তোমার ঘরে আমি প্রতিদিন আসি,
আমাকে আসতে হয়,
তোমার শব্দহীন বাকরুদ্ধ কথাগুলো শুনতেÑ
প্রতিদিন এখানে আমাকে আসতে হয়।
উপরে ওঠার সিঁড়ি ভাঙতে ভাঙতে দেখি,
কারও সন্দেহের দৃষ্টি আমার দিকে রোষাগ্নি বর্ষণ করছে,
কেউ ফিসফিস করে বলছে, ‘ওইতো আসছে’!
কেউ আমাকে দেখে দরজার পর্দাটা টেনে দিচ্ছে,
আবার কেউ আমাকে শুনিয়ে বলছে,
‘ছিঃ ! নচ্ছার, চরিত্রহীন’!
আমি নিঃশব্দে তোমার ঘরে প্রবেশ করি,
তোমার পোষা বেড়ালটি আমাকে চেনে;
সোফা থেকে নেমে আমাকে বসতে দেয়।
তোমার উজ্জ্বল প্রতীক্ষিত চোখ আমার শরীরে ঘুরে বেড়ায়
নরম পাপড়ির মতো ঠোঁট দুটো কেঁপে কেঁপে ওঠে,
হয়তো কিছু বলার শব্দ খুঁজতে থাকে।
এই সময় আমার আঙুলগুলো তোমার স্নিগ্ধ ঘন চুলে বিলি কাটতে থাকে,
হাত ধরে কিছুক্ষণ নীরবে মুখোমুখি বসে থাকি আমরা।
নিঃশব্দতারও একটা নীরব ধ্বনি থাকে,
বুকের অতলে সেই শব্দধ্বনি শুনতে পাই।
একসময় তোমার চোখের পাতা ভারী হয়ে আসে, বাষ্পরুদ্ধ অশ্রু ছলছল করেÑ
অনেকক্ষণ ভাষাহীন সময়ে আমরা ডুবে থাকি।
হঠাৎ তুমি ব্যাকুল হয়ে ওঠো, কিছু যেন বলতে চাও,
তোমার মুখের দিকে তাকিয়ে আমি সহজেই পড়ে নিই
তোমার বলতে না পারা কথাগুলো।
এই সময় তোমাকে অনেক শান্ত এবং লাবণ্যময়ী মনে হয়,
কাছে টেনে নিয়ে অনেক অনেক আদর করে, কপালে আলতো চুমোর রেখা এঁকে দিয়ে
একসময় দরজার দিকে পা বাড়াই।
বেড়ালটা পিছু পিছু সিঁড়ির শেষ ধাপ পর্যন্ত আমাকে এগিয়ে দেয়।
এইভাবে প্রতিদিন-
তোমার শব্দহীন কথা শুনতে আমাকে-
সিঁড়ির ধাপগুলো অতিক্রম করে যেতে হবে।
আমাকে আসতে হয়,
তোমার শব্দহীন বাকরুদ্ধ কথাগুলো শুনতেÑ
প্রতিদিন এখানে আমাকে আসতে হয়।
উপরে ওঠার সিঁড়ি ভাঙতে ভাঙতে দেখি,
কারও সন্দেহের দৃষ্টি আমার দিকে রোষাগ্নি বর্ষণ করছে,
কেউ ফিসফিস করে বলছে, ‘ওইতো আসছে’!
কেউ আমাকে দেখে দরজার পর্দাটা টেনে দিচ্ছে,
আবার কেউ আমাকে শুনিয়ে বলছে,
‘ছিঃ ! নচ্ছার, চরিত্রহীন’!
আমি নিঃশব্দে তোমার ঘরে প্রবেশ করি,
তোমার পোষা বেড়ালটি আমাকে চেনে;
সোফা থেকে নেমে আমাকে বসতে দেয়।
তোমার উজ্জ্বল প্রতীক্ষিত চোখ আমার শরীরে ঘুরে বেড়ায়
নরম পাপড়ির মতো ঠোঁট দুটো কেঁপে কেঁপে ওঠে,
হয়তো কিছু বলার শব্দ খুঁজতে থাকে।
এই সময় আমার আঙুলগুলো তোমার স্নিগ্ধ ঘন চুলে বিলি কাটতে থাকে,
হাত ধরে কিছুক্ষণ নীরবে মুখোমুখি বসে থাকি আমরা।
নিঃশব্দতারও একটা নীরব ধ্বনি থাকে,
বুকের অতলে সেই শব্দধ্বনি শুনতে পাই।
একসময় তোমার চোখের পাতা ভারী হয়ে আসে, বাষ্পরুদ্ধ অশ্রু ছলছল করেÑ
অনেকক্ষণ ভাষাহীন সময়ে আমরা ডুবে থাকি।
হঠাৎ তুমি ব্যাকুল হয়ে ওঠো, কিছু যেন বলতে চাও,
তোমার মুখের দিকে তাকিয়ে আমি সহজেই পড়ে নিই
তোমার বলতে না পারা কথাগুলো।
এই সময় তোমাকে অনেক শান্ত এবং লাবণ্যময়ী মনে হয়,
কাছে টেনে নিয়ে অনেক অনেক আদর করে, কপালে আলতো চুমোর রেখা এঁকে দিয়ে
একসময় দরজার দিকে পা বাড়াই।
বেড়ালটা পিছু পিছু সিঁড়ির শেষ ধাপ পর্যন্ত আমাকে এগিয়ে দেয়।
এইভাবে প্রতিদিন-
তোমার শব্দহীন কথা শুনতে আমাকে-
সিঁড়ির ধাপগুলো অতিক্রম করে যেতে হবে।