
অন্তর্ববর্তী সরকার সদ্যই শতাধিক পণ্যের ভ্যাট বৃদ্ধি করেছে। এর মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহে সরকার গরিব মানুষকে লক্ষ্যবস্তু করেছে বলে মনে করেন ইংরেজি দৈনিক নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীর। ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দীন টকশোতে তিনি আরো বলেন, এভাবে ভ্যাট বৃদ্ধি একটি গণবিরোধী পদক্ষেপ। অথচ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে গণঅভ্যুত্থানের পর যে সরকার গঠিত হয়েছে, তাদের কাজ হওয়া উচিত বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা। ভ্যাট বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত এর ১০০ ভাগ বিপরীত। এটি পুনর্বিবেচনা করা হোক। প্রয়োজনে বিত্তবানদের কর বৃদ্ধি করা যেতে পারে, বলেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক নূরুল কবীর। তাকে একক অতিথি হিসেবে রেখে এই টকশো হয়েছে ১৪ জানুয়ারি মঙ্গলবার নিউইয়র্ক সময় বেলা ১১টায় (বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা)।
বাংলাদেশের রাজনীতি, অর্থনীতি, শিক্ষা, সংস্কার, নির্বাচন- এমন নানা বিষয়ে ঠিকানা টিভির প্রধান সম্পাদক খালেদ মুহিউদ্দীনের প্রশ্নের জবাব দেন জনপ্রিয় রাজনৈতিক ভাষ্যকার ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব নূরুল কবীর।
আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা করা হলে বিএনপি, জামায়াত, শিবিরের সমর্থক- এমন ট্যাগ দিত তখনকার ক্ষমতাধররা। এখন যারা সরকার পরিচালনায় আছেন, তাদের সমালোচনা করা হলে আওয়ামী লীগ বা ফ্যাসিবাদের দোসর, বাকশালী ট্যাগিং করা হচ্ছে। এই প্রবণতার সমালোচনা করেন নূরুল কবীর। তবে তিনি বলেন, ‘যখন কেউ গালি দিবে না, তখন বুঝতে হবে কাজ হচ্ছে না। অন্যায়ের বিরুদ্ধে কাজ করতে গেলে গালি হজম করতে শিখতে হবে। হজম করতে না পারলে কাজ ছেড়ে দিতে হবে।’
এদিকে নতুন বছরের সঙ্গে সঙ্গে নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হয়েছে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে। কিন্তু এবার বেশিরভাগ শিশু-কিশোর এখনো বিনামূল্যের বই পায়নি। পাঠ্যবইয়ে ইতিহাসের বয়ানেও এসেছে পরিবর্তন। এ প্রসঙ্গে নিউ এজ সম্পাদক বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের সময় পাঠ্যক্রমে ডানপন্থার প্রভাব লক্ষ করা যাচ্ছে। এছাড়া বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও স্বায়ত্বশাসনের সংগ্রাম দীর্ঘদিনের। যেখানে এ কে ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মওলানা আবদুল হামিন খান ভাসানী বিভিন্ন সময় ভূমিকা রেখেছেন। তবে সর্বশেষ যে চূড়ান্ত পর্ব সেই স্বাধীনতা সংগ্রামে অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিবুর রহমান। সেই ইতিহাস ছাত্রছাত্রীদের না পড়ানো হলে, তা এক ধরনের ইতিহাস বিকৃত করা, মনে করছেন গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব নূরুল কবীর।
জুলাই-আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে যারা মিত্র হিসেবে আন্দোলন করেছে, সেই একতা আর তাদের মধ্যে নেই। বিএনপি এখন ২০২৫ সালের মাঝামাঝি সময়ে জাতীয় নির্বাচন দাবি করছে। আর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা নির্বাচনের আগেই সংস্কার নিশ্চিতের দাবি তুলছে। এ বিষয়ে নূরুল কবীর বলছেন, ছাত্ররা যে দল করতে চাইছে, তার বিপরীতে প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে বিএনপি। ছাত্ররা আবার সংস্কারে জোর দিচ্ছে। দুই পক্ষের এমন অবস্থান আসলে ক্ষমতায় যাওয়ার প্রণোদনা থেকেই হচ্ছে। তবে নতুন দল গঠন করে নির্বাচনে অংশ নিতে চাইলে ছাত্রদের সময় দরকার। সেই ফাঁদে পা দিতে চায় না বিএনপি। সে কারণে তারা বেশি চাপ দিচ্ছে। গণঅভ্যুত্থানে ছাত্রদের ভূমিকার প্রশংসা করে নূরুল কবীর বলেন, ইতিহাসে তাদের সম্মানটা অনেক বড়। কোনো বিভ্রান্ত চিন্তা দ্বারা প্রভাবিত হয়ে, সেই সম্মান যেন তারা নষ্ট না করেন।
বর্তমানে মূলধারার গণমাধ্যমের বাইরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমও জনসাধারণকে প্রভাবিত করছে। এ বিষয়ে গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব নূরুল কবীর বলেন, সোশাল মিডিয়ায় যেভাবে প্রচার হয়, তার প্রভাব আছে। কিন্তু মূলধারার গণমাধ্যমে কিছু প্রচারের আগে তথ্য যাচাই, সম্পাদনা থাকে। কিন্তু সোশাল মিডিয়ায় বিভ্রান্ত করার শঙ্কা থাকে। এটা আবার মতপ্রকাশের উত্তম মাধ্যম। তাই সোশাল মিডিয়ায় সুবিধা, অসুবিধা- দুইই আছে।
বাংলাদেশের রাজনীতি, অর্থনীতি, শিক্ষা, সংস্কার, নির্বাচন- এমন নানা বিষয়ে ঠিকানা টিভির প্রধান সম্পাদক খালেদ মুহিউদ্দীনের প্রশ্নের জবাব দেন জনপ্রিয় রাজনৈতিক ভাষ্যকার ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব নূরুল কবীর।
আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা করা হলে বিএনপি, জামায়াত, শিবিরের সমর্থক- এমন ট্যাগ দিত তখনকার ক্ষমতাধররা। এখন যারা সরকার পরিচালনায় আছেন, তাদের সমালোচনা করা হলে আওয়ামী লীগ বা ফ্যাসিবাদের দোসর, বাকশালী ট্যাগিং করা হচ্ছে। এই প্রবণতার সমালোচনা করেন নূরুল কবীর। তবে তিনি বলেন, ‘যখন কেউ গালি দিবে না, তখন বুঝতে হবে কাজ হচ্ছে না। অন্যায়ের বিরুদ্ধে কাজ করতে গেলে গালি হজম করতে শিখতে হবে। হজম করতে না পারলে কাজ ছেড়ে দিতে হবে।’
এদিকে নতুন বছরের সঙ্গে সঙ্গে নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হয়েছে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে। কিন্তু এবার বেশিরভাগ শিশু-কিশোর এখনো বিনামূল্যের বই পায়নি। পাঠ্যবইয়ে ইতিহাসের বয়ানেও এসেছে পরিবর্তন। এ প্রসঙ্গে নিউ এজ সম্পাদক বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের সময় পাঠ্যক্রমে ডানপন্থার প্রভাব লক্ষ করা যাচ্ছে। এছাড়া বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও স্বায়ত্বশাসনের সংগ্রাম দীর্ঘদিনের। যেখানে এ কে ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মওলানা আবদুল হামিন খান ভাসানী বিভিন্ন সময় ভূমিকা রেখেছেন। তবে সর্বশেষ যে চূড়ান্ত পর্ব সেই স্বাধীনতা সংগ্রামে অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিবুর রহমান। সেই ইতিহাস ছাত্রছাত্রীদের না পড়ানো হলে, তা এক ধরনের ইতিহাস বিকৃত করা, মনে করছেন গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব নূরুল কবীর।
জুলাই-আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে যারা মিত্র হিসেবে আন্দোলন করেছে, সেই একতা আর তাদের মধ্যে নেই। বিএনপি এখন ২০২৫ সালের মাঝামাঝি সময়ে জাতীয় নির্বাচন দাবি করছে। আর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা নির্বাচনের আগেই সংস্কার নিশ্চিতের দাবি তুলছে। এ বিষয়ে নূরুল কবীর বলছেন, ছাত্ররা যে দল করতে চাইছে, তার বিপরীতে প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে বিএনপি। ছাত্ররা আবার সংস্কারে জোর দিচ্ছে। দুই পক্ষের এমন অবস্থান আসলে ক্ষমতায় যাওয়ার প্রণোদনা থেকেই হচ্ছে। তবে নতুন দল গঠন করে নির্বাচনে অংশ নিতে চাইলে ছাত্রদের সময় দরকার। সেই ফাঁদে পা দিতে চায় না বিএনপি। সে কারণে তারা বেশি চাপ দিচ্ছে। গণঅভ্যুত্থানে ছাত্রদের ভূমিকার প্রশংসা করে নূরুল কবীর বলেন, ইতিহাসে তাদের সম্মানটা অনেক বড়। কোনো বিভ্রান্ত চিন্তা দ্বারা প্রভাবিত হয়ে, সেই সম্মান যেন তারা নষ্ট না করেন।
বর্তমানে মূলধারার গণমাধ্যমের বাইরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমও জনসাধারণকে প্রভাবিত করছে। এ বিষয়ে গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব নূরুল কবীর বলেন, সোশাল মিডিয়ায় যেভাবে প্রচার হয়, তার প্রভাব আছে। কিন্তু মূলধারার গণমাধ্যমে কিছু প্রচারের আগে তথ্য যাচাই, সম্পাদনা থাকে। কিন্তু সোশাল মিডিয়ায় বিভ্রান্ত করার শঙ্কা থাকে। এটা আবার মতপ্রকাশের উত্তম মাধ্যম। তাই সোশাল মিডিয়ায় সুবিধা, অসুবিধা- দুইই আছে।