২০৩৪ ফুটবল বিশ্বকাপ নিয়ে আলোচনা চলছিল অনেক দিন ধরেই। টুর্নামেন্টটি আয়োজনে সৌদি আরব একমাত্র বিডার হওয়ায় আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসা ছিল বাকি। সেই ঘোষণা এল আজ বুধবার (১১ ডিসেম্বর)। ফিফা আনুষ্ঠানিক ঘোষণায় জানিয়েছে, মরুর দেশেই হচ্ছে ২০৩৪ বিশ্বকাপ।
ফিফা কংগ্রেসের এক সভায় বিশ্ব ফুটবলের অভিভাবক সংস্থা নিশ্চিত করেছে, সৌদি আরবে হচ্ছে ২০৩৪ ফুটবল বিশ্বকাপ। ৪৮ দল নিয়ে আয়োজিত এই বিশ্বকাপ সামনে রেখে নতুন করে ১১ স্টেডিয়াম বানানোর পরিকল্পনা আগেই হাতে নিয়েছে সৌদি। দেশটির পাঁচ শহরে বিশ্ব ফুটবলের এই মহাযজ্ঞ। যার মধ্যে রাজধানী শহর রিয়াদেই থাকছে ৮ স্টেডিয়াম। টুর্নামেন্টের সূচি না জানা গেলেও কবে হতে পারে, সেটার ব্যাপারে ধারণা পাওয়া গেছে। রমজান মাস ও সৌদিতে গ্রীষ্মকালীন তাপমাত্রার কথা চিন্তা করে ২০৩৪ সালের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে ফুটবল বিশ্বকাপ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
একই সঙ্গে ২০৩০ ফুটবল বিশ্বকাপের আয়োজকদের নামও জানা গেছে বুধবারের ফিফা কংগ্রেসে। তিন মহাদেশের ছয় দেশে হবে এই মহাযজ্ঞ। দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের তিন দেশ হচ্ছে আর্জেন্টিনা, উরুগুয়ে ও প্যারাগুয়ে। টুর্নামেন্টে ইউরোপ অংশ থেকে আয়োজক হিসেবে থাকছে স্পেন ও পর্তুগাল। আফ্রিকার একমাত্র দেশ হিসেবে থাকছে মরক্কো। ছয় দেশে হতে যাওয়া বিশ্বকাপ দিয়েই ফুটবল বিশ্বকাপের ১০০ বছর পূর্ণ হবে।
সৌদির বিশ্বকাপ আয়োজনের প্রার্থিতার বিরোধিতা শুরু থেকেই করে আসছে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন। দেশটিতে মেয়েদের পর্যাপ্ত স্বাধীনতা নেই বলেও বিভিন্ন নারী সংগঠনও সৌদিতে বিশ্বকাপ আয়োজনের বিপক্ষে। তবে তাদের আপত্তি কানে তোলেনি ফিফা। উল্টো সৌদি আরবের প্রার্থিতা প্রস্তাবের মূল্যায়নে কিছুদিন আগে ইতিবাচক প্রতিবেদনই দিয়েছে ফিফা। দেশটির বিশ্বকাপ আয়োজন পরিকল্পনাকে ৫ এর মধ্যে ৪.২ নম্বর দিয়েছে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ামক সংস্থা, যা এ-যাবৎকালের সর্বোচ্চ।
এখানেই শেষ নয়, ২০৩৪ বিশ্বকাপে মানবাধিকারের ঝুঁকি ‘মধ্যম’ মানের বলেও রায় দেয় ফিফা। প্রার্থিতায় কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় ২০৩৪ বিশ্বকাপের আয়োজন স্বত্ব সৌদি আরবের পাওয়া নিয়ে কোনো সন্দেহ ছিল না। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে ২০৩৪ বিশ্বকাপের আয়োজক হিসেবে সৌদির নাম ঘোষণার পর কেউ কেউ এমনও বলছেন—স্পোর্টসওয়াশিং ১: ০ মানবাধিকার ও শ্রম অধিকার।
খেলাধুলার পেছনে গত কয়েক বছর ধরেই বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার খরচ করেছে সৌদি আরব। খেলাধুলাকে ব্যবহার করে আন্তর্জাতিক প্রভাব বাড়াতে এবং দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে অনেক দিন ধরেই খেলাধুলাকে ব্যবহারের চেষ্টা সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের। ফর্মুলা ওয়ান, বক্সিং থেকে শুরু করে টেনিস, ফুটবল—সব খেলার পেছনেই দেদার খরচ করেছে সৌদি আরব।
মানবাধিকার এবং শ্রম অধিকারকে নিরুৎসাহিত করে খেলাধুলা নিয়ে মেতে ওঠাটাকে সমালোচকরা বলছেন ‘স্পোর্টসওয়াশিং’। অবশ্য সমালোচকরা যা-ই বলুন, খেলাধুলার পেছনে অর্থ বিনিযোগের ফলও পেয়েছে সৌদি আরব। ফর্মুলা ওয়ান গ্র্যাঁ প্রিঁ, হেভিওয়েট বক্সিং, পেশাদার গলফের বড় প্রতিযোগিতার পাশাপাশি মর্যাদাপূর্ণ বিভিন্ন টেনিস টুর্নামেন্টও আয়োজন করে আসছে সৌদি আরব। স্পোর্টস নিয়ে সৌদির উচ্চাশারই ফসল—২০৩৪ বিশ্বকাপের আয়োজক স্বত্ব পাওয়া।
ঠিকানা/এনআই
ফিফা কংগ্রেসের এক সভায় বিশ্ব ফুটবলের অভিভাবক সংস্থা নিশ্চিত করেছে, সৌদি আরবে হচ্ছে ২০৩৪ ফুটবল বিশ্বকাপ। ৪৮ দল নিয়ে আয়োজিত এই বিশ্বকাপ সামনে রেখে নতুন করে ১১ স্টেডিয়াম বানানোর পরিকল্পনা আগেই হাতে নিয়েছে সৌদি। দেশটির পাঁচ শহরে বিশ্ব ফুটবলের এই মহাযজ্ঞ। যার মধ্যে রাজধানী শহর রিয়াদেই থাকছে ৮ স্টেডিয়াম। টুর্নামেন্টের সূচি না জানা গেলেও কবে হতে পারে, সেটার ব্যাপারে ধারণা পাওয়া গেছে। রমজান মাস ও সৌদিতে গ্রীষ্মকালীন তাপমাত্রার কথা চিন্তা করে ২০৩৪ সালের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে ফুটবল বিশ্বকাপ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
একই সঙ্গে ২০৩০ ফুটবল বিশ্বকাপের আয়োজকদের নামও জানা গেছে বুধবারের ফিফা কংগ্রেসে। তিন মহাদেশের ছয় দেশে হবে এই মহাযজ্ঞ। দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের তিন দেশ হচ্ছে আর্জেন্টিনা, উরুগুয়ে ও প্যারাগুয়ে। টুর্নামেন্টে ইউরোপ অংশ থেকে আয়োজক হিসেবে থাকছে স্পেন ও পর্তুগাল। আফ্রিকার একমাত্র দেশ হিসেবে থাকছে মরক্কো। ছয় দেশে হতে যাওয়া বিশ্বকাপ দিয়েই ফুটবল বিশ্বকাপের ১০০ বছর পূর্ণ হবে।
সৌদির বিশ্বকাপ আয়োজনের প্রার্থিতার বিরোধিতা শুরু থেকেই করে আসছে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন। দেশটিতে মেয়েদের পর্যাপ্ত স্বাধীনতা নেই বলেও বিভিন্ন নারী সংগঠনও সৌদিতে বিশ্বকাপ আয়োজনের বিপক্ষে। তবে তাদের আপত্তি কানে তোলেনি ফিফা। উল্টো সৌদি আরবের প্রার্থিতা প্রস্তাবের মূল্যায়নে কিছুদিন আগে ইতিবাচক প্রতিবেদনই দিয়েছে ফিফা। দেশটির বিশ্বকাপ আয়োজন পরিকল্পনাকে ৫ এর মধ্যে ৪.২ নম্বর দিয়েছে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ামক সংস্থা, যা এ-যাবৎকালের সর্বোচ্চ।
এখানেই শেষ নয়, ২০৩৪ বিশ্বকাপে মানবাধিকারের ঝুঁকি ‘মধ্যম’ মানের বলেও রায় দেয় ফিফা। প্রার্থিতায় কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় ২০৩৪ বিশ্বকাপের আয়োজন স্বত্ব সৌদি আরবের পাওয়া নিয়ে কোনো সন্দেহ ছিল না। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে ২০৩৪ বিশ্বকাপের আয়োজক হিসেবে সৌদির নাম ঘোষণার পর কেউ কেউ এমনও বলছেন—স্পোর্টসওয়াশিং ১: ০ মানবাধিকার ও শ্রম অধিকার।
খেলাধুলার পেছনে গত কয়েক বছর ধরেই বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার খরচ করেছে সৌদি আরব। খেলাধুলাকে ব্যবহার করে আন্তর্জাতিক প্রভাব বাড়াতে এবং দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে অনেক দিন ধরেই খেলাধুলাকে ব্যবহারের চেষ্টা সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের। ফর্মুলা ওয়ান, বক্সিং থেকে শুরু করে টেনিস, ফুটবল—সব খেলার পেছনেই দেদার খরচ করেছে সৌদি আরব।
মানবাধিকার এবং শ্রম অধিকারকে নিরুৎসাহিত করে খেলাধুলা নিয়ে মেতে ওঠাটাকে সমালোচকরা বলছেন ‘স্পোর্টসওয়াশিং’। অবশ্য সমালোচকরা যা-ই বলুন, খেলাধুলার পেছনে অর্থ বিনিযোগের ফলও পেয়েছে সৌদি আরব। ফর্মুলা ওয়ান গ্র্যাঁ প্রিঁ, হেভিওয়েট বক্সিং, পেশাদার গলফের বড় প্রতিযোগিতার পাশাপাশি মর্যাদাপূর্ণ বিভিন্ন টেনিস টুর্নামেন্টও আয়োজন করে আসছে সৌদি আরব। স্পোর্টস নিয়ে সৌদির উচ্চাশারই ফসল—২০৩৪ বিশ্বকাপের আয়োজক স্বত্ব পাওয়া।
ঠিকানা/এনআই