* নির্মিত হচ্ছে আরও ৬টি জেটি
* বৃদ্ধি পাবে কনটেইনার হ্যান্ডলিং সক্ষমতা
‘পণ্য হ্যান্ডলিংয়ের ক্ষেত্রে এসব জেটি পুরোপুরি প্রস্তুত হয়ে গেলে মোংলা বন্দর বড় অর্থনৈতিক হাব হবে’
-কমোডর মো. শফিকুল ইসলাম সরকার, পরিচালক, জেটি নির্মাণ প্রকল্প।
‘এসব প্রকল্প শেষ হলে বছরে এক কোটি ৫০ লাখ টন কার্গো, চার লাখ টিইইউজ কনটেইনার হ্যান্ডলিং সক্ষমতা তৈরি হবে। চলমান আরও দু’টি শেষ হলে বছরে আরও দুই লাখ টিইইউজ কনটেইনার হ্যান্ডলিং সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে’
-রিয়ার অ্যাডমিরাল শাহীন রহমান, চেয়ারম্যান, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ।
বাড়ানো হচ্ছে মোংলা বন্দরের পরিধি। সক্ষমতা বৃদ্ধি ও অর্থনৈতিক হাব তৈরির পরিকল্পনা নিয়ে মোংলা বন্দর উন্নয়নে নির্মিত হচ্ছে আরও ছয়টি জেটি। জেটিগুলো নির্মাণ সম্পন্ন হলে একদিকে যেমন বাড়বে বন্দরের সক্ষমতা অন্যদিকে ব্যবহারকারীরাও পাবেন নিরবচ্ছিন্ন সেবা। কমে আসবে কন্টেইনার খালাসের সময়ও। এরই মধ্যে বন্দরের ৩ ও ৪ নম্বর জেটির নির্মাণ কাজ প্রায় ৬২ শতাংশ শেষ হয়েছে। এ দুটি জেটি নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ৮০০ কোটি টাকা। ওন্যদিকে ১ ও ২ নম্বর জেটি নির্মাণ একনেক অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। এছাড়া ১১ ও ১২ নম্বর জেটি নির্মাণের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছেন বন্দর কর্তৃপক্ষ।
বন্দর সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন থেকেই তিন দশকের পুরানো ও ঝুঁকিপূর্ণ অপারেশন যন্ত্রপাতি দিয়ে চলছিল মোংলা বন্দরের কার্গো ও কন্টেইনার হ্যান্ডেলিং। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর বন্দেরকে কেন্দ্র করে ব্যবসা-বাণিজ্য আরও বাড়তে থাকলে এ বন্দরের পণ্য হ্যান্ডলিংয়ে সংযোজন করা হয় আধুনিক যন্ত্রপাতি। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ভৌগোলিক দিক দিয়ে মোংলা বন্দর অনেক বেশি কৌশলগত ও সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে। দেশের সমগ্র দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল, নেপাল, ভুটান ও ভারতের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোর এ বন্দরের মাধ্যমে মালামাল পরিবহন হয়। এক পর্যায়ে এ বন্দরের চাপ বেড়ে যাওয়ায় এর সম্প্রসারণ জরুরি হয়ে পড়ে। এমন অবস্থায় বন্দরের সক্ষমতা বাড়াতে নতুন ছয়টি জেটি নির্মাণের উদ্যোগ নেয় বন্দর কর্তৃপক্ষ। এরমধ্যে ৮০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন ৩ ও ৪ নম্বর জেটির কাজ শেষ হয়েছে প্রায় ৬২ শতাংশ। এছাড়া ১ ও ২ নম্বর জেটি নির্মাণে চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ নির্বাহী কমিটি বা একনেকে। ইতোমধ্যে ১১ ও ১২ নম্বর জেটি নির্মাণের পরিকল্পনাও বাস্তবায়ন করছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। জেটিগুলো পুরোপুরি নির্মাণ হলে বন্দরের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে পণ্য হ্যান্ডলিংয়ের কাজে গতি পাবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।
এদিকে নির্মাণাধীন ৩ ও ৪ নম্বর জেটিসহ ছয়টি জেটি নির্মাণ কাজ শেষ হলে মোংলা বন্দরের সক্ষমতা আরও কয়েকগুণ বাড়বে। এছাড়া পণ্যের চাপ সামলানো এবং আন্তর্জাতিকভাবে এর প্রসারও ঘটবে বলছেন বন্দর কর্তৃপক্ষ। এসব প্রকল্প শেষ হলে বছরে এক কোটি ৫০ লাখ টন কার্গো, চার লাখ টিইইউজ কনটেইনার হ্যান্ডলিং সক্ষমতা তৈরি হবে। এছাড়া বন্দরে চলমান দুটি জেটির নির্মাণকাজ শেষ হলে বছরে আরও দুই লাখ টিইইউজ কনটেইনার হ্যান্ডলিং সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। এতে অর্থনৈতিক হাবে পরিণত হতে পারে বন্দরটি। এই সুবিধা নিতে মুখিয়ে আছেন বন্দর সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরাও। এখান থেকে সরকারের আয়ও বহুগুণ বাড়বে বলে জানাচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা।
এ বিষয়ে মোংলা বন্দর ব্যবহারকারী ব্যবসায়ী শেখ ফরিদুল ইসলাম বলেন, মোংলা বন্দরে যদি জেটির সংখ্যা বাড়ানো হয়, তাহলে জাহাজ চলাচল এবং পণ্য হ্যান্ডেলিং পরিমাণ বাড়বে। এতে একদিকে যেমন বন্দর অর্থনৈতিকভাবে উপকৃত হবে অন্যদিকে ব্যবসায়ীরাও এ বন্দর দিয়ে বিভিন্ন ধরণের পণ্য সহজে খালাস করতে পারবে। এছাড়া বন্দরে পণ্য ওঠা-নামার ক্ষেত্রে যে জটিলতা দেখা দেয় সেটি কমে আসবে এবং বন্দরের সক্ষমতা অনেক বেশি বৃদ্ধি পাবে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (হারবার ও মেরিন) ও জেটি নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক কমডোর মো. শফিকুল ইসলাম সরকার বলেন, পণ্য হ্যান্ডলিংয়ের ক্ষেত্রে এসব জেটিগুলো পুরোপুরি প্রস্তুত হয়ে গেলে মোংলা বন্দর বড় অর্থনৈতিক হাব হবে। এ ছয়টি জেটির নির্মাণ কাজ শেষ হলে মোংলা বন্দরে সার্বিক কার্যক্রম গতিশীল হবে। বন্দরে মাঝে মাঝে যে জট হয়, সেটি থাকবে না। কন্টেইনার এবং অন্যান্য কার্গো হ্যান্ডলিংয়ে একটা ইতিবাচক পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাবে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল শাহীন রহমান বলেন, এসব প্রকল্প শেষ হলে বছরে এক কোটি ৫০ লাখ টন কার্গো, চার লাখ টিইইউজ কনটেইনার হ্যান্ডলিং সক্ষমতা তৈরি হবে। চলমান আরও দু’টি শেষ হলে বছরে আরও দুই লাখ টিইইউজ কনটেইনার হ্যান্ডলিং সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।
* বৃদ্ধি পাবে কনটেইনার হ্যান্ডলিং সক্ষমতা
‘পণ্য হ্যান্ডলিংয়ের ক্ষেত্রে এসব জেটি পুরোপুরি প্রস্তুত হয়ে গেলে মোংলা বন্দর বড় অর্থনৈতিক হাব হবে’
-কমোডর মো. শফিকুল ইসলাম সরকার, পরিচালক, জেটি নির্মাণ প্রকল্প।
‘এসব প্রকল্প শেষ হলে বছরে এক কোটি ৫০ লাখ টন কার্গো, চার লাখ টিইইউজ কনটেইনার হ্যান্ডলিং সক্ষমতা তৈরি হবে। চলমান আরও দু’টি শেষ হলে বছরে আরও দুই লাখ টিইইউজ কনটেইনার হ্যান্ডলিং সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে’
-রিয়ার অ্যাডমিরাল শাহীন রহমান, চেয়ারম্যান, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ।
বাড়ানো হচ্ছে মোংলা বন্দরের পরিধি। সক্ষমতা বৃদ্ধি ও অর্থনৈতিক হাব তৈরির পরিকল্পনা নিয়ে মোংলা বন্দর উন্নয়নে নির্মিত হচ্ছে আরও ছয়টি জেটি। জেটিগুলো নির্মাণ সম্পন্ন হলে একদিকে যেমন বাড়বে বন্দরের সক্ষমতা অন্যদিকে ব্যবহারকারীরাও পাবেন নিরবচ্ছিন্ন সেবা। কমে আসবে কন্টেইনার খালাসের সময়ও। এরই মধ্যে বন্দরের ৩ ও ৪ নম্বর জেটির নির্মাণ কাজ প্রায় ৬২ শতাংশ শেষ হয়েছে। এ দুটি জেটি নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ৮০০ কোটি টাকা। ওন্যদিকে ১ ও ২ নম্বর জেটি নির্মাণ একনেক অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। এছাড়া ১১ ও ১২ নম্বর জেটি নির্মাণের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছেন বন্দর কর্তৃপক্ষ।
বন্দর সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন থেকেই তিন দশকের পুরানো ও ঝুঁকিপূর্ণ অপারেশন যন্ত্রপাতি দিয়ে চলছিল মোংলা বন্দরের কার্গো ও কন্টেইনার হ্যান্ডেলিং। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর বন্দেরকে কেন্দ্র করে ব্যবসা-বাণিজ্য আরও বাড়তে থাকলে এ বন্দরের পণ্য হ্যান্ডলিংয়ে সংযোজন করা হয় আধুনিক যন্ত্রপাতি। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ভৌগোলিক দিক দিয়ে মোংলা বন্দর অনেক বেশি কৌশলগত ও সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে। দেশের সমগ্র দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল, নেপাল, ভুটান ও ভারতের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোর এ বন্দরের মাধ্যমে মালামাল পরিবহন হয়। এক পর্যায়ে এ বন্দরের চাপ বেড়ে যাওয়ায় এর সম্প্রসারণ জরুরি হয়ে পড়ে। এমন অবস্থায় বন্দরের সক্ষমতা বাড়াতে নতুন ছয়টি জেটি নির্মাণের উদ্যোগ নেয় বন্দর কর্তৃপক্ষ। এরমধ্যে ৮০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন ৩ ও ৪ নম্বর জেটির কাজ শেষ হয়েছে প্রায় ৬২ শতাংশ। এছাড়া ১ ও ২ নম্বর জেটি নির্মাণে চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ নির্বাহী কমিটি বা একনেকে। ইতোমধ্যে ১১ ও ১২ নম্বর জেটি নির্মাণের পরিকল্পনাও বাস্তবায়ন করছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। জেটিগুলো পুরোপুরি নির্মাণ হলে বন্দরের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে পণ্য হ্যান্ডলিংয়ের কাজে গতি পাবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।
এদিকে নির্মাণাধীন ৩ ও ৪ নম্বর জেটিসহ ছয়টি জেটি নির্মাণ কাজ শেষ হলে মোংলা বন্দরের সক্ষমতা আরও কয়েকগুণ বাড়বে। এছাড়া পণ্যের চাপ সামলানো এবং আন্তর্জাতিকভাবে এর প্রসারও ঘটবে বলছেন বন্দর কর্তৃপক্ষ। এসব প্রকল্প শেষ হলে বছরে এক কোটি ৫০ লাখ টন কার্গো, চার লাখ টিইইউজ কনটেইনার হ্যান্ডলিং সক্ষমতা তৈরি হবে। এছাড়া বন্দরে চলমান দুটি জেটির নির্মাণকাজ শেষ হলে বছরে আরও দুই লাখ টিইইউজ কনটেইনার হ্যান্ডলিং সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। এতে অর্থনৈতিক হাবে পরিণত হতে পারে বন্দরটি। এই সুবিধা নিতে মুখিয়ে আছেন বন্দর সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরাও। এখান থেকে সরকারের আয়ও বহুগুণ বাড়বে বলে জানাচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা।
এ বিষয়ে মোংলা বন্দর ব্যবহারকারী ব্যবসায়ী শেখ ফরিদুল ইসলাম বলেন, মোংলা বন্দরে যদি জেটির সংখ্যা বাড়ানো হয়, তাহলে জাহাজ চলাচল এবং পণ্য হ্যান্ডেলিং পরিমাণ বাড়বে। এতে একদিকে যেমন বন্দর অর্থনৈতিকভাবে উপকৃত হবে অন্যদিকে ব্যবসায়ীরাও এ বন্দর দিয়ে বিভিন্ন ধরণের পণ্য সহজে খালাস করতে পারবে। এছাড়া বন্দরে পণ্য ওঠা-নামার ক্ষেত্রে যে জটিলতা দেখা দেয় সেটি কমে আসবে এবং বন্দরের সক্ষমতা অনেক বেশি বৃদ্ধি পাবে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (হারবার ও মেরিন) ও জেটি নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক কমডোর মো. শফিকুল ইসলাম সরকার বলেন, পণ্য হ্যান্ডলিংয়ের ক্ষেত্রে এসব জেটিগুলো পুরোপুরি প্রস্তুত হয়ে গেলে মোংলা বন্দর বড় অর্থনৈতিক হাব হবে। এ ছয়টি জেটির নির্মাণ কাজ শেষ হলে মোংলা বন্দরে সার্বিক কার্যক্রম গতিশীল হবে। বন্দরে মাঝে মাঝে যে জট হয়, সেটি থাকবে না। কন্টেইনার এবং অন্যান্য কার্গো হ্যান্ডলিংয়ে একটা ইতিবাচক পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাবে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল শাহীন রহমান বলেন, এসব প্রকল্প শেষ হলে বছরে এক কোটি ৫০ লাখ টন কার্গো, চার লাখ টিইইউজ কনটেইনার হ্যান্ডলিং সক্ষমতা তৈরি হবে। চলমান আরও দু’টি শেষ হলে বছরে আরও দুই লাখ টিইইউজ কনটেইনার হ্যান্ডলিং সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।