ট্রাম্পের শপথ গ্রহণ

প্রকাশ : ২৯ জানুয়ারী ২০২৫, ১৯:৩৬ , অনলাইন ভার্সন
ডোনাল্ড জে. ট্রাম্প গত ২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন। শপথ গ্রহণের পর প্রায় ৩০ মিনিটের ভাষণে তিনি বলেন, আজ থেকে শুরু হলো যুক্তরাষ্ট্রের সোনালি যুগ। যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকেরা পেলেন নতুন স্বাধীনতা। তিনি শপথ নেওয়ার প্রথম দিনেই রেকর্ডসংখ্যক নির্বাহী আদেশ জারি করেন, যার সংখ্যা প্রায় ২০০। এসব নির্বাহী আদেশের মধ্যে অন্যতম ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল হিলের দাঙ্গায় আটক প্রায় ৫০০ আসামিকে মুক্তি দিয়েছে। আমেরিকান-মেক্সিকোর দক্ষিণ সীমান্তে বিদেশিদের অনুপ্রবেশ বন্ধে জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে কোনো অবৈধ অভিবাসীর সন্তান জন্মগ্রহণ করলে সে জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব লাভ করবে না বলে আদেশ জারি। জ্বালানি জরুরি অবস্থা জারি। প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে আবার সরে এসেছে যুক্তরাষ্ট্র। ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন। বাইডেন ২০২০ সালে নির্বাচিত হলে যুক্তরাষ্ট্র আবার জলবায়ু চুক্তিতে যোগ দেয়।
ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ, প্রতিনিধি ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক কয়েকজন রাষ্ট্র্রপতিও অংশ নেন। 
এদিকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন ফ্লোরিডার সিনেটর সার্চ রুবিওকে। তিনি আরও বেশি কট্টর রিপাবলিকান। তিনি নিয়োগ পেয়েই যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতি হিসেবে বলেছেন, এমন নীতি গ্রহণ করবেন, যা যুক্তরাষ্ট্রকে আরও শক্তিশালী, আরও নিরাপদ এবং আরও লাভবান করবে। 
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের আমেরিকাকে আরও মহৎ করার অঙ্গীকার আর তার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্ক রুবিওর আমেরিকাকে নিরাপদ ও লাভবান করার অভিপ্রায় দুই-ই এক। প্রেসিডেন্ট আর পররাষ্ট্রমন্ত্রীর একই অর্থবহ ঘোষণা আমেরিকার স্বার্থ কতটা রক্ষা করতে পারবে, যুক্তরাষ্ট্রকে কতটা মহাপরাক্রমশালী রাষ্ট্রে পরিণত করতে পারবে, তা ভবিষ্যৎই বলতে পারবে। কিন্তু আমেরিকার যে মূল পরিচয়, আমেরিকা বিশ্বের সব স্বপ্নহীন মানুষের স্বপ্ন, আশাহীন মানুষের আশা, সে পরিচয়ে নিশ্চয় মালিন্য লাগবে। সেই মহত্ত্বের আলো নিষ্প্রভ হয়ে আসবে আড়াই শ বছর ধরে যে পরিচয়, যুক্তরাষ্ট্র ইমিগ্র্যান্টদের দেশ গর্বের সঙ্গে বহন করে আসছে, সে পরিচয়ে কিছুটা হলেও কালিমা লাগবে নয় কি?
সবারই প্রত্যাশা, প্রথম টার্মে যা-ই ঘটুক, দ্বিতীয় টার্মে প্রেসিডেন্ট মূল পরিচয়কে গুরুত্ব দেবেন। আমেরিকার সব মানুষকে ভালোবাসা দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে শক্তিশালী করে তুলবেন। সেখানেই আমেরিকার নিরাপত্তা মজবুত হবে। নতুন যুক্তরাষ্ট্র বিনির্মাণ সহজ হবে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে অভিনন্দন।
 
M M Shahin, Chairman Board of Editors, Thikana

Corporate Headquarter :

THIKANA : 7409 37th Ave suite 403

Jackson Heights, NY 11372

Phone : 718-472-0700/2428, 718-729-6000
Fax: + 1(866) 805-8806



Bangladesh Bureau : THIKANA : 70/B, Green Road, (Panthapath),
5th Floor, Dhaka- 1205, Bangladesh.
Mobile: +880  1338-950041