একসময় পশ্চিম ইউরোপ কমিউনিজম আতঙ্কে ভুগতে শুরু করেছিল। এখন কমিউনিজম আতঙ্ক কেটেছে। সেই আতঙ্ক সবচেয়ে বেশি ছড়িয়েছিল আমেরিকায়। এখন আমেরিকার আতঙ্ক আর কমিউনিজমকে নিয়ে নয়। সোভিয়েত ইউনিয়নকে টুকরো টুকরো করে দিয়ে, দুই জার্মানির মধ্যকার দেয়াল ভেঙে পূর্ব ইউরোপে কমিউনিজমের দুর্বল আদর্শকে পায়ে পিষে আমেরিকার কমিউনিজম আতঙ্ক দূর হয়েছে। ওদিকে চীনেও মাও সে তুং, চৌ এন লাই বিস্মৃতপ্রায়। তবে চীনে কমিউনিজমের সেই সংজ্ঞার অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া না গেলেও আমেরিকার সঙ্গে বাজার দখলের একটা শক্ত লড়াই রয়েছে।
আমেরিকার সঙ্গে এখন গণতান্ত্রিক আদর্শের সঙ্গে চলছে ইসলামি আদর্শের লড়াই। শুধু আমেরিকায় নয়, দেখা যাচ্ছে পুরো ইউরোপও বর্তমান সময়ে ইসলামোফোবিয়ায় ভুগছে। ইসলামি আদর্শের সঙ্গে জঙ্গি চরমপন্থী, সন্ত্রাসবাদ এ রকম তকমা জুড়ে দিয়ে লড়াই বেশ চালিয়ে যাচ্ছে দুই মহাদেশ। অনেক চিন্তাবিদ মনে করেন, এই লড়াইয়ে আমেরিকার জেতার কোনো সম্ভাবনা নেই। কেননা আমেরিকার এ যুদ্ধ ছায়ার সঙ্গে যুদ্ধ। অস্তিত্বহীন একটা শত্রুর সঙ্গে লড়াই করে জয়ী হওয়া যায় না। আমেরিকার আরও একটি লড়াই আছে। যদিও সময়ের ঘষায় ঘষায় এবং সভ্যতার অগ্রযাত্রার সে লড়াইও অনেকটা স্তিমিত। তবে মনস্তাত্ত্বিকভাবে প্রবলভাবে সে লড়াই এখনো জারি আছে। সে লড়াই সাদা-কালো, সাদা-পিতের লড়াই।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ইসলামোফোবিয়ার লড়াই প্রবলভাবে এখনো চলে আসছে। বিশেষ করে ভারত-বাংলাদেশ, ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে এ লড়াইয়ের নমুনা প্রায়ই মেলে। ভারত-বাংলাদেশের হিন্দু ও মুসলমানের মধ্যে এ লড়াই একসময় বড় বড় মর্মান্তিক সব দাঙ্গার জন্ম দিয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাতে এখনও হাজার হাজার মুসলমানের রক্ত লেগে আছে। কলকাতা থেকে একটি ট্রেন যখন গুজরাটে পৌঁছায়, সে ট্রেনে আগুন লাগিয়ে কয়েক হাজার মুসলমানকে পুড়িয়ে মারা হয় নরেন্দ্র মোদির প্রত্যক্ষ ইশরায়। এর পরও মোদির দল বিজেপির নেতৃত্বে প্রায়ই মুসলিমদের প্রাণনাশের হুমকির মুখে পড়তে হয়। সাম্প্রতিককালে দেশজুড়ে বা বিশেষ কোনো রাজ্যজুড়ে দাঙ্গা সংঘটিত হতে দেখা যায় না। তবে এখনো রাস্তাঘাটে বা পাড়া-মহল্লায় মুসলমানদের হিন্দুত্ববাদীদের হাতে নাহেজাল হওয়ার খবর পাওয়া যায়। সম্প্রতি ভারতে ইসলামোফোবিয়ার শিকার হয়েছেন এক ভারতীয় মুসলিম দম্পতি।
‘ইসলামোফোবিয়ার শিকার ভারতীয় মুসলিম দম্পতি’ শিরোনামের ওই খবরে বলা হয়েছে, ‘ভারতে ইসলামোফোবিক আক্রমণের শিকার হচ্ছে মুসলমানরা। সম্প্রতি উত্তর ভারতের এক মুসলিম দম্পতি ইসলামোফোবিক আক্রমণের শিকার হয়েছে। ওই দম্পতি একটি অভিজাত এলাকায় বাড়ি কেনার পর স্থানীয় বাসিন্দারা এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে। দম্পতি উভয়েই ডাক্তার। উত্তর প্রদেশ রাজ্যের মোরাদাবাদ শহরে তাদের কেনা বাড়ি থেকে জোরপূর্বক বের করে দেওয়া হয়। হিন্দু প্রতিবেশীরা ধর্মের কারণে সেখানে তাদের চলাফেরায় আপত্তি করে আসছিল।
সেখানকার বাসিন্দাদের বয়ান অনুযায়ী, পূর্বের মালিক একজন হিন্দু ডাক্তার প্রতিবেশীদের পরামর্শ ছাড়াই বাড়িটি মুসলিম পরিবারের কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন। একজন বিক্ষোভকারী সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেন, ‘এটি একটি হিন্দু সমাজ, সেখানে ৪ শয়ের বেশি হিন্দু পরিবার বাস করে। আমরা চাই না অন্য সম্প্রদায়ের কেউ এখানে বসবাস করুক।’ ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে শুরু হওয়া বিক্ষোভে অংশ নেওয়া এক ব্যক্তি বলেন, আমরা আগের মালিককে বাড়ি ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলেছি। জেলা প্রশাসক এবং স্থানীয় পুলিশের কাছেও অভিযোগ জানানো হয়েছে। অন্যরাও যদি এই দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে, তবে শিগগিরই হয়তো এলাকাটি তার বৈশিষ্ট্য হারাতে পারে। কী ঠুনকো যুক্তিতে সাম্প্রদায়িকতার প্রকাশ। বৈচিত্র্যের মধ্যেই যে প্রকৃত সৌন্দর্য-যাদের মাথায় সাম্প্রদায়িকতার পোকা ঘুরপাক খায়, সে কথা তাদের বোধে ঢোকে না। একুশ শতকে সাম্প্রদায়িকতা যে অনেক পুরোনো চিন্তা, সে সত্য অনুধাবনের ক্ষমতা সবার থাকে না। এ কথা এখন, কিছু ব্যতিরেকে, সর্ব সত্য যে সাম্প্রদায়িকতা সভ্যতার শত্রু। শান্তি ও মানবতার শত্রু। সাম্প্রদায়িকতার ভাবনা নিয়ে কেউ এখন আর সভ্য সমাজে শামিল হতে পারে না। অগ্রগতিও অর্জন করতে পারে না। সভ্য সমাজে সাম্প্রদায়িকতা সর্বৈব ত্যাজ্য।
আমেরিকার সঙ্গে এখন গণতান্ত্রিক আদর্শের সঙ্গে চলছে ইসলামি আদর্শের লড়াই। শুধু আমেরিকায় নয়, দেখা যাচ্ছে পুরো ইউরোপও বর্তমান সময়ে ইসলামোফোবিয়ায় ভুগছে। ইসলামি আদর্শের সঙ্গে জঙ্গি চরমপন্থী, সন্ত্রাসবাদ এ রকম তকমা জুড়ে দিয়ে লড়াই বেশ চালিয়ে যাচ্ছে দুই মহাদেশ। অনেক চিন্তাবিদ মনে করেন, এই লড়াইয়ে আমেরিকার জেতার কোনো সম্ভাবনা নেই। কেননা আমেরিকার এ যুদ্ধ ছায়ার সঙ্গে যুদ্ধ। অস্তিত্বহীন একটা শত্রুর সঙ্গে লড়াই করে জয়ী হওয়া যায় না। আমেরিকার আরও একটি লড়াই আছে। যদিও সময়ের ঘষায় ঘষায় এবং সভ্যতার অগ্রযাত্রার সে লড়াইও অনেকটা স্তিমিত। তবে মনস্তাত্ত্বিকভাবে প্রবলভাবে সে লড়াই এখনো জারি আছে। সে লড়াই সাদা-কালো, সাদা-পিতের লড়াই।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ইসলামোফোবিয়ার লড়াই প্রবলভাবে এখনো চলে আসছে। বিশেষ করে ভারত-বাংলাদেশ, ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে এ লড়াইয়ের নমুনা প্রায়ই মেলে। ভারত-বাংলাদেশের হিন্দু ও মুসলমানের মধ্যে এ লড়াই একসময় বড় বড় মর্মান্তিক সব দাঙ্গার জন্ম দিয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাতে এখনও হাজার হাজার মুসলমানের রক্ত লেগে আছে। কলকাতা থেকে একটি ট্রেন যখন গুজরাটে পৌঁছায়, সে ট্রেনে আগুন লাগিয়ে কয়েক হাজার মুসলমানকে পুড়িয়ে মারা হয় নরেন্দ্র মোদির প্রত্যক্ষ ইশরায়। এর পরও মোদির দল বিজেপির নেতৃত্বে প্রায়ই মুসলিমদের প্রাণনাশের হুমকির মুখে পড়তে হয়। সাম্প্রতিককালে দেশজুড়ে বা বিশেষ কোনো রাজ্যজুড়ে দাঙ্গা সংঘটিত হতে দেখা যায় না। তবে এখনো রাস্তাঘাটে বা পাড়া-মহল্লায় মুসলমানদের হিন্দুত্ববাদীদের হাতে নাহেজাল হওয়ার খবর পাওয়া যায়। সম্প্রতি ভারতে ইসলামোফোবিয়ার শিকার হয়েছেন এক ভারতীয় মুসলিম দম্পতি।
‘ইসলামোফোবিয়ার শিকার ভারতীয় মুসলিম দম্পতি’ শিরোনামের ওই খবরে বলা হয়েছে, ‘ভারতে ইসলামোফোবিক আক্রমণের শিকার হচ্ছে মুসলমানরা। সম্প্রতি উত্তর ভারতের এক মুসলিম দম্পতি ইসলামোফোবিক আক্রমণের শিকার হয়েছে। ওই দম্পতি একটি অভিজাত এলাকায় বাড়ি কেনার পর স্থানীয় বাসিন্দারা এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে। দম্পতি উভয়েই ডাক্তার। উত্তর প্রদেশ রাজ্যের মোরাদাবাদ শহরে তাদের কেনা বাড়ি থেকে জোরপূর্বক বের করে দেওয়া হয়। হিন্দু প্রতিবেশীরা ধর্মের কারণে সেখানে তাদের চলাফেরায় আপত্তি করে আসছিল।
সেখানকার বাসিন্দাদের বয়ান অনুযায়ী, পূর্বের মালিক একজন হিন্দু ডাক্তার প্রতিবেশীদের পরামর্শ ছাড়াই বাড়িটি মুসলিম পরিবারের কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন। একজন বিক্ষোভকারী সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেন, ‘এটি একটি হিন্দু সমাজ, সেখানে ৪ শয়ের বেশি হিন্দু পরিবার বাস করে। আমরা চাই না অন্য সম্প্রদায়ের কেউ এখানে বসবাস করুক।’ ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে শুরু হওয়া বিক্ষোভে অংশ নেওয়া এক ব্যক্তি বলেন, আমরা আগের মালিককে বাড়ি ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলেছি। জেলা প্রশাসক এবং স্থানীয় পুলিশের কাছেও অভিযোগ জানানো হয়েছে। অন্যরাও যদি এই দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে, তবে শিগগিরই হয়তো এলাকাটি তার বৈশিষ্ট্য হারাতে পারে। কী ঠুনকো যুক্তিতে সাম্প্রদায়িকতার প্রকাশ। বৈচিত্র্যের মধ্যেই যে প্রকৃত সৌন্দর্য-যাদের মাথায় সাম্প্রদায়িকতার পোকা ঘুরপাক খায়, সে কথা তাদের বোধে ঢোকে না। একুশ শতকে সাম্প্রদায়িকতা যে অনেক পুরোনো চিন্তা, সে সত্য অনুধাবনের ক্ষমতা সবার থাকে না। এ কথা এখন, কিছু ব্যতিরেকে, সর্ব সত্য যে সাম্প্রদায়িকতা সভ্যতার শত্রু। শান্তি ও মানবতার শত্রু। সাম্প্রদায়িকতার ভাবনা নিয়ে কেউ এখন আর সভ্য সমাজে শামিল হতে পারে না। অগ্রগতিও অর্জন করতে পারে না। সভ্য সমাজে সাম্প্রদায়িকতা সর্বৈব ত্যাজ্য।