বাংলাদেশের জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, সাড়ে পনেরো বছর শাসন নয়, আওয়ামী লীগ সরকার দেশকে শ্মশানে পরিণত করেছে। শেখ হাসিনা স্বাধীনতার চেতনার কথা বলে বাংলাদেশকে অন্য দেশের কাছে ইজারা দিয়েছিলেন। এমন কাজ করা উচিত নয়, ক্ষমতা চলে গেলে পালিয়ে যেতে হয়, আত্মগোপনে যেতে হয় কিংবা ভয়ংকর পরিণতির মুখোমুখি হতে হয়।
২৩ ডিসেম্বর (সোমবার) রংপুর সদর উপজেলার পাগলাপীর বাজারে বাংলাদেশের জামায়াতে ইসলামীর এক পথ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
পেটকে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার মত সাগর বানানোর প্রয়োজন নেই বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যারা এক সময় সংখ্যালঘুদের জমি ছিনিয়ে নিয়েছে তারাই এখন মায়া কান্না কাঁদে।
তিনি বলেন, মঈনুদ্দিন ও ফখরুদ্দিন সরকার জামায়াতের ক্ষতি করেছে। মঈন-ফখর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় হঠাৎ এক বুদ্ধিজীবী হুংকার দিয়ে উঠলেন যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ৩০ হাজার একর জমি অবৈধভাবে দখল করেছেন। এরকম কিছু খুঁজে পাননি তারা।
এরকম আমাদের বিরুদ্ধে মাঝে মধ্যেই অভিযোগ করা হতো।
দুই হাজারের ওপর নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করে জামায়াত আমির বলেন, ‘সবগুলো নির্যাতন কিন্তু ধর্মীয় কারণে হয়নি। আমি রাজনীতি করি, এটা অপরাধ না। যে ধর্মের মানুষ হই না কেন এ দেশের নাগরিক হিসেবে আমার রাজনীতি করার অধিকার আছে।
শান্তিপূর্ণ মানবিক বাংলাদেশ গড়তে চাওয়ার কথা বলে তিনি বলেন, 'ছোট্ট একটা দেশ, এত ভাগ কিসের আবার। জাতীয় স্বার্থে আমরা সবাই এক। কারণ দেশ বাঁচলে আমিও বাঁচব, সবাই বাঁচবে। অশান্তি হলে সবাইকে তা ভোগ করতে হবে।'
আওয়ামী লীগের আমলে তার দল সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত হয়েছে দাবি করে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘আশা করি, আমাদের সঙ্গে একমত হবেন, গত সরকারের হাতে আমরা ছিলাম সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত।
আমাদের ১১ জন টপ লিডারকে খুন করা হয়েছে, জুডিশিয়াল কিলিং। অসংখ্য সাথি নিহত ও পঙ্গু হয়েছেন। হাজার হাজার মামলা হয়েছে, লাখো লোক জেলে গিয়েছে।'
পথ সভায় রংপুর সদর উপজেলার আমির মো. মাজহারুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা আবুল হাসনাত মো. আব্দুল হালিম এবং কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বেলাল। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে আগত নেতাকর্মীরা।
মঙ্গলবার দুপুরে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আমির ডা. শফিকুর রহমানের জেলার মিঠাপুকুর উপজেলায় এক জনসভায় যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে।
ঠিকানা/এএস
২৩ ডিসেম্বর (সোমবার) রংপুর সদর উপজেলার পাগলাপীর বাজারে বাংলাদেশের জামায়াতে ইসলামীর এক পথ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
পেটকে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার মত সাগর বানানোর প্রয়োজন নেই বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যারা এক সময় সংখ্যালঘুদের জমি ছিনিয়ে নিয়েছে তারাই এখন মায়া কান্না কাঁদে।
তিনি বলেন, মঈনুদ্দিন ও ফখরুদ্দিন সরকার জামায়াতের ক্ষতি করেছে। মঈন-ফখর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় হঠাৎ এক বুদ্ধিজীবী হুংকার দিয়ে উঠলেন যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ৩০ হাজার একর জমি অবৈধভাবে দখল করেছেন। এরকম কিছু খুঁজে পাননি তারা।
এরকম আমাদের বিরুদ্ধে মাঝে মধ্যেই অভিযোগ করা হতো।
দুই হাজারের ওপর নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করে জামায়াত আমির বলেন, ‘সবগুলো নির্যাতন কিন্তু ধর্মীয় কারণে হয়নি। আমি রাজনীতি করি, এটা অপরাধ না। যে ধর্মের মানুষ হই না কেন এ দেশের নাগরিক হিসেবে আমার রাজনীতি করার অধিকার আছে।
শান্তিপূর্ণ মানবিক বাংলাদেশ গড়তে চাওয়ার কথা বলে তিনি বলেন, 'ছোট্ট একটা দেশ, এত ভাগ কিসের আবার। জাতীয় স্বার্থে আমরা সবাই এক। কারণ দেশ বাঁচলে আমিও বাঁচব, সবাই বাঁচবে। অশান্তি হলে সবাইকে তা ভোগ করতে হবে।'
আওয়ামী লীগের আমলে তার দল সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত হয়েছে দাবি করে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘আশা করি, আমাদের সঙ্গে একমত হবেন, গত সরকারের হাতে আমরা ছিলাম সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত।
আমাদের ১১ জন টপ লিডারকে খুন করা হয়েছে, জুডিশিয়াল কিলিং। অসংখ্য সাথি নিহত ও পঙ্গু হয়েছেন। হাজার হাজার মামলা হয়েছে, লাখো লোক জেলে গিয়েছে।'
পথ সভায় রংপুর সদর উপজেলার আমির মো. মাজহারুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা আবুল হাসনাত মো. আব্দুল হালিম এবং কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বেলাল। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে আগত নেতাকর্মীরা।
মঙ্গলবার দুপুরে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আমির ডা. শফিকুর রহমানের জেলার মিঠাপুকুর উপজেলায় এক জনসভায় যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে।
ঠিকানা/এএস