গত ৭ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ফ্লোরিডা প্রাসাদে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে মেয়াদের শেষ সীমায় থাকা প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও তাঁর হোয়াইট হাউজের চক্রটির নানা দুর্ব্যবহারে ট্রাম্প ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে বেশ খাপ্পা হয়ে ওঠেন। ট্রাম্পের সন্দেহ, বাইডেন চক্র তাঁর দ্বিতীয় মেয়াদের গতিপথ নির্ধারণ করে দেওয়ার চক্রান্ত করছে। ২০ জানুয়ারি দ্বিতীয়বারের মতো হোয়াইট হাউজে ট্রাম্প তাঁর নতুন মেয়াদ শুরু করতে যাচ্ছেন।
ট্রাম্প বাইডেন ও তাঁর দলকে ‘অসুস্থ গোষ্ঠী’ বলে চাঁচাছোলা মন্তব্য করেছেন। এ সময় ইঙ্গিত দেন, তিনি তাদের তথাকথিত ‘ক্ষমতা হস্তান্তর’-এর নামে যথেষ্ট কিছু পেয়েছেন। সেই পীড়াদায়ক পরিস্থিতির সর্বশেষ তীরটি ছিল ট্রাম্পের ব্যাপারে কেন্দ্রীয় তদন্ত নিয়ে বিশেষ কাউন্সেল জ্যাক স্মিথের ‘চূড়ান্ত প্রতিবেদন’ প্রকাশ করার জন্য বাইডেন প্রশাসনের আনাড়ি চেষ্টা। এর উদ্দেশ্য তাঁকে অপমান করা ছাড়া ভিন্ন কিছু ছিল না।
ট্রাম্প ক্ষুব্ধ মেজাজ নিয়ে হোয়াইট হাউজে ফিরছেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি এফবিআইকে লক্ষ্যবস্তু বানান এবং এফবিআই পরিচালক হিসেবে কাশ প্যাটেলের কথা তুলে ধরেন। ট্রাম্প ফ্লোরিডায় তাঁর বাসভবনে এফবিআই অভিযানের ঘটনা ভুলতে পারছেন না। জাতীয় নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে বলে এফবিআই শীর্ষ গোপন নথিগুলোর অনুসন্ধানে তাঁর বাড়িতে অভিযান চালিয়েছিল, যেখানে তাঁর স্ত্রীর বেডরুমের আসবাবও বাদ পড়েনি। কোনো সন্দেহ নেই, প্রতিশোধ আসন্ন।
নীতি গ্রহণের ক্ষেত্রে ট্রাম্প এটি জোরালোভাবে স্পষ্ট করেছেন, তিনি বাইডেনের শক্তি, পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন নীতির পাশাপাশি অভিবাসনকেও বাতিল করতে চান। তবে মিডিয়ায় শীর্ষ শিরোনাম হলো, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পানামা খাল ও গ্রিনল্যান্ডের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার ব্যাপারে ট্রাম্পের বিস্ফোরক মন্তব্য, এমনকি প্রয়োজনে সামরিক পদক্ষেপের কথা উঠে এসেছে। তাঁকে সরাসরি প্রশ্ন করা হয়েছিল, ‘সামরিক বা অর্থনৈতিক শক্তি’ ব্যবহার করে তিনি তাদের উঠিয়ে দেবেন কি না? উত্তরে ট্রাম্প বলেছেন, ‘না, আমি আপনাকে এ দু’টির একটির ব্যাপারে আশ্বস্ত করতে পারি না। তবে এটি বলতে পারি, অর্থনৈতিক নিরাপত্তার জন্য এগুলো আমাদের প্রয়োজন।’ তিনি সতর্ক করে দিয়েছিলেন, ডেনমার্ক যদি গ্রিনল্যান্ড (ডেনমার্কের একটি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল) দখলে মার্কিনিদের প্রতিহত করে, তবে তিনি অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করবেন।
ট্রাম্প মেক্সিকো উপসাগরের নাম পরিবর্তন করে আমেরিকা উপসাগর রাখতে চান। তিনি বলেছেন, ‘এ নামের একটি দারুণ বলয় রয়েছে। এটি অনেক অঞ্চলজুড়ে বিস্তৃত। আমেরিকা উপসাগর কী সুন্দর নাম! আর এটি উপযুক্তও বটে।’ কিন্তু কানাডার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম রাজ্য হিসেবে যোগদান সম্পর্কে তাঁর অতীতের মন্তব্য ক্রমেই গুরুতর হয়ে উঠেছে। ট্রাম্প কানাডাকে ‘অর্থনৈতিক শক্তি’ দিয়ে হুমকি দিয়েছেন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ঘাটতির দিকে ইঙ্গিত করেছেন। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, ‘কেন আমরা একটি দেশকে বছরে ২০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি সহায়তা করছি?’
এদিকে ন্যাটো সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে ট্রাম্প প্রস্তাব করেছেন, প্রতিরক্ষা খাতে জোট সদস্য দেশগুলোর অবদান তাদের জিডিপির ২ শতাংশের পরিবর্তে ৫ শতাংশ পর্যন্ত হওয়া উচিত। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ‘বখাটেদের’ রক্ষা করবে না।
অন্য দিকে ন্যাটো দেশগুলোর এমন এক সন্ধিক্ষণে জোটের বাজেটে তাদের অবদান ১৫০ শতাংশ বৃদ্ধির জন্য তাঁর দাবি মেনে নেওয়ার সম্ভাবনা নেই। কারণ ন্যাটো দেশগুলোর অর্থনীতিতে সংকট চলছে। সুতরাং ন্যাটোর বিষয়টি উপেক্ষা করতে তা উপযুক্ত অজুহাত হতে পারে, যা কার্যকরভাবে পুরোনো এই জোটকে ফাটলের দিকে ধাবিত করতে পারে।
প্রকৃতপক্ষে তাঁর পররাষ্ট্রনীতি কৌশলের প্রথম বৃত্তে আর্কটিক অঞ্চল, পশ্চিম গোলার্ধ এবং মধ্যপ্রাচ্য। এখানে ন্যাটোর কোনো ব্যবহার নেই। সেই উদ্যোগে তাঁকে একাই হাঁটতে হবেÑ একাকী নেকড়ের মতো। নিঃসন্দেহে গ্রেটার আমেরিকা প্রজেক্ট হলো ট্রাম্পের বড় একটি আগ্রহের জায়গা। এটি তাঁর বহুধা বিস্তৃত আন্দোলন ‘মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন’-এর অবিচ্ছেদ্য অংশ। মার্কিন সাগরের ৬২৫ মিলিয়ন একরের বিস্তীর্ণ স্থানে আমেরিকার উপকূলীয় তেল খনন করার ব্লকের জন্য বাইডেনের সর্বশেষ ঘণ্টায় ১১তম পদক্ষেপ প্রত্যাখ্যান আমেরিকাকে গ্রহের সবচেয়ে বড় তেল উৎপাদনকারী দেশ হিসেবে পরিণত করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
একই সময়ে বৃহত্তর আমেরিকা প্রকল্প হলো, একুশ শতকের মুনরো মতবাদ, যা চীন ও রাশিয়ার নিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে স্পষ্ট প্রভাব ফেলবে। যদিও তারা এটিকে চ্যালেঞ্জ করার জন্য কঠোর চাপে থাকবে। ট্রাম্প ‘নিয়মভিত্তিক বিশ্বব্যবস্থা’র কবর দিয়েছেন। তিনি সফল হলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিছক জনসংখ্যা এবং ভূখণ্ডের দিক থেকে রাশিয়াকে ছাড়িয়ে যাবে এবং সম্পদের হিসাবে দেশটির সমান হবে কিংবা এমনকি ছাড়িয়ে যাবে। স্পষ্টত ট্রাম্পের একাধিক পরাশক্তি কিংবা বহু বিদেশি শক্তির প্রতি আগ্রহ নেইÑ এমন ধারণা বৈদেশিক নীতিতে বিভ্রান্তিকর একটি নতুন বিশ্বব্যবস্থাকে সংজ্ঞায়িত করার জন্য বানানো আলোচনা। অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস এই পুরো আঞ্চলিক সংযোজনের পরিকল্পনাকে ‘একটি নতুন সাম্রাজ্যবাদী এজেন্ডা’ বলে অভিহিত করেছে। সিএনএন এ উদ্যোগকে ‘আমেরিকান সম্প্রসারণবাদের জন্য ধাক্কা’ এবং ‘সাম্রাজ্যবাদী ভূমি দখল’ বলে চিহ্নিত করেছে। মস্কো ও বেইজিং মূলধারার আমেরিকান মিডিয়ার সেই বক্তব্যের সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করবে না। তা সত্ত্বেও মনে রাখবেন, ট্রাম্পের এজেন্ডা সম্ভবত দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী। দিন শেষে হংসের জন্য যা ভালো, তা হংসীর জন্যও ভালো।
(ইন্ডিয়ান পাঞ্চলাইন থেকে সংক্ষেপিত ভাষান্তর)
লেখক : ভারতের সাবেক কূটনীতিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক।
ট্রাম্প বাইডেন ও তাঁর দলকে ‘অসুস্থ গোষ্ঠী’ বলে চাঁচাছোলা মন্তব্য করেছেন। এ সময় ইঙ্গিত দেন, তিনি তাদের তথাকথিত ‘ক্ষমতা হস্তান্তর’-এর নামে যথেষ্ট কিছু পেয়েছেন। সেই পীড়াদায়ক পরিস্থিতির সর্বশেষ তীরটি ছিল ট্রাম্পের ব্যাপারে কেন্দ্রীয় তদন্ত নিয়ে বিশেষ কাউন্সেল জ্যাক স্মিথের ‘চূড়ান্ত প্রতিবেদন’ প্রকাশ করার জন্য বাইডেন প্রশাসনের আনাড়ি চেষ্টা। এর উদ্দেশ্য তাঁকে অপমান করা ছাড়া ভিন্ন কিছু ছিল না।
ট্রাম্প ক্ষুব্ধ মেজাজ নিয়ে হোয়াইট হাউজে ফিরছেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি এফবিআইকে লক্ষ্যবস্তু বানান এবং এফবিআই পরিচালক হিসেবে কাশ প্যাটেলের কথা তুলে ধরেন। ট্রাম্প ফ্লোরিডায় তাঁর বাসভবনে এফবিআই অভিযানের ঘটনা ভুলতে পারছেন না। জাতীয় নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে বলে এফবিআই শীর্ষ গোপন নথিগুলোর অনুসন্ধানে তাঁর বাড়িতে অভিযান চালিয়েছিল, যেখানে তাঁর স্ত্রীর বেডরুমের আসবাবও বাদ পড়েনি। কোনো সন্দেহ নেই, প্রতিশোধ আসন্ন।
নীতি গ্রহণের ক্ষেত্রে ট্রাম্প এটি জোরালোভাবে স্পষ্ট করেছেন, তিনি বাইডেনের শক্তি, পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন নীতির পাশাপাশি অভিবাসনকেও বাতিল করতে চান। তবে মিডিয়ায় শীর্ষ শিরোনাম হলো, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পানামা খাল ও গ্রিনল্যান্ডের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার ব্যাপারে ট্রাম্পের বিস্ফোরক মন্তব্য, এমনকি প্রয়োজনে সামরিক পদক্ষেপের কথা উঠে এসেছে। তাঁকে সরাসরি প্রশ্ন করা হয়েছিল, ‘সামরিক বা অর্থনৈতিক শক্তি’ ব্যবহার করে তিনি তাদের উঠিয়ে দেবেন কি না? উত্তরে ট্রাম্প বলেছেন, ‘না, আমি আপনাকে এ দু’টির একটির ব্যাপারে আশ্বস্ত করতে পারি না। তবে এটি বলতে পারি, অর্থনৈতিক নিরাপত্তার জন্য এগুলো আমাদের প্রয়োজন।’ তিনি সতর্ক করে দিয়েছিলেন, ডেনমার্ক যদি গ্রিনল্যান্ড (ডেনমার্কের একটি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল) দখলে মার্কিনিদের প্রতিহত করে, তবে তিনি অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করবেন।
ট্রাম্প মেক্সিকো উপসাগরের নাম পরিবর্তন করে আমেরিকা উপসাগর রাখতে চান। তিনি বলেছেন, ‘এ নামের একটি দারুণ বলয় রয়েছে। এটি অনেক অঞ্চলজুড়ে বিস্তৃত। আমেরিকা উপসাগর কী সুন্দর নাম! আর এটি উপযুক্তও বটে।’ কিন্তু কানাডার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম রাজ্য হিসেবে যোগদান সম্পর্কে তাঁর অতীতের মন্তব্য ক্রমেই গুরুতর হয়ে উঠেছে। ট্রাম্প কানাডাকে ‘অর্থনৈতিক শক্তি’ দিয়ে হুমকি দিয়েছেন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ঘাটতির দিকে ইঙ্গিত করেছেন। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, ‘কেন আমরা একটি দেশকে বছরে ২০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি সহায়তা করছি?’
এদিকে ন্যাটো সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে ট্রাম্প প্রস্তাব করেছেন, প্রতিরক্ষা খাতে জোট সদস্য দেশগুলোর অবদান তাদের জিডিপির ২ শতাংশের পরিবর্তে ৫ শতাংশ পর্যন্ত হওয়া উচিত। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ‘বখাটেদের’ রক্ষা করবে না।
অন্য দিকে ন্যাটো দেশগুলোর এমন এক সন্ধিক্ষণে জোটের বাজেটে তাদের অবদান ১৫০ শতাংশ বৃদ্ধির জন্য তাঁর দাবি মেনে নেওয়ার সম্ভাবনা নেই। কারণ ন্যাটো দেশগুলোর অর্থনীতিতে সংকট চলছে। সুতরাং ন্যাটোর বিষয়টি উপেক্ষা করতে তা উপযুক্ত অজুহাত হতে পারে, যা কার্যকরভাবে পুরোনো এই জোটকে ফাটলের দিকে ধাবিত করতে পারে।
প্রকৃতপক্ষে তাঁর পররাষ্ট্রনীতি কৌশলের প্রথম বৃত্তে আর্কটিক অঞ্চল, পশ্চিম গোলার্ধ এবং মধ্যপ্রাচ্য। এখানে ন্যাটোর কোনো ব্যবহার নেই। সেই উদ্যোগে তাঁকে একাই হাঁটতে হবেÑ একাকী নেকড়ের মতো। নিঃসন্দেহে গ্রেটার আমেরিকা প্রজেক্ট হলো ট্রাম্পের বড় একটি আগ্রহের জায়গা। এটি তাঁর বহুধা বিস্তৃত আন্দোলন ‘মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন’-এর অবিচ্ছেদ্য অংশ। মার্কিন সাগরের ৬২৫ মিলিয়ন একরের বিস্তীর্ণ স্থানে আমেরিকার উপকূলীয় তেল খনন করার ব্লকের জন্য বাইডেনের সর্বশেষ ঘণ্টায় ১১তম পদক্ষেপ প্রত্যাখ্যান আমেরিকাকে গ্রহের সবচেয়ে বড় তেল উৎপাদনকারী দেশ হিসেবে পরিণত করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
একই সময়ে বৃহত্তর আমেরিকা প্রকল্প হলো, একুশ শতকের মুনরো মতবাদ, যা চীন ও রাশিয়ার নিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে স্পষ্ট প্রভাব ফেলবে। যদিও তারা এটিকে চ্যালেঞ্জ করার জন্য কঠোর চাপে থাকবে। ট্রাম্প ‘নিয়মভিত্তিক বিশ্বব্যবস্থা’র কবর দিয়েছেন। তিনি সফল হলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিছক জনসংখ্যা এবং ভূখণ্ডের দিক থেকে রাশিয়াকে ছাড়িয়ে যাবে এবং সম্পদের হিসাবে দেশটির সমান হবে কিংবা এমনকি ছাড়িয়ে যাবে। স্পষ্টত ট্রাম্পের একাধিক পরাশক্তি কিংবা বহু বিদেশি শক্তির প্রতি আগ্রহ নেইÑ এমন ধারণা বৈদেশিক নীতিতে বিভ্রান্তিকর একটি নতুন বিশ্বব্যবস্থাকে সংজ্ঞায়িত করার জন্য বানানো আলোচনা। অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস এই পুরো আঞ্চলিক সংযোজনের পরিকল্পনাকে ‘একটি নতুন সাম্রাজ্যবাদী এজেন্ডা’ বলে অভিহিত করেছে। সিএনএন এ উদ্যোগকে ‘আমেরিকান সম্প্রসারণবাদের জন্য ধাক্কা’ এবং ‘সাম্রাজ্যবাদী ভূমি দখল’ বলে চিহ্নিত করেছে। মস্কো ও বেইজিং মূলধারার আমেরিকান মিডিয়ার সেই বক্তব্যের সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করবে না। তা সত্ত্বেও মনে রাখবেন, ট্রাম্পের এজেন্ডা সম্ভবত দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী। দিন শেষে হংসের জন্য যা ভালো, তা হংসীর জন্যও ভালো।
(ইন্ডিয়ান পাঞ্চলাইন থেকে সংক্ষেপিত ভাষান্তর)
লেখক : ভারতের সাবেক কূটনীতিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক।