মংডু দখল নিয়েছে আরকান আর্মি, নাফ নদীতে সতর্কতা জারি

প্রকাশ : ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০৫ , অনলাইন ভার্সন
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান যুদ্ধে দেশটির সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি মংডু শহর নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার দাবি করেছে। ফলে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের ২৭০ কিলোমিটার সীমান্তের পুরোটাই আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে। দখলের পর নাফ নদের আরাকান জলসীমায় অনির্দিষ্টকালের জন্য সব ধরনের নৌযান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে তারা।
 
কয়েক মাস ধরে মিয়ানমারের জান্তার সঙ্গে লড়াইয়ের পর ৮ ডিসেম্বর (রবিবার) সকালে মংডু শহরের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার দাবি করে আরাকান আর্মি। ৯ ডিসেম্বর (সোমবার) মিয়ানমারের গণমাধ্যম ইরাবতীর এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়।  

এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, ‘বাংলাদেশি জেলেসহ সব নৌযানকে সেদিকে না যাওয়ার জন্য মাইকিং করা হয়েছে। গত কয়েক মাস ধরে মিয়ানমারের জান্তা বাহিনী ও আরকান আর্মির সঙ্গে টেকনাফ অঞ্চলে সীমান্তের ওপারে যুদ্ধ চলছে।’

ইউএনও আরও বলেন, ‘ইতোমধ্যেই আমরা জেনেছি, আরাকান আর্মি টেকনাফ সীমান্তের ওপারের এলাকাটি পুরোপুরি দখলে নিয়েছে। গতকাল থেকে সেদেশের জলসীমানায় নাফনদীতে সব নৌযান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেয়। তাই আমরাও টেকনাফের ফিশিং ট্রলার মালিকদের অবহিত করেছি, নাফ নদী সীমান্ত এ মুহূর্তে অতি ঝুঁকিপূর্ণ। সেখানে কোনও ট্রলার না যাওয়ার জন্য মাইকিং করা হয়েছে। পাশাপাশি সীমান্তে অনুপ্রবেশ রোধে বিজিবি ও কোস্টগার্ডের টহল জোরদার রয়েছে।’

জানা গেছে, রবিবার সকালে আরাকান আর্মি আরাকান রাজ্যের মংডু অঞ্চলের সন্ত্রাসী ফ্যাসিবাদী সামরিক জান্তার বর্ডার গার্ড পুলিশ ডিভিশনের (নাখাখা-৫) শেষ পোস্টটি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। এক বিবৃতিতে তারা এ কথা জানিয়েছে।

টেকনাফ সীমান্তে বসবাসকারীরা বলছেন, গত কয়েকদিন ধরে মিয়ানমারের রাখাইনের মংডুতে চলমান যুদ্ধের তীব্রতা বেড়েছে। গোলার শব্দে আতঙ্কে রয়েছেন এপারে টেকনাফ সীমান্তের বাসিন্দারা। রাখাইনে অধিকাংশ জায়গা আরকান আর্মির দখলে ছিল। তবে মংডু শহরের কিছু অংশ জান্তা সরকারের নিয়ন্ত্রণে ছিল। সেটির কারণে যুদ্ধ চলছিল দুই পক্ষে। ইতোমধ্যে সেটিও আরকান আর্মি দখলে নিয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে।

‘নাফ নদে আরাকান আর্মির নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি জেনেছি’ উল্লেখ করে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের চট্টগ্রাম মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সোয়াইব বিকাশ বলেন, ‘বাংলাদেশ জলসীমানায় আমরা কাউকে ঢুকতে দেব না। জালিয়ার দ্বীপ-সেন্টমার্টিন দ্বীপ পর্যন্ত নাফ নদ ও সাগরে আমাদের টহল জোরদার রয়েছে। পাশাপাশি জেলেদের জলসীমা অতিক্রম না করতে বলা হচ্ছে।’

ঠিকানা/এসআর
M M Shahin, Chairman Board of Editors, Thikana

Corporate Headquarter :

THIKANA : 7409 37th Ave suite 403

Jackson Heights, NY 11372

Phone : 718-472-0700/2428, 718-729-6000
Fax: + 1(866) 805-8806



Bangladesh Bureau : THIKANA : 70/B, Green Road, (Panthapath),
5th Floor, Dhaka- 1205, Bangladesh.
Mobile: +880  1338-950041