বাংলাদেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন সফল হওয়ার পরিণতি হিসেবে শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে। তিনি সামরিক বাহিনীর একটি হেলিকপ্টারে চড়ে তার ছোট বোন রেহানাকে নিয়ে ৫ আগস্ট পালিয়ে যান ভারতে। সেখানে তিনি রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়ে আছেন বলে বিভিন্ন মাধ্যমে জানা যায়। তিনি পালিয়ে যাওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর আওয়ামী লীগের মন্ত্রী, এমপি, রাজধানী থেকে শুরু করে গ্রাম-গ্রামান্তরে যত পর্যায়ের নেতা-পাতি নেতা আছেন, প্রায় সবাই দেশ থেকে পালিয়ে যান। শুধু দলীয় নেতাকর্মী নয়, আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনকালে সচিবালয়ের যত সচিব, বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী যে যেদিকে পেরেছেন, পালিয়ে গেছেন। অনেকে ধরা পড়েছেন পুলিশ-র্যাবের হাতে। দেশের ভেতরে যারা এখনো কোনোভাবে পালিয়ে রয়েছেন, তাদের অনেকে মাঝেমধ্যেই ধরা পড়ছেন।
সবচেয়ে বিস্ময়কর ঘটনা, যারা কখনো কোনো সরকার পতনে পালিয়ে যাননি, মসজিদের ইমাম-মুয়াজ্জিনও পালিয়ে গেছেন এবার। বায়তুল মোকাররমের খতিব পর্যন্ত পালিয়েছেন। অনেক পিয়ন, ড্রাইভার, কোনো কোনো নেতার বাড়ির চাকর পর্যন্ত পালিয়েছেন। এ থেকে খুব সহজেই অনুমান করে নেওয়া হয়, গত সরকারের বেনিফিশিয়ারি কতটা তৃণমূলে ছড়িয়ে পড়েছিল। আওয়ামী লীগের কোনো কোনো নেতার বাড়ির কাজের লোকও নাকি শত শত কোটি টাকার মালিক ছিল, যা সত্যিই বিস্ময়কর।
তবে যারা বাংলাদেশের সীমান্ত অতিক্রম করে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছেন, তাদের অধিকাংশই ভারতে পালান। আর যাদের আগে থেকেই ভিসা ছিল, তারা যুক্তরাষ্ট্রে চলে আসেন। অনেকে আবার আগে থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিনকার্ডধারী, কেউ কেউ পাসপোর্টধারীও ছিলেন। তারা দেশের সীমান্ত পাড়ি দিতে সক্ষম হলে খুব সহজেই যুক্তরাষ্ট্রে চলে আসতে পেরেছেন।
দেশের অনেক কিছুরই পরিবর্তন ঘটেছে। একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এখন দেশ চালাচ্ছে। সে সরকারে বিভিন্ন দায়িত্ব নিয়ে অনেক উপদেষ্টাও নিযুক্ত হয়েছেন। উপদেষ্টাদের অনেককে নিয়ে বিতর্কও রয়েছে। এত এত পরিবর্তনের মধ্যে বাংলাদেশি ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের ক্ষেত্রেও উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন লক্ষ করা যাচ্ছে। লক্ষ করা যাচ্ছে, এই পরিবর্তন গত জুলাই মাসের পর থেকে শুরু হয়েছে এবং এত দিন বাংলাদেশ ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের শীর্ষস্থানে থাকলেও জুলাই মাস থেকে শীর্ষস্থান দখল করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তার বরাতে জানা যায়, বাংলাদেশিদের জন্য ভারত ভিসা খুব সীমিত করে দেওয়ার পর থেকেই মূলত বাংলাদেশি ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের ক্ষেত্রে এই পরিবর্তন ঘটতে শুরু করেছে।
বাংলাদেশি ক্রেডিট কার্ড ব্যবহৃত হয় সাধারণত ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর মালয়েশিয়া, নেদারল্যান্ডস ও ইন্দোনেশিয়ায়। ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশি ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র শীর্ষস্থানে চলে আসে। এ থেকে গণ-অভ্যুত্থানের পর দেশত্যাগের চিত্রও অনেকটা উঠে আসে। গণ-অভ্যুত্থানের বেশ আগে থেকেই বিভিন্ন গণমাধ্যমে সরকারের এবং সরকারের ঘনিষ্ঠজনদের অর্থপাচার এবং সম্পদ ক্রয়ের খবর প্রকাশ পাচ্ছিল। কোথাও সেকেন্ড হোম, কোথাও বেগম পাড়াসহ বিভিন্ন নামে-বেনামে বিপুলসংখ্যক বাংলাদেশির অর্থ পাচার, বাড়িঘর ক্রয়ের খবর জানা যাচ্ছিল। যেহেতু তারা সবাই সরকারের ঘনিষ্ঠজন ও বেনিফিশিয়ারি, সে কারণে তাদের বিরুদ্ধে সরকারপক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। সে কারণে তারা সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত কোনো সংবাদকে গুরুত্বও দেয়নি।
এখন অবস্থার পরিবর্তন ঘটায় এসব খবর আরও ব্যাপক হারে প্রকাশ পাচ্ছে এবং এসব অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে একটা ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হতে পারে।
সবচেয়ে বিস্ময়কর ঘটনা, যারা কখনো কোনো সরকার পতনে পালিয়ে যাননি, মসজিদের ইমাম-মুয়াজ্জিনও পালিয়ে গেছেন এবার। বায়তুল মোকাররমের খতিব পর্যন্ত পালিয়েছেন। অনেক পিয়ন, ড্রাইভার, কোনো কোনো নেতার বাড়ির চাকর পর্যন্ত পালিয়েছেন। এ থেকে খুব সহজেই অনুমান করে নেওয়া হয়, গত সরকারের বেনিফিশিয়ারি কতটা তৃণমূলে ছড়িয়ে পড়েছিল। আওয়ামী লীগের কোনো কোনো নেতার বাড়ির কাজের লোকও নাকি শত শত কোটি টাকার মালিক ছিল, যা সত্যিই বিস্ময়কর।
তবে যারা বাংলাদেশের সীমান্ত অতিক্রম করে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছেন, তাদের অধিকাংশই ভারতে পালান। আর যাদের আগে থেকেই ভিসা ছিল, তারা যুক্তরাষ্ট্রে চলে আসেন। অনেকে আবার আগে থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিনকার্ডধারী, কেউ কেউ পাসপোর্টধারীও ছিলেন। তারা দেশের সীমান্ত পাড়ি দিতে সক্ষম হলে খুব সহজেই যুক্তরাষ্ট্রে চলে আসতে পেরেছেন।
দেশের অনেক কিছুরই পরিবর্তন ঘটেছে। একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এখন দেশ চালাচ্ছে। সে সরকারে বিভিন্ন দায়িত্ব নিয়ে অনেক উপদেষ্টাও নিযুক্ত হয়েছেন। উপদেষ্টাদের অনেককে নিয়ে বিতর্কও রয়েছে। এত এত পরিবর্তনের মধ্যে বাংলাদেশি ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের ক্ষেত্রেও উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন লক্ষ করা যাচ্ছে। লক্ষ করা যাচ্ছে, এই পরিবর্তন গত জুলাই মাসের পর থেকে শুরু হয়েছে এবং এত দিন বাংলাদেশ ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের শীর্ষস্থানে থাকলেও জুলাই মাস থেকে শীর্ষস্থান দখল করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তার বরাতে জানা যায়, বাংলাদেশিদের জন্য ভারত ভিসা খুব সীমিত করে দেওয়ার পর থেকেই মূলত বাংলাদেশি ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের ক্ষেত্রে এই পরিবর্তন ঘটতে শুরু করেছে।
বাংলাদেশি ক্রেডিট কার্ড ব্যবহৃত হয় সাধারণত ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর মালয়েশিয়া, নেদারল্যান্ডস ও ইন্দোনেশিয়ায়। ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশি ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র শীর্ষস্থানে চলে আসে। এ থেকে গণ-অভ্যুত্থানের পর দেশত্যাগের চিত্রও অনেকটা উঠে আসে। গণ-অভ্যুত্থানের বেশ আগে থেকেই বিভিন্ন গণমাধ্যমে সরকারের এবং সরকারের ঘনিষ্ঠজনদের অর্থপাচার এবং সম্পদ ক্রয়ের খবর প্রকাশ পাচ্ছিল। কোথাও সেকেন্ড হোম, কোথাও বেগম পাড়াসহ বিভিন্ন নামে-বেনামে বিপুলসংখ্যক বাংলাদেশির অর্থ পাচার, বাড়িঘর ক্রয়ের খবর জানা যাচ্ছিল। যেহেতু তারা সবাই সরকারের ঘনিষ্ঠজন ও বেনিফিশিয়ারি, সে কারণে তাদের বিরুদ্ধে সরকারপক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। সে কারণে তারা সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত কোনো সংবাদকে গুরুত্বও দেয়নি।
এখন অবস্থার পরিবর্তন ঘটায় এসব খবর আরও ব্যাপক হারে প্রকাশ পাচ্ছে এবং এসব অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে একটা ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হতে পারে।