বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়সহ যেসব সংখ্যালঘুরা আছেন, তাদের নিরাপত্তার দায়িত্ব এদেশের সরকারের। এ নিয়ে ভারত বা অন্য কারো কথা বলা কূটনীতিক রীতিবহির্ভূত কাজ। বহির্বিশ্বে সর্বাধিক জনপ্রিয় ও প্রাচীন সংবাদপত্র ‘ঠিকানা’র সহযোগী প্রতিষ্ঠান ‘ঠিকানা টিভি’র ইউটিউব চ্যানেল ‘ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দীন’ টকশোতে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
তিনি বলেন, ‘তাদের (ভারতের) কার কী নিরাপত্তা আছে না আছে, তা নিয়ে আমরা তো কথা বলি না। তাই আমাদের দেশের বিষয়ে তাদের কথার বলার তো কোনো প্রয়োজন দেখি না।’
৩ ডিসেম্বর মঙ্গলবার নিউইয়র্ক সময় বেলা ১১টায় (বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা) সরাসরি সম্প্রচারিত হয় এই টকশো। ঠিকানা টিভির প্রধান সম্পাদক খালেদ মুহিউদ্দীনের উপস্থাপনায় টকশোতে অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।
অন্তর্বর্তী সরকারকে কূটনীতির নানা বিষয় সামাল দিতে হচ্ছে। মোকাবিলা করতে হচ্ছে ভূরাজনীতির নতুন মেরুকরণ। এসব নিয়ে টকশোতে নানা প্রশ্নের জবাব দেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
দেশে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা পদচ্যুত হয়ে ভারতে আশ্রয় নেন। এই ঘটনার চার মাস হতে চলেছে। প্রতিবেশি দেশে তার অবস্থান নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কি জানে? এমন প্রশ্নে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, প্রথমে জানা গিয়েছিল শেখ হাসিনা ভারতে বেশি দিন থাকবেন না। কিন্তু তিনি এখনো ওখানেই আছেন। কত দিন থাকবেন, তাও জানা যাচ্ছে না। পুরোটাই ভারতের এখতিয়ার।
‘বাংলাদেশে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা তেমন একটা পর্যায়ে গেলে আমরা তাকে ফেরত চাইতেই পারি’, বলেন পেশাদার কূটনীতিক মো. তৌহিদ হোসেন।
এদিকে আওয়ামী লীগ আমলের ১৫ বছরের আর্থিক কেলেঙ্কারি নিয়ে সদ্যই শ্বেতপত্র প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে হস্তান্তর করেছে শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি। যেখানে ২৮ লাখ কোটি টাকা পাচার করার অভিযোগ সামনে এসেছে। বিপুল অঙ্কের এই অর্থ ফেরত আনার বিষয়ে দৃশ্যমান উদ্যোগ কতটুকু- এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বিগত আওয়ামী লীগ আমলে অবিশ্বাস্য দুর্নীতি হয়েছে। পাচারের জন্যই প্রাতিষ্ঠানিকভাবে তখন লুটপাট হয়েছে। তবে পাচার হওয়া টাকার পুরোটা সম্ভব না হলেও আংশিক ফেরত আনা সম্ভব বলে মনে করেন মো. তৌহিদ হোসেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারকালে ডোনাল্ড ট্রাম্প টুইট করে বাংলাদেশে হিন্দু নিপীড়নের নিন্দা করেছেন। নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন তিনি। এক্ষেত্রে বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকার কী চাপে পড়তে যাচ্ছে? এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্ব নেওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্কে কোনো পরিবর্তন আসবে না। নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টের বাংলাদেশ নিয়ে টুইট কোনো প্রভাব ফেলবে বলে তিনি মনে করেন না।
তিনি বলেন, ‘তাদের (ভারতের) কার কী নিরাপত্তা আছে না আছে, তা নিয়ে আমরা তো কথা বলি না। তাই আমাদের দেশের বিষয়ে তাদের কথার বলার তো কোনো প্রয়োজন দেখি না।’
৩ ডিসেম্বর মঙ্গলবার নিউইয়র্ক সময় বেলা ১১টায় (বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা) সরাসরি সম্প্রচারিত হয় এই টকশো। ঠিকানা টিভির প্রধান সম্পাদক খালেদ মুহিউদ্দীনের উপস্থাপনায় টকশোতে অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।
অন্তর্বর্তী সরকারকে কূটনীতির নানা বিষয় সামাল দিতে হচ্ছে। মোকাবিলা করতে হচ্ছে ভূরাজনীতির নতুন মেরুকরণ। এসব নিয়ে টকশোতে নানা প্রশ্নের জবাব দেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
দেশে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা পদচ্যুত হয়ে ভারতে আশ্রয় নেন। এই ঘটনার চার মাস হতে চলেছে। প্রতিবেশি দেশে তার অবস্থান নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কি জানে? এমন প্রশ্নে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, প্রথমে জানা গিয়েছিল শেখ হাসিনা ভারতে বেশি দিন থাকবেন না। কিন্তু তিনি এখনো ওখানেই আছেন। কত দিন থাকবেন, তাও জানা যাচ্ছে না। পুরোটাই ভারতের এখতিয়ার।
‘বাংলাদেশে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা তেমন একটা পর্যায়ে গেলে আমরা তাকে ফেরত চাইতেই পারি’, বলেন পেশাদার কূটনীতিক মো. তৌহিদ হোসেন।
এদিকে আওয়ামী লীগ আমলের ১৫ বছরের আর্থিক কেলেঙ্কারি নিয়ে সদ্যই শ্বেতপত্র প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে হস্তান্তর করেছে শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি। যেখানে ২৮ লাখ কোটি টাকা পাচার করার অভিযোগ সামনে এসেছে। বিপুল অঙ্কের এই অর্থ ফেরত আনার বিষয়ে দৃশ্যমান উদ্যোগ কতটুকু- এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বিগত আওয়ামী লীগ আমলে অবিশ্বাস্য দুর্নীতি হয়েছে। পাচারের জন্যই প্রাতিষ্ঠানিকভাবে তখন লুটপাট হয়েছে। তবে পাচার হওয়া টাকার পুরোটা সম্ভব না হলেও আংশিক ফেরত আনা সম্ভব বলে মনে করেন মো. তৌহিদ হোসেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারকালে ডোনাল্ড ট্রাম্প টুইট করে বাংলাদেশে হিন্দু নিপীড়নের নিন্দা করেছেন। নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন তিনি। এক্ষেত্রে বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকার কী চাপে পড়তে যাচ্ছে? এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্ব নেওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্কে কোনো পরিবর্তন আসবে না। নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টের বাংলাদেশ নিয়ে টুইট কোনো প্রভাব ফেলবে বলে তিনি মনে করেন না।