ডলার সংকটে যে মুহূর্তে বাংলাদেশের ব্যাংকগুলো হিমশিম খাচ্ছে, বাজারে ডলারের দাম চড়া, সেই মুহূর্তে জোর করে টাকার মান ধরে রাখার চেষ্টা করছে সরকার। এ কারণে ডলারের রেট ২৩ ডিসেম্বর সোমবার থেকে হঠাৎ করে প্রতি ডলারে ৪ থেকে ৫ টাকা কমে গেছে। এতে বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠানো কমে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। জানা গেছে, ব্যাংকগুলো ডলার সংকটে রেমিট্যান্স কিনেছে সর্বোচ্চ ১২৮ টাকায়। যেখানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঘোষিত দর ১২০ টাকা। আর খোলাবাজারে ডলারের দাম বেড়ে ১২৯ টাকায় পৌঁছেছে। এক সপ্তাহ আগেও যা ছিল ১২৩ থেকে ১২৪ টাকা।
এদিকে ব্যাংকগুলোকে চলতি মাসের মধ্যে পুরোনো আমদানি দায় পরিশোধের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সেজন্য ব্যাংকগুলো বেশি দামে ডলার কিনছে। এতে বেশি প্রবাসী আয় আসছে। চলতি মাসের ২১ দিনে ২ বিলিয়নের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে। এতে মোট রিজার্ভ ২৪ দশমিক ৯৫ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। আইএমএফের পরামর্শে বিপিএম হিসাবে তা ১৯ দশমিক ৯৫ বিলিয়ন ডলার। আর ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ প্রায় ১৫ দশমিক ১৪ বিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, বর্তমানে ব্যাংকগুলোর ডলারের সর্বোচ্চ বেঁধে দেওয়া রেট হলো ১২০ টাকা। যা গত জুনে ছিল ১১৮ টাকা এবং ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ছিল ১১০ টাকা। সেই হিসাবে ১ বছরে ডলারের ঘোষিত দর বেড়েছে ১০ টাকা। আর বাজারের বাস্তবতার সঙ্গে তুলনা করলে বেড়েছে ১৮ টাকা।
ডলারের বিপরীতে বাংলাদেশি মুদ্রা টাকার বড় অবমূল্যায়ন টানা তৃতীয় বছরেও অব্যাহত রয়েছে। চলতি বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত অবমূল্যায়ন ঘটেছে ৯ শতাংশেও বেশি। তবে এ হিসাব কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঘোষিত দরের ক্ষেত্রে। কার্ব মার্কেট বা খোলা মুদ্রাবাজার দর আমলে নিলে চলতি বছর টাকার বিপরীতে ডলারের বিনিময় হার বেড়েছে সাড়ে ১৪ শতাংশ। সে হিসাবে ২০২৪ সালে এশিয়ার উল্লেখযোগ্য মুদ্রাগুলোর মধ্যে টাকার অবস্থানই সবচেয়ে দুর্বল।
এশিয়ার ২০টিরও বেশি উল্লেখযোগ্য অর্থনীতির মুদ্রার অবস্থান পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ২০২৪ সালে কেবল টাকা ও ওনের অবমূল্যায়ন বেশি ঘটেছে। এর বাইরে চলতি বছর জাপানিজ ইয়েন ৬ দশমিক ৭১ শতাংশ, ফিলিপাইনি পেসো ৪ দশমিক ৫৩ শতাংশ ও ভিয়েতনামিজ ডং ৪ দশমিক ৩৪ শতাংশ অবমূল্যায়ন হয়েছে। বাকি দেশগুলোর মুদ্রার অবমূল্যায়নের হার ৩ শতাংশেরও নিচে। চলতি বছর ইন্দোনেশিয়ান রুপিয়া ২ দশমিক ৯৫ শতাংশ ও চাইনিজ ইউয়ানের অবমূল্যায়ন হয়েছে ২ দশমিক ৪২ শতাংশ। আর প্রতিবেশী দেশ ভারতে রুপির অবমূল্যায়ন হয়েছে ১ দশমিক ৭৬ শতাংশ। এছাড়া সিঙ্গাপুরি ডলারের মূল্যমান ১ দশমিক ২৯ শতাংশ কমেছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এক দশক আগে ডলারের দর বেঁধে রাখার যে নীতি বাংলাদেশ ব্যাংক নিয়েছিল, গত তিন বছর সেটিরই খেসারত দিতে হচ্ছে। ২০১২ সাল-পরবর্তী সময় থেকেই দেশে ডলারের দর বেঁধে রাখা হয়েছিল। ওই সময় দরকার ছিল ডলারের দর বাজারের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ধীরে ধীরে টাকার অবমূল্যায়ন ঘটানো। কিন্তু ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার সরকার টাকাকে শক্তিশালী দেখাতে চেয়েছে। এ কারণে টাকাকে অতিমূল্যায়িত করে রাখা হয়েছিল। কিন্তু ২০২২ সাল-পরবর্তী সময়ে এসে বাঁধ দিয়ে রেখেও টাকার অবমূল্যায়ন ঠেকানো যায়নি। বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করে দর স্থিতিশীল রাখার চেষ্টা করেও সেটি পারেনি। তখন দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের অবস্থা বেশ শক্তিশালী ছিল। ওই সময়ও যদি ডলারের বিনিময় হার বাজারের ওপর ছেড়ে দেয়া হতো, এতদিনে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যেত। কিন্তু রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করে পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে টাকার রেকর্ড অবমূল্যায়নের পাশাপাশি রিজার্ভও দুর্বল করে ফেলা হয়েছে। এ কারণে এখন বাজার স্থিতিশীল রাখার কোনো নীতিই কাজ করছে না।
এদিকে ২৩ ডিসেম্বর মঙ্গলবার থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলারের দাম ১২০ টাকায় রাখার জন্য ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে। ফলে টাকার মান জোর করে ধরে রাখার চেষ্টায় প্রবাসীরা আপাতত জরুরি প্রয়োজন ছাড়া দেশে রেমিট্যান্স পাঠানো বন্ধ রেখেছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে বৈদেশিক মূদ্রার রিজার্ভে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
এদিকে ব্যাংকগুলোকে চলতি মাসের মধ্যে পুরোনো আমদানি দায় পরিশোধের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সেজন্য ব্যাংকগুলো বেশি দামে ডলার কিনছে। এতে বেশি প্রবাসী আয় আসছে। চলতি মাসের ২১ দিনে ২ বিলিয়নের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে। এতে মোট রিজার্ভ ২৪ দশমিক ৯৫ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। আইএমএফের পরামর্শে বিপিএম হিসাবে তা ১৯ দশমিক ৯৫ বিলিয়ন ডলার। আর ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ প্রায় ১৫ দশমিক ১৪ বিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, বর্তমানে ব্যাংকগুলোর ডলারের সর্বোচ্চ বেঁধে দেওয়া রেট হলো ১২০ টাকা। যা গত জুনে ছিল ১১৮ টাকা এবং ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ছিল ১১০ টাকা। সেই হিসাবে ১ বছরে ডলারের ঘোষিত দর বেড়েছে ১০ টাকা। আর বাজারের বাস্তবতার সঙ্গে তুলনা করলে বেড়েছে ১৮ টাকা।
ডলারের বিপরীতে বাংলাদেশি মুদ্রা টাকার বড় অবমূল্যায়ন টানা তৃতীয় বছরেও অব্যাহত রয়েছে। চলতি বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত অবমূল্যায়ন ঘটেছে ৯ শতাংশেও বেশি। তবে এ হিসাব কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঘোষিত দরের ক্ষেত্রে। কার্ব মার্কেট বা খোলা মুদ্রাবাজার দর আমলে নিলে চলতি বছর টাকার বিপরীতে ডলারের বিনিময় হার বেড়েছে সাড়ে ১৪ শতাংশ। সে হিসাবে ২০২৪ সালে এশিয়ার উল্লেখযোগ্য মুদ্রাগুলোর মধ্যে টাকার অবস্থানই সবচেয়ে দুর্বল।
এশিয়ার ২০টিরও বেশি উল্লেখযোগ্য অর্থনীতির মুদ্রার অবস্থান পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ২০২৪ সালে কেবল টাকা ও ওনের অবমূল্যায়ন বেশি ঘটেছে। এর বাইরে চলতি বছর জাপানিজ ইয়েন ৬ দশমিক ৭১ শতাংশ, ফিলিপাইনি পেসো ৪ দশমিক ৫৩ শতাংশ ও ভিয়েতনামিজ ডং ৪ দশমিক ৩৪ শতাংশ অবমূল্যায়ন হয়েছে। বাকি দেশগুলোর মুদ্রার অবমূল্যায়নের হার ৩ শতাংশেরও নিচে। চলতি বছর ইন্দোনেশিয়ান রুপিয়া ২ দশমিক ৯৫ শতাংশ ও চাইনিজ ইউয়ানের অবমূল্যায়ন হয়েছে ২ দশমিক ৪২ শতাংশ। আর প্রতিবেশী দেশ ভারতে রুপির অবমূল্যায়ন হয়েছে ১ দশমিক ৭৬ শতাংশ। এছাড়া সিঙ্গাপুরি ডলারের মূল্যমান ১ দশমিক ২৯ শতাংশ কমেছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এক দশক আগে ডলারের দর বেঁধে রাখার যে নীতি বাংলাদেশ ব্যাংক নিয়েছিল, গত তিন বছর সেটিরই খেসারত দিতে হচ্ছে। ২০১২ সাল-পরবর্তী সময় থেকেই দেশে ডলারের দর বেঁধে রাখা হয়েছিল। ওই সময় দরকার ছিল ডলারের দর বাজারের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ধীরে ধীরে টাকার অবমূল্যায়ন ঘটানো। কিন্তু ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার সরকার টাকাকে শক্তিশালী দেখাতে চেয়েছে। এ কারণে টাকাকে অতিমূল্যায়িত করে রাখা হয়েছিল। কিন্তু ২০২২ সাল-পরবর্তী সময়ে এসে বাঁধ দিয়ে রেখেও টাকার অবমূল্যায়ন ঠেকানো যায়নি। বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করে দর স্থিতিশীল রাখার চেষ্টা করেও সেটি পারেনি। তখন দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের অবস্থা বেশ শক্তিশালী ছিল। ওই সময়ও যদি ডলারের বিনিময় হার বাজারের ওপর ছেড়ে দেয়া হতো, এতদিনে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যেত। কিন্তু রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করে পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে টাকার রেকর্ড অবমূল্যায়নের পাশাপাশি রিজার্ভও দুর্বল করে ফেলা হয়েছে। এ কারণে এখন বাজার স্থিতিশীল রাখার কোনো নীতিই কাজ করছে না।
এদিকে ২৩ ডিসেম্বর মঙ্গলবার থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলারের দাম ১২০ টাকায় রাখার জন্য ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে। ফলে টাকার মান জোর করে ধরে রাখার চেষ্টায় প্রবাসীরা আপাতত জরুরি প্রয়োজন ছাড়া দেশে রেমিট্যান্স পাঠানো বন্ধ রেখেছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে বৈদেশিক মূদ্রার রিজার্ভে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।