মুক্তিযোদ্ধাসহ অন্যান্য কোটা বহাল রেখে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করায় ফের আন্দোলনে নেমেছেন শিক্ষার্থীরা। তারা মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল বাতিলের দাবি জানিয়েছেন। ১৯ জানুয়ারি (রবিবার) কোটা বহাল রেখে মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণার পর থেকেই সমালোচনার ঝড় ওঠে। পরে মধ্যরাতে এই ফলাফলকে ‘বৈষম্যমূলক’ দাবি করে রাজপথে নেমে আসেন শিক্ষার্থীরা। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা মেডিকেল কলেজে মিছিল করেন তারা।
বিক্ষোভের পর শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সমাবেশ করা হয়। সমাবেশ থেকে মেডিকেল ভর্তির ফলাফল বাতিল করে ফের ফলাফল প্রকাশের দাবি জানানো হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দপ্তর সেল সম্পাদক জাহিদ আহসান বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে সরকার পতনের আন্দোলনের মূল ভিত্তি ছিল কোটা সংস্কার আন্দোলন। এই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে কোটা প্রথার পতন হয়েছে। কিন্তু মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় যে কোটা ব্যবস্থা আমরা দেখলাম, এটা কোনো ভাবেই কাম্য নয়। এই কোটা ব্যবস্থাকে আমরা আবারও প্রত্যাখ্যান করছি।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগ ও বিজয় একাত্তর হলের শিক্ষার্থী আসিফ খান বলেন, ‘যে কোটা বাতিলের জন্য দুই হাজারেরও বেশি মানুষ জীবন দিয়েছে, যে কোটার জন্য হাজার হাজার মানুষের অঙ্গহানি হয়েছে, সেই কোটা এখনো বহাল আছে। এর চেয়ে নিন্দনীয় ঘটনা আর কী হতে পারে? অন্তবর্তী সরকার কী ভুলে গেছে যে তারা শহীদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে আছে। একজন ভর্তি পরীক্ষায় ৭২ পেয়ে চান্স পায় না আর একজন ৪৪ পেয়ে কীভাবে চান্স পায়? এ ধরনের বৈষম্য এখনও দেখতে হচ্ছে। সংবিধান সংস্কারের আগে কোটা সংস্কার করতে হবে।’
ঠিকানা/এসআর
বিক্ষোভের পর শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সমাবেশ করা হয়। সমাবেশ থেকে মেডিকেল ভর্তির ফলাফল বাতিল করে ফের ফলাফল প্রকাশের দাবি জানানো হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দপ্তর সেল সম্পাদক জাহিদ আহসান বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে সরকার পতনের আন্দোলনের মূল ভিত্তি ছিল কোটা সংস্কার আন্দোলন। এই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে কোটা প্রথার পতন হয়েছে। কিন্তু মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় যে কোটা ব্যবস্থা আমরা দেখলাম, এটা কোনো ভাবেই কাম্য নয়। এই কোটা ব্যবস্থাকে আমরা আবারও প্রত্যাখ্যান করছি।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগ ও বিজয় একাত্তর হলের শিক্ষার্থী আসিফ খান বলেন, ‘যে কোটা বাতিলের জন্য দুই হাজারেরও বেশি মানুষ জীবন দিয়েছে, যে কোটার জন্য হাজার হাজার মানুষের অঙ্গহানি হয়েছে, সেই কোটা এখনো বহাল আছে। এর চেয়ে নিন্দনীয় ঘটনা আর কী হতে পারে? অন্তবর্তী সরকার কী ভুলে গেছে যে তারা শহীদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে আছে। একজন ভর্তি পরীক্ষায় ৭২ পেয়ে চান্স পায় না আর একজন ৪৪ পেয়ে কীভাবে চান্স পায়? এ ধরনের বৈষম্য এখনও দেখতে হচ্ছে। সংবিধান সংস্কারের আগে কোটা সংস্কার করতে হবে।’
ঠিকানা/এসআর