ইজতেমা ময়দানে প্রবেশে পুলিশ নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় মুসল্লিরা ধীরে ধীরে ময়দান ও আশপাশের এলাকা ছেড়ে যাচ্ছেন। ১৮ ডিসেম্বর (বুধবার) বিকেলে সরেজমিনে টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা ময়দানের আশপাশে এমন চিত্র দেখা যায়।
ইজতেমা ময়দানে কেউ যাতে প্রবেশ করতে না পারে সে জন্য দুপুরের পর সবগুলো গেট তালা দেওয়া হয়। দুপুরের আগেই বেশিরভাগ মুসল্লি ময়দান ত্যাগ করেন। তবে যারা বের হতে পারেননি তারা দেয়াল ও গেট টপকে ময়দান ছাড়ছেন। ইজতেমার ময়দানের বাইরের অনেকে আত্মীয়-স্বজনের খোঁজে এসেছেন।
পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত টঙ্গীতে ইজতেমা মাঠে জনসাধারণের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে গাজীপুর মহানগর পুলিশ। বুধবার দুপুরে গাজীপুর মহানগর পুলিশের কমিশনার নাজমুল করিম গণবিজ্ঞপ্তি জারির মাধ্যমে এ নির্দেশনা দেন।
গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজ দুপুর ২টা থেকে ইজতেমা মাঠে জনসাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হলো। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ইজতেমা মাঠসহ আশপাশের তিন কিলোমিটার এলাকার মধ্যে দুই বা ততোধিক ব্যক্তি একত্রে ঘোরাফেরা, জমায়েত বা মিছিল-সমাবেশ করতে পারবেন না।
কোনো ধরনের অস্ত্রশস্ত্র, ছুরি, লাঠি, বিস্ফোরক দ্রব্য বা এ–জাতীয় কোনো পদার্থ বহন করতে পারবেন না। কোনো প্রকার লাউড স্পিকার বা এ–জাতীয় কোনো যন্ত্র দিয়ে উচ্চস্বরে শব্দ করতে পারবেন না। আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সিরাজগঞ্জের ৭০ বছর বয়স্ক আবু তালেবের খোঁজে এসেছেন তার ছেলে। দুপুর পর্যন্ত তার বাবার সঙ্গে যোগাযোগ ছিল। এরপর থেকে আর যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। বাবার খোঁজ নিতে ইজতেমা ময়দানের প্রতিটি গেটে ঘোরাঘুরি করে সব শেষ বাটার গেটে আসেন।
সেখানে কথা হলে তিনি বলেন, সকাল থেকে আমার বাবা তিন থেকে চারবার আমাকে ফোন দিয়েছেন। কিন্তু ভিতরের পরিস্থিতি কী, এর কোন কিছুই আমাকে বলেননি। পরে সংবাদে জানতে পারি ইজতেমার ভেতরে ঝামেলা হয়েছে। তাই এসেছি বাবাকে নিতে। ফোন দিচ্ছি কিন্তু বাবা ঠিকমতো বলতেই পারছেন না কোন গেটে আছেন। সব গেট তালা মারা থাকায় আমি প্রতিটি গেটে ঘুরছি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মুসল্লি ইজতেমা ময়দান থেকে বেরিয়ে বলেন, দুপুরের আগেই বেশির ভাগ মুসল্লি বের হয়ে যান। এখন কিছু মুসল্লি আছেন। প্রশাসন মাইকিং করে ময়দান ছেড়ে দিতে বলায় আমরা বের হয়ে যাচ্ছি।
এদিকে ইজতেমা ময়দানের আশেপাশে পুলিশ-বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। ইজতেমা ময়দানের আশেপাশে জলকামান ও রয়েট কারও মোতায়েন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার মধ্যরাতে গাজীপুরের টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমার মাঠ দখল নিয়ে মাওলানা সাদ ও জুবায়েরপন্থীদের মধ্যে সংঘর্ষে তিনজন নিহত হন। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের শতাধিক মুসল্লি আহত হয়েছেন।
ঠিকানা/এএস
ইজতেমা ময়দানে কেউ যাতে প্রবেশ করতে না পারে সে জন্য দুপুরের পর সবগুলো গেট তালা দেওয়া হয়। দুপুরের আগেই বেশিরভাগ মুসল্লি ময়দান ত্যাগ করেন। তবে যারা বের হতে পারেননি তারা দেয়াল ও গেট টপকে ময়দান ছাড়ছেন। ইজতেমার ময়দানের বাইরের অনেকে আত্মীয়-স্বজনের খোঁজে এসেছেন।
পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত টঙ্গীতে ইজতেমা মাঠে জনসাধারণের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে গাজীপুর মহানগর পুলিশ। বুধবার দুপুরে গাজীপুর মহানগর পুলিশের কমিশনার নাজমুল করিম গণবিজ্ঞপ্তি জারির মাধ্যমে এ নির্দেশনা দেন।
গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজ দুপুর ২টা থেকে ইজতেমা মাঠে জনসাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হলো। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ইজতেমা মাঠসহ আশপাশের তিন কিলোমিটার এলাকার মধ্যে দুই বা ততোধিক ব্যক্তি একত্রে ঘোরাফেরা, জমায়েত বা মিছিল-সমাবেশ করতে পারবেন না।
কোনো ধরনের অস্ত্রশস্ত্র, ছুরি, লাঠি, বিস্ফোরক দ্রব্য বা এ–জাতীয় কোনো পদার্থ বহন করতে পারবেন না। কোনো প্রকার লাউড স্পিকার বা এ–জাতীয় কোনো যন্ত্র দিয়ে উচ্চস্বরে শব্দ করতে পারবেন না। আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সিরাজগঞ্জের ৭০ বছর বয়স্ক আবু তালেবের খোঁজে এসেছেন তার ছেলে। দুপুর পর্যন্ত তার বাবার সঙ্গে যোগাযোগ ছিল। এরপর থেকে আর যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। বাবার খোঁজ নিতে ইজতেমা ময়দানের প্রতিটি গেটে ঘোরাঘুরি করে সব শেষ বাটার গেটে আসেন।
সেখানে কথা হলে তিনি বলেন, সকাল থেকে আমার বাবা তিন থেকে চারবার আমাকে ফোন দিয়েছেন। কিন্তু ভিতরের পরিস্থিতি কী, এর কোন কিছুই আমাকে বলেননি। পরে সংবাদে জানতে পারি ইজতেমার ভেতরে ঝামেলা হয়েছে। তাই এসেছি বাবাকে নিতে। ফোন দিচ্ছি কিন্তু বাবা ঠিকমতো বলতেই পারছেন না কোন গেটে আছেন। সব গেট তালা মারা থাকায় আমি প্রতিটি গেটে ঘুরছি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মুসল্লি ইজতেমা ময়দান থেকে বেরিয়ে বলেন, দুপুরের আগেই বেশির ভাগ মুসল্লি বের হয়ে যান। এখন কিছু মুসল্লি আছেন। প্রশাসন মাইকিং করে ময়দান ছেড়ে দিতে বলায় আমরা বের হয়ে যাচ্ছি।
এদিকে ইজতেমা ময়দানের আশেপাশে পুলিশ-বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। ইজতেমা ময়দানের আশেপাশে জলকামান ও রয়েট কারও মোতায়েন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার মধ্যরাতে গাজীপুরের টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমার মাঠ দখল নিয়ে মাওলানা সাদ ও জুবায়েরপন্থীদের মধ্যে সংঘর্ষে তিনজন নিহত হন। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের শতাধিক মুসল্লি আহত হয়েছেন।
ঠিকানা/এএস