন্ধ রাখতে পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে এক লাখ ৩০ হাজার ডলার দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এই পর্ন তারকার সাথে সম্পর্ক নিয়ে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ার পর তাকে অনৈতিকভাবে ওই অর্থ দেওয়া হয়।
ম্যানহাটনের জেলা অ্যাটর্নি অ্যালভিন ব্র্যাগের অফিস চলতি বছরের শুরুর দিকে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এই মামলার কার্যক্রম শুরু করে। ড্যানিয়েলসের প্রকৃত নাম স্টেফানি ক্লিফোর্ড। তিনি বলেছেন, এক দশক আগে ট্রাম্পের সাথে তার সম্পর্ক ছিল। তবে ট্রাম্প এই সম্পর্কের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
২০১৭ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান দলীয় প্রেসিডেন্ট ছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি হোয়াইট হাউসে ফেরার জন্য আগামী ২০২৪ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে ইতোমধ্যে ঘোষণা দিয়েছেন।
ঠিকানা/এসআর