সিরিয়ার বিদ্রোহীদের দ্বারা বাশার আল আসাদ ক্ষমতাচ্যুত ও দেশত্যাগে বাধ্য- বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রতিক্রিয়া

প্রকাশ : ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৪১ , অনলাইন ভার্সন
সিরিয়ার বিদ্রোহীরা রোববার (৮ ডিসেম্বর) ভোরে রাজধানী দামেস্ক দখল করে নেয়। তারা ঘোষণা করে, পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে চলা নিষ্ঠুর রাজবংশের শাসনের অবসান হয়েছে এবং প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ অজানা কোনো গন্তব্যে পালিয়ে গেছেন।
বিরোধী পক্ষের যোদ্ধারা কোনো প্রতিরোধে ছাড়াই রোববার স্থানীয় সময় ভোর পাঁচটার দিকে দামেস্কে প্রবেশ করে দ্রুত বিমানবন্দর, রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ভবন এবং অন্যান্য অনেক কৌশলগত সরকারি স্থাপনা দখল করে নেয়।
বিদ্রোহীরা রাজধানীতে পৌঁছানোর আগে আসাদ নিজেই একটি বিমানে চড়ে অজ্ঞাত গন্তব্যে পালিয়ে গিয়েছিলেন। প্রথমে তাঁর অবস্থান স্পষ্ট না হলেও পরে দুই রকম খবর পাওয়া গেছে। একটা হলো তাঁর বিমানকে গুলি করে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। আরেকটা হলো তিনি সপরিবারে রাশিয়ায় নিরাপদে পৌঁছে গেছেন। পরে নিশ্চিত করা হয়েছে যে তিনি সত্যিই এখন মস্কোতে অবস্থান করছেন।
দামেস্ক এবং প্রতিবেশী লেবাননের সীমান্তসহ দেশের অন্যান্য অংশে উদ্্যাপন শুরু হয়ে গেছে। অনেক বাস্তুচ্যুত সিরীয় নাগরিক দেশে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে চলা নৃশংস যুদ্ধের পর বিরোধীদের এই অত্যাশ্চর্য অগ্রগতি ঘটে, যেখানে পাঁচ লাখেরও বেশি মানুষ নিহত হয় এবং ১ কোটি ৪০ লাখেরও বেশি মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়।
মিডল ইস্ট আই এর খবর অনুযায়ী, বিভিন্ন দেশের নিম্নরূপ প্রতিক্রিয়া লক্ষ করা গিয়েছে :
ইসরায়েল : ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিদিওন সার বলেছেন, তার দেশ এই সংঘাতে হস্তক্ষেপ না করলেও ১৯৭৪ সালের মে মাসে সিরিয়ার সঙ্গে সেনা প্রত্যাহারের চুক্তি লঙ্ঘনের বিষয়ে তারা উদ্বিগ্ন।
১৯৭৩ সালের যুদ্ধের পর প্রতিষ্ঠিত ১৯৭৪ সালের চুক্তিতে দুই দেশের মধ্যে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে একটি ‘বাফার জোন’ তৈরি হয়। তবে ইসরায়েল ১৯৬৭ সালে গোলান মালভূমির সিরিয়ার অংশটুকু দখল করে নেয়। আজও এর কিছু অংশ তারা দখল করে রেখেছে। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, গোলান মালভূমির বাসিন্দা ও ইসরায়েলের নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তারা বাফার জোন এবং প্রতিরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় অন্যান্য স্থানে সেনা মোতায়েন করেছে।
সংযুক্ত আরব আমিরাত : সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বিন জায়েদের কূটনৈতিক উপদেষ্টা আনোয়ার গারগাশ বলেছেন, রাজনৈতিক শূন্যতার সুযোগ-বহির্ভূত শক্তিগুলোকে কাজে লাগাতে দেওয়া উচিত নয়। বাহরাইনে মানামা ডায়ালগ ফোরামে বক্তব্য রাখার সময় তিনি সিরিয়ার ঘটনাবলিকে ‘রাজনৈতিক ব্যর্থতার সুস্পষ্ট ইঙ্গিত এবং সংঘাত ও বিশৃঙ্খলার ধ্বংসাত্মক প্রকৃতি’ বলে অভিহিত করেন।
তিনি আরও বলেন, ‘সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ বিভিন্ন আরব দেশ আসাদ যে ধরনের লাইফলাইন তার দিকে ছুড়ে দিয়েছে, তা সত্যিকার অর্থে ব্যবহার করেননি এবং সাংবিধানিক আলোচনায় এগিয়ে যাওয়ার জন্য সত্যিকার অর্থে এটি ব্যবহার করেননি। তিনি বলেন, বিশৃঙ্খলা ও উগ্রবাদ নিয়ে আমরা খুবই উদ্বিগ্ন। সিরিয়ার আঞ্চলিক অখণ্ডতা নিয়েও আমরা এখনো উদ্বিগ্ন।
তুর্কি : তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান বলেন, সিরিয়ার পরবর্তী প্রশাসনকে অন্তর্ভুক্তিমূলক হতে হবে এবং সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোকে পরিস্থিতির সুযোগ নিতে দেওয়া যাবে না। ‘আজ সকাল পর্যন্ত সিরিয়া এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেছে, যেখানে সিরিয়ার জনগণ তাদের নিজেদের দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে।’ কাতারের রাজধানী দোহায় দোহা ফোরামে ফিদান বলেন, ‘আজ আশা আছে। নতুন [সিরিয়ার] প্রশাসনকে অবশ্যই সুশৃঙ্খলভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে, অন্তর্ভুক্তির নীতির সঙ্গে কখনোই আপস করা উচিত নয়, প্রতিশোধের আকাক্সক্ষা কখনোই হওয়া উচিত নয় ... এখন সময় এসেছে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশকে পুনর্গঠন করার।’
তিনি বলেন, বছরের পর বছর ধরে শত্রুতার পর প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান আলোচনা স্বাভাবিক করার আহ্বান জানালেও আসাদের সঙ্গে তুরস্কের কোনো যোগাযোগ হয়নি। ফিদান আরও বলেন, আঙ্কারা আসাদের সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করলেও সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।
সৌদি আরব : এক সৌদি কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, সৌদি আরব সিরিয়ার সব আঞ্চলিক পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে এবং দেশের বিশৃঙ্খল পরিণতি এড়াতে সম্ভাব্য সবকিছু করতে তারা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। তিনি বলেন, ‘আমরা এলাকার সব অভিনেতার সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছি। আমরা তুরস্ক এবং জড়িত প্রতিটি স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে অবিচ্ছিন্ন যোগাযোগ রাখছি।’
লেবানন : লেবাননের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা প্রতিবেশী সিরিয়া সীমান্তে তাদের উপস্থিতি জোরদার করছে।
‘দ্রুত উন্নয়ন এবং এই অঞ্চলটি যে নাজুক পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, তার আলোকে ... উত্তর ও পূর্ব সীমান্তে নজরদারি ও নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে নিয়োজিত ইউনিটগুলোকে নজরদারি ব্যবস্থা জোরদার করার পাশাপাশি আরও শক্তিশালী করা হয়েছে।’ এক বিবৃতিতে বলেছে সেনাবাহিনী।
রাশিয়া : রুশ পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষের ডেপুটি চেয়ারম্যান কনস্তানতিন কোসাচিয়ভ বলেছেন, ‘সিরিয়াকে একাই পূর্ণমাত্রার গৃহযুদ্ধ মোকাবিলা করতে হবে।’
আসলে রাশিয়া নিজেই ইউক্রেনের সঙ্গে তার নিজের যুদ্ধ নিয়ে এত ব্যস্ত ও বিভ্রান্ত রয়েছে যে আসাদকে বাঁচানোর ব্যাপারে ব্যাপকভাবে কোনো রকম হস্তক্ষেপ করা এ অবস্থায় তাদের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না।
যুক্তরাষ্ট্র : হোয়াইট হাউস এক বিবৃতিতে বলেছে, প্রেসিডেন্ট বাইডেন ও তার দল সিরিয়ার অস্বাভাবিক ঘটনাবলি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন এবং আঞ্চলিক অংশীদারদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রেখে চলেছেন।
তবে নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আরও অনেক এগিয়ে গিয়ে আমেরিকাকে আরও কোনো সংঘাত থেকে দূরে রাখার অঙ্গীকার করেছেন। এক্স ইন ক্যাপস লক পোস্ট করে তিনি বলেন, ‘এর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো সম্পর্ক থাকা উচিত নয়। এটা আমাদের লড়াই নয়। খেলতে দাও কিন্তু জড়াবে না।’
রোববার আসাদের পতনের পর ট্রাম্প বলেন, ‘আসাদ চলে গেছেন। তিনি দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। ভøাদিমির পুতিনের নেতৃত্বে তার রক্ষাকর্তা রাশিয়া। কিন্তু রাশিয়া তাকে আর রক্ষা করতে আগ্রহী ছিল না। প্রথমত রাশিয়ার সেখানে থাকার কোনো কারণ ছিল না। তারা ইউক্রেনের কারণে সিরিয়ার প্রতি সমস্ত আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছিল, যেখানে প্রায় ৬০০,০০০ রাশিয়ান সৈন্য আহত বা নিহত হয়েছিল, এমন একটি যুদ্ধে যা কখনোই শুরু হওয়া উচিত ছিল না এবং যেটা চিরকাল চলতে পারে।’
চীন : চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সিরিয়ায় ‘স্থিতিশীলতা’ ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানিয়ে এক বিবৃতিতে চীনা নাগরিক ও প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছে।
‘চীন সরকার নিরাপদে ও সুশৃঙ্খলভাবে সিরিয়া ছাড়তে ইচ্ছুক চীনা নাগরিকদের সক্রিয়ভাবে সহায়তা করেছে এবং যোগাযোগ বজায় রেখেছে।’ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘আমরা সিরিয়ায় চীনা প্রতিষ্ঠান ও কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাস্তব ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সিরিয়ার সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’
জার্মানি : জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক সিরিয়ার জনগণের জন্য এটি একটি ‘বড় স্বস্তি’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘দেশটি এখন অন্য চরমপন্থীদের হাতে পড়বে না, তারা যে রূপই গ্রহণ করুক না কেন।’
যুক্তরাজ্য : ব্রিটেনের উপ-প্রধানমন্ত্রী অ্যাঞ্জেলা রেইনার এই ঘটনাকে ‘স্বাগত সংবাদ’ হিসেবে অভিহিত করেছেন এবং স্কাই নিউজকে বলেছেন, আসাদ ‘সিরিয়ার জনগণের প্রতি মোটেও ভালো আচরণ করেননি’। তিনি ‘জাতিসংঘের প্রস্তাবের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে’ একটি রাজনৈতিক সমাধানের আহ্বান জানিয়ে জোর দিয়ে বলেন, ‘আমাদের বেসামরিক নাগরিক ও অবকাঠামো সুরক্ষিত রাখতে হবে। বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। আমরা এই অঞ্চলে স্থিতিশীলতা চাই।’
তাহলে সিরিয়ার ভবিষ্যৎ কী? : সরকারের দ্রুত পতনের পর উত্তরের চেয়ে বরং আরও অনেক প্রশ্ন থেকে যায়, যা দেশের শাসন, নিরাপত্তা এবং অর্থনীতির জন্য একটি অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ দিয়ে শুরু করতে যাচ্ছে।
বিদ্রোহীরা রাজধানী সুরক্ষিত করার চেষ্টা করবে এবং একটি বিশৃঙ্খল শক্তি ঘটে যাওয়া শূন্যতা রোধ করবে। তবে পুরো দেশের ওপর জোট কতদূর ও কত দ্রুত নিয়ন্ত্রণ বিস্তার করতে পারবে এবং নেতাকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর বিদ্রোহীরা ঐক্যবদ্ধ হতে পারবে কি না, তা স্পষ্ট নয়।
গত সপ্তাহে এক সাক্ষাৎকারে গোষ্ঠীটির নেতা আবু মোহাম্মদ আল-জোলানি বলেন, হায়াত তাহরির আশ-শাম অভিযান শুরুর আগেই গোষ্ঠীটি তাদের পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে চিন্তাভাবনা করছিল। আলেপ্পোতে কী ঘটতে যাচ্ছে তার কিছু ইঙ্গিত রয়েছে, যেখানে দলটি মাত্র এক সপ্তাহ আগে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিজয় অর্জন করেছিল।
সিরিয়াজুড়ে বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি বাসিন্দাদের আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেছিল যে এটি সরকারি সম্পত্তি এবং প্রতিষ্ঠানগুলো তারা রক্ষা করবে। আল-জোলানি বলেন, আলেপ্পোর বেশির ভাগ অংশ দখল করার পরে এর যোদ্ধারা পরবর্তী ফ্রন্টলাইনে চলে গেছে, শহরটি টেকনোক্র্যাটদের কাছে ছেড়ে গেছে, যারা সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো সংরক্ষণ করতে এসেছিল। মি. আল-জোলানি বলেছেন, তার গ্রুপ বলেছে, ক্ষমতা হস্তান্তর না হওয়া পর্যন্ত সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো দেশটির প্রধানমন্ত্রীর তত্ত্বাবধানে থাকবে।
সংঘাতের সূত্রপাত : ২০১১ সালে সরকারের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে সিরিয়ার যুদ্ধ শুরু হয় এবং তা সশস্ত্র বিদ্রোহী, চরমপন্থী ও অন্যদের নিয়ে জটিল সংঘাতে রূপ নেয়।
উৎপত্তি : সিরিয়ানরা প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণভাবে জেগে উঠলে এই সংঘাত শুরু হয়। বিক্ষোভকারীরা সহিংস দমন-পীড়নের মুখোমুখি হয়েছিল, যখন সম্প্রদায়গুলো আত্মরক্ষার জন্য অস্ত্র হাতে নিয়েছিল। এভাবেই শুরু হয় গৃহযুদ্ধ।
আস্তে আস্তে অন্য দলগুলো এতে জড়িয়ে পড়েÑবিশৃঙ্খলার মধ্যে সিরিয়ার জাতিগত ‘কুর্দি’ সংখ্যালঘুরা অস্ত্র তুলে নেয় এবং ধীরে ধীরে নিজেদের মতো করে এলাকা দখল করে নেয়। ‘ইসলামিক স্টেট’ গ্রুপ ২০১৪ সালে সিরিয়া ও ইরাকের কিছু অংশ দখল করে নেয় এবং ওই অঞ্চলকে ‘খিলাফত’ ঘোষণা করে, যা ওই অঞ্চলকে আরও অস্থিতিশীল করে তোলে।
বিদেশি হস্তক্ষেপ : আল-আসাদ ইরান ও রাশিয়ার পাশাপাশি লেবাননের জঙ্গি গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ সমর্থন পেয়েছেন। আবার বিদ্রোহীদের সমর্থন দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের মতো তেলসমৃদ্ধ আরব রাষ্ট্রগুলো। এদিকে কুর্দি মিলিশিয়াদের অগ্রযাত্রা ঠেকাতে তুরস্কও হস্তক্ষেপ করেছে।
ক্ষয়ক্ষতি : এই যুদ্ধে লাখ লাখ মানুষ নিহত ও লাখ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। তার মধ্যে আল-আসাদের অনুগত বাহিনী এ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি নৃশংসতা চালিয়েছে। সিরিয়ার জনগণকে আত্মসমর্পণে বাধ্য করতে শাসকগোষ্ঠী রাসায়নিক অস্ত্র, ব্যারেল বোমা ও অনাহারের দিকে ঝুঁকেছে।
(বি. দ্র. : এখানকার পরিস্থিতি অত্যন্ত জটিল এবং কে কখন কোন পক্ষ নিচ্ছে, বলা শক্ত। তবু মোটাদাগে তাদেরকে ভাগ করা যায়। সময়-সুযোগ হলে এ বিষয়ে আরও একটু গভীর বিশ্লেষণের আশা রাখি। সে জন্য আজ কিছু অংশ লেখা হলেও ইচ্ছা করে বাদ দিয়েছি।)

 
M M Shahin, Chairman Board of Editors, Thikana

Corporate Headquarter :

THIKANA : 7409 37th Ave suite 403

Jackson Heights, NY 11372

Phone : 718-472-0700/2428, 718-729-6000
Fax: + 1(866) 805-8806



Bangladesh Bureau : THIKANA : 70/B, Green Road, (Panthapath),
5th Floor, Dhaka- 1205, Bangladesh.
Mobile: 01711238078