শেষ ওভারের রোমাঞ্চে খুলনাকে কাঁদিয়ে ফাইনালে চিটাগং কিংস

প্রকাশ : ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১:৩০ , অনলাইন ভার্সন
চলমান বিপিএলের প্রথম সেমিফাইনালে বরিশালের কাছে হেরেছিল চিটাগং কিংস। কিন্তু দ্বিতীয় সেমিফাইনালে চিটাগং যা করে দেখালো তা হলিউড সিনেমাকেও হার মানাবে। এদিন মিরপুরে একটু পর পরই বদলেছে ম্যাচে চরিত্র। কিন্তু শেষ ওভারের আগে মনে হচ্ছিলো খুলনার ফাইনাল নিশ্চিত। কিন্তু শেষ ওভারে সব সমীকরণ বদলে দিয়েছেন আলিস আল ইসলাম।

খুলনাকে ২ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করেছে বন্দরনগরীর দলটি। আর এই জয়ের অন্যতম নায়ক আলিস আল ইসলাম। ৬ বলে ১৫ রান প্রয়োজন থাকার ম্যাচে শেষ বলে বাউন্ডারি মেরে মিরাজ-আফিফদের হৃদয় ভেঙে চুরমার করে দিয়েছেন তিনি।

৫ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) আগে ব্যাট করতে নেমে চিটাগংকে ১৬৪ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল খুলনা। জবাব দিতে নেমে ২ উইকেট হাতে থাকতেই জয় তুলে নিয়েছে চিটাগং কিংস।

চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি চিটাগং। ৪ রান করে শুরুতেই সাজঘরে ফিরেছেন পারভেজ ইমন ও গ্রাহাম ক্লার্ক। তবে হুসাইন তালাতকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন খাজা নাফি। 

দুজনের ব্যাটের ভর করে জয়ের পথে এগিয়ে যেতে থাকে চিটাগং। ৩৬ বলে ফিফটি তুলে নেন নাফি। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন তালাত। তবে ইনিংস লম্বা করতে পারেননি তিনি। ২৫ বলে ৪০ রান করে ফেরেন এই ডান হাতি ব্যাটার । 

এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি শামীম। ৭ বলে ৫ রান করেন তিনি। তবে একপ্রান্ত আগলে রেখে রান তুলতে থাকেন নাফি। ১৬তম ওভারে মুশফিকের হাতে বল তুলে দেন মিরাজ। ওভারের প্রথম বলেই নাফিকে বোল্ড করে খুলনা খেলায় ফেরান এই ডান হাতি পেসার।

এরপর খালেদ (০) ও মিথুন ৭ রান করে আউট হলে লড়াই করতে থাকেন আরাফাত সানি ও আলিস আল ইসলাম। শেষ ওভারে জয়ের জন্য ১৬ রান দরকার ছিল চিটাগংয়ের। প্রথম বলে বাউন্ডারি হাকান আরাফাত সানি। পরের বলে ২ রান নেন এই স্পিনার।

তৃতীয় বলে এক রান নিলেও চা পিছলে পড়ে যান অপর প্রান্ত থাকা আলিস। ব্যথা পেয়ে মাঠও ছাড়তে হয় তাকে। বদলি হিসেবে নেমেই চার মেরে ম্যাচ জমিয়ে তোলেন শরিফুল, কিন্তু পরের বলেই ক্যাচ আউট হন তিনি। এতে শেষ বলে ৪ রান দরকার ছিল। শরিফুলের বিদায়ের পর আবারও পিচে আসেন আলিস। শেষ বলে বাউন্ডারি মেরে দলকে ফাইনালের টিকিট উপহার দেন এই টাইগার ব্যাটার।

খুলনার হয়ে ৩টি করে উইকেট শিকার করেন হাসান মাহমুদ ও মুশফিক আহমেদ। এ ছাড়াও নাসুম আহমেদ নেন দুটি উইকেট।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি খুলনা। ৬ বলে মাত্র ২ রান করে সাজঘরে ফেরেন মেহেদী মিরাজ। ৬ বলে শূন্য রান করে তাকে সঙ্গ দেন অ্যালেক্স রোস। তবে অপর প্রান্ত থেকে রান তোলার চেষ্টা করেন মোহাম্মদ নাঈম।

তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি তিনি। ২২ বলে ১৯ রান করে ফেরেন এই বাঁ-হাতি ওপেনার। এরপর ১৪ বলে ৮ রান করে আফিফ আউট হলে দলীয় ৪২ রানে ৪ উইকেট হারায় খুলনা।

এরপর হেটমায়ারকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। দুজনের ব্যাটে ভর করে ১৭তম ওভারে ১০০ রানের কোটা পার করে খুলনা।  ১৮তম ওভারের প্রথম বলে শরিফুলের বল উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ আউট হন অঙ্কন। ৩২ বলে ৪২ রান করেন তিনি।

অঙ্কনের আউটের পর ব্যাট চালাতে থাকেন হেটমায়ার। ২৯ বলে ফিফটি তুলে নেন এই ক্যারিবিয়ান ব্যাটার। ১৯তম ওভারে দুই চার ও দুই ছক্কা হাকান তিনি। তবে শেষ বলে বাউন্ডারি লাইনে কাটা পড়েন তিনি। ৪ ছক্কা এবং ৬ চারে ৩৩ বলে ৬৩ রান করেন এই ক্যারিবিয়ান।

শেষ পর্যন্ত মোহাম্মদ নাওয়াজের ৫ রান এবং জেসন হোল্ডারের ৫ বলের অপরাজিত ১২ রানে ভর করে ১৬৩ রানের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি পেয়েছিল খুলনা।

ঠিকানা/এএস 
M M Shahin, Chairman Board of Editors, Thikana

Corporate Headquarter :

THIKANA : 7409 37th Ave suite 403

Jackson Heights, NY 11372

Phone : 718-472-0700/2428, 718-729-6000
Fax: + 1(866) 805-8806



Bangladesh Bureau : THIKANA : 70/B, Green Road, (Panthapath),
5th Floor, Dhaka- 1205, Bangladesh.
Mobile: 01711238078