
আদালতের নির্দেশে অবৈধ ঘোষণা করে আংশিক বাতিল করা হয়েছে পঞ্চদশ সংশোধনী। এর মধ্য দিয়ে ফিরল তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি। ১৭ ডিসেম্বর দেওয়া এ রায়ে আদালতের ভাষায় বলা হয়েছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে হয়েছিল। যে কারণে এটি সংবিধানের মৌলিক ভিত্তি হয়ে গেছে।
হাইকোর্ট তার পর্যবেক্ষণে বলেন, পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানের মৌলিক কাঠামোকে ধ্বংস করা হয়েছিল। আদালতের এ রায়ের আগের দিন ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে সকালেই জাতির উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের প্রচারিত ভাষণে নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়ের ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। সময়টা আগামী বছরের শেষ বা তার পরের বছরের প্রথমার্ধে। তা ম্যাপ না হলেও অন্তত একটি রোড মনে করা হলেও প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপির কাছে তা নয়।
তারা এর মাঝে রোড দেখছে না, ম্যাপও দেখছে না। নির্বাচনের তারিখসহ মোটামুটি তফসিল চায় বিএনপি। সংস্কার ও নির্বাচনের রোডম্যাপ দাবির প্রেক্ষাপটে ড. ইউনূস ১৬ ডিসেম্বর জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে নির্বাচনের সময় নিয়ে কথা বললেও বিএনপির নেতারা বলেছেন, সংস্কারে কতটা সময় প্রয়োজন বা ঠিক কবে নির্বাচন হবে, সে ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কোনো বক্তব্য নেই ভাষণটিতে। যদিও ড. ইউনূসের ভাষণে স্পষ্ট বলা হয়েছে, ২০২৫ সালের শেষ থেকে ২০২৬-এর প্রথমার্ধের মধ্যে নির্বাচন হতে পারে।
ভাষণে এও স্পষ্টÑসরকার কেবল একটি নির্বাচন দিয়ে জনপ্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে দায়িত্ব শেষ করতে চায় না; তারা জাতীয় ঐকমত্য গঠন কমিশন করে রাজনৈতিক সংস্কারের প্রক্রিয়ায়ও নিজেদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে চায়। জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠায় কমিশন করার কথাও আছে। প্রধান উপদেষ্টার কথাদৃষ্টে নতুন নির্বাচন কমিশনের কাজ চলছে। সে অনুযায়ী নির্বাচন করতে নির্বাচন কমিশন (ইসি) প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন সিইসি এএমএম নাসির উদ্দীন। জানিয়েছেন, তার কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম দিন থেকেই নির্বাচনের প্রস্তুতিমূলক কাজ শুরু করেছে। সুন্দরভাবে নির্বাচনের যাবতীয় প্রস্তুতি নিয়ে এগোচ্ছেন তারা।
এই আয়োজনের মধ্যে বিএনপির কিছু ‘কিন্তু’ দেখার ফের এখনো স্পষ্ট নয়। বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা দল ও জোটগুলোও বলেছে, প্রধান উপদেষ্টার এই বক্তব্যে রোডম্যাপ নয়, শুধু কিছু ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের চার মাস পর সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে নির্বাচনের সময় নিয়ে বক্তব্য এল কেন- এ প্রশ্নও তাদের। বামপন্থী দলগুলোও নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে পুরোপুরি সন্তুষ্ট হতে পারেনি। এই দলগুলো সংস্কার এবং নির্বাচনের দিনক্ষণ দিয়ে সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ চায়। তারা মনে করে, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে ২০২৫ সালের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠানের একটি রোডম্যাপ তৈরি করা সম্ভব। কোনো কোনো ইসলামি দলের প্রতিক্রিয়াতেও একই ধরনের অবস্থান প্রকাশ পেয়েছে। রোডম্যাপ প্রশ্নে দলগুলো এখন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানের সঙ্গে সংলাপ আশা করছে।
এদিকে কথা না ঘুরিয়ে সোজাসাপ্টা কথা বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের সংগঠন জাতীয় নাগরিক কমিটির। সমাবেশ ডেকে তারা জানিয়ে দিয়েছে, শেখ হাসিনার বিচারের আগে যারা নির্বাচন চাইবে, তারা জাতীয় শত্রু। তাদের কথা পরিষ্কার কিন্তু উদ্দেশ্য ঝাপসা। মহান বিজয় দিবসে রাজধানীতে বিজয় র্যালি করে জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতারা বলেছেন, শেখ হাসিনা গত ১৬ বছরে বাংলাদেশের নাগরিকদের হয় দালাল বানিয়েছেন, নইলে দাস বানিয়েছেন। সেই শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের বিচার ছাড়া বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। যারাই বিচারের আগে কোনো নির্বাচনের পাঁয়তারা করবে, তাদের জাতীয় শত্রু হিসেবে ধরে নেওয়া হবে।
সমাবেশে জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী বলেন, তারা বুলেট ক্রস করেছেন, আগামী দিনে ব্যালটের রেভল্যুশন এলে সেটাও মোকাবিলা করতে প্রস্তুত। তবে সেটা বিচারের আগে নয়। বিচার হবে, এরপর নির্বাচন।
জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক আলোচিত সারজিস আলম আরও তেজি। তিনি বলেন, তাদেরকে নাগরিক হয়ে উঠতে দেওয়া হয়নি। চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের পরে সুযোগ হয়েছে নাগরিক হয়ে ওঠার। তারা জুলাই-আগস্ট স্টাইলে কিছু নতুন স্লোগানও ছেড়েছেন। ‘একাত্তর মরে না, চব্বিশ হারে না’, ‘আবু সাঈদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’-এসব স্লোগানের মাঝে আগামী দিনের রাজনীতির একটা টরে টক্কা দেখছেন অনেকে।
আবার তাদের পেছনে বর্তমান ক্ষমতাসীনদের সম্পৃক্ততার তথ্যও ঘুরছে। এমন কানাঘুষা ও তথ্য কচলানোর মাঝেই রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর বঙ্গভবনে বিজয় দিবস উদযাপনের আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেছেন তারা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দপ্তর সেল থেকে সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মহান বিজয় দিবসের মতো জাতীয় গৌরবের দিন ফ্যাসিবাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণে পালন করাকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন গণ-অভ্যুত্থানের অভিপ্রায়ের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ মনে করে।
অনেকের ধারণা ছিল, ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ছয়টি সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন পাওয়ার পর নতুন বছরের শুরুতে হয়তো দেশবাসী নির্বাচন নিয়ে একটি সুসংবাদ পাবে। কিন্তু প্রধান উপদেষ্টা আরেকটু আগেই ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে জানালেন, ‘আগামী বছর ২০২৫ সালের শেষ দিক থেকে ২০২৬ সালের প্রথমার্ধের মধ্যে দেশে জাতীয় নির্বাচন হবে।’
এখানেও কিছু ‘যদি’ ও ‘কিন্তু’ রেখেছেন। বলেছেন, ‘যদি অল্প কিছু সংস্কার করে ভোটার তালিকা নির্ভুলভাবে তৈরি করার ভিত্তিতে নির্বাচন সম্পন্ন করতে হয়, তাহলে ২০২৫ সালের শেষের দিকে নির্বাচন অনুষ্ঠান হয়তো সম্ভব হবে। আর যদি এর সঙ্গে নির্বাচনপ্রক্রিয়া ও নির্বাচন সংস্কার কমিশনের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে এবং জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে প্রত্যাশিত মাত্রার সংস্কার যোগ করি, তাহলে আরও অন্তত ছয় মাস অতিরিক্ত সময় লাগতে পারে। বিএনপি-জামায়াতসহ ডান-বামের অনেকের কাছে এসব যদি-কিন্তুর নানা অর্থ। এসব অর্থের কিছু অংশ প্রকাশ পেয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের মাঝে। তাই বিএনপি প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণায় খুশি হয়নি। তারা সুস্পষ্ট কোনো রোডম্যাপ দেখছে না, বরং চাতুরী দেখছে।
হাইকোর্ট তার পর্যবেক্ষণে বলেন, পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানের মৌলিক কাঠামোকে ধ্বংস করা হয়েছিল। আদালতের এ রায়ের আগের দিন ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে সকালেই জাতির উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের প্রচারিত ভাষণে নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়ের ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। সময়টা আগামী বছরের শেষ বা তার পরের বছরের প্রথমার্ধে। তা ম্যাপ না হলেও অন্তত একটি রোড মনে করা হলেও প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপির কাছে তা নয়।
তারা এর মাঝে রোড দেখছে না, ম্যাপও দেখছে না। নির্বাচনের তারিখসহ মোটামুটি তফসিল চায় বিএনপি। সংস্কার ও নির্বাচনের রোডম্যাপ দাবির প্রেক্ষাপটে ড. ইউনূস ১৬ ডিসেম্বর জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে নির্বাচনের সময় নিয়ে কথা বললেও বিএনপির নেতারা বলেছেন, সংস্কারে কতটা সময় প্রয়োজন বা ঠিক কবে নির্বাচন হবে, সে ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কোনো বক্তব্য নেই ভাষণটিতে। যদিও ড. ইউনূসের ভাষণে স্পষ্ট বলা হয়েছে, ২০২৫ সালের শেষ থেকে ২০২৬-এর প্রথমার্ধের মধ্যে নির্বাচন হতে পারে।
ভাষণে এও স্পষ্টÑসরকার কেবল একটি নির্বাচন দিয়ে জনপ্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে দায়িত্ব শেষ করতে চায় না; তারা জাতীয় ঐকমত্য গঠন কমিশন করে রাজনৈতিক সংস্কারের প্রক্রিয়ায়ও নিজেদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে চায়। জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠায় কমিশন করার কথাও আছে। প্রধান উপদেষ্টার কথাদৃষ্টে নতুন নির্বাচন কমিশনের কাজ চলছে। সে অনুযায়ী নির্বাচন করতে নির্বাচন কমিশন (ইসি) প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন সিইসি এএমএম নাসির উদ্দীন। জানিয়েছেন, তার কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম দিন থেকেই নির্বাচনের প্রস্তুতিমূলক কাজ শুরু করেছে। সুন্দরভাবে নির্বাচনের যাবতীয় প্রস্তুতি নিয়ে এগোচ্ছেন তারা।
এই আয়োজনের মধ্যে বিএনপির কিছু ‘কিন্তু’ দেখার ফের এখনো স্পষ্ট নয়। বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা দল ও জোটগুলোও বলেছে, প্রধান উপদেষ্টার এই বক্তব্যে রোডম্যাপ নয়, শুধু কিছু ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের চার মাস পর সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে নির্বাচনের সময় নিয়ে বক্তব্য এল কেন- এ প্রশ্নও তাদের। বামপন্থী দলগুলোও নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে পুরোপুরি সন্তুষ্ট হতে পারেনি। এই দলগুলো সংস্কার এবং নির্বাচনের দিনক্ষণ দিয়ে সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ চায়। তারা মনে করে, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে ২০২৫ সালের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠানের একটি রোডম্যাপ তৈরি করা সম্ভব। কোনো কোনো ইসলামি দলের প্রতিক্রিয়াতেও একই ধরনের অবস্থান প্রকাশ পেয়েছে। রোডম্যাপ প্রশ্নে দলগুলো এখন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানের সঙ্গে সংলাপ আশা করছে।
এদিকে কথা না ঘুরিয়ে সোজাসাপ্টা কথা বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের সংগঠন জাতীয় নাগরিক কমিটির। সমাবেশ ডেকে তারা জানিয়ে দিয়েছে, শেখ হাসিনার বিচারের আগে যারা নির্বাচন চাইবে, তারা জাতীয় শত্রু। তাদের কথা পরিষ্কার কিন্তু উদ্দেশ্য ঝাপসা। মহান বিজয় দিবসে রাজধানীতে বিজয় র্যালি করে জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতারা বলেছেন, শেখ হাসিনা গত ১৬ বছরে বাংলাদেশের নাগরিকদের হয় দালাল বানিয়েছেন, নইলে দাস বানিয়েছেন। সেই শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের বিচার ছাড়া বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। যারাই বিচারের আগে কোনো নির্বাচনের পাঁয়তারা করবে, তাদের জাতীয় শত্রু হিসেবে ধরে নেওয়া হবে।
সমাবেশে জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী বলেন, তারা বুলেট ক্রস করেছেন, আগামী দিনে ব্যালটের রেভল্যুশন এলে সেটাও মোকাবিলা করতে প্রস্তুত। তবে সেটা বিচারের আগে নয়। বিচার হবে, এরপর নির্বাচন।
জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক আলোচিত সারজিস আলম আরও তেজি। তিনি বলেন, তাদেরকে নাগরিক হয়ে উঠতে দেওয়া হয়নি। চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের পরে সুযোগ হয়েছে নাগরিক হয়ে ওঠার। তারা জুলাই-আগস্ট স্টাইলে কিছু নতুন স্লোগানও ছেড়েছেন। ‘একাত্তর মরে না, চব্বিশ হারে না’, ‘আবু সাঈদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’-এসব স্লোগানের মাঝে আগামী দিনের রাজনীতির একটা টরে টক্কা দেখছেন অনেকে।
আবার তাদের পেছনে বর্তমান ক্ষমতাসীনদের সম্পৃক্ততার তথ্যও ঘুরছে। এমন কানাঘুষা ও তথ্য কচলানোর মাঝেই রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর বঙ্গভবনে বিজয় দিবস উদযাপনের আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেছেন তারা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দপ্তর সেল থেকে সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মহান বিজয় দিবসের মতো জাতীয় গৌরবের দিন ফ্যাসিবাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণে পালন করাকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন গণ-অভ্যুত্থানের অভিপ্রায়ের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ মনে করে।
অনেকের ধারণা ছিল, ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ছয়টি সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন পাওয়ার পর নতুন বছরের শুরুতে হয়তো দেশবাসী নির্বাচন নিয়ে একটি সুসংবাদ পাবে। কিন্তু প্রধান উপদেষ্টা আরেকটু আগেই ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে জানালেন, ‘আগামী বছর ২০২৫ সালের শেষ দিক থেকে ২০২৬ সালের প্রথমার্ধের মধ্যে দেশে জাতীয় নির্বাচন হবে।’
এখানেও কিছু ‘যদি’ ও ‘কিন্তু’ রেখেছেন। বলেছেন, ‘যদি অল্প কিছু সংস্কার করে ভোটার তালিকা নির্ভুলভাবে তৈরি করার ভিত্তিতে নির্বাচন সম্পন্ন করতে হয়, তাহলে ২০২৫ সালের শেষের দিকে নির্বাচন অনুষ্ঠান হয়তো সম্ভব হবে। আর যদি এর সঙ্গে নির্বাচনপ্রক্রিয়া ও নির্বাচন সংস্কার কমিশনের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে এবং জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে প্রত্যাশিত মাত্রার সংস্কার যোগ করি, তাহলে আরও অন্তত ছয় মাস অতিরিক্ত সময় লাগতে পারে। বিএনপি-জামায়াতসহ ডান-বামের অনেকের কাছে এসব যদি-কিন্তুর নানা অর্থ। এসব অর্থের কিছু অংশ প্রকাশ পেয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের মাঝে। তাই বিএনপি প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণায় খুশি হয়নি। তারা সুস্পষ্ট কোনো রোডম্যাপ দেখছে না, বরং চাতুরী দেখছে।