বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের একটি মন্তব্যে ‘তীব্র প্রতিবাদ’ জানিয়েছে ভারত। ১৯ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছেন, এ ধরনের বক্তব্য ‘জনসমক্ষে দায়িত্বশীলতার প্রয়োজনীয়তা’ তুলে ধরে।
এর আগে, গত ৫ ডিসেম্বর উপদেষ্টা মাহফুজ আলম তার এক ফেসবুক পোস্টে দাবি করেছিলেন যে, ভারতকে শেখ হাসিনার পদত্যাগে ভূমিকা রাখা ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে স্বীকৃতি দিতে হবে।
এ নিয়ে নিয়মিত সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষকে আমাদের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছি। আমরা মনে করি, উল্লেখিত পোস্টটি ইতোমধ্যেই মুছে ফেলা হয়েছে। তবে আমরা সবাইকে মনে করিয়ে দিতে চাই যে, জনসমক্ষে মন্তব্য করার সময় তাদের আরও সতর্ক থাকা উচিত‘।
দীর্ঘ ১৬ বছর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতায় থাকা শেখ হাসিনা সাম্প্রতিক আন্দোলন-বিক্ষোভ এবং নিরাপত্তা হুমকির কারণে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন। গত ৫ আগস্ট সহিংস জনতার নিরাপত্তা হুমকির মুখে তিনি একটি সামরিক বিমানে করে ঢাকা ত্যাগ করেন।
এরপর থেকেই মূলত তাকে দেশে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে নানা জনে কথা বলা শুরু করেন। এরই মধ্যে তার নামে বহু সংখ্যক মামলাও দায়ের হয়েছে সারা দেশে।
ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক
অন্যদিকে শেখ হাসিনার পতনের পর থেকেই ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক কিছুটা টানাপোড়েনের মধ্যে রয়েছে। বিশেষ করে নোবেল বিজয়ী মুহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর থেকে।
ভারত সম্প্রতি বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু ও অন্যান্য সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে কথিত সহিংসতার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
দেশটির পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিং রাজ্যসভায় বলেছেন, ভারতের উদ্বেগগুলোকে বারবার বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে তুলে ধরা হয়েছে। সেখানকার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জীবন ও স্বাধীনতা রক্ষার দায়িত্ব তাদের ওপরেই বর্তায়।
ভবিষ্যত সম্পর্কের দিক
ভারত তার প্রতিবেশী বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে আগ্রহী বলেও জানিয়েছে। তবে এ ধরনের বিতর্কিত মন্তব্য ও সহিংসতার ঘটনাগুলো উভয় দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস
ঠিকানা/এএস
এর আগে, গত ৫ ডিসেম্বর উপদেষ্টা মাহফুজ আলম তার এক ফেসবুক পোস্টে দাবি করেছিলেন যে, ভারতকে শেখ হাসিনার পদত্যাগে ভূমিকা রাখা ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে স্বীকৃতি দিতে হবে।
এ নিয়ে নিয়মিত সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষকে আমাদের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছি। আমরা মনে করি, উল্লেখিত পোস্টটি ইতোমধ্যেই মুছে ফেলা হয়েছে। তবে আমরা সবাইকে মনে করিয়ে দিতে চাই যে, জনসমক্ষে মন্তব্য করার সময় তাদের আরও সতর্ক থাকা উচিত‘।
দীর্ঘ ১৬ বছর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতায় থাকা শেখ হাসিনা সাম্প্রতিক আন্দোলন-বিক্ষোভ এবং নিরাপত্তা হুমকির কারণে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন। গত ৫ আগস্ট সহিংস জনতার নিরাপত্তা হুমকির মুখে তিনি একটি সামরিক বিমানে করে ঢাকা ত্যাগ করেন।
এরপর থেকেই মূলত তাকে দেশে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে নানা জনে কথা বলা শুরু করেন। এরই মধ্যে তার নামে বহু সংখ্যক মামলাও দায়ের হয়েছে সারা দেশে।
ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক
অন্যদিকে শেখ হাসিনার পতনের পর থেকেই ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক কিছুটা টানাপোড়েনের মধ্যে রয়েছে। বিশেষ করে নোবেল বিজয়ী মুহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর থেকে।
ভারত সম্প্রতি বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু ও অন্যান্য সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে কথিত সহিংসতার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
দেশটির পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিং রাজ্যসভায় বলেছেন, ভারতের উদ্বেগগুলোকে বারবার বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে তুলে ধরা হয়েছে। সেখানকার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জীবন ও স্বাধীনতা রক্ষার দায়িত্ব তাদের ওপরেই বর্তায়।
ভবিষ্যত সম্পর্কের দিক
ভারত তার প্রতিবেশী বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে আগ্রহী বলেও জানিয়েছে। তবে এ ধরনের বিতর্কিত মন্তব্য ও সহিংসতার ঘটনাগুলো উভয় দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস
ঠিকানা/এএস