
স্যাঙ্কুয়ারি সিটি হওয়ায় অনেকের ধারণা- নিউইয়র্কে অবৈধ অভিবাসী গ্রেপ্তারে অভিযান পরিচালনা করা হবে না। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ইমিগ্রেশন ক্র্যাকডাউনে সব পাল্টে গেছে। বরং নিউইয়র্ক সিটির বিভিন্ন স্থানে ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফার্সমেন্টের (আইসিই) অভিযানের খবর পাওয়া গেছে। ২৬ জানুয়ারি রোববার থেকে যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে অবৈধ অভিবাসী গ্রেপ্তারে ধরপাকড় শুরু হয়। গত তিন দিনে সারা দেশে প্রায় তিন হাজার ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। তবে এর আগেও বিভিন্ন স্থানে ধরপাকড় শুরু করে বিভিন্ন সংস্থা। কিন্তু সেগুলো নিয়মিত অভিযানের অংশ ছিল। একইসাথে কিছু খবর সঠিক নয়, বরং অতিরঞ্জিত ছিল বলে জানা গেছে।
গত ২২ জানুয়ারি বুধবার ঢাকার বেশ কয়েকটি দৈনিক সংবাদপত্রে গ্রেপ্তার সংক্রান্ত একটি খবর প্রকাশের পর নিউইয়র্ক প্রবাসী বাংলাদেশিদের মাঝে নানা প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা প্রেস-এর এক তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়- গত চার দিনে নিউইয়র্কের ব্রুকলিন কিংবা অন্য স্থান থেকে কোন বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করেনি ফেডারেল আইন প্রয়োগকারী এবং ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই) এজেন্টরা।
প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়েছে- যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প শপথ গ্রহণের পর থেকে আতঙ্কে আছেন নথিপত্রহীন অবৈধ অভিবাসীরা। নথিপত্রহীন বাংলাদেশিরাও একইভাবে দুশ্চিন্তায়। কারণ ২০ জানুয়ারি ট্রাম্প শপথ গ্রহণের পর থেকে নথিপত্রহীন অভিবাসীদের ধারপাকড়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন রাজ্যে অভিযান শুরু হয়েছে। নিউ ইয়র্কের ব্রুকলিন বরোর ফুলটন এলাকা থেকে চার বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করেছে ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস ইনফোর্সমেন্ট (আইস)।
এ খবর প্রকাশের পর অনেক প্রবাসী সংবাদটি সঠিক নয় বলে দাবি করেন। তারা স্থানীয় ফুলটন এলাকাবাসীদের সঙ্গে কথাও বলেছেন। কিন্তু কেউ কোন সঠিক তথ্য দিতে পারেননি। এ ধরণের গ্রেপ্তারের খবর সবার আগে প্রকাশিত হয় নিউইয়র্ক পোস্ট, ডেইলি নিউজসহ নিউইয়র্কের বিভিন্ন মিডিয়ায়। কিন্তু তিনদিন পার হলেও এখন পর্যন্ত নিউইয়র্কের কোন পত্রিকা এ ধরণের কোনো সংবাদ প্রকাশ করেনি।
নিউইয়র্ক প্রবাসী বাংলাদেশি অ্যাক্টিভিস্ট নাসির খান পল তার ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন- ‘একটা নিউজ বাজারে ঘোরাফেরা করছে যে ১০০-১৫০ বাঙালি ব্রুকলিন থেকে এ অ্যারেস্ট হয়েছে। এইটা একেবারে ভূয়া।কারণ এইমাত্র নিউজ সমস্ত আমেরিকায় শিকাগোসহ ৩০০ জন অ্যারেস্ট হয়েছে। কেমন করে শুধু বাঙালি এতজন অ্যারেস্ট হয়? কাগজ বিক্রি হবার ফন্দি। আমি লক্ষ্য করছি বাঙালি বেশ কয়জন ল-ইয়ার অসহায় অবৈধ্যদের ভয় দেখিয়ে কিছু টাকা কামানোর জন্য ধান্ধা শুরু করেছে। বলছে সবকে ধরে পাঠিয়ে দেবে জলদি করে আমাদের কাছে আসেন, কাগজ ঠিক করে আবেদন করেন। যারা অসহায় মানুষের দুর্বলতা নিয়ে টাকা কামানোর ধান্ধা করে, তাদের কি বলবেন? আপনারা যারা অবৈধ রয়েছেন, ভয় না পেয়ে কোনমতে রাজনৈতিক আশ্রয়ের জন্য আবেদন করেন। আপনি কোন অপরাধ না করলে সহজে যেতে হবে না।’
শুধু তাই নয় যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল আইন প্রয়োগকারী এবং ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই) এজেন্টরা সাত অঙ্গরাজ্য থেকে তিন দিনে প্রায় ৫৩৮ অনথিভুক্ত অভিবাসীকে গ্রেপ্তার ও ৩৭৩ কে আটক করেছে। যাদের বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগ রয়েছে বিশেষত নিউ ইয়র্ক এবং নিউ জার্সি, বোস্টন, ডেনভার, ফিলাডেলফিয়া, আটলান্টা, সিয়াটল, মিয়ামি এবং ওয়াশিংটন, ডিসির মতো স্যাংচুয়ারি শহরগুলোতে। এদের তালিকায়ও নেই কোন বাংলাদেশি।
নিউইয়র্কে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ছিল এল সালভাদরের একজন এমএস-১৩ গ্যাং সদস্য। তিনি জ্যামাইকার বাসিন্দা। যিনি যৌন হয়রানির অভিযোগে অভিযুক্ত। হন্ডুরাসের একজন নাগরিক যিনি মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানোর দায়ে অভিযুক্ত।
তবে, ২৬ জানুয়ারি রোববার থেকে নিউইয়র্ক সিটির বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাচ্ছে আইসিই। তবে কতজন গ্রেপ্তার হয়েছে তার সঠিক পরিসংখ্যান জানা যায়নি। আর যাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে তাদের ক্রিমিনাল ব্যাকগ্রাউন্ড রয়েছে বলে জানা গেছে।
গত ২২ জানুয়ারি বুধবার ঢাকার বেশ কয়েকটি দৈনিক সংবাদপত্রে গ্রেপ্তার সংক্রান্ত একটি খবর প্রকাশের পর নিউইয়র্ক প্রবাসী বাংলাদেশিদের মাঝে নানা প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা প্রেস-এর এক তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়- গত চার দিনে নিউইয়র্কের ব্রুকলিন কিংবা অন্য স্থান থেকে কোন বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করেনি ফেডারেল আইন প্রয়োগকারী এবং ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই) এজেন্টরা।
প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়েছে- যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প শপথ গ্রহণের পর থেকে আতঙ্কে আছেন নথিপত্রহীন অবৈধ অভিবাসীরা। নথিপত্রহীন বাংলাদেশিরাও একইভাবে দুশ্চিন্তায়। কারণ ২০ জানুয়ারি ট্রাম্প শপথ গ্রহণের পর থেকে নথিপত্রহীন অভিবাসীদের ধারপাকড়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন রাজ্যে অভিযান শুরু হয়েছে। নিউ ইয়র্কের ব্রুকলিন বরোর ফুলটন এলাকা থেকে চার বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করেছে ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস ইনফোর্সমেন্ট (আইস)।
এ খবর প্রকাশের পর অনেক প্রবাসী সংবাদটি সঠিক নয় বলে দাবি করেন। তারা স্থানীয় ফুলটন এলাকাবাসীদের সঙ্গে কথাও বলেছেন। কিন্তু কেউ কোন সঠিক তথ্য দিতে পারেননি। এ ধরণের গ্রেপ্তারের খবর সবার আগে প্রকাশিত হয় নিউইয়র্ক পোস্ট, ডেইলি নিউজসহ নিউইয়র্কের বিভিন্ন মিডিয়ায়। কিন্তু তিনদিন পার হলেও এখন পর্যন্ত নিউইয়র্কের কোন পত্রিকা এ ধরণের কোনো সংবাদ প্রকাশ করেনি।
নিউইয়র্ক প্রবাসী বাংলাদেশি অ্যাক্টিভিস্ট নাসির খান পল তার ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন- ‘একটা নিউজ বাজারে ঘোরাফেরা করছে যে ১০০-১৫০ বাঙালি ব্রুকলিন থেকে এ অ্যারেস্ট হয়েছে। এইটা একেবারে ভূয়া।কারণ এইমাত্র নিউজ সমস্ত আমেরিকায় শিকাগোসহ ৩০০ জন অ্যারেস্ট হয়েছে। কেমন করে শুধু বাঙালি এতজন অ্যারেস্ট হয়? কাগজ বিক্রি হবার ফন্দি। আমি লক্ষ্য করছি বাঙালি বেশ কয়জন ল-ইয়ার অসহায় অবৈধ্যদের ভয় দেখিয়ে কিছু টাকা কামানোর জন্য ধান্ধা শুরু করেছে। বলছে সবকে ধরে পাঠিয়ে দেবে জলদি করে আমাদের কাছে আসেন, কাগজ ঠিক করে আবেদন করেন। যারা অসহায় মানুষের দুর্বলতা নিয়ে টাকা কামানোর ধান্ধা করে, তাদের কি বলবেন? আপনারা যারা অবৈধ রয়েছেন, ভয় না পেয়ে কোনমতে রাজনৈতিক আশ্রয়ের জন্য আবেদন করেন। আপনি কোন অপরাধ না করলে সহজে যেতে হবে না।’
শুধু তাই নয় যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল আইন প্রয়োগকারী এবং ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই) এজেন্টরা সাত অঙ্গরাজ্য থেকে তিন দিনে প্রায় ৫৩৮ অনথিভুক্ত অভিবাসীকে গ্রেপ্তার ও ৩৭৩ কে আটক করেছে। যাদের বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগ রয়েছে বিশেষত নিউ ইয়র্ক এবং নিউ জার্সি, বোস্টন, ডেনভার, ফিলাডেলফিয়া, আটলান্টা, সিয়াটল, মিয়ামি এবং ওয়াশিংটন, ডিসির মতো স্যাংচুয়ারি শহরগুলোতে। এদের তালিকায়ও নেই কোন বাংলাদেশি।
নিউইয়র্কে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ছিল এল সালভাদরের একজন এমএস-১৩ গ্যাং সদস্য। তিনি জ্যামাইকার বাসিন্দা। যিনি যৌন হয়রানির অভিযোগে অভিযুক্ত। হন্ডুরাসের একজন নাগরিক যিনি মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানোর দায়ে অভিযুক্ত।
তবে, ২৬ জানুয়ারি রোববার থেকে নিউইয়র্ক সিটির বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাচ্ছে আইসিই। তবে কতজন গ্রেপ্তার হয়েছে তার সঠিক পরিসংখ্যান জানা যায়নি। আর যাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে তাদের ক্রিমিনাল ব্যাকগ্রাউন্ড রয়েছে বলে জানা গেছে।