পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী শ্রীমতী মমতা ব্যানার্জিকে আমরা বাংলাদেশের মানুষেরা (আওয়ামী লীগ ছাড়া) একজন সত্যবাদী, স্পষ্টবাদী, নিরপেক্ষ, দুর্নীতিমুক্ত ও অসাম্প্রদায়িক নেত্রী হিসেবে জানি। আমরা আফসোস করে বলতাম, হায় আমাদের রাষ্ট্রপ্রধান যদি মমতা দিদির মতো হতেন! যেহেতু আমরা অসাম্প্রদায়িক, তাই অভিন্ন ভাষার কারণে আমরা কলকাতাকেও আপন ভাবি।
সম্প্রতি ভারত থেকে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের ভুয়া সংবাদ তৈরি করে বিপুলভাবে প্রচার করা হয়। অবশেষে আপনি, মমতা দিদিও সেই গুজবকে সমর্থন করে বিবৃতি দেন এবং আগ বাড়িয়ে আন্তর্জাতিক সংস্থার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এটি হতে পারে আমাদেরকে রক্ষার জন্য, কারণ হয়তো আপনি ভেবেছেন আন্তর্জাতিক সংস্থা খুঁজে পাবে নিউজটি ভুয়া। আর আপনি ভুয়া বললে আপনার প্রতিপক্ষের আক্রমণ মোকাবিলা করতে হবে। তার পরও শতভাগ অসত্য একটি বিষয়ে আন্তর্জাতিক কাঠগড়ায় হাজির হওয়াটা আমাদের জন্য সম্মানের বিষয় নয়।
আমরা জানি, এই গুজবকে আমরা মোকাবিলা করতে পারব এবং পেরেছি। তবে মন থেকে একজন মমতা দিদি হারিয়ে গেলেন কি না তা ভাবছি! দিদির শাসনব্যবস্থার ওপর ভরসা করে আমরা অবাধে কলকাতা গিয়েছি। চিকিৎসা নিয়েছি। শপিং করেছি ও ভারতের অন্যান্য স্থানেও ভ্রমণ করেছি।
এখন দিল্লির পাশাপাশি আমরা কলকাতা থেকেও অনেকটা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছি। আমরা চিকিৎসা-সুবিধা, ভ্রমণ ও শপিং থেকে বঞ্চিত হব। অন্যদিকে কলকাতার ব্যবসায়ীরা নিজ ব্যবসা নিয়ে হা-হুতাশ করবেন।
বাংলাদেশিদের ওপর ভর কর অনেক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান সেখানে চাঙা ছিল। জানতে পারছি, সেখানে ক্রেতাশূন্যতা এবং চরম দুরবস্থা বিরাজ করছে।
প্রিয় দিদি, আপনি দুই বাংলায় জনপ্রিয় ছিলেন। আপনি সরকারি বা ব্যক্তিগতভাবে গুজবের তদন্ত করে একটা বিবৃতি দিতে পারতেন। কিন্তু আপনি দিল্লির সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বাংলাদেশকে কলঙ্কিত করতে ব্যস্ত থাকলেন। বাংলাদেশে সংখ্যালঘু অত্যাচারিত হলে অবশ্যই আপনাদের গায়ে লাগবে। এটা স্বাভাবিক। তার প্রতিকারও চাইবেন। তাও স্বাভাবিক। কিন্তু বাংলাদেশে সংখ্যাগুরু ও সংখ্যালঘুর যেখানে সম্পর্ক খুবই মধুর, সেখানে আপনার মতো একজন গ্রহণযোগ্য ও দায়িত্বশীল ব্যক্তি যে বিবৃতি দিয়েছেন, তাতে আমরা যেমন বাড়তি চাপ অনুভব করেছি, তেমনি আপনার কলকাতার মুসলিম জনগণকে (যাদের অধিকাংশ আপনার ভোটার ) আপনি লজ্জায় ফেলে দিয়েছেন।
অবশেষে আপনার অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণ করার জন্য আপনারই জ্ঞাতি ভাই আমাদের গণ্যমান্য সংখ্যালঘু নেতৃবৃন্দ এগিয়ে এসেছেন। শুধু তা-ই নয়, এগিয়ে এসেছেন পশ্চিমা দেশের পর্যবেক্ষকগণও। তারা রিপোর্ট দিয়েছেন, বাংলাদেশের সংখ্যালঘু নির্যাতনের খবরগুলো একেবারেই গুজব এবং সম্পূর্ণভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
আমরা এখনো আশা করছি, আপনি আপনার মেধা-মনন দিয়ে সত্য যাচাই করে আপনার দেওয়া বিবৃতি সংশোধন করবেন। এটা শুধু আপনার এবং আমাদের জন্যই নয়, গোটা বিশ্ববাসীর কল্যাণ কামনায় ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।
আমরা আপনাদের প্রতিবেশী দেশ হয়ে তিনটি বিষয়ে আতঙ্কিত থাকি। তা হলো বন্যার সময় বাড়তি পানির চাপ, খরার সময় অতিরিক্ত পানিশূন্যতা এবং সাম্প্রদায়িক উসকানিমূলক গুজব বা অপপ্রচার।
এই মিথ্যাচার, অপপ্রচার বা গুজব থেকে রক্ষা পেতে আপনার সানুগ্রহ সাহায্য কামনা করছি। ভাবতে কষ্ট হয়, কলকাতায় কিছু সংবাদমাধ্যমের সংবাদ পরিবেশনের ধরন আমাদের গুলিস্তানের হকারদের মতোই। সেই সুবাদে কলকাতার কিছু সাংবাদিক এখানে ‘হকার সাংবাদিক’ হিসেবে ব্যাপকভাবে পরিচিতি লাভ করছেন। ওরা নিয়মিত পশ্চিম বাংলার সম্মান নষ্ট করে যাচ্ছে। ওদেরকে সামলানোর গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টা এখন দায়িত্বের পুরোধা হিসেবে আপনার ওপরই বর্তায় বৈকি!!
সম্প্রতি ভারত থেকে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের ভুয়া সংবাদ তৈরি করে বিপুলভাবে প্রচার করা হয়। অবশেষে আপনি, মমতা দিদিও সেই গুজবকে সমর্থন করে বিবৃতি দেন এবং আগ বাড়িয়ে আন্তর্জাতিক সংস্থার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এটি হতে পারে আমাদেরকে রক্ষার জন্য, কারণ হয়তো আপনি ভেবেছেন আন্তর্জাতিক সংস্থা খুঁজে পাবে নিউজটি ভুয়া। আর আপনি ভুয়া বললে আপনার প্রতিপক্ষের আক্রমণ মোকাবিলা করতে হবে। তার পরও শতভাগ অসত্য একটি বিষয়ে আন্তর্জাতিক কাঠগড়ায় হাজির হওয়াটা আমাদের জন্য সম্মানের বিষয় নয়।
আমরা জানি, এই গুজবকে আমরা মোকাবিলা করতে পারব এবং পেরেছি। তবে মন থেকে একজন মমতা দিদি হারিয়ে গেলেন কি না তা ভাবছি! দিদির শাসনব্যবস্থার ওপর ভরসা করে আমরা অবাধে কলকাতা গিয়েছি। চিকিৎসা নিয়েছি। শপিং করেছি ও ভারতের অন্যান্য স্থানেও ভ্রমণ করেছি।
এখন দিল্লির পাশাপাশি আমরা কলকাতা থেকেও অনেকটা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছি। আমরা চিকিৎসা-সুবিধা, ভ্রমণ ও শপিং থেকে বঞ্চিত হব। অন্যদিকে কলকাতার ব্যবসায়ীরা নিজ ব্যবসা নিয়ে হা-হুতাশ করবেন।
বাংলাদেশিদের ওপর ভর কর অনেক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান সেখানে চাঙা ছিল। জানতে পারছি, সেখানে ক্রেতাশূন্যতা এবং চরম দুরবস্থা বিরাজ করছে।
প্রিয় দিদি, আপনি দুই বাংলায় জনপ্রিয় ছিলেন। আপনি সরকারি বা ব্যক্তিগতভাবে গুজবের তদন্ত করে একটা বিবৃতি দিতে পারতেন। কিন্তু আপনি দিল্লির সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বাংলাদেশকে কলঙ্কিত করতে ব্যস্ত থাকলেন। বাংলাদেশে সংখ্যালঘু অত্যাচারিত হলে অবশ্যই আপনাদের গায়ে লাগবে। এটা স্বাভাবিক। তার প্রতিকারও চাইবেন। তাও স্বাভাবিক। কিন্তু বাংলাদেশে সংখ্যাগুরু ও সংখ্যালঘুর যেখানে সম্পর্ক খুবই মধুর, সেখানে আপনার মতো একজন গ্রহণযোগ্য ও দায়িত্বশীল ব্যক্তি যে বিবৃতি দিয়েছেন, তাতে আমরা যেমন বাড়তি চাপ অনুভব করেছি, তেমনি আপনার কলকাতার মুসলিম জনগণকে (যাদের অধিকাংশ আপনার ভোটার ) আপনি লজ্জায় ফেলে দিয়েছেন।
অবশেষে আপনার অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণ করার জন্য আপনারই জ্ঞাতি ভাই আমাদের গণ্যমান্য সংখ্যালঘু নেতৃবৃন্দ এগিয়ে এসেছেন। শুধু তা-ই নয়, এগিয়ে এসেছেন পশ্চিমা দেশের পর্যবেক্ষকগণও। তারা রিপোর্ট দিয়েছেন, বাংলাদেশের সংখ্যালঘু নির্যাতনের খবরগুলো একেবারেই গুজব এবং সম্পূর্ণভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
আমরা এখনো আশা করছি, আপনি আপনার মেধা-মনন দিয়ে সত্য যাচাই করে আপনার দেওয়া বিবৃতি সংশোধন করবেন। এটা শুধু আপনার এবং আমাদের জন্যই নয়, গোটা বিশ্ববাসীর কল্যাণ কামনায় ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।
আমরা আপনাদের প্রতিবেশী দেশ হয়ে তিনটি বিষয়ে আতঙ্কিত থাকি। তা হলো বন্যার সময় বাড়তি পানির চাপ, খরার সময় অতিরিক্ত পানিশূন্যতা এবং সাম্প্রদায়িক উসকানিমূলক গুজব বা অপপ্রচার।
এই মিথ্যাচার, অপপ্রচার বা গুজব থেকে রক্ষা পেতে আপনার সানুগ্রহ সাহায্য কামনা করছি। ভাবতে কষ্ট হয়, কলকাতায় কিছু সংবাদমাধ্যমের সংবাদ পরিবেশনের ধরন আমাদের গুলিস্তানের হকারদের মতোই। সেই সুবাদে কলকাতার কিছু সাংবাদিক এখানে ‘হকার সাংবাদিক’ হিসেবে ব্যাপকভাবে পরিচিতি লাভ করছেন। ওরা নিয়মিত পশ্চিম বাংলার সম্মান নষ্ট করে যাচ্ছে। ওদেরকে সামলানোর গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টা এখন দায়িত্বের পুরোধা হিসেবে আপনার ওপরই বর্তায় বৈকি!!