
বছর আসে, বছর যায়। মানুষ নতুন করে স্বপ্ন দেখে- আবার নতুন বছর আসে। দেহে যতক্ষণ প্রাণ থাকে মানুষের এই স্বপ্ন দেখা চলতেই থাকে। চলে গেল যে বছর সে বছর জন্ম দিয়েছিল নানান ঘটনার। অন্যান্য বছরগুলোর মতোই ২০২৪ ছিল নানা কারণে আলোচনা এবং সমালোচনায় ভরা। আবার জাতীয় জীবনেও বড় ধরনের অর্জন ছিল লক্ষ করার মতো। প্রবাসেও অনেক চড়াই-উৎরাই ছিল। সবকিছুকে পেছনে ফেলে নতুন বছর এসেছে। আর নতুন বছর সবার হাসি-আনন্দে কাটুক, এই প্রত্যাশা সবার।
নিউইয়র্কে প্রতিবছরের মত ম্যানহাটনের প্রাণকেন্দ্র টাইমস স্কয়ারে ৩১ ডিসেম্বর মঙ্গলবার থার্টি ফার্স্ট নাইটে বর্ষবরণে আপেল পতনের জমকালো অনুষ্ঠান হয়েছে। সারা বিশ্বের পর্যটক ও আমেরিকানরা এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন। প্রবাসী বাংলাদেশিরা টাইম স্কয়ারের অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।
এছাড়া প্রবাসে বিভিন্ন সংগঠন নানান অনুষ্ঠানের মাধ্যমে খ্রিস্টিয় নতুন বছর ২০২৫-কে বরণ করে নিয়েছেন। বাংলাদেশ থার্টিফার্স্ট নাইট এবং নতুন বছরকে বরণ অনুষ্ঠানে পুলিশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার ছিল চোখে পড়ার মত। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ২০২৪ ছিল বড় ঘটনাবহুল। এ বছর ছাত্র-জনতার আন্দোলন এবং এই আন্দোলনের ফসল ছিল ১৬ বছর একটানা ক্ষমতা থাকা শেখ হাসিনা সরকারের পতন। এছাড়া নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসাবে দায়িত্বগ্রহণ বেশ আলোচিত বিষয় ছিল।
২০২৪-এ আমেরিকার বহুল আলোচিত ঘটনা ছিল যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এই নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের হোয়াইট হাউজে প্রত্যাবর্তন ছিল সবচেয়ে স্মরণীয় ঘটনা।
এদিকে হামাস-ইসরায়েল এবং ইউক্রেন-রাশিয়ার চলমান যুদ্ধ বন্ধ, বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠা এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য হ্রাসের দাবি উচ্চারণের মধ্যদিয়ে ইংরেজি নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়েছেন আমেরিকানরা। কোথাও অপ্রীতিকর ঘটনার সংবাদ পাওয়া যায়নি নতুন বছরের প্রথম প্রহর পর্যন্ত। বিশ্বখ্যাত টাইমস স্কোয়ারে সবচেয়ে বড় উৎসবটিও নির্বিঘ্নে অনুষ্ঠিত হয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সার্বক্ষণিক মনিটরিংয়ের মধ্যে।
২০২৫ সালকে স্বাগত জানিয়েছে বিশ্ব
এদিকে, নতুন বছর ২০২৫ সালকে স্বাগত জানাতে শুরু করেছে বিশ্ব। বিশ্বে সবার আগে ২০২৫ সালকে স্বাগত জানিয়েছে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দ্বীপদেশ কিরিবাতি। সবার আগে দেশটি নতুন বছরে পা দিয়েছে। এরপর নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড নতুন বছর বরণ করেছে। সেখানে আতশবাজিতে স্বাগত জানানো হয় নতুন বছরকে।
প্রায় একই সময়ে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে ঝলমলে আতশবাজির মধ্য দিয়ে স্বাগত জানানো হয় ২০২৫ সালকে। ঘড়ির কাঁটা রাত ১২টা ছুঁতেই আকাশ আলোকিত হয়ে ওঠে আতশবাজির ঝলকানিতে। অস্ট্রেলিয়ার নর্দার্ন টেরিটোরিও নতুন বছরে পা দিয়েছে।
এরপর নতুন বছরে পা দিয়েছে জাপান। রাজধানী টোকিওর তোদাই-জি মন্দিরে ঘন্টাধ্বনি বাজানোর ঐতিহ্য মেনেই বর্ষবরণ করেছে দেশটি। জাপানের পর দক্ষিণ কোরিয়া, ভারত ও শ্রীলংকা একে একে ২০২৫ সালে পদার্পণ করবে। তারপর যুক্তরাজ্যসহ ২৫ টি দেশ স্বাগত জানায় নতুন বছরকে।
চীনজুড়ে মানুষ নতুন বছরকে স্বগত জানাতে প্রস্তুত হয়ে আছে। চীনের শ্যানডং প্রদেশে নতুন বছরে শুভ ভাগ্য কামনা করে লেখা ব্যানার নিয়ে ২০২৫ সালকে বরণ করে নিতে প্রস্তুত একদল নারী।
ওদিকে, চীনের কংজিয়াং কাউন্টিতে একটি গ্রামের বাসিন্দারা প্রচলিত বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে স্বাগত জানাচ্ছে নতুন বছরকে। রাজধানী বেইজিংয়ে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং নতুন বছরের আগমনীতে দেন ভাষণ।
তবে যুক্তরাজ্যে আবহাওয়াজনিত কারণে নতুন বছর উদযাপানের কিছু অনুষ্ঠান বাতিল হয়েছে। ওদিকে, দক্ষিণ কোরিয়াও বছরের শেষের ভয়াবহ উড়োজাহাজ দুর্ঘটনার পর অনেটা নিরবেই পালন করছে নতুন বছর বরণের উৎসব।
অন্যান্য দেশগুলোতে ঐতিহ্য ও প্রচলিত প্রথা মেনে নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর তোড়জোড় চলছে বলে জানিয়েছে বিবিসি। স্পেনে নতুন বছরের কাউন্টডাউনের প্রতি মুহূর্তে একটি করে আঙুর খাওয়াই প্রথা। ১৯০৯ সাল থেকে চলে আসছে এভাবে নতুন বছর বরণের রীতি। আবার ডেনমার্কে থালা ছুড়ে স্বাগত জানানো হয়ে আসছে নতুন বছরকে। নতুন বছরের আগমনীতে যত বেশি থালা ছুড়া যাবে ততই শুভ ভাগ্য বয়ে আনবে নতুন সাল- এমনটিই বিশ্বাস করা হয় সেখানে।
ল্যাটিন আমেরিকার প্রথা হচ্ছে রঙচঙে অন্তর্বাস পরিধান করে নতুন বছরকে স্বাগত জানানো। অন্তর্বাসের রঙের ওপর নির্ভর করে নতুন বছর একেক জনের জন্য একেক রকম ভাগ্য বয়ে আনবে বলে সেখানে বিশ্বাস করা হয়- যেমন: হলুদ রঙ ধনসম্পদ আনে, লাল রঙ আনে ভালোবাসা।
ফিলিপিন্সের মানুষ আবার নতুন বছরের আগমনীতে কয়েনের প্রতীক হিসাবে গোল জিনিস দিয়ে নিজেদের ঘিরে রাখে। এছাড়াও পোলকা ডটের কাপড় পরা এবং আঙুর খাওয়াও রীতি দেশটিতে।
বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশের পর অনেকটা দেরিতেই নতুন বছরে পা দেবে ব্রাজিল এবং আর্জেন্টিনা। সবশেষে ২০২৫ সালকে বরণ করবে যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব উপকূলীয় এলাকাগুলো।
নিউইয়র্কে প্রতিবছরের মত ম্যানহাটনের প্রাণকেন্দ্র টাইমস স্কয়ারে ৩১ ডিসেম্বর মঙ্গলবার থার্টি ফার্স্ট নাইটে বর্ষবরণে আপেল পতনের জমকালো অনুষ্ঠান হয়েছে। সারা বিশ্বের পর্যটক ও আমেরিকানরা এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন। প্রবাসী বাংলাদেশিরা টাইম স্কয়ারের অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।
এছাড়া প্রবাসে বিভিন্ন সংগঠন নানান অনুষ্ঠানের মাধ্যমে খ্রিস্টিয় নতুন বছর ২০২৫-কে বরণ করে নিয়েছেন। বাংলাদেশ থার্টিফার্স্ট নাইট এবং নতুন বছরকে বরণ অনুষ্ঠানে পুলিশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার ছিল চোখে পড়ার মত। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ২০২৪ ছিল বড় ঘটনাবহুল। এ বছর ছাত্র-জনতার আন্দোলন এবং এই আন্দোলনের ফসল ছিল ১৬ বছর একটানা ক্ষমতা থাকা শেখ হাসিনা সরকারের পতন। এছাড়া নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসাবে দায়িত্বগ্রহণ বেশ আলোচিত বিষয় ছিল।
২০২৪-এ আমেরিকার বহুল আলোচিত ঘটনা ছিল যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এই নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের হোয়াইট হাউজে প্রত্যাবর্তন ছিল সবচেয়ে স্মরণীয় ঘটনা।
এদিকে হামাস-ইসরায়েল এবং ইউক্রেন-রাশিয়ার চলমান যুদ্ধ বন্ধ, বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠা এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য হ্রাসের দাবি উচ্চারণের মধ্যদিয়ে ইংরেজি নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়েছেন আমেরিকানরা। কোথাও অপ্রীতিকর ঘটনার সংবাদ পাওয়া যায়নি নতুন বছরের প্রথম প্রহর পর্যন্ত। বিশ্বখ্যাত টাইমস স্কোয়ারে সবচেয়ে বড় উৎসবটিও নির্বিঘ্নে অনুষ্ঠিত হয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সার্বক্ষণিক মনিটরিংয়ের মধ্যে।
২০২৫ সালকে স্বাগত জানিয়েছে বিশ্ব
এদিকে, নতুন বছর ২০২৫ সালকে স্বাগত জানাতে শুরু করেছে বিশ্ব। বিশ্বে সবার আগে ২০২৫ সালকে স্বাগত জানিয়েছে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দ্বীপদেশ কিরিবাতি। সবার আগে দেশটি নতুন বছরে পা দিয়েছে। এরপর নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড নতুন বছর বরণ করেছে। সেখানে আতশবাজিতে স্বাগত জানানো হয় নতুন বছরকে।
প্রায় একই সময়ে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে ঝলমলে আতশবাজির মধ্য দিয়ে স্বাগত জানানো হয় ২০২৫ সালকে। ঘড়ির কাঁটা রাত ১২টা ছুঁতেই আকাশ আলোকিত হয়ে ওঠে আতশবাজির ঝলকানিতে। অস্ট্রেলিয়ার নর্দার্ন টেরিটোরিও নতুন বছরে পা দিয়েছে।
এরপর নতুন বছরে পা দিয়েছে জাপান। রাজধানী টোকিওর তোদাই-জি মন্দিরে ঘন্টাধ্বনি বাজানোর ঐতিহ্য মেনেই বর্ষবরণ করেছে দেশটি। জাপানের পর দক্ষিণ কোরিয়া, ভারত ও শ্রীলংকা একে একে ২০২৫ সালে পদার্পণ করবে। তারপর যুক্তরাজ্যসহ ২৫ টি দেশ স্বাগত জানায় নতুন বছরকে।
চীনজুড়ে মানুষ নতুন বছরকে স্বগত জানাতে প্রস্তুত হয়ে আছে। চীনের শ্যানডং প্রদেশে নতুন বছরে শুভ ভাগ্য কামনা করে লেখা ব্যানার নিয়ে ২০২৫ সালকে বরণ করে নিতে প্রস্তুত একদল নারী।
ওদিকে, চীনের কংজিয়াং কাউন্টিতে একটি গ্রামের বাসিন্দারা প্রচলিত বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে স্বাগত জানাচ্ছে নতুন বছরকে। রাজধানী বেইজিংয়ে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং নতুন বছরের আগমনীতে দেন ভাষণ।
তবে যুক্তরাজ্যে আবহাওয়াজনিত কারণে নতুন বছর উদযাপানের কিছু অনুষ্ঠান বাতিল হয়েছে। ওদিকে, দক্ষিণ কোরিয়াও বছরের শেষের ভয়াবহ উড়োজাহাজ দুর্ঘটনার পর অনেটা নিরবেই পালন করছে নতুন বছর বরণের উৎসব।
অন্যান্য দেশগুলোতে ঐতিহ্য ও প্রচলিত প্রথা মেনে নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর তোড়জোড় চলছে বলে জানিয়েছে বিবিসি। স্পেনে নতুন বছরের কাউন্টডাউনের প্রতি মুহূর্তে একটি করে আঙুর খাওয়াই প্রথা। ১৯০৯ সাল থেকে চলে আসছে এভাবে নতুন বছর বরণের রীতি। আবার ডেনমার্কে থালা ছুড়ে স্বাগত জানানো হয়ে আসছে নতুন বছরকে। নতুন বছরের আগমনীতে যত বেশি থালা ছুড়া যাবে ততই শুভ ভাগ্য বয়ে আনবে নতুন সাল- এমনটিই বিশ্বাস করা হয় সেখানে।
ল্যাটিন আমেরিকার প্রথা হচ্ছে রঙচঙে অন্তর্বাস পরিধান করে নতুন বছরকে স্বাগত জানানো। অন্তর্বাসের রঙের ওপর নির্ভর করে নতুন বছর একেক জনের জন্য একেক রকম ভাগ্য বয়ে আনবে বলে সেখানে বিশ্বাস করা হয়- যেমন: হলুদ রঙ ধনসম্পদ আনে, লাল রঙ আনে ভালোবাসা।
ফিলিপিন্সের মানুষ আবার নতুন বছরের আগমনীতে কয়েনের প্রতীক হিসাবে গোল জিনিস দিয়ে নিজেদের ঘিরে রাখে। এছাড়াও পোলকা ডটের কাপড় পরা এবং আঙুর খাওয়াও রীতি দেশটিতে।
বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশের পর অনেকটা দেরিতেই নতুন বছরে পা দেবে ব্রাজিল এবং আর্জেন্টিনা। সবশেষে ২০২৫ সালকে বরণ করবে যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব উপকূলীয় এলাকাগুলো।