যুক্তরাজ্যের লন্ডন ক্লিনিকে বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা চলছে। গত বুধবার ভর্তি হওয়ার পর যে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে, সেগুলোর রিপোর্ট হাতে আসতে শুরু করেছে।
সবগুলো রিপোর্ট পেলে সেগুলো পর্যালোচনা করে শনিবার (১১ জানুয়ারি) হাসপাতালের চিকিৎসকেরা খালেদা জিয়ার চিকিৎসা শুরু করবেন। শুক্রবার এ কথা জানিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত এক চিকিৎসক।
যুক্তরাজ্য বিএনপির এক নেতা বলেন, ‘দীর্ঘদিন পর নাতনিদের কাছে পাওয়ায় হাসপাতালের কেবিনে তাদের সঙ্গে গল্পগুজব করে সময় কাটাচ্ছেন খালেদা জিয়া। পরিবারের সদস্যদের কাছে পাওয়ায় মানসিকভাবে আরও বেশি চাঙা হয়েছেন তিনি।’
তিনি বলেন, ‘চেয়ারপারসনের বড় পুত্রবধূ ডা. জুবাইদা রহমান, ছোট পুত্রবধূ শর্মিলা রহমান শাশুড়ির জন্য বাসা থেকে রান্না করা খাবার নিয়ে হাসপাতালে যাচ্ছেন। পরিবারের সদস্যরা মিলে সে খাবার খাচ্ছেন। পাশাপাশি সবাই মিলে গল্প করছেন। সব মিলিয়ে ভালো সময় কাটছে চেয়ারপারসনের।
এদিকে শুক্রবার গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা-সংক্রান্ত বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘লন্ডনে যে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার কথা ছিল, তিনি (খালেদা জিয়া) সেখানেই ভর্তি হয়েছেন এবং সেখানেই চিকিৎসাধীন আছেন। আল্লাহর মেহেরবানিতে তার চিকিৎসা ভালোভাবেই হচ্ছে। আমরা সবাই দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই, যেন আল্লাহ তাকে দ্রুত সুস্থ করে আমাদের মাঝে ফিরিয়ে নিয়ে আসেন।’
উল্লেখ্য, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, কিডনি, হার্ট, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিসসহ নানা রোগে ভুগছেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য গত মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) রাতে কাতারের আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে লন্ডনে পৌঁছান খালেদা জিয়া। ৮ জানুয়ারি লন্ডনের স্থানীয় সময় সকালে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি লন্ডনের হিথ্রো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
এ সময় বিএনপির চেয়ারপারসনকে স্বাগত জানাতে তার বড় ছেলে ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও পুত্রবধূ ডা. জুবাইদা রহমান ও নাতনি ব্যারিস্টার জাইমা রহমান বিমানবন্দরে উপস্থিত হন। সেখান থেকে খালেদা জিয়াকে পশ্চিম লন্ডনের বিশেষায়িত হাসপাতাল দ্য লন্ডন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। সেখানে তিনি অধ্যাপক ডা. প্যাট্রিক কেনেডির অধীনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ঠিকানা/এনআই
সবগুলো রিপোর্ট পেলে সেগুলো পর্যালোচনা করে শনিবার (১১ জানুয়ারি) হাসপাতালের চিকিৎসকেরা খালেদা জিয়ার চিকিৎসা শুরু করবেন। শুক্রবার এ কথা জানিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত এক চিকিৎসক।
যুক্তরাজ্য বিএনপির এক নেতা বলেন, ‘দীর্ঘদিন পর নাতনিদের কাছে পাওয়ায় হাসপাতালের কেবিনে তাদের সঙ্গে গল্পগুজব করে সময় কাটাচ্ছেন খালেদা জিয়া। পরিবারের সদস্যদের কাছে পাওয়ায় মানসিকভাবে আরও বেশি চাঙা হয়েছেন তিনি।’
তিনি বলেন, ‘চেয়ারপারসনের বড় পুত্রবধূ ডা. জুবাইদা রহমান, ছোট পুত্রবধূ শর্মিলা রহমান শাশুড়ির জন্য বাসা থেকে রান্না করা খাবার নিয়ে হাসপাতালে যাচ্ছেন। পরিবারের সদস্যরা মিলে সে খাবার খাচ্ছেন। পাশাপাশি সবাই মিলে গল্প করছেন। সব মিলিয়ে ভালো সময় কাটছে চেয়ারপারসনের।
এদিকে শুক্রবার গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা-সংক্রান্ত বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘লন্ডনে যে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার কথা ছিল, তিনি (খালেদা জিয়া) সেখানেই ভর্তি হয়েছেন এবং সেখানেই চিকিৎসাধীন আছেন। আল্লাহর মেহেরবানিতে তার চিকিৎসা ভালোভাবেই হচ্ছে। আমরা সবাই দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই, যেন আল্লাহ তাকে দ্রুত সুস্থ করে আমাদের মাঝে ফিরিয়ে নিয়ে আসেন।’
উল্লেখ্য, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, কিডনি, হার্ট, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিসসহ নানা রোগে ভুগছেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য গত মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) রাতে কাতারের আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে লন্ডনে পৌঁছান খালেদা জিয়া। ৮ জানুয়ারি লন্ডনের স্থানীয় সময় সকালে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি লন্ডনের হিথ্রো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
এ সময় বিএনপির চেয়ারপারসনকে স্বাগত জানাতে তার বড় ছেলে ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও পুত্রবধূ ডা. জুবাইদা রহমান ও নাতনি ব্যারিস্টার জাইমা রহমান বিমানবন্দরে উপস্থিত হন। সেখান থেকে খালেদা জিয়াকে পশ্চিম লন্ডনের বিশেষায়িত হাসপাতাল দ্য লন্ডন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। সেখানে তিনি অধ্যাপক ডা. প্যাট্রিক কেনেডির অধীনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ঠিকানা/এনআই