দুই মাসের ব্যবধানে লক্ষ্মীপুরে গ্রিন লিফ ফিলিং স্টেশনে আবারও বাসের সিলিন্ডারে গ্যাস রিফিলের সময় বিস্ফোরণ ঘটে আবুল কালাম (২১) নামে এক যাত্রী নিহত হয়েছেন। এতে আরও ৩ জন আহত হয়েছেন। আজ ১১ ডিসেম্বর (বুধবার) ভোরে লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের ইসলাম মার্কেট এলাকায় ফিলিং স্টেশনটিতে আল মদীনা নামে একটি লোকাল বাসে গ্যাস রিফিলের সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত কালাম লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের সাহাপুর এলাকার জাকির হোসেনের ছেলে ও পেশায় রঙ মিস্ত্রি। আহতরা হলেন- নোয়াখালীর কবির হাট এলাকার বাসিন্দা আবুল হোসেন (৫০) ও লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের সাহাপুর এলাকার নাঈমসহ (২৪) তিনজন।
এর আগে ১৪ অক্টোবর একই ফিলিং স্টেশনে অন্য একটি বাসের সিলিন্ডারে গ্যাস রিফিলের সময় বিস্ফোরণ ঘটে ৩ জন নিহত হন। ওই দিন আরও ৯ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে একজনের একটি হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এ ঘটনায় ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, ঘটনার সময় গ্রিন লিফ সিএনজি ফিলিং স্টেশনে আল মদিনা নামের লোকাল বাসটি গ্যাস রিফিল করছিল। হঠাৎ বিস্ফোরণ ঘটে বাসের গ্যাস সিলিন্ডার ছিন্ন বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এ সময় চারদিক ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই মাথার খুলি উড়ে গিয়ে কালাম মারা যায়। বিস্ফোরণের ঘটনায় ছুটোছুটি শুরু করেন আশপাশের লোকজন, সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক ও ফিলিং স্টেশনের কর্মচারীরা। পরে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় ফায়ার সার্ভিসের লোকজন নিহতের মরদেহ ও আহতদের রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। আহত দুইজনকে নোয়াখালী ও একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক।
সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক জয়নাল আবেদীন বলেন, বিস্ফোরণে মাথার খুলি উড়ে গিয়ে একজন মারা গেছেন। তার মরদেহ হাসপাতালের মর্গে আছে। আহতদের শরীরের বিভিন্ন অংশে গুরুতর জখম রয়েছে। তাদের মধ্যে একজনকে ঢাকায় ও অন্য দুইজনকে নোয়াখালী হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।
গ্রিন লিফ সিএনজি ফিলিং স্টেশনের ম্যানেজার আল আমিন বলেন, বাসটির সিলিন্ডার ত্রুটিযুক্ত ছিল। এজন্য বিস্ফোরণ ঘটেছে।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মোন্নাফ বলেন, একই ফিলিং স্টেশনে এর আগেও গ্যাস রিফিলের সময় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। ওই মামলা এখনও চলমান। এখন আবার বিস্ফোরণের ঘটনায় একজন মারা গেছেন ও ৩ জন আহত হয়েছেন। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঠিকানা/এসআর
নিহত কালাম লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের সাহাপুর এলাকার জাকির হোসেনের ছেলে ও পেশায় রঙ মিস্ত্রি। আহতরা হলেন- নোয়াখালীর কবির হাট এলাকার বাসিন্দা আবুল হোসেন (৫০) ও লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের সাহাপুর এলাকার নাঈমসহ (২৪) তিনজন।
এর আগে ১৪ অক্টোবর একই ফিলিং স্টেশনে অন্য একটি বাসের সিলিন্ডারে গ্যাস রিফিলের সময় বিস্ফোরণ ঘটে ৩ জন নিহত হন। ওই দিন আরও ৯ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে একজনের একটি হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এ ঘটনায় ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, ঘটনার সময় গ্রিন লিফ সিএনজি ফিলিং স্টেশনে আল মদিনা নামের লোকাল বাসটি গ্যাস রিফিল করছিল। হঠাৎ বিস্ফোরণ ঘটে বাসের গ্যাস সিলিন্ডার ছিন্ন বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এ সময় চারদিক ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই মাথার খুলি উড়ে গিয়ে কালাম মারা যায়। বিস্ফোরণের ঘটনায় ছুটোছুটি শুরু করেন আশপাশের লোকজন, সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক ও ফিলিং স্টেশনের কর্মচারীরা। পরে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় ফায়ার সার্ভিসের লোকজন নিহতের মরদেহ ও আহতদের রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। আহত দুইজনকে নোয়াখালী ও একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক।
সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক জয়নাল আবেদীন বলেন, বিস্ফোরণে মাথার খুলি উড়ে গিয়ে একজন মারা গেছেন। তার মরদেহ হাসপাতালের মর্গে আছে। আহতদের শরীরের বিভিন্ন অংশে গুরুতর জখম রয়েছে। তাদের মধ্যে একজনকে ঢাকায় ও অন্য দুইজনকে নোয়াখালী হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।
গ্রিন লিফ সিএনজি ফিলিং স্টেশনের ম্যানেজার আল আমিন বলেন, বাসটির সিলিন্ডার ত্রুটিযুক্ত ছিল। এজন্য বিস্ফোরণ ঘটেছে।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মোন্নাফ বলেন, একই ফিলিং স্টেশনে এর আগেও গ্যাস রিফিলের সময় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। ওই মামলা এখনও চলমান। এখন আবার বিস্ফোরণের ঘটনায় একজন মারা গেছেন ও ৩ জন আহত হয়েছেন। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঠিকানা/এসআর