ডিপোর্টেশনের তালিকায় ৪৮৩৭ বাংলাদেশি

প্রকাশ : ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৭:৩২ , অনলাইন ভার্সন
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ইমিগ্রেশন ক্র্যাকডাউনের তালিকায় রয়েছে প্রায় ১৮ মিলিয়ন অবৈধ অভিবাসী রয়েছে। তাদের মধ্যে যাদের ক্রিমিনাল ব্যাকগ্রাউন্ড রয়েছে তাদের যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়ন করা হবে। এ লক্ষে গত ২৬ জানুয়ারি রোববার থেকে শুরু হওয়া এই ক্র্যাকডাউন অভিযানে এ পর্যন্ত প্রায় ১০ হাজার অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইস)। 
আইসের তালিকায় ৪ হাজার ৮৩৭ জন বাংলাদেশি রয়েছেন, যারা যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসী এবং যাদের ক্রিমিনাল ব্যাকগ্রাউন্ড রয়েছে। তবে নিউইয়র্কের বাংলাদেশি অধ্যুষিত জ্যাকসন হাইটস এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হওয়া সাব্বির আহমদের ক্রিমিনাল ব্যাকগ্রাউন্ড ছিল না। এমনকী তিনি অবৈধ অভিবাসীও নন। কেন তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সে সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট  কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। 
একাধিক সূত্র জানায়, সিলেটের বিয়ানিবাজার সদরের বাসিন্দা সাব্বির আহমদ বিভিন্ন দেশ ঘুরে মেক্সিকো সীমান্ত অতিক্রম করে ২০২২ সালের ২১ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেন। রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনার ডক্যুমেন্টও রয়েছে তার। গ্রেপ্তারের পর আইস এজেন্টরা সাব্বিরকে পেনসিলভেনিয়ায় ডিটেনশন সেন্টারে রেখেছে আরো কয়েক বাংলাদেশির সাথে। 
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী বৃহস্পতিবার বিভিন্ন সিটিতে হানা দিয়ে ১০১৬ জনকে গ্রেফতার করেছে। একইদিন চোরাই পথে সীমান্ত অতিক্রমের সময় আটক হয়েছে আরো ৮১৪ জন। উল্লেখ্য, বস্টন, ওহাইয়ো, নিউজার্সি, মিশিগান থেকেও বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতারের ঘটনা ঘটেছে যারা রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করেছেন কিংবা অন্য কোন প্রোগ্রামে অভিবাসনের মর্যাদা পাবার প্রক্রিয়ায় আছেন।
অবৈধ অভিবাসী গ্রেপ্তারের অভিযানে জনমানবশূন্য হয়ে পড়েছে অনেক সিটির বাণিজ্যিক পাড়া। কমেছে রেস্টুরেন্টর ব্যবসাও। নিউইয়র্ক সিটির পাতাল ট্রেনেও ভীড় হ্রাস পাচ্ছে বলে নিয়মিত যাত্রীরা উল্লেখ করেছেন।
 নিউইয়র্ক টাইমস এবং ইপসোস জরিপে ট্রাম্পের এই মনোভাবের প্রতি ৫৫% আমেরিকানের দ্ব্যর্থহীন সমর্থন পাওয়া গেলেও ৮৮% বলেছেন যে, গ্রেফতার আর বহিষ্কার অভিযানে মূল সমস্যার সমাধান সম্ভব হবে না। এজন্যে প্রয়োজন অভিবাসনের ভঙ্গুর অবস্থাকে ঢেলে সাজানো। 
এদিকে, বিশ্বখ্যাত নিউজউইকে শুক্রবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে গণবিরোধী কর্মকান্ডে লিপ্ত থাকার জন্যে কংগ্রেসে অবিলম্বে অভিসংশনের বিল পাশের গণদরখাস্তে বৃহস্প্রতিবার পর্যন্ত এক লাখ আমেরিকান স্বাক্ষর করেছেন। অর্থাৎ ২০ জানুয়ারি ক্ষমতা গ্রহণের দিন থেকে যেসব আদেশ জারি করেছেন তাতে ক্রমান্বয়ে শ্বেতাঙ্গ আমেরিকানরাও বিতশ্রদ্ধ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। স্মরণ করা যেতে পারে প্রথম মেয়াদে অন্ততঃ দুই বার ট্রাম্পকে অভিসংশনের বিল পাশ হয়েছিল প্রতিনিধি পরিষদে। রিপাবলিকান শাসিত ইউএস সিনেটে সে বিল অনুমোদন পায়নি।
গত ১৩ দিনে গ্রেফতার হওয়া অবৈধদের প্রায় সকলকেই বিশেষ বিমানে নিজ নিজ দেশে পাঠিয়ে দেয়ার কথা জানিয়েছে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্ট। 
তারা জানায়, আমেরিকার জনজীবনকে নিরাপদ রাখতে এ অভিযানের বিকল্প ছিল না। সীমান্তকে নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তার আওতার আনার পাশাপাশি ইতিপূর্বে বেআইনী পথে ঢুকে পড়াদেরকেও তাড়াতে হবে। তাহলে নতুন করে কেউ যুক্তরাষ্ট্রে আসার কথা ভাববে না।

 
M M Shahin, Chairman Board of Editors, Thikana

Corporate Headquarter :

THIKANA : 7409 37th Ave suite 403

Jackson Heights, NY 11372

Phone : 718-472-0700/2428, 718-729-6000
Fax: + 1(866) 805-8806



Bangladesh Bureau : THIKANA : 70/B, Green Road, (Panthapath),
5th Floor, Dhaka- 1205, Bangladesh.
Mobile: +880  1338-950041