শুনেছি বানর এসেছে গাঁয়,
বেঁধেছে বাসা আজীবন তরে,
ঘরে, দুয়ারে, করমচা তলায়,
ভীত সংকোচে চড়া চড়ে।
পুকুরঘাটে, মাঠে, আঙিনায়
এদিক ওদিক চায়, গগনে, ভূমিতে।
গাছে, বাটে, ঘুরে বেড়ায়, দোল খায়,
ঝুলে ঝুলে লতা টেনে দোল খায়।
ভালোবাসা গড়ে, বসে নিরালায়,
একে অপরে চুল বেছে দেয়,
মধুর সুখের, ঘর-সংসার গড়ে।
শিশু জন্ম দেয়, পালন করে অনায়াসে,
আহা শিশুটি জলে পড়ে মরে।
আহাজারি করে, বুক চাপড়ায়।
বড় অসহায়।
কোকিল, কাকের বাসায় কৌশলে ডিম দেয়,
চতুর বানর চুরি করে নেয়,
আম, আনারস দল বেঁধে খায়।
গোলাপের পাপড়ি, ছিঁড়ে মুখে দেয়,
ঝাঁটার পিঠা, বকুনিও খায়।
বড় অসহায়।
ঘরের চালের, চালকুমড়ো পেকে সাদা,
চুনমাখা সাদা হয়ে উঠেছে।
চোখ পড়েছে সবার, প্রতিবেশীর, পথিকের।
লোভ লেগেছে দুষ্ট বানরের।
ধীরে ধীরে আসে একা,
দলের সবাই দূরে ইশারার অপেক্ষায়।
সবাই মিলেমিশে খায়।
তবুও অসহায়।
আর আমি? পূর্বপুরুষের দলিল।
সবকিছুই হাতের মুঠোয়,
টিপ দিলেই পাই, লম্বা কথা বলি,
আপন আঙিনা ভুলি।
গায়ের গন্ধ ঢাকি, শখের সুগন্ধি মাখি।
সমাজে সটান চলি, দেনার গায়ে ঢলি।
গাঁয়ের বানর আর প্রবাসজীবন,
ব্যবধান খুঁজে নাহি পাই।
বড় অসহায়।
মাদারী আসে গাঁয়, ধরে নিয়ে যায়।
নাচ শেখায়, পোশাক পরায়, ঢং করে
হাসে, দুঃখ শেখায়, কড়ি তুলে নেয়।
সালাম দেয়, সবাই শুনে, বুঝে যায়।
ডুগডুগি বাজায়, সবাইকে হাসায়।
তবুও অসহায়।
প্রবাসজীবন ধরি, নতুন জামা পরি,
রেশমি জীবন গড়ি, নিয়মের পুতুল সাজি,
বণিক সেজে যাই, শাসন করে বেড়াই,
উত্থানের জোয়ারে, নিজেকে ভুলে যাই,
প্রবাসী অসহায়, স্বদেশে ও প্রবাসে।
বেঁধেছে বাসা আজীবন তরে,
ঘরে, দুয়ারে, করমচা তলায়,
ভীত সংকোচে চড়া চড়ে।
পুকুরঘাটে, মাঠে, আঙিনায়
এদিক ওদিক চায়, গগনে, ভূমিতে।
গাছে, বাটে, ঘুরে বেড়ায়, দোল খায়,
ঝুলে ঝুলে লতা টেনে দোল খায়।
ভালোবাসা গড়ে, বসে নিরালায়,
একে অপরে চুল বেছে দেয়,
মধুর সুখের, ঘর-সংসার গড়ে।
শিশু জন্ম দেয়, পালন করে অনায়াসে,
আহা শিশুটি জলে পড়ে মরে।
আহাজারি করে, বুক চাপড়ায়।
বড় অসহায়।
কোকিল, কাকের বাসায় কৌশলে ডিম দেয়,
চতুর বানর চুরি করে নেয়,
আম, আনারস দল বেঁধে খায়।
গোলাপের পাপড়ি, ছিঁড়ে মুখে দেয়,
ঝাঁটার পিঠা, বকুনিও খায়।
বড় অসহায়।
ঘরের চালের, চালকুমড়ো পেকে সাদা,
চুনমাখা সাদা হয়ে উঠেছে।
চোখ পড়েছে সবার, প্রতিবেশীর, পথিকের।
লোভ লেগেছে দুষ্ট বানরের।
ধীরে ধীরে আসে একা,
দলের সবাই দূরে ইশারার অপেক্ষায়।
সবাই মিলেমিশে খায়।
তবুও অসহায়।
আর আমি? পূর্বপুরুষের দলিল।
সবকিছুই হাতের মুঠোয়,
টিপ দিলেই পাই, লম্বা কথা বলি,
আপন আঙিনা ভুলি।
গায়ের গন্ধ ঢাকি, শখের সুগন্ধি মাখি।
সমাজে সটান চলি, দেনার গায়ে ঢলি।
গাঁয়ের বানর আর প্রবাসজীবন,
ব্যবধান খুঁজে নাহি পাই।
বড় অসহায়।
মাদারী আসে গাঁয়, ধরে নিয়ে যায়।
নাচ শেখায়, পোশাক পরায়, ঢং করে
হাসে, দুঃখ শেখায়, কড়ি তুলে নেয়।
সালাম দেয়, সবাই শুনে, বুঝে যায়।
ডুগডুগি বাজায়, সবাইকে হাসায়।
তবুও অসহায়।
প্রবাসজীবন ধরি, নতুন জামা পরি,
রেশমি জীবন গড়ি, নিয়মের পুতুল সাজি,
বণিক সেজে যাই, শাসন করে বেড়াই,
উত্থানের জোয়ারে, নিজেকে ভুলে যাই,
প্রবাসী অসহায়, স্বদেশে ও প্রবাসে।