
কোনো কোনো টিম বিপুল সম্ভাবনা নিয়ে আত্মপ্রকাশ করলেও কিছুদিন পর দেখা যায়, তাদের সেই তেজ নেই এবং আত্মপ্রকাশকালে যে সম্ভাবনার আশা জাগিয়েছিল দর্শক-সমর্থকদের মনে, সে সম্ভাবনার পথ হারিয়েছে। দর্শক-সমর্থকদের হতাশ করে দিয়ে তারা যেন আত্মনির্ভরশীলতার পুঁজি হারিয়ে অন্যের ওপর নির্ভর করে চলছে এবং অন্যের ইশারায় পথ চলছে, খেলছে। নিজেদের শক্তিতে, কৌশলে গোল দেওয়ার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে। জাতীয় পার্টি বা জাপার বর্তমান অবস্থাটা সে রকমই মনে হয়, বাংলাদেশের রাজনীতিতে তাদের অবস্থান বি টিম হয়েই রইল।
বাংলাদেশের জাতীয় পার্টির কথা মনে এলেই উপরের কথাগুলো মনে আসে। কী বিত্ত-বৈভব আর তেজ ও সম্ভাবনা নিয়ে আত্মপ্রকাশ করেছিল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নেতৃত্বে। এরশাদ তখন সেনাশাসক। অতুলনীয় ক্ষমতাধর। তার ইশারা-ইঙ্গিত ছাড়া বাংলাদেশ চলে না। ক্ষমতাসীন শাসকের নেতৃত্বে কোনো দলের আত্মপ্রকাশ ঘটলে সেই রাজনৈতিক দলকে ‘কিংস পার্টি’ বলেই অভিহিত করা হয়ে থাকে। কিংস পার্টি শাসক দলের স্নেহ, আশীর্বাদ, অর্থ, সব রকম সরকারি সুযোগ-সুবিধা ও পৃষ্ঠপোষকতা পেয়ে থাকে।
জাতীয় পার্টি বা জাপা সে রকম সরকারি ছায়ায় জন্ম নেয়। একসময় দলের প্রধানমন্ত্রী হন, রাষ্ট্রেরও প্রধান হন জেনারেল এরশাদ। জেনারেল এরশাদের পতন ঘটে যাওয়ার আগ পর্যন্ত জাতীয় পার্টি তাদের যে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়েছে, তাতে জনগণ খুব একটা অখুশি ছিল তা নয়, বরং সরকার বিকেন্দ্রীকরণের মধ্য দিয়ে তৃণমূল মানুষকে ক্ষমতাশীল করার উদ্যোগ প্রশংসিত হয়েছে। এমনকি এরশাদের পতনের পরও জেনারেল জেলখানায় থেকে ৫ আসনেই জয়লাভ করেন। কিন্তু পরবর্তী সময়ে সেই জাতীয় পার্টিই যে এমন তেজহীন বি টিম একটি পার্টিতে পরিণত হবে, তা কেউ ভাবতে পারেনি।
জাতীয় পার্টিকে একসময় আওয়ামী লীগের বি টিম বলা হতো। ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর বলা হচ্ছে ‘এরশাদের জাতীয় পার্টি এখন বিএনপির বি টিম’। খবরটি প্রকাশ পেয়েছে ঠিকানার ২৫ ডিসেম্বর সংখ্যার প্রথম পৃষ্ঠায়। গুরুত্বসহকারে প্রকাশিত খবরটিতে বলা হয়েছে, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারের কাছ থেকে প্রকৃতপক্ষে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক উল্লেখ করার মতো ফায়দা, সুযোগ-সুবিধা না পেয়েও এরশাদের জাতীয় পার্টি সেই সরকারের একান্ত বিশ্বস্ত গৃহপালিত বিরোধী দলের তকমা পেয়েছিল।
পরিস্থিতি বদলে গেছে। নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতায় জাতীয় পার্টি আপাতত নীরব রয়েছে। পর্যবেক্ষকদের ধারণা, অচিরেই এই নিরাপত্তার জাল ছিঁড়ে বের হয়ে আসবে তারা। তবে অবশ্যই নতুন মিত্র সঙ্গী করে। সে মিত্র আওয়ামী লীগ নয়, বিএনপি। বিএনপির দীর্ঘদিনের পথচলার সঙ্গী জামায়াতের সঙ্গে জোট ভেঙে গেছে। রাজনীতির মাঠে তারা একাই লড়াকু। বিএনপি প্রত্যাশা করছে, আগামী নির্বাচনে জয়ী হয়ে তারা সরকার গঠন করলে জাতীয় পার্টি বিরোধী দলের আসনে বসুক। সে আশা বিএনপির পূরণ যদি না-ও হয়, তবু যেন জাতীয় পার্টি সম্মানজনক আসন লাভ করতে পারে। কারণ জনগণ সব সময় আশা করে, ভোটের জন্য যারা জনগণের কাছে যাবে, তারা যেন অবশ্যই মর্যাদাশীল রাজনৈতিক দল হয়। কথায় বলে, এ পৃথিবী বীরের
পূজা করে।
বাংলাদেশের জাতীয় পার্টির কথা মনে এলেই উপরের কথাগুলো মনে আসে। কী বিত্ত-বৈভব আর তেজ ও সম্ভাবনা নিয়ে আত্মপ্রকাশ করেছিল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নেতৃত্বে। এরশাদ তখন সেনাশাসক। অতুলনীয় ক্ষমতাধর। তার ইশারা-ইঙ্গিত ছাড়া বাংলাদেশ চলে না। ক্ষমতাসীন শাসকের নেতৃত্বে কোনো দলের আত্মপ্রকাশ ঘটলে সেই রাজনৈতিক দলকে ‘কিংস পার্টি’ বলেই অভিহিত করা হয়ে থাকে। কিংস পার্টি শাসক দলের স্নেহ, আশীর্বাদ, অর্থ, সব রকম সরকারি সুযোগ-সুবিধা ও পৃষ্ঠপোষকতা পেয়ে থাকে।
জাতীয় পার্টি বা জাপা সে রকম সরকারি ছায়ায় জন্ম নেয়। একসময় দলের প্রধানমন্ত্রী হন, রাষ্ট্রেরও প্রধান হন জেনারেল এরশাদ। জেনারেল এরশাদের পতন ঘটে যাওয়ার আগ পর্যন্ত জাতীয় পার্টি তাদের যে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়েছে, তাতে জনগণ খুব একটা অখুশি ছিল তা নয়, বরং সরকার বিকেন্দ্রীকরণের মধ্য দিয়ে তৃণমূল মানুষকে ক্ষমতাশীল করার উদ্যোগ প্রশংসিত হয়েছে। এমনকি এরশাদের পতনের পরও জেনারেল জেলখানায় থেকে ৫ আসনেই জয়লাভ করেন। কিন্তু পরবর্তী সময়ে সেই জাতীয় পার্টিই যে এমন তেজহীন বি টিম একটি পার্টিতে পরিণত হবে, তা কেউ ভাবতে পারেনি।
জাতীয় পার্টিকে একসময় আওয়ামী লীগের বি টিম বলা হতো। ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর বলা হচ্ছে ‘এরশাদের জাতীয় পার্টি এখন বিএনপির বি টিম’। খবরটি প্রকাশ পেয়েছে ঠিকানার ২৫ ডিসেম্বর সংখ্যার প্রথম পৃষ্ঠায়। গুরুত্বসহকারে প্রকাশিত খবরটিতে বলা হয়েছে, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারের কাছ থেকে প্রকৃতপক্ষে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক উল্লেখ করার মতো ফায়দা, সুযোগ-সুবিধা না পেয়েও এরশাদের জাতীয় পার্টি সেই সরকারের একান্ত বিশ্বস্ত গৃহপালিত বিরোধী দলের তকমা পেয়েছিল।
পরিস্থিতি বদলে গেছে। নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতায় জাতীয় পার্টি আপাতত নীরব রয়েছে। পর্যবেক্ষকদের ধারণা, অচিরেই এই নিরাপত্তার জাল ছিঁড়ে বের হয়ে আসবে তারা। তবে অবশ্যই নতুন মিত্র সঙ্গী করে। সে মিত্র আওয়ামী লীগ নয়, বিএনপি। বিএনপির দীর্ঘদিনের পথচলার সঙ্গী জামায়াতের সঙ্গে জোট ভেঙে গেছে। রাজনীতির মাঠে তারা একাই লড়াকু। বিএনপি প্রত্যাশা করছে, আগামী নির্বাচনে জয়ী হয়ে তারা সরকার গঠন করলে জাতীয় পার্টি বিরোধী দলের আসনে বসুক। সে আশা বিএনপির পূরণ যদি না-ও হয়, তবু যেন জাতীয় পার্টি সম্মানজনক আসন লাভ করতে পারে। কারণ জনগণ সব সময় আশা করে, ভোটের জন্য যারা জনগণের কাছে যাবে, তারা যেন অবশ্যই মর্যাদাশীল রাজনৈতিক দল হয়। কথায় বলে, এ পৃথিবী বীরের
পূজা করে।