জীবন সবার কাছেই প্রিয়। আর সঠিক ঘুমের উপস্থিতি সবাই আশা করে। শিশু জন্মের পর বেশির ভাগ সময়ই ঘুমে কাটিয়ে দেয়। আয় আয় চাঁদ মামা। আমরা ঘুমপাড়ানি মাসি পিসি। শিশুকে গান শুনিয়ে ঘুম পাড়ানো হয়। একটা সময় ঘুমের মাত্রা কমে আসে। ডাক্তারের সাজেশন দৈনিক ছয় থেকে আট ঘণ্টা ঘুমানো চাই। প্রতিবেশী ভদ্রলোক ভাই। বছরের পর বছর রাতে ঘুমান না। চেষ্টা চালিয়েও কোনো কিছুই করতে পারেন না। দীর্ঘদিন ধরে এক ভদ্রমহিলা সকালে ঘুমিয়ে পড়েন। এভাবে অনেকেই ঘুমের সময় এদিক-ওদিক করেন। অনেকের কাছে শুনি, ঘুমের জন্য তপস্যা করি কিন্তু ঘুম নেই। ঘুম না আসার বিভিন্ন কারণ হতে পারে।
কেউ কেউ মানসিক যন্ত্রণায় ঘুমাতে পারে না। কারও শারীরিক অসুস্থতা আছে। কেউ সন্তানের কারণে রাত জেগে থাকেন। কেউ রাত জেগে ইবাদতে মশগুল থাকেন। অনেকে রাতে স্টাডি করে থাকেন। কাউকে কাউকে বলতে শুনি, ‘ঘুম আমার চরম শত্রু।’ আসলে সে সময় বুঝিনি।
অনেকেই আশায় আশায় রাত পার করেন, ‘যদি ঘুম আসে, গভীর ঘুম অথবা কাক্সিক্ষত ঘুম কার না প্রিয়।
ভদ্রমহিলাকে আমি চিনি। ছোটবেলা থেকেই জানি। মাতৃস্নেহে কথা বলেন। অত্যন্ত সাবলীল, জ্ঞানী ও শান্তিপ্রিয় একজন। প্রায়ই বলতেন ঘুম আসে না।
কেন খালা? কী সুন্দর সংসার আপনার? সুন্দর দুটি নাতি-নাতনি। এদের কথা মনে করবেন। ঘুম চলে আসবে। আমি দুটো ঘুমের ট্যাবলেট খাই। তবু ঘুম আসে না।
একটা বয়সে সবাই বাবা-মায়ের কথা বেশি মনে করে। ভাইবোনের কথা মনে হয়। অনেক স্মৃতি মনে পড়ে। হয়তো সেসব কিছু হবে।
খালা একটি কথা বলতেন-বিশ্রাম ঘুমের পরে, আর শান্তি মরণের পরে!!!
দীর্ঘ করোনা। মধ্যে যোগাযোগ বন্ধ। তাকে ছোটবেলা থেকে চিনি। মেয়ের মতো স্নেহ করতেন। মনের ইচ্ছে সামারিটা শেষ হোক-যোগাযোগ করব।
জানতে পারি-করোনায় আক্রান্ত, হসপিটালে ভর্তি। ছেলেকে বলি, আমার কথা বলো। আমি দোয়া করছি। আমি তাকে মনে করছি।
কিন্তু ছেলের সুযোগ হয়নি। চলে গেলেন। যেখানে সবার যেতে হবে।
সুন্দর কবিতা আবৃত্তি করতেন। বই পড়তেন। এখনো শুনতে পাই-
বিশ্রাম ঘুমের পরে
শান্তি মরণের পরে।
মহান সৃষ্টিকর্তা তাকে শান্তির ছায়ায় রাখুন। থাকে বলতে শুনতাম, আমার ঘুম আসে না-ঘুম আসে না-কেন যে ঘুম আসে না???
এখন তিনি চিরনিদ্রায়।
অথচ তিনি দিনের পর দিন, রাতের পর রাত চেষ্টা চালাতেন। প্রতীক্ষায় থাকতেন-কোথায় ঘুম???
আমার স্মৃতিতে নাড়া দেয়-
ঘুম আসে না!!!
লেখক : ফরমার অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাটর্নি জেনারেল, বাংলাদেশ। ঢাবির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থী। নিউইয়র্ক প্রবাসী।
কেউ কেউ মানসিক যন্ত্রণায় ঘুমাতে পারে না। কারও শারীরিক অসুস্থতা আছে। কেউ সন্তানের কারণে রাত জেগে থাকেন। কেউ রাত জেগে ইবাদতে মশগুল থাকেন। অনেকে রাতে স্টাডি করে থাকেন। কাউকে কাউকে বলতে শুনি, ‘ঘুম আমার চরম শত্রু।’ আসলে সে সময় বুঝিনি।
অনেকেই আশায় আশায় রাত পার করেন, ‘যদি ঘুম আসে, গভীর ঘুম অথবা কাক্সিক্ষত ঘুম কার না প্রিয়।
ভদ্রমহিলাকে আমি চিনি। ছোটবেলা থেকেই জানি। মাতৃস্নেহে কথা বলেন। অত্যন্ত সাবলীল, জ্ঞানী ও শান্তিপ্রিয় একজন। প্রায়ই বলতেন ঘুম আসে না।
কেন খালা? কী সুন্দর সংসার আপনার? সুন্দর দুটি নাতি-নাতনি। এদের কথা মনে করবেন। ঘুম চলে আসবে। আমি দুটো ঘুমের ট্যাবলেট খাই। তবু ঘুম আসে না।
একটা বয়সে সবাই বাবা-মায়ের কথা বেশি মনে করে। ভাইবোনের কথা মনে হয়। অনেক স্মৃতি মনে পড়ে। হয়তো সেসব কিছু হবে।
খালা একটি কথা বলতেন-বিশ্রাম ঘুমের পরে, আর শান্তি মরণের পরে!!!
দীর্ঘ করোনা। মধ্যে যোগাযোগ বন্ধ। তাকে ছোটবেলা থেকে চিনি। মেয়ের মতো স্নেহ করতেন। মনের ইচ্ছে সামারিটা শেষ হোক-যোগাযোগ করব।
জানতে পারি-করোনায় আক্রান্ত, হসপিটালে ভর্তি। ছেলেকে বলি, আমার কথা বলো। আমি দোয়া করছি। আমি তাকে মনে করছি।
কিন্তু ছেলের সুযোগ হয়নি। চলে গেলেন। যেখানে সবার যেতে হবে।
সুন্দর কবিতা আবৃত্তি করতেন। বই পড়তেন। এখনো শুনতে পাই-
বিশ্রাম ঘুমের পরে
শান্তি মরণের পরে।
মহান সৃষ্টিকর্তা তাকে শান্তির ছায়ায় রাখুন। থাকে বলতে শুনতাম, আমার ঘুম আসে না-ঘুম আসে না-কেন যে ঘুম আসে না???
এখন তিনি চিরনিদ্রায়।
অথচ তিনি দিনের পর দিন, রাতের পর রাত চেষ্টা চালাতেন। প্রতীক্ষায় থাকতেন-কোথায় ঘুম???
আমার স্মৃতিতে নাড়া দেয়-
ঘুম আসে না!!!
লেখক : ফরমার অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাটর্নি জেনারেল, বাংলাদেশ। ঢাবির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থী। নিউইয়র্ক প্রবাসী।