নিউইয়র্ক সিটিকে নিরাপদ করে গড়ে তুলতে মেয়র এরিক অ্যাডামস নতুন করে ভাবছেন। এ জন্য প্রশাসনকে নতুন করে সাজানোর পরিকল্পনা ব্যক্ত করেছেন। এরিক অ্যাডামসের নির্বাচনকালীন প্রচারণায় তার প্রতিশ্রুতি ছিল নিউইয়র্ক সিটিকে তার নগরবাসীর জন্য নিরাপদ রাখবেন সব সময়। কিন্তু তিনি সে প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে পারেননি। প্রশাসনে অনেক কিছুতে পরিবর্তন এনেও নগরবাসীকে নিরাপদ রাখতে পারেননি। একপর্যায়ে নগরবাসী আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। কোনোভাবেই তারা নিজেদের নিরাপদ ভাবতে পারছিলেন না। তারা চরম শঙ্কার মধ্যে বাস করছিলেন। বাস, সাবওয়ে, সব স্থান, বড় বড় মল প্রতিদিন আগ্নেয়াস্ত্রধারীদের বন্দুক হামলায় কেঁপে কেঁপে উঠছিল। প্রতিদিন শিশুসহ অভিভাবক, নিরীহ পথচারী দোকানপাটে কেনাকাটায় যখন ব্যস্ত থাকত, তখন সন্ত্রাসীদের আচমকা হামলায় শান্তিপ্রিয় নগরবাসী আতঙ্কিত থাকত।
গত দেড় বছরে মেয়র অ্যাডামস নিউইয়র্ক সিটির দায়িত্ব গ্রহণের পর বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন। তার পরও তিনি নগরবাসীর জন্য যথাযথ নিরাপত্তা দিতে পারছিলেন না। মানুষের প্রাণহানি, গোলাগুলিতে বিভিন্ন পণ্যসামগ্রীর ক্ষতি সাধিত হচ্ছিলই। দুর্বৃত্তদের কিছুতেই নিবৃত্ত করতে সক্ষম হচ্ছিল না সিটি প্রশাসন। স্কুল-কলেজে যেতে ছাত্ররা আতঙ্ক বোধ করত। বাড়ির বাইরে, কোনো প্রয়োজনে বা কেনাকাটায় বাইরে যেতে হবে, সবাই অস্বস্তি বোধ করত। ভয়ে থাকত এই বুঝি দুর্বৃত্ত-সন্ত্রাসীরা হামলে পড়ে তাদের প্রাণটা কেড়ে নেয়। নগরবাসীর জীবন এই শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতিতে দুর্বিষহ হয়ে উঠত।
বর্তমানে পরিস্থিতি ওই রকম ভয়ংকর না থাকলেও সিটিতে নিরাপত্তা বিরাজ করছেÑএ দাবি করা যাবে না। এখনো মানুষ বাইরে গেলে আতঙ্কে থাকে তারা নিরাপদে ঘরে ফিরতে পারবে কি না। এ রকম পরিস্থিতিতে মেয়র এরিক বলেছেন, ‘নিউইয়র্কের মেয়র হিসেবে আমরা জানি, আমাদের শহরের জনসাধারণের জন্য নিরাপত্তা কত প্রয়োজন এবং এটি অর্জনে সঠিক নেতৃত্ব কতটা গুরুত্বপূর্ণ।’ এ প্রসঙ্গে মেয়র অ্যাডামস স্বস্তি নিয়ে বলেন, তিনি সিটি পুলিশ টিমের নতুন নেতৃত্ব দলের নাম দিয়েছেন। এই নতুন দলটি সিটির নিরাপত্তার উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে সক্ষম হবে। এ কথাও তিনি আস্থার সঙ্গে উচ্চারণ করেন, তারা নিউইয়র্ককে আমেরিকার বৃহত্তর লক্ষ্য হিসেবে রক্ষা করতেও সক্ষম হবে।
এ কথা ঠিক, নিউইয়র্ক শহরকে নিরাপদ রেখে নগরবাসীকে স্বস্তির মধ্যে রাখতে পুলিশ প্রশাসনে রদবদল গুণগত পরিবর্তন ঘটাতে অবদান রাখতে পারবে বলে সিটিতে বসবাসকারীরা গভীরভাবে মনে করেন। নতুন মহিলা পুলিশ কমিশনার হিসেবে এডওয়ার্ড ক্যাবকের নিয়োগ এবং ডেপুটি কমিশনার ফর ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড কাউন্টার টেরোরিজম হিসেবে আরেক মহিলা রেবেকা ওয়েনারের নিয়োগকে সিটিবাসী তাৎপর্যপূর্ণ বলে ভাবছেন। এই নতুন মুখগুলো একাধারে কালো, হিসপ্যানিক এবং মহিলা। সকলের পেছনেই রয়েছে তাদের সাফল্যের ভূমিকা এবং উজ্জ্বল প্রশংসনীয় রেকর্ড। মেয়র অ্যাডামস দৃঢ়ভাবে মনে করেন, এদের এই সাফল্য নতুন দায়িত্ব সম্পন্ন করতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তারা সকলেই নিউইয়র্ক শহরের নিরাপত্তা ও ন্যায়বিচারের গুরুত্ব বুঝতে সক্ষম।
এ কথা অস্বীকার করা যাবে না, নতুন দলটির নেতৃত্বে অপরাধ কমে আসতে শুরু করেছে। ট্রানজিট অপরাধ, গাড়ি চুরি এবং ছোটখাটো চুরি কমে আসতে শুরু করেছে। কথায় আছে, শেষ ভালো যার সব ভালো তার। আমরা আশা করব, মেয়রের এই পদক্ষেপ শহরের ছোট-বড় সব অপরাধ দমনের মধ্য দিয়ে নিউইয়র্ক শহরকে সবার জন্য নিরাপদ ও বাসযোগ্য শহরে পরিণত করতে সক্ষম হবে।
গত দেড় বছরে মেয়র অ্যাডামস নিউইয়র্ক সিটির দায়িত্ব গ্রহণের পর বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন। তার পরও তিনি নগরবাসীর জন্য যথাযথ নিরাপত্তা দিতে পারছিলেন না। মানুষের প্রাণহানি, গোলাগুলিতে বিভিন্ন পণ্যসামগ্রীর ক্ষতি সাধিত হচ্ছিলই। দুর্বৃত্তদের কিছুতেই নিবৃত্ত করতে সক্ষম হচ্ছিল না সিটি প্রশাসন। স্কুল-কলেজে যেতে ছাত্ররা আতঙ্ক বোধ করত। বাড়ির বাইরে, কোনো প্রয়োজনে বা কেনাকাটায় বাইরে যেতে হবে, সবাই অস্বস্তি বোধ করত। ভয়ে থাকত এই বুঝি দুর্বৃত্ত-সন্ত্রাসীরা হামলে পড়ে তাদের প্রাণটা কেড়ে নেয়। নগরবাসীর জীবন এই শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতিতে দুর্বিষহ হয়ে উঠত।
বর্তমানে পরিস্থিতি ওই রকম ভয়ংকর না থাকলেও সিটিতে নিরাপত্তা বিরাজ করছেÑএ দাবি করা যাবে না। এখনো মানুষ বাইরে গেলে আতঙ্কে থাকে তারা নিরাপদে ঘরে ফিরতে পারবে কি না। এ রকম পরিস্থিতিতে মেয়র এরিক বলেছেন, ‘নিউইয়র্কের মেয়র হিসেবে আমরা জানি, আমাদের শহরের জনসাধারণের জন্য নিরাপত্তা কত প্রয়োজন এবং এটি অর্জনে সঠিক নেতৃত্ব কতটা গুরুত্বপূর্ণ।’ এ প্রসঙ্গে মেয়র অ্যাডামস স্বস্তি নিয়ে বলেন, তিনি সিটি পুলিশ টিমের নতুন নেতৃত্ব দলের নাম দিয়েছেন। এই নতুন দলটি সিটির নিরাপত্তার উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে সক্ষম হবে। এ কথাও তিনি আস্থার সঙ্গে উচ্চারণ করেন, তারা নিউইয়র্ককে আমেরিকার বৃহত্তর লক্ষ্য হিসেবে রক্ষা করতেও সক্ষম হবে।
এ কথা ঠিক, নিউইয়র্ক শহরকে নিরাপদ রেখে নগরবাসীকে স্বস্তির মধ্যে রাখতে পুলিশ প্রশাসনে রদবদল গুণগত পরিবর্তন ঘটাতে অবদান রাখতে পারবে বলে সিটিতে বসবাসকারীরা গভীরভাবে মনে করেন। নতুন মহিলা পুলিশ কমিশনার হিসেবে এডওয়ার্ড ক্যাবকের নিয়োগ এবং ডেপুটি কমিশনার ফর ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড কাউন্টার টেরোরিজম হিসেবে আরেক মহিলা রেবেকা ওয়েনারের নিয়োগকে সিটিবাসী তাৎপর্যপূর্ণ বলে ভাবছেন। এই নতুন মুখগুলো একাধারে কালো, হিসপ্যানিক এবং মহিলা। সকলের পেছনেই রয়েছে তাদের সাফল্যের ভূমিকা এবং উজ্জ্বল প্রশংসনীয় রেকর্ড। মেয়র অ্যাডামস দৃঢ়ভাবে মনে করেন, এদের এই সাফল্য নতুন দায়িত্ব সম্পন্ন করতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তারা সকলেই নিউইয়র্ক শহরের নিরাপত্তা ও ন্যায়বিচারের গুরুত্ব বুঝতে সক্ষম।
এ কথা অস্বীকার করা যাবে না, নতুন দলটির নেতৃত্বে অপরাধ কমে আসতে শুরু করেছে। ট্রানজিট অপরাধ, গাড়ি চুরি এবং ছোটখাটো চুরি কমে আসতে শুরু করেছে। কথায় আছে, শেষ ভালো যার সব ভালো তার। আমরা আশা করব, মেয়রের এই পদক্ষেপ শহরের ছোট-বড় সব অপরাধ দমনের মধ্য দিয়ে নিউইয়র্ক শহরকে সবার জন্য নিরাপদ ও বাসযোগ্য শহরে পরিণত করতে সক্ষম হবে।