অবসরপ্রাপ্ত সচিব এএমএম নাসির উদ্দীনের নেতৃত্বে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এবং চারজন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের পর বিএনপি-জামায়াতসহ দেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দলই এই কমিশন সম্পর্কে ইতিবাচক মন্তব্য করেছে। সেই সঙ্গে কমিশন গঠনের পর নির্বাচন কমিশন সংশ্লিষ্ট সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকেন্দ্রিক কার্যক্রম নিয়ে অগ্রসর হচ্ছেন। গণমাধ্যমের সঙ্গে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে নতুন সিইসি এএমএম নাসির উদ্দীন বলেছেন, ‘দেশে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে না পারলে বেইমানি হবে। এত রক্তের সঙ্গে বেইমানি করা সম্ভব নয়। সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে মানুষের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করার চেষ্টা করব। জীবনে কোনো দিন আমি ফেল করিনি। আশা করি, এবারও ফেল করব না।’
নির্বাচন কমিশন গঠনের সঙ্গে সঙ্গেই ভোটের ময়দানে নেমে পড়েছে বিএনপি-জামায়াত। তারা সারা দেশের তৃণমূল পর্যায়ে নির্বাচনের প্রস্তুতি জোরদার করেছে। দলের সিনিয়র নেতারা বিভিন্ন জেলা-উপজেলা ও মহানগর সফরে গিয়ে সভা-সমাবেশ করছেন। প্রতিটি সংসদীয় এলাকার সম্ভাব্য প্রার্থীরাও গণসংযোগ জোরদার করছেন। বিএনপি-জামায়াত ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রার্থী বাছাইও শুরু করে দিয়েছে। বিএনপি-জামায়াতের পাশাপাশি অন্যান্য রাজনৈতিক দলও নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরই বাংলাদেশের অন্যতম শক্তিশালী রাজনৈতিক বিরোধী শিবিরগুলো টাইমলাইনে চলে আসে। যার যার অবস্থান থেকে সব দলই সভা-সমাবেশের মাধ্যমে নিজেদের শক্তি জানান দিচ্ছে। জনপ্রিয়তা প্রমাণের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। একইভাবে ড. ইউনূস সরকারকেও চাপ অব্যাহত রেখেছে, যাতে খুব শিগগিরই নির্বাচনের আয়োজন করা হয়। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের শীর্ষ ব্যক্তিরা নিয়মিত সভা-সেমিনার থেকে দাবি জানাচ্ছেন, যাতে যৌক্তিক সময়ের মধ্যে নির্বাচনের আয়োজন করা হয়। একইভাবে বর্তমান সরকারের পক্ষ থেকেও বলা হচ্ছে, সংস্কার শেষে খুব শিগগিরই জাতীয় নির্বাচনের আয়োজন করা হবে।
নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের পর সম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে ২০২৬ সালের মাঝামাঝি বা এর আগে নির্বাচন অনুষ্ঠানের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা নিয়ে যখন বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সোচ্চার, তখন অন্তর্বর্তী সরকারের নৌ-পরিবহন, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন জানান, প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে ২০২৬ সালের মাঝামাঝি বা এর আগে ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন হতে পারে। যদিও ২৪ নভেম্বর রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আগামী ১৩তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন কবে হবে, সেই তারিখ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ঘোষণা করবেন। প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর বলেন, ‘এখন পর্যন্ত প্রধান উপদেষ্টা বা তার দপ্তর থেকে নির্বাচনের ডেট দেওয়া হয়নি। নির্বাচনের প্রকৃত তারিখ প্রধান উপদেষ্টা ঘোষণা করবেন। ওনার পক্ষ থেকে দেওয়া হবে। বাকি যারা বলেছেন, তারা হয়তো নিজেদের মতামত দিয়েছেন, তবে সেটা কংক্রিট না।’ তার পরও সরকারের একজন উপদেষ্টা নির্বাচনের টাইমলাইন সম্পর্কে ধারণা দেওয়ায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলো এটিকে ইতিবাচক হিসেবে নিয়েছে। সেই সঙ্গে নিজ নিজ দলের নেতাকর্মীদের মাঠে সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ৩০০ সংসদীয় আসনে নির্বাচনের প্রস্তুতি এগিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিএনপি হাইকমান্ডের পক্ষ থেকে। নির্বাচনের আগে মাঠপর্যায়ের নেতাকর্মীরা যেন দলীয় কর্মকাণ্ডে অধিকতর সক্রিয় হন, তারই অংশ হিসেবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রায়ই ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে বিভিন্ন জেলা-উপজেলার নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করছেন। এ ছাড়া তিনি বিভিন্ন মাধ্যমে প্রতিটি সংসদীয় এলাকার সম্ভাব্য প্রার্থীদের সম্পর্কে খোঁজখবর নিচ্ছেন। বিএনপি ছাড়া আরও বেশ কটি দল নির্বাচনের প্রস্তুতি চালিয়ে যাচ্ছে। তবে এবার বিএনপির সঙ্গে শক্ত অবস্থান তৈরি করেছে জামায়াতে ইসলামী। তারাও ঢাকাসহ সারা দেশে ভোটের রোডম্যাপ এঁকে নেতাকর্মীদের ব্যস্ত রেখেছে নির্বাচনী কাজে।
জানা গেছে, বিএনপি-জামায়াত রাজনৈতিক কর্মসূচির পাশাপাশি নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতিও এগিয়ে নিচ্ছে। এ জন্য গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে জনসমর্থনকে আরও দৃঢ় করার ওপর। তাই জনগুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে নানা কর্মসূচি নিয়ে মাঠে রয়েছেন দলগুলোর নেতাকর্মীরা। পূজার সময় বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা মন্দির ও উপাসনালয় পাহারা দিয়ে হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধসহ সব মানুষের সুরক্ষায় পাশে দাঁড়িয়েছেন। দেশের পূর্বাঞ্চল ও সিলেট অঞ্চলে ভয়াবহ বন্যার সময় সাহায্য নিয়ে জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছেন নেতাকর্মীরা। গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহত পরিবারগুলোকে সহায়তা দিয়েছেন তারা।
নির্বাচন কমিশন গঠনের সঙ্গে সঙ্গেই ভোটের ময়দানে নেমে পড়েছে বিএনপি-জামায়াত। তারা সারা দেশের তৃণমূল পর্যায়ে নির্বাচনের প্রস্তুতি জোরদার করেছে। দলের সিনিয়র নেতারা বিভিন্ন জেলা-উপজেলা ও মহানগর সফরে গিয়ে সভা-সমাবেশ করছেন। প্রতিটি সংসদীয় এলাকার সম্ভাব্য প্রার্থীরাও গণসংযোগ জোরদার করছেন। বিএনপি-জামায়াত ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রার্থী বাছাইও শুরু করে দিয়েছে। বিএনপি-জামায়াতের পাশাপাশি অন্যান্য রাজনৈতিক দলও নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরই বাংলাদেশের অন্যতম শক্তিশালী রাজনৈতিক বিরোধী শিবিরগুলো টাইমলাইনে চলে আসে। যার যার অবস্থান থেকে সব দলই সভা-সমাবেশের মাধ্যমে নিজেদের শক্তি জানান দিচ্ছে। জনপ্রিয়তা প্রমাণের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। একইভাবে ড. ইউনূস সরকারকেও চাপ অব্যাহত রেখেছে, যাতে খুব শিগগিরই নির্বাচনের আয়োজন করা হয়। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের শীর্ষ ব্যক্তিরা নিয়মিত সভা-সেমিনার থেকে দাবি জানাচ্ছেন, যাতে যৌক্তিক সময়ের মধ্যে নির্বাচনের আয়োজন করা হয়। একইভাবে বর্তমান সরকারের পক্ষ থেকেও বলা হচ্ছে, সংস্কার শেষে খুব শিগগিরই জাতীয় নির্বাচনের আয়োজন করা হবে।
নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের পর সম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে ২০২৬ সালের মাঝামাঝি বা এর আগে নির্বাচন অনুষ্ঠানের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা নিয়ে যখন বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সোচ্চার, তখন অন্তর্বর্তী সরকারের নৌ-পরিবহন, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন জানান, প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে ২০২৬ সালের মাঝামাঝি বা এর আগে ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন হতে পারে। যদিও ২৪ নভেম্বর রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আগামী ১৩তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন কবে হবে, সেই তারিখ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ঘোষণা করবেন। প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর বলেন, ‘এখন পর্যন্ত প্রধান উপদেষ্টা বা তার দপ্তর থেকে নির্বাচনের ডেট দেওয়া হয়নি। নির্বাচনের প্রকৃত তারিখ প্রধান উপদেষ্টা ঘোষণা করবেন। ওনার পক্ষ থেকে দেওয়া হবে। বাকি যারা বলেছেন, তারা হয়তো নিজেদের মতামত দিয়েছেন, তবে সেটা কংক্রিট না।’ তার পরও সরকারের একজন উপদেষ্টা নির্বাচনের টাইমলাইন সম্পর্কে ধারণা দেওয়ায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলো এটিকে ইতিবাচক হিসেবে নিয়েছে। সেই সঙ্গে নিজ নিজ দলের নেতাকর্মীদের মাঠে সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ৩০০ সংসদীয় আসনে নির্বাচনের প্রস্তুতি এগিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিএনপি হাইকমান্ডের পক্ষ থেকে। নির্বাচনের আগে মাঠপর্যায়ের নেতাকর্মীরা যেন দলীয় কর্মকাণ্ডে অধিকতর সক্রিয় হন, তারই অংশ হিসেবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রায়ই ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে বিভিন্ন জেলা-উপজেলার নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করছেন। এ ছাড়া তিনি বিভিন্ন মাধ্যমে প্রতিটি সংসদীয় এলাকার সম্ভাব্য প্রার্থীদের সম্পর্কে খোঁজখবর নিচ্ছেন। বিএনপি ছাড়া আরও বেশ কটি দল নির্বাচনের প্রস্তুতি চালিয়ে যাচ্ছে। তবে এবার বিএনপির সঙ্গে শক্ত অবস্থান তৈরি করেছে জামায়াতে ইসলামী। তারাও ঢাকাসহ সারা দেশে ভোটের রোডম্যাপ এঁকে নেতাকর্মীদের ব্যস্ত রেখেছে নির্বাচনী কাজে।
জানা গেছে, বিএনপি-জামায়াত রাজনৈতিক কর্মসূচির পাশাপাশি নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতিও এগিয়ে নিচ্ছে। এ জন্য গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে জনসমর্থনকে আরও দৃঢ় করার ওপর। তাই জনগুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে নানা কর্মসূচি নিয়ে মাঠে রয়েছেন দলগুলোর নেতাকর্মীরা। পূজার সময় বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা মন্দির ও উপাসনালয় পাহারা দিয়ে হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধসহ সব মানুষের সুরক্ষায় পাশে দাঁড়িয়েছেন। দেশের পূর্বাঞ্চল ও সিলেট অঞ্চলে ভয়াবহ বন্যার সময় সাহায্য নিয়ে জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছেন নেতাকর্মীরা। গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহত পরিবারগুলোকে সহায়তা দিয়েছেন তারা।