যখন স্কুলে পড়ি, একটি গান গাইতাম। ইংরেজিতে গাইতাম। বাংলায়ও গাইতাম। চমৎকার সে গান। সহপাঠীরা মিলে গাইতাম। আরও অনেকের কণ্ঠেই শুনতাম। অনেক বড় বড় নেতা গানটির অর্থ বলেন। সম্ভবত এর ঐতিহাসিক পটভূমি আছে। অনেকেরই সেসব জানা। যখন কলেজে পড়ি, টিভিতে একটি প্রোগ্রাম দেখি। প্রতিবন্ধীদের নিয়ে প্রোগ্রাম। শিশু-কিশোরের মুখে হাসি। অব্যর্থ কণ্ঠে গাইছে...
‘আমরা করব জয়
..............................
...............................
একদিন .............
আহা বুকের গভীরে আছে প্রত্যয়
..................... একদিন।
অনেক দিন পর আমার গানটি মনে পড়ে গেল। সালাম গাইডের সদস্য ছিলেন। গাইডের বান্ধবীরাও মাঝেমধ্যে গানটি গাইত। কী চমৎকার শব্দগুলো। গানের সুর আরও চমৎকার। প্রতিবন্ধী শিশু। একবুক আশা। কোনো ভয় নেই। হাতে হাত রেখে চলছে। আত্মবিশ্বাস নিয়ে এগোচ্ছে। সাম্যের আর সত্যের জয় দেখবে। সেই প্রোগ্রাম আমার স্মৃতিতে এখনো উজ্জ্বল।
দীর্ঘ ১৫ মাস। ফিলিস্তিন-ইসরায়েল যুদ্ধ অনেক অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা। অমানবিক ঘটনা। নিষ্ঠুরতা-বর্বরতা বিশ্ববাসীকে কাঁদিয়েছে। যুদ্ধ মানেই অনেক অনিশ্চয়তা, অনির্ভরতা, অপ্রিয় দ্বন্দ্ব আর প্রশ্নের মুখোমুখি। অবশেষে ফিলিস্তিন-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি। বিশ্ববাসীর দাবি এই যুদ্ধের অবসান। বিশ্বনেতাদের অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা। এই পদক্ষেপ অবশ্যই প্রশংসনীয়। ইতিহাসের আদি পর্বে অনেক দানবের প্রতাপ ছিল। দুঃসহ দ্বন্দ্ব ছিল এবং ছিল অন্ধ ঈর্ষা আর অহংকার। এখন উদার নয়ন। সে দৃশ্য মহান। সেটি আরও আগে হলে আরও ভালো হবে। সেটি হয়নি, কারণ প্রতিটি দেশের ভিন্ন পররাষ্ট্রনীতি। তার পরও আশা পূর্ণ চেষ্টা কখনো নিষ্ফল হবে না। এই যাত্রায় বিশ্ব মানবজাতি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ থেকে রক্ষা পেল। আনন্দের উচ্ছ্বাস। বিশ্বব্যাপী আনন্দ। দু’পক্ষই আনন্দিত। আপনজনকে ফিরে পাওয়া অনেক বড় প্রাপ্তি। অবশেষে ফিলিস্তিনিদের চোখেমুখে স্বপ্ন। বাঁধভাঙা জোয়ার। মাতৃভূমির প্রতি ভালোবাসা, উৎসাহ-উদ্দীপনা। এসব শিশু-কিশোর সেই গানটি গাইছে। বিশ্বাস জেগে উঠছে। আর ধ্বংসের দিন দেখতে হবে না।
আমি এই মুহূর্তে যা দেখতে পাইÑসূর্যের ভোর-সত্যের ভোর ফিরে পেয়েছে। টিভিতে যা দেখিÑআমারও কেন জানি ইচ্ছে হয়, এই আনন্দে আমিও যদি থাকতে পারতাম। ফিলিস্তিনি শিশুরা নতুনের অপেক্ষায়, সৃষ্টির অপেক্ষায় দিন গুনছে। এই ফিলিস্তিনি শিশু-কিশোরদের কণ্ঠে শুনছি সেই গান, যে গানটি আমার খুব প্রিয়। একসময় গাইতাম। অপেক্ষা করছি। ফিলিস্তিনি শিশুরা প্রলয়ঙ্করী সাজে আর কাউকে দেখবে না। করুণ খেলায় জিম্মি হয়ে থাকবে না। চিরচেনা আবাসভূমিÑঅতীত-বর্তমান সবই চেনা। আর প্রতীক্ষা সুদূর ভবিষ্যৎ-
We Shall over come
We Shall over come
.................. Someday
..................................
..................................
..................................
We shall live in peace
..................................
We shall live in peace Someday
আনন্দ-শান্তি এসব শিশুকে ঘিরে থাকুক।
লেখক : ফরমার অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাটর্নি জেনারেল বাংলাদেশ, ঢাবির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থী, নিউইয়র্ক প্রবাসী।
‘আমরা করব জয়
..............................
...............................
একদিন .............
আহা বুকের গভীরে আছে প্রত্যয়
..................... একদিন।
অনেক দিন পর আমার গানটি মনে পড়ে গেল। সালাম গাইডের সদস্য ছিলেন। গাইডের বান্ধবীরাও মাঝেমধ্যে গানটি গাইত। কী চমৎকার শব্দগুলো। গানের সুর আরও চমৎকার। প্রতিবন্ধী শিশু। একবুক আশা। কোনো ভয় নেই। হাতে হাত রেখে চলছে। আত্মবিশ্বাস নিয়ে এগোচ্ছে। সাম্যের আর সত্যের জয় দেখবে। সেই প্রোগ্রাম আমার স্মৃতিতে এখনো উজ্জ্বল।
দীর্ঘ ১৫ মাস। ফিলিস্তিন-ইসরায়েল যুদ্ধ অনেক অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা। অমানবিক ঘটনা। নিষ্ঠুরতা-বর্বরতা বিশ্ববাসীকে কাঁদিয়েছে। যুদ্ধ মানেই অনেক অনিশ্চয়তা, অনির্ভরতা, অপ্রিয় দ্বন্দ্ব আর প্রশ্নের মুখোমুখি। অবশেষে ফিলিস্তিন-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি। বিশ্ববাসীর দাবি এই যুদ্ধের অবসান। বিশ্বনেতাদের অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা। এই পদক্ষেপ অবশ্যই প্রশংসনীয়। ইতিহাসের আদি পর্বে অনেক দানবের প্রতাপ ছিল। দুঃসহ দ্বন্দ্ব ছিল এবং ছিল অন্ধ ঈর্ষা আর অহংকার। এখন উদার নয়ন। সে দৃশ্য মহান। সেটি আরও আগে হলে আরও ভালো হবে। সেটি হয়নি, কারণ প্রতিটি দেশের ভিন্ন পররাষ্ট্রনীতি। তার পরও আশা পূর্ণ চেষ্টা কখনো নিষ্ফল হবে না। এই যাত্রায় বিশ্ব মানবজাতি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ থেকে রক্ষা পেল। আনন্দের উচ্ছ্বাস। বিশ্বব্যাপী আনন্দ। দু’পক্ষই আনন্দিত। আপনজনকে ফিরে পাওয়া অনেক বড় প্রাপ্তি। অবশেষে ফিলিস্তিনিদের চোখেমুখে স্বপ্ন। বাঁধভাঙা জোয়ার। মাতৃভূমির প্রতি ভালোবাসা, উৎসাহ-উদ্দীপনা। এসব শিশু-কিশোর সেই গানটি গাইছে। বিশ্বাস জেগে উঠছে। আর ধ্বংসের দিন দেখতে হবে না।
আমি এই মুহূর্তে যা দেখতে পাইÑসূর্যের ভোর-সত্যের ভোর ফিরে পেয়েছে। টিভিতে যা দেখিÑআমারও কেন জানি ইচ্ছে হয়, এই আনন্দে আমিও যদি থাকতে পারতাম। ফিলিস্তিনি শিশুরা নতুনের অপেক্ষায়, সৃষ্টির অপেক্ষায় দিন গুনছে। এই ফিলিস্তিনি শিশু-কিশোরদের কণ্ঠে শুনছি সেই গান, যে গানটি আমার খুব প্রিয়। একসময় গাইতাম। অপেক্ষা করছি। ফিলিস্তিনি শিশুরা প্রলয়ঙ্করী সাজে আর কাউকে দেখবে না। করুণ খেলায় জিম্মি হয়ে থাকবে না। চিরচেনা আবাসভূমিÑঅতীত-বর্তমান সবই চেনা। আর প্রতীক্ষা সুদূর ভবিষ্যৎ-
We Shall over come
We Shall over come
.................. Someday
..................................
..................................
..................................
We shall live in peace
..................................
We shall live in peace Someday
আনন্দ-শান্তি এসব শিশুকে ঘিরে থাকুক।
লেখক : ফরমার অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাটর্নি জেনারেল বাংলাদেশ, ঢাবির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থী, নিউইয়র্ক প্রবাসী।