কোনো সময়ের জন্য কোনো স্লোগান নিয়েই বাধ্যবাধকতা থাকতে পারে না। কারো পছন্দ না হলে কোনো কিছু জোর করে চাপিয়ে দেওয়া যায় না।
১০ ডিসেম্বর মঙ্গলবার নিউইয়র্ক সময় বেলা ১১টায় (বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা) ইউটিউব চ্যানেলে সরাসরি সম্প্রচারিত ‘ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দীন’ টকশোতে এ কথা বলেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না।
বহির্বিশ্বে সর্বাধিক জনপ্রিয় ও প্রাচীন সংবাদপত্র ঠিকানার সহযোগী প্রতিষ্ঠান ঠিকানা টিভির প্রধান সম্পাদক খালেদ মুহিউদ্দীনের উপস্থাপনায় টকশোতে অতিথি হিসেবে আরো ছিলেন বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও সাবেক এমপি ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা।
‘জয় বাংলা’ আর বাংলাদেশের জাতীয় স্লোগান হিসেবে থাকছে না। কারণ এ নিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রায় স্থগিত করেছে আপিল বিভাগ। বিচারাঙ্গনের উচ্চ অবস্থান থেকে আসা এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে রাজনৈতিক ভাষ্যকার মাহমুদুর রহমান মান্না আরো বলেন, বেশিরভাগ মানুষ যদি কোনো কিছুর পক্ষে থাকেন, সেটা নিয়েও বাধ্যবাধ্যকতা তৈরি করা ঠিক নয়। আইন পক্ষে থাকলেও না। কারণ গণতন্ত্র মানে শুধু সংখ্যাগরিষ্ঠের শাসন নয়। সংখ্যায় যারা কম তাদের মতামতকেও গুরুত্ব দিতে হয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায়, এমনটাই মনে করেন তিনি।
জয় বাংলা- জাতীয় স্লোগান এ বিষয়টির মধ্যে রাজনীতি ছিল বলে মনে করেন আইনজীবী রুমিন ফারহানা। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার আদালতকে ব্যবহার করে অনেক কিছু করেছিল। তার জন্যেই জাতীয় স্লোগান নির্ধারণ করেছিল উচ্চ আদালত। একইভাবে নির্বাচন কীভাবে হবে, সেই রায়ও এসেছিল আদালত থেকে। এভাবে বিচারাঙ্গণ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
শুধু বিচার বিভাগ নয়, আরো অনেক রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান দলীয়করণের কারণে গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে টকশোর জনপ্রিয় আলোচক রুমিন ফারহানা বলেন, দেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের ধারাবাহিকতা থাকলে গত ১৫ বছরে পালাক্রমে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সরকারে থাকতো। সেক্ষেত্রে রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলোকে এভাবে ভেঙে ফেলা যেত না। তাই বিভিন্ন সরকারের সময় দলীয়করণ থাকলেও টানা ১৫ বছর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার কারণে বিষয়টি অনেক বেশি হয়েছে বলে মনে করেন তিনি।
প্রবল গণআন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী পদ ছেড়ে ভারতে চলে যান আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এরপর তাকে আর প্রকাশ্যে দেখা যায়নি। সম্প্রতি তিনি বিভিন্ন দেশে প্রবাসী আওয়ামী লীগের অনুষ্ঠানে অডিও ভাষণের মাধ্যমে রাজনীতিতে সক্রিয় হতে চাইছেন। বিষয়টি কীভাবে দেখছেন মাহমুদুর রহমান মান্না? তার ভাষ্যমতে, অন্তর্বর্তী সরকার যদি সুশাসনের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখতে পারে, তাহলে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের ফেরত আসা কঠিন।
বর্তমান সরকারকে সতর্ক করে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মান্না আরো বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সরকারকে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। রাজধানীর যানজট কমাতে হবে। ঘুষ, দুর্নীতি প্রতিরোধ করতে হবে। এসব বিষয়ে এখনো জনমনে স্বস্তি আসেনি। তাই কেউ কেউ ভাবছে, আওয়ামী লীগ আবার ফিরে আসবে। এই পরিণতি এড়াতে অন্তর্বর্তী সরকার সফল হবে।
এদিকে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনাকে ভারতে যাওয়ার যে সুযোগ দেওয়া হয়েছিল, এ বিষয়টি ঠিক হয়নি বলে মনে করেন রুমিন ফারহানা। তিনি আরো বলেন, ভারত সরকার কৃতজ্ঞতার অংশ হিসেবে শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়েছে। কারণ আশ্রয় না দিলে ভবিষ্যতে অন্য দেশের কোনো সরকারপ্রধান হয়েও ভারতের কর্মচারীর মতো আচরণ কেউ আর করবে না।
তবে ভারতের প্রতি বাংলাদেশ আর নতজানু নয়, এই দিকটি তুলে ধরে রুমিন ফারহানার ভাষ্য, ‘গত ১৫ বছর বাংলাদেশকে আমরা চোখে চোখ রেখে ভারতের সঙ্গে কথা বলতে দেখিনি। এখন সেটা দেখছি। এতে দেশের স্বাধীনসত্তার যে জায়গা, সেটা পাওয়া যাচ্ছে।’
১০ ডিসেম্বর মঙ্গলবার নিউইয়র্ক সময় বেলা ১১টায় (বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা) ইউটিউব চ্যানেলে সরাসরি সম্প্রচারিত ‘ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দীন’ টকশোতে এ কথা বলেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না।
বহির্বিশ্বে সর্বাধিক জনপ্রিয় ও প্রাচীন সংবাদপত্র ঠিকানার সহযোগী প্রতিষ্ঠান ঠিকানা টিভির প্রধান সম্পাদক খালেদ মুহিউদ্দীনের উপস্থাপনায় টকশোতে অতিথি হিসেবে আরো ছিলেন বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও সাবেক এমপি ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা।
‘জয় বাংলা’ আর বাংলাদেশের জাতীয় স্লোগান হিসেবে থাকছে না। কারণ এ নিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রায় স্থগিত করেছে আপিল বিভাগ। বিচারাঙ্গনের উচ্চ অবস্থান থেকে আসা এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে রাজনৈতিক ভাষ্যকার মাহমুদুর রহমান মান্না আরো বলেন, বেশিরভাগ মানুষ যদি কোনো কিছুর পক্ষে থাকেন, সেটা নিয়েও বাধ্যবাধ্যকতা তৈরি করা ঠিক নয়। আইন পক্ষে থাকলেও না। কারণ গণতন্ত্র মানে শুধু সংখ্যাগরিষ্ঠের শাসন নয়। সংখ্যায় যারা কম তাদের মতামতকেও গুরুত্ব দিতে হয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায়, এমনটাই মনে করেন তিনি।
জয় বাংলা- জাতীয় স্লোগান এ বিষয়টির মধ্যে রাজনীতি ছিল বলে মনে করেন আইনজীবী রুমিন ফারহানা। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার আদালতকে ব্যবহার করে অনেক কিছু করেছিল। তার জন্যেই জাতীয় স্লোগান নির্ধারণ করেছিল উচ্চ আদালত। একইভাবে নির্বাচন কীভাবে হবে, সেই রায়ও এসেছিল আদালত থেকে। এভাবে বিচারাঙ্গণ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
শুধু বিচার বিভাগ নয়, আরো অনেক রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান দলীয়করণের কারণে গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে টকশোর জনপ্রিয় আলোচক রুমিন ফারহানা বলেন, দেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের ধারাবাহিকতা থাকলে গত ১৫ বছরে পালাক্রমে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সরকারে থাকতো। সেক্ষেত্রে রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলোকে এভাবে ভেঙে ফেলা যেত না। তাই বিভিন্ন সরকারের সময় দলীয়করণ থাকলেও টানা ১৫ বছর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার কারণে বিষয়টি অনেক বেশি হয়েছে বলে মনে করেন তিনি।
প্রবল গণআন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী পদ ছেড়ে ভারতে চলে যান আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এরপর তাকে আর প্রকাশ্যে দেখা যায়নি। সম্প্রতি তিনি বিভিন্ন দেশে প্রবাসী আওয়ামী লীগের অনুষ্ঠানে অডিও ভাষণের মাধ্যমে রাজনীতিতে সক্রিয় হতে চাইছেন। বিষয়টি কীভাবে দেখছেন মাহমুদুর রহমান মান্না? তার ভাষ্যমতে, অন্তর্বর্তী সরকার যদি সুশাসনের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখতে পারে, তাহলে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের ফেরত আসা কঠিন।
বর্তমান সরকারকে সতর্ক করে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মান্না আরো বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সরকারকে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। রাজধানীর যানজট কমাতে হবে। ঘুষ, দুর্নীতি প্রতিরোধ করতে হবে। এসব বিষয়ে এখনো জনমনে স্বস্তি আসেনি। তাই কেউ কেউ ভাবছে, আওয়ামী লীগ আবার ফিরে আসবে। এই পরিণতি এড়াতে অন্তর্বর্তী সরকার সফল হবে।
এদিকে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনাকে ভারতে যাওয়ার যে সুযোগ দেওয়া হয়েছিল, এ বিষয়টি ঠিক হয়নি বলে মনে করেন রুমিন ফারহানা। তিনি আরো বলেন, ভারত সরকার কৃতজ্ঞতার অংশ হিসেবে শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়েছে। কারণ আশ্রয় না দিলে ভবিষ্যতে অন্য দেশের কোনো সরকারপ্রধান হয়েও ভারতের কর্মচারীর মতো আচরণ কেউ আর করবে না।
তবে ভারতের প্রতি বাংলাদেশ আর নতজানু নয়, এই দিকটি তুলে ধরে রুমিন ফারহানার ভাষ্য, ‘গত ১৫ বছর বাংলাদেশকে আমরা চোখে চোখ রেখে ভারতের সঙ্গে কথা বলতে দেখিনি। এখন সেটা দেখছি। এতে দেশের স্বাধীনসত্তার যে জায়গা, সেটা পাওয়া যাচ্ছে।’