লক্ষ্মীপুরে আদালত চত্বরে জয় বাংলা স্লোগান দেওয়াকে কেন্দ্র করে হট্টগোলের সৃষ্টি হয়েছে। এ সময় পরান চৌধুরী নামের যুবলীগের এক কর্মীকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।
রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জেলা জজ আদালত প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে। সে সময় শুনানি শেষে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের কয়েক নেতাকে প্রিজন ভ্যানে করে কারাগারে নেওয়া হচ্ছিল।
আটক যুবলীগ কর্মী পরান পৌর শহরের ৩ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা সিরাজ উল্যার ছেলে। তিনি গত ৪ আগস্ট ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালানো যুবলীগ নেতা টিপুর অনুসারী বলে জানা যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, গত ৪ আগস্ট লক্ষ্মীপুরের চার শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় অভিযুক্ত আসামিদের জামিন শুনানির তারিখ ছিল রোববার। এ মামলায় সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হুমায়ুন কবীর পাটওয়ারী, লক্ষ্মীপুর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি সৈয়দ আহম্মদ পাটওয়ারী, জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহিন আলমসহ গ্রেপ্তার হওয়া আসামিদের কারাগারে নেওয়ার জন্য প্রিজন ভ্যানে ওঠাচ্ছিল পুলিশ। এ সময় জয় বাংলা স্লোগান দেন পরান। এতে আদালত প্রাঙ্গণে হট্টগোল সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে তাকে ধরে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
এ সময় বিএনপি ও জামায়াতপন্থী আইনজীবীরা বিক্ষোভ করেন। বিক্ষোভকারীরা সংক্ষিপ্ত সমাবেশে জয় বাংলা স্লোগান দিলেই প্রতিহত করাসহ পুলিশে সোপর্দের আহ্বান জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জজকোর্টের পিপি অ্যাডভোকেট আহমেদ ফেরদৌস মানিক, মহসিন কবির মুরাদ, মাহীর আসহাব প্রমুখ।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ওসি আব্দুল মোন্নাফ বলেন, আওয়ামী লীগের লিফলেট বিতরণকালে পরান নামের একজনকে আটক করা হয়। তিনি এখন পুলিশ হেফাজতে আছেন। তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তিনি ৪ আগস্টের ঘটনায় জড়িত আছেন কি না, তাও তদন্ত করা হবে।
ঠিকানা/এনআই
রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জেলা জজ আদালত প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে। সে সময় শুনানি শেষে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের কয়েক নেতাকে প্রিজন ভ্যানে করে কারাগারে নেওয়া হচ্ছিল।
আটক যুবলীগ কর্মী পরান পৌর শহরের ৩ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা সিরাজ উল্যার ছেলে। তিনি গত ৪ আগস্ট ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালানো যুবলীগ নেতা টিপুর অনুসারী বলে জানা যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, গত ৪ আগস্ট লক্ষ্মীপুরের চার শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় অভিযুক্ত আসামিদের জামিন শুনানির তারিখ ছিল রোববার। এ মামলায় সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হুমায়ুন কবীর পাটওয়ারী, লক্ষ্মীপুর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি সৈয়দ আহম্মদ পাটওয়ারী, জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহিন আলমসহ গ্রেপ্তার হওয়া আসামিদের কারাগারে নেওয়ার জন্য প্রিজন ভ্যানে ওঠাচ্ছিল পুলিশ। এ সময় জয় বাংলা স্লোগান দেন পরান। এতে আদালত প্রাঙ্গণে হট্টগোল সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে তাকে ধরে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
এ সময় বিএনপি ও জামায়াতপন্থী আইনজীবীরা বিক্ষোভ করেন। বিক্ষোভকারীরা সংক্ষিপ্ত সমাবেশে জয় বাংলা স্লোগান দিলেই প্রতিহত করাসহ পুলিশে সোপর্দের আহ্বান জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জজকোর্টের পিপি অ্যাডভোকেট আহমেদ ফেরদৌস মানিক, মহসিন কবির মুরাদ, মাহীর আসহাব প্রমুখ।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ওসি আব্দুল মোন্নাফ বলেন, আওয়ামী লীগের লিফলেট বিতরণকালে পরান নামের একজনকে আটক করা হয়। তিনি এখন পুলিশ হেফাজতে আছেন। তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তিনি ৪ আগস্টের ঘটনায় জড়িত আছেন কি না, তাও তদন্ত করা হবে।
ঠিকানা/এনআই