১ জানুয়ারি শুরু হয়ে গেল ইংরেজি নববর্ষ ২০২৫। এ কথা ঠিক, ১ জানুয়ারি ইংরেজি নববর্ষ হলেও শুধু ইংরেজি ভাষাভাষীরাই এই দিনে নববর্ষ উদযাপন করে না। এখন বাঙালিরাও নববর্ষ উদযাপনের উৎসবে মেতে ওঠেন। নিউইয়র্কে ইংরেজি নববর্ষের প্রধান আকর্ষণ টাইম স্কয়ারে ৩১ ডিসেম্বর রাত ১২টা ১ মিনিটে আপেল পতন। এই আপেল পতনের মধ্য দিয়েই শুরু হয় নববর্ষ উদযাপনের পালা। এ উপলক্ষে শীত উপেক্ষা করে হাজার হাজার নর-নারী টাইম স্কয়ারে সমবেত হন। আনন্দ-বিনোদনের নানা রকম কর্মসূচি নিয়ে দিনটি সবাই উদযাপনের আয়োজন করে। সমুদ্রসৈকত, পার্ক, বিভিন্ন বিনোদন সেন্টারে মানুষ দিনটি উদযাপনের জন্য জড়ো হয়। শৈশবে ইংরেজি নববর্ষ উদযাপনের কোনো স্মৃতি মনে পড়ে না। আদৌ ইংরেজি নববর্ষ উদযাপনের তেমন স্মৃতি আছে বলেও জানা নেই। কেননা আমাদের যাপিত জীবনের সেই সময়ে ইংরেজি নববর্ষ মফস্বল কোনো শহরে উদযাপিত হতো, এমনটা শোনাও যায় না। তবে বাংলা নববর্ষের শৈশব স্মৃতি এখনো খুব মনে পড়ে। নতুন জামা-কাপড় পরে বাবার হাত ধরে শহরে ব্যবসায়ীদের হালখাতা করার জন্য দোকানে দোকানে দিয়ে মিষ্টি খাওয়ার ধুম-সেই স্মৃতি এখনো অম্লান। নববর্ষ উদযাপন বিশ্বের সব দেশেই হয়। কিন্তু তার ব্যঞ্জনা একেক দেশে একেক রকম। বাংলা নববর্ষ উদযাপন শুধু আনন্দ, হালখাতা আর মিষ্টি খাওয়া নয়। নববর্ষ উদযাপন হিন্দু ধর্ম সম্প্রদায়ের গণেশ পূজারও দিন। সবচেয়ে বড় তাৎপর্য বাংলা বর্ষের ঋতু অনুযায়ী শস্যেরও চাষাবাদ হয়। ইংরেজি নববর্ষেও গির্জায় গির্জায় বিশেষ প্রার্থনা হয়।
বর্তমান ইংরেজি ক্যালেন্ডার ১৫৮২ সালে পোপ গ্রেগরি ৮ম প্রবর্তন করেন। তবে প্রবর্তনের সঙ্গে সঙ্গেই সব খ্রিস্ট ধর্মানুসারী দেশ তা গ্রহণ করেনি। প্রটেস্ট্যান্ট অধ্যুষিত দেশ যেগুলো ছিল, তারা এই ক্যালেন্ডার বেশ কিছু সময় পর গ্রহণ করে। গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার পড়ে নববর্ষের শুরু ৩১ ডিসেম্বর এবং নববর্ষের শুভসূচনা ১ জানুয়ারি। আপেল পতন ছাড়াও ৩১ ডিসেম্বর রাতে ইস্ট রিভারে চোখ ঝলসানো আতশবাজির উৎসবের মধ্য দিয়ে একটি বর্ষকে বিদায় জানিয়ে নতুন আরেকটি বছরে পদার্পণ করে। এদিন সরকারি ছুটির দিন। রাতে পরিবারের সব সদস্য একসঙ্গে ডিনার গ্রহণ করেন। বড়দিন উপলক্ষে একটি আনন্দদায়ক প্রচলিত প্রথা একে অপরের সঙ্গে উপহার বিনিময় করা। এটি বিশেষ করে শিশুরা দারুণভাবে উপভোগ করে। বড়রা নিজেদের মধ্যে ফুল বিনিময় করেন। সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে, বিগত বছরের হতাশা, ব্যর্থতা কাটিয়ে উঠে নতুন পরিকল্পনা নিয়ে নব উদ্যমে জীবনসংগ্রাম শুরু করেন নববর্ষে। নতুন বছরের নতুন দিনে সবাইকে উষ্ণ অভিনন্দন। সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ ও সুন্দর থাকুন। নতুন বছর শুভ বারতা বয়ে আনুক সবার জন্য।
বর্তমান ইংরেজি ক্যালেন্ডার ১৫৮২ সালে পোপ গ্রেগরি ৮ম প্রবর্তন করেন। তবে প্রবর্তনের সঙ্গে সঙ্গেই সব খ্রিস্ট ধর্মানুসারী দেশ তা গ্রহণ করেনি। প্রটেস্ট্যান্ট অধ্যুষিত দেশ যেগুলো ছিল, তারা এই ক্যালেন্ডার বেশ কিছু সময় পর গ্রহণ করে। গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার পড়ে নববর্ষের শুরু ৩১ ডিসেম্বর এবং নববর্ষের শুভসূচনা ১ জানুয়ারি। আপেল পতন ছাড়াও ৩১ ডিসেম্বর রাতে ইস্ট রিভারে চোখ ঝলসানো আতশবাজির উৎসবের মধ্য দিয়ে একটি বর্ষকে বিদায় জানিয়ে নতুন আরেকটি বছরে পদার্পণ করে। এদিন সরকারি ছুটির দিন। রাতে পরিবারের সব সদস্য একসঙ্গে ডিনার গ্রহণ করেন। বড়দিন উপলক্ষে একটি আনন্দদায়ক প্রচলিত প্রথা একে অপরের সঙ্গে উপহার বিনিময় করা। এটি বিশেষ করে শিশুরা দারুণভাবে উপভোগ করে। বড়রা নিজেদের মধ্যে ফুল বিনিময় করেন। সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে, বিগত বছরের হতাশা, ব্যর্থতা কাটিয়ে উঠে নতুন পরিকল্পনা নিয়ে নব উদ্যমে জীবনসংগ্রাম শুরু করেন নববর্ষে। নতুন বছরের নতুন দিনে সবাইকে উষ্ণ অভিনন্দন। সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ ও সুন্দর থাকুন। নতুন বছর শুভ বারতা বয়ে আনুক সবার জন্য।