ভারতে লোকসভার সামনে বিজেপি ও কংগ্রেস সাংসদদের বিক্ষোভ চলাকালে হাতাহাতির ঘটনায় তদন্তের দায়িত্ব নিয়েছে দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ। বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) শারীরিক আক্রমণ ও অসদাচরণের অভিযোগ তুলে দিল্লি পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করে উভয় পক্ষ।
বার্তা সংস্থা পিটিআইয়ের তথ্যমতে, এই বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু ছিল ভারতের সংবিধান প্রণেতা ড. বি. আর. আমবেদকারকে নিয়ে রাজ্যসভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর মন্তব্য। শাহর বক্তব্য কংগ্রেস নেতাদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। বুধ ও বৃহস্পতিবার সংসদ চত্বরে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া জোটের বিক্ষোভের জবাবে বিজেপি সাংসদদের পাল্টা বিক্ষোভ পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তোলে।
এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই লোকসভার সামনে কংগ্রেসের সঙ্গে মুখোমুখি অবস্থানে যায় বিজেপি জোটভুক্ত এনডিএর এমপিরা। একপর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে আহত হন বিজেপির সাংসদ প্রতাপ সারঙ্গি ও মুকেশ রাজপুত।
বিজেপি নেতা হেমাং জোশি কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে জানান, তিনি এ সংঘর্ষের উসকানি দিয়েছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে দিল্লি পুলিশ রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে।
তবে কংগ্রেস এই সংঘর্ষের জন্য বিজেপিকে দায়ী করেছে। দলটি দাবি করে, বিজেপি সাংসদরা কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেকে ধাক্কা দিয়ে তার হাঁটুতে আঘাত করেছেন। রাহুল গান্ধী পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, তাকে সংসদে প্রবেশ করতে বাধা দেওয়া হয় এবং বিজেপি এমপিরা লাঠি নিয়ে তাকে হুমকি দেন।
বিজেপি এমপি প্রতাপ চন্দ্র সারেঙ্গি অভিযোগ করেন, রাহুল গান্ধী তাকে ধাক্কা দেন। সারেঙ্গি বলেন, ‘আমি সিঁড়ির কাছে দাঁড়িয়ে ছিলাম, তখন রাহুল গান্ধী একজন এমপিকে ধাক্কা দেন, যিনি আমার ওপর পড়ে যান।’
অন্যদিকে রাহুল গান্ধী অভিযোগ করেন, ‘বিজেপি এমপিরা আমাকে ঠেলে দেয় ও ভয় দেখাচ্ছিল।’
রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে অভিযোগ করেন, তাকেও ধাক্কা দেওয়া হয়েছে। লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে লেখা এক চিঠিতে খাড়গে বলেন, ‘বিজেপির সাংসদরা আমাকে ধাক্কা দেয়। এতে আমি ভারসাম্য হারিয়ে পড়ে যাই এবং আহত হই।’
এদিকে নাগাল্যান্ডের নারী বিজেপি সাংসদ ফাংনোন কোনিয়াক অভিযোগ করেন, রাহুল গান্ধী তার খুব কাছে এসে চিৎকার করেন। যা তাকে অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে ফেলে দেয়। তিনি বলেন, ‘আমি শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করছিলাম। রাহুল গান্ধী এসে আমার কাছে দাঁড়িয়ে চিৎকার করতে শুরু করেন। এতে আমি অস্বস্তি বোধ করি এবং নিজের নিরাপত্তার বিষয়ে রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলেছি।’
এই সংঘর্ষের পর বিজেপি এবং কংগ্রেসের প্রতিনিধিরা পৃথকভাবে দিল্লি পুলিশের কার্যালয়ে যান। বিজেপির প্রতিনিধিরা ডেপুটি কমিশনারের অফিসে এবং কংগ্রেসের প্রতিনিধিরা পার্লামেন্ট স্ট্রিটের সহকারী কমিশনারের অফিসে যান।
সংসদ চত্বরে এই উত্তেজনার মধ্যে উভয় দলের নেতৃত্ব পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছে, যা এক নতুন রাজনৈতিক নাটকের জন্ম দিয়েছে।
ঠিকানা/এনআই
বার্তা সংস্থা পিটিআইয়ের তথ্যমতে, এই বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু ছিল ভারতের সংবিধান প্রণেতা ড. বি. আর. আমবেদকারকে নিয়ে রাজ্যসভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর মন্তব্য। শাহর বক্তব্য কংগ্রেস নেতাদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। বুধ ও বৃহস্পতিবার সংসদ চত্বরে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া জোটের বিক্ষোভের জবাবে বিজেপি সাংসদদের পাল্টা বিক্ষোভ পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তোলে।
এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই লোকসভার সামনে কংগ্রেসের সঙ্গে মুখোমুখি অবস্থানে যায় বিজেপি জোটভুক্ত এনডিএর এমপিরা। একপর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে আহত হন বিজেপির সাংসদ প্রতাপ সারঙ্গি ও মুকেশ রাজপুত।
বিজেপি নেতা হেমাং জোশি কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে জানান, তিনি এ সংঘর্ষের উসকানি দিয়েছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে দিল্লি পুলিশ রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে।
তবে কংগ্রেস এই সংঘর্ষের জন্য বিজেপিকে দায়ী করেছে। দলটি দাবি করে, বিজেপি সাংসদরা কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেকে ধাক্কা দিয়ে তার হাঁটুতে আঘাত করেছেন। রাহুল গান্ধী পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, তাকে সংসদে প্রবেশ করতে বাধা দেওয়া হয় এবং বিজেপি এমপিরা লাঠি নিয়ে তাকে হুমকি দেন।
বিজেপি এমপি প্রতাপ চন্দ্র সারেঙ্গি অভিযোগ করেন, রাহুল গান্ধী তাকে ধাক্কা দেন। সারেঙ্গি বলেন, ‘আমি সিঁড়ির কাছে দাঁড়িয়ে ছিলাম, তখন রাহুল গান্ধী একজন এমপিকে ধাক্কা দেন, যিনি আমার ওপর পড়ে যান।’
অন্যদিকে রাহুল গান্ধী অভিযোগ করেন, ‘বিজেপি এমপিরা আমাকে ঠেলে দেয় ও ভয় দেখাচ্ছিল।’
রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে অভিযোগ করেন, তাকেও ধাক্কা দেওয়া হয়েছে। লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে লেখা এক চিঠিতে খাড়গে বলেন, ‘বিজেপির সাংসদরা আমাকে ধাক্কা দেয়। এতে আমি ভারসাম্য হারিয়ে পড়ে যাই এবং আহত হই।’
এদিকে নাগাল্যান্ডের নারী বিজেপি সাংসদ ফাংনোন কোনিয়াক অভিযোগ করেন, রাহুল গান্ধী তার খুব কাছে এসে চিৎকার করেন। যা তাকে অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে ফেলে দেয়। তিনি বলেন, ‘আমি শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করছিলাম। রাহুল গান্ধী এসে আমার কাছে দাঁড়িয়ে চিৎকার করতে শুরু করেন। এতে আমি অস্বস্তি বোধ করি এবং নিজের নিরাপত্তার বিষয়ে রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলেছি।’
এই সংঘর্ষের পর বিজেপি এবং কংগ্রেসের প্রতিনিধিরা পৃথকভাবে দিল্লি পুলিশের কার্যালয়ে যান। বিজেপির প্রতিনিধিরা ডেপুটি কমিশনারের অফিসে এবং কংগ্রেসের প্রতিনিধিরা পার্লামেন্ট স্ট্রিটের সহকারী কমিশনারের অফিসে যান।
সংসদ চত্বরে এই উত্তেজনার মধ্যে উভয় দলের নেতৃত্ব পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছে, যা এক নতুন রাজনৈতিক নাটকের জন্ম দিয়েছে।
ঠিকানা/এনআই